চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা উপকরণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ‘দেশ প্রেমের শপথ নিন, দুর্নীতিকে বিদায় দিন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সরাইল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে গতকাল ২৩ অক্টোবর বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় সভাপতি মো. আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা প্রধান অতিথি ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনীর কায়ছান।
বক্তব্য রাখেন- জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু, মাধ্যমিক শিক্ষার অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার ইতি বেগম, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহসভাপতি ও ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জিব কুমার দেবনাথ, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মানিক, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব খান, অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদী ও সাংবাদিক জুলকার নাঈন।
বক্তারা বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ প্রদানের আয়োজন করা হয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রত্যেককে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে। তবে এটা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। পারিবারিক শিক্ষাটা প্রত্যেকটা মানুষ আজীবন মনে রাখে। তাই কাজটি প্রথম প্রত্যেকের পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। এই কাজে সফলতার জন্য একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। আসুন, দুর্নীতির মতো জঘন্য কাজ প্রতিরোধে সকলে সচেষ্ট হয়। সুন্দর স্বচ্ছ পরিবার সমাজ দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখি।
প্রসঙ্গত: এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে সরাইল উপজেলার পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টায় পরিষদ চত্বর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবা উল আলম ভূইয়ার নেতৃত্বে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। র্যালির পর সরাইল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইয়া।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার ইতি বেগম, সরাইল উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নুরুন্নাহার বেগম, প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাস এবং সহকারী শিক্ষক শাহিনুল ইসলাম ঠাকুর।
বক্তারা শিক্ষকদের ভূমিকা ও তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, শিক্ষকেরা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তারা শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য সর্বদা নিবেদিত রয়েছেন।
এছাড়া, শিক্ষকদের কাজকে সমাজে যথাযথ সম্মান ও মূল্যায়ন করতে হবে। বক্তারা সরকারের শিক্ষানীতি এবং শিক্ষকদের অধিকারের প্রতি নজর দেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা, মিডিয়া কর্মীসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে বিদ্যালয়ে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে এক ইউপি চেয়ারম্যান তার ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তাসহ বাহিনীর ১০-১২ জন সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
পানিশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে আজ ১২ মার্চ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন। শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামী ১৫ মার্চ তারিখ ধার্য করেন বিচারক এশারমিন নিগার।
নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে দায়ের করা মামলায় সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেহাবুর রহমান, উপপরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ও পঙ্কজ দাশ, সহকারী পরিদর্শক দিলীপ কুমার নাথ এবং জেলা গোয়েন্দা বিভাগের এক উপপরিদর্শককে আসামি করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মামলা আরজিতে দাবি করেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নের সীতাহরণ গ্রামে দুইপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে তিনি বিষয়টি সরাইলের ওসিকে জানান। পরে সরাইল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই একাধিক পিকআপে এবং ৫-৭টি মোটর সাইকেল সরাইল থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থল সীতাহরণ বাজারে গিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এ সময় তারা স্থানীয় লোকজনকে সরিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজকে মারধর শুরু করে।
তিনি নিজেকে ইউপি চেয়ারম্যান পরিচয় দেয়ার পরও সালিশ মীমাংসা করতে না পারার অভিযোগ তুলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পিকআপ ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি দাবি করেন, পুলিশের ভয়ে ঘটনার দিন তিনি হাসপাতালে না গিয়ে বাসায় চিকিৎসা নেন। ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি পুলিশ সুপার বরারব লিখিত অভিযোগ করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের অনুরোধ জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
সরাইল থানার ওসি আসলাম হোসেন আদালতে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিছুদিন আগে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছিল। তবে তাকে শারীরিক নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. আশরাফ উদ্দিন মন্তুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ১৯ মার্চ বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাউতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অ্যাড. আশরাফ উদ্দিন মন্তু (৪২) সরাইল উপজেলার নতুন হাবলি (সাগর দিঘীরপাড়) এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে। সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।
সরাইল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বুধবার বিকেলে জেলা শহরের কাউতলী থেকে র্যাব আশরাফ উদ্দিন মন্তুকে গ্রেফতার করে, রাতের মধ্যে সরাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা (একটি বিচারাধীন এবং অন্যটি তদন্তাধীন) ও একটি বিস্ফোরক মামলার অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ১০ কেজি গাঁজাসহ মোঃ কামরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে সরাইল থানার পুলিশ।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বছিউড়া গ্রামের ঈদগাহ ময়দানের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ ফারুক হোসেন ও এএসআই (নিরস্ত্র) রুবেল আখন এবং সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসময় তাঁর হেফাজতে রাখা ১০ কেজি গাঁজা উপস্থিত সাক্ষীগণের সামনে জব্দ করেন। গ্রেফতারকৃত কামরুল ইসলাম (মনিরুল) ঝিনাইদহ জেলার কালি চরণপুর উপজেলার বয়ড়া তলা এলাকার মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে।
সরাইল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. রফিকুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।