চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলায় বিজিবি’র পৃথক অভিযানে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য উদ্ধার হয়েছে। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার রাতে আখাউড়ার বাউতলা সীমান্ত ও বিজয়নগরের চান্দুরা এলাকায় বিজিবি-২৫ ও বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়ন এ অভিযানচালায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রাত ১০টার দিকে বাউতলা এলাকায় বিজিবি’র ৬০ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ৫২৬০ পিস ভারতীয় অবৈধ মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে জব্দ করা হয়। এসব ডিসপ্লে’র আনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ২৫ ব্যাটালিয়নের অভিযানে রাত একটার দিকে চান্দুরা এলাকায় অভিযানে ৪৫০ কেজি জিরা, ৯৪২ মিটার সোফা ও কুশন কাভারের কাপড়, ১২ হাজার ৮৪৭ পিস বিভিন্ন ওষুধ, ছয় হাজার ৬৩৮ পিস সানগ্লাস, ২৮পিস শাড়ি, এক ৭৪৩ পিস ডগ ফুড, ২৩ হাজার ৫২০ পিস প্রসাধনী। এসব পণ্যের আনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪০ টাকা। এসব পণ্য আখাউড়া কাস্টমসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার ছয়গড়িয়া শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছাঃ সেলিনা বেগমকে স্থায়ী বরখাস্তসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৩০ অক্টোবর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশ নেয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন মোছাঃ সেলিনা বেগম একজন মামলাবাজ।
বিদ্যালয়ের ভূমিদাতা ও সাবেক সভাপতি আবুল বাশার ওরফে মোঃ মোবারক হোসেনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানিজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দিয়ে হয়রানি করছেন তিনি। মামলার মানসিক চাপে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোবারক হোসেন গত ১০ জুলাই স্ট্রোক করে মৃত্যু বরণ করেছন। বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের পড়ালেখার সুুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সেলিনা বেগমকে স্থায়ী বরখাস্ত করে অবিলম্বে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শিক্ষক ও কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সেলিনা বেগমের বিচার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, সেলিনা বেগম কথায় কথায় মামলা করে দেয়। বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল। মানসিক চাপে মোবারক হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আমিসহ কয়েকজন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা মামলা সামলাবো নাকি পাঠ দান করাবো।
বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি নিহত মোবারক হোসেনের মেয়ে রেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা বিদ্যালয়ের একজন ভূমিদাতা। সেলিনা বেগম আমার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। মানসিক চাপে আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমি সেলিনা বেগমের বিচারচাই।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের তৎকালীন ম্যনেজিং কমিটি বিভিন্ন অভিযোগে গত ৫ জুলাই মোছাঃ সেলিনা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এরপর থেকে তিনি বিদ্যালয়ে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছে। গত সোমবার তিনি বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তার পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ দেখায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার তরুণেরা দিন দিন ইউটিউব ও ফেসবুক ভিডিও ব্লগিংয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আখাউড়ার বেশ কয়েকজন ছাত্র, যুবক ইউটিউব ও ফেসবুক পেইজ খুলে কৃষি, মৎস্য, গরুর খামার, ফুল-ফল সবজি, দর্শনীয় স্থান, সাফল্য-সম্ভাবনা, দূর্ভোগ, বিনোদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্লগিং করছে।
সাবলিল উপস্থাপনা, ব্যতিক্রম কনটেন্টের কারণে ভিডিওগুলো প্রশংসা পাচ্ছে সবার। এদের মধ্যে কয়েকজন হলো আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন, আব্দুল্লাহপুর গ্রামের পারভেজ, হীরাপুর গ্রামের শরীফুল ইসলাম আবির, পৌরশহরের নারায়ণপুরের মোঃ কাইয়ুম, খড়মপুরের মেহেদী রহমান মোল্লা ও দূর্গাপুরের মোঃ ফরহাদ আহমেদ। তাদের প্রত্যেকের শুরুটা শখের বশে। কয়েকজন ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করছে। স্বপ্ন দেখছে আরো ভালো কিছু করার।
‘কৃষকের কথা’র নামক ইউটিউব চ্যানেল থেকে ব্লগিং করেন মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন। তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার ও গরুর খাদ্যের ব্যবসা করতাম। নিজেদের মাছের চাষ থাকায় দোকানে রাখতাম মাছের খাদ্যও। শখের ফেসবুকে বশে পুকুরের মাছ চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, জমির চাষাবাদের ছোট ছোট ভিডিও করে ফেসবুকে পোষ্ট করতাম। বন্ধু-বান্ধবের উৎসাহে ২০১৯ সালে কৃষকের কথা ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজ খুলে ভিডিও দেওয়া শুরু করি। প্রায় ৩ বছর পর মনিটাইজেশন পেয়ে ইনকাম পাচ্ছি। এখন ভালো ইনকাম পাচ্ছি। বর্তমানে ইউটিউবে ‘কৃষকের কথা’র ফলোয়ার প্রায় ৯ হাজার। ফেসবুক পেইজের ফলোয়ারের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে জানালেন মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন।
লিটনের সরল স্বীকারোক্তি শুধু টাকা ইনকামের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর দেশ। কৃষি ও কৃষককে উৎসাহিত করে আনন্দ পাই। চেষ্টা করি বিষয় ভিত্তিক তথ্য এবং পরামর্শ তুলে ধরার জন্য।এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ভিডিও প্রতিবেদন করেছি। একটি ভিডিও সর্বোচ্চ ৪ লাখ ভিউ হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুরুতে তাকে কেউ কেউ নিরুৎসাহিত করেছে। তবে সাব্বির ভূঁইয়া নামে এক প্রবাসী বড় ভাই এবং এক আন্টি (খালাম্মা) তাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন বলে জানান লিটন।
প্রাণের আখাউড়া টিভি নামে ফেসবুক পেইজে শিক্ষামূলক তথ্যসহ বিভিন্ন সরজমিনে প্রতিবেদন করেন কলেজ ছাত্র মেহেদী রহমান মোল্লা। তার পেইজের ভিডিও ভালো ভিউ হয় বলে জানান তিনি। শিক্ষামূলক ও দুর্ভোগ-সমস্যা তুলে ধরেন মোঃ ফরহাদ আহমেদ। তিনি বলেন, দুই বছর ধরে ফেসবুক পেইজ খুলে ভিডিও দিচ্ছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি। তিনিও মোটামুটি ইনকাম পাচ্ছেন বলে জানান।
পারভেজ ব্লগে ঢুকে দেখা যায়, কৃষির বিভিন্ন রকম ভিডিও। এছাড়াও রয়েছে দর্শনীয় স্থান ও হাট বাজারে ভিডিও। তার ফেসবুক পেইজের ফলোয়ার প্রায় ২০ হাজার।
ইউটিউবার মোঃ কাইয়ুম নামে বলেন, ব্যবসার পাশাপাশি ব্লগিং করি। আমার ফেসবুক পেইজে ফলোয়ার ৭ হাজার। ব্লগ দেখে সবাই যখন ভালো বলে তখন খুব আনন্দ লাগে।
ধারাভাষ্যকার সিকান্দার নামে একটি ফেসবুক পেইজ থেকে স্থানীয় ক্রিকেট খেলার সরাসরি প্রচার এবং ধারাভাষ্য দেন আল আনিম সেকান্দার।
এ ব্যাপারে আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন বলেন, তথ্য প্রযুক্তিকে সঠিক ব্যবহার করে ছাত্র-যুবারা ভালো কিছু করার চেষ্টা করছে এটা খুবই ইতিবাচক। তাদের প্রতিবেদনে মানুষ অনেক কিছু দেখতে ও জানতে পারছে। সঠিকভাবে ডিজিটাল প্লাট ফরম ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
“ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভোবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন” শ্লোগানে এবার বিজয়নগর উপজেলায় পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩।
আজ ৮ মার্চ বুধবার সকাল ১২ টার সময় বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ থেকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস এর ব্যবস্থাপনায় শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলায় প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওনক আরার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাছিমা মুকাই আলী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুল রহমান মান্না ও সাবিত্রী রানী, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ পাপিয়া সারোয়ার প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১০ জন উদ্যোক্তার মধ্যে ক্ষুদ্রঋণের চেক বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর পর নিজ জন্মভূমিতে ফিরলেন হারিয়ে যাওয়া ফজিলা খাতুন নেছা (৫৫)। শুক্রবার দুপুরে ভারতের ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশন আগরতলা থেকে আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে তাকে দেশে পাঠায়।
এর আগে তিনি ২০০০ সালে ঝিনাইদহ জেলার নিজ বাড়ি থেকে হারিয়ে যান। ফজিলা খাতুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালি গ্রামের খয়বার আলীর মেয়ে। এদিকে হারিয়ে যাওয়া ফজিলা খাতুনকে গ্রহণ করতে সীমান্তের শূণ্য রেখায় উপস্থিত ছিলেন তার মেয়েসহ স্বজনরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর মাকে ফিরে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গেন পরেন মেয়ে পিঞ্জিরা আক্তার। মেয়ের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকেন অসুস্থ ফজিলা খাতুন। সীমান্তের শূণ্য রেখায় এসময় হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ দিন পর স্বজনকে ফিরে পেয়ে আনন্দে উচ্ছ্বাসিত হয়ে পড়েন স্বজনরা। তবে অসুস্থতার কারণে ফজিলা কথা বলতে পারেননি। তিনি কিভাবে ভারতে গিয়েছিলেন তাও জানা যায়নি।
সীমান্তের শূন্য রেখায় ফজিল খাতুনের ভাইপো মোঃ শাহজালাল বলেন, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ফুফু ভারতের আগরতায় মানসিক হাসপাতালে আছে। তারপর সরকারের সাথে যোগাযোগ করে ত্রিপুরার হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদের সহযোগিতায় আজকে ফুফুকে দেশে আনতে পেরেছি।
মাকে ফিরে পেয়ে পিঞ্জিরা আক্তার বলেন, মা যখন হারিয়ে যায় তখন আমার বয়স ১২। শুনেছি মা হারিয়ে গেছে। মাকে অনেক খোঁজাখুজি করেও পাইনি। মা এতদিন আমাদের কাছে মৃত ছিল। আজ জীবিত ফিরে পেয়ে খুব আনন্দ লাগছে।
ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, দীর্ঘ ২৩ বছর পরে হারিয়ে যাওয়া এক মাকে তার সন্তানের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি নিজ বাড়ি থেকে হারিয়ে যান। তার পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোজাখুজি করেও পায়নি। পরবর্তীতে কোন এক সময় তাকে ত্রিপুরায় পাওয়া যায়। পরে ত্রিপুরার মর্ডাণ সাইক্রিয়াটিক হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ত্রিপুরা পুলিশ আমাকে তার কথা বলে। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে তার তথ্য প্রেরণ করে তার নাগরিকত্ব যাচাই করে ভারত সরকারকে অবহিত করি। ভারত সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে আজকে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। তিনি ত্রিপুরা রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, একদিকে যেমন আনন্দের। একই সাথে আমাদেরকে আরও সচেতন হতে হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাই কমিশনের প্রথম সচিব মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী, মোঃ আল আমিন, ৪২ বিএসএফ আগরতলা আইসিপির কোম্পানী কোমান্ডার ধিবেকান দিমান, আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূইয়া, বিজিবি আখাউড়া আইসিপির ইনচার্জ মোঃ শাহআলম, ইমিগ্রেশন পুলিশের এএসআই দেওয়ান মুর্শেদুল হক প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় এক ইট ভাটাকে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৩ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার মোগড়া এলাকায় মেসার্স তিতাস ব্রিকস (সুরমা) কে এ জরিমানা ও সিলগালা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী প?রিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী, আখাউড়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিল ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী জানান, জেলার আখাউড়া উপজেলায় বিভিন্ন ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দুপুরে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া এলাকায় মেসার্স তিতাস ব্রিকস (সুরমা) দেখা যায় পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ও ইট ভাটার জন্য অবৈধ ভাবে মাটি এনে ইট ভাটা পরিচালনা করে আসছিলো। পরে অবৈধভাবে ইট ভাটায় ইট প্রস্তুত করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইনে মেসার্স তিতাস ব্রিকস (সুরমা) কে দুটি মামলায় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি ইট ভাটাটি অবৈধ হওয়ায় আংশিক গুড়িয়ে দেয়া হয় এবং ইট ভাটার সব কার্যক্রম বন্ধ করে ভাটাটি সিলগালা করা হয়। অভিযানে আরো ২টি ইট ভাটার মালিককে সরকারি আইন মেনে ইট ভাটা পরিচালার বিষয়ে সতর্ক করা হয়। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।