চলারপথে রিপোর্ট :
‘ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে টানা পঞ্চমবারের মতো My Road, My Responsibility নামক কর্মসূচি পালন করেছে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদস্যরা।
আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুই ঘন্টাব্যাপী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতলীতে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তারা মহসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ব্যানার, প্লে-কার্ড, এবং ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। সড়কে নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হেলমেট পরিহিত মোটরসাইকেল আরোহীদের ও ট্রাফিক আইন মেনে চলা যানবাহন চালকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং মহাসড়ককে নিরাপদ রাখতে নিরলস পরিশ্রম করা হাইওয়ে পুলিশকে থ্যাংকইউ কার্ড এবং ফুলেল শুভেচ্ছাও জানান তারা।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন, ভিবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ফজলুল করিম, সহ-সভাপতি সাদিয়া চৌধুরী, মানব সম্পদ কর্মকতা জসিম মিয়া, প্রকল্প কর্মকর্তা বায়েজিদ বিন বাশার, ভিবিডির সাকেব সহ-সভাপতি ও বর্তমান কমিটি মেম্বার টি.এম. একরাম, সাধারণ সদস্য ইমান হুসাইন, জয়নব আক্তার স্নেহা, আমিনুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, আশিকুর রহমান সিফাত প্রমুখ।
ভিবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ফজলুল করিম বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। অসচেতনতার জন্য সড়কে নানাভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, প্রাণহানীসহ মানবসম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা মহসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ব্যানার, প্লে-কার্ড, এবং ফেস্টুন প্রদর্শন করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবি, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের বীরযোদ্ধা, সাংবাদিক এবং “সোনালী কাবিন” খ্যাত কবি আল মাহমুদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাষ্ট্রীয় অবহেলা ও বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে আজ ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার, সকাল ১১ টায় শহরের মৌড়াইলস্থ কবি আল মাহমুদের কবরের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা, কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রতীকী জাতীয় পতাকায় কবর আচ্ছাদন, বিএনসিসি কর্তৃক গার্ড অফ অনার প্রদান এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের বিএনসিসি সদস্যরা গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।
কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের পক্ষে জানানো হয়, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো, কবি আল মাহমুদের অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা এবং তাঁর সাহিত্য, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা।
কর্মসূচিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, সাংবাদিক কবি লেখক এবং সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন। কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতিপরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচি জাতির সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে তারা মনে করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্র জনতার জমায়েতের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়।
এসময় সংগঠণের সভাপতি সাংবাদিক ও কবি ইব্রাহিম খান সাদাত এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবিদ রহিম বিজন, কবি মহিবুর রহিম, কবি রাবেয়া জাহান তিন্নি, কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ দেশের জনগণকে কবি আল মাহমুদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে অনুপ্রাণিত করবে এবং তাঁর অনন্য সাহিত্য ও সংগ্রামী জীবনের প্রতিফলন নতুন প্রজন্মের মনে গভীরভাবে প্রোথিত করবে।এটি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং দেশের মহান ব্যক্তিত্বদের প্রতি শ্রদ্ধা জাগ্রত করবে।
এসময় বক্তারা কবি আল মাহমুদকে রাষ্ট্রীয় সম্মানায় ভুষিত করণ, বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর কবর সংরক্ষণ করাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন এবং তাঁর প্রতি বিগত সরকারের রাষ্ট্রীয় অবহেলার তীব্র সমালোচনা করেন।
প্রসঙ্গত: কবির মহান কীর্তির স্মরণে প্রতি বছর সোনালী কাবিন পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন কবি ইব্রাহিম খান সাদাত। উল্লেখ্য, কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পরমেশ্বরন আইয়ার বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেল অনুসরণ করতে পারে।
আজ ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে আইয়ারকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছে। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোও বাংলাদেশের এই উন্নয়ন মডেল অনুসরণ করতে পারে।’
ইহসানুল করিম আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাঁর সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে কারণ, তাঁর সরকার ও দল (আওয়ামী লীগ) সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়নের পর তা বাস্তবায়ন করে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচন। আমরা প্রতিটি মানুষের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে চাই।’
এ সময় বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক অগ্রগতির পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশকে অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, তার সংস্থা রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য ইতোমধ্যে ৭০ কোটি মার্কিন ডলার প্রদান করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা কার্বন নিঃসরণকারী নই’, তা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশ যথেষ্ট খারাপ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে।
আইয়ার অবশ্য প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, বিশ্বব্যাংক তার ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংক একটি বহুমাত্রিক বিনিয়োগ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা শহরকে আরও বাসযোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে পরিবেশগত পুনরুদ্ধার ও ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা এ দেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থারও প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থা অসাধারণ।’
তিনি উন্নয়নে বেসরকারি খাতের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এটিকে সমৃদ্ধশালী বলে বর্ণনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বেসরকারি খাতের বিকাশে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বেসরকারি খাতের জন্য সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছি।’
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি থেকে আরো অনেকেই চলে আসবে, একটু অপেক্ষা করলে দেখতে পাওয়া যাবে।
তিনি আজ ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপির সিনিয়র নেতা শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমুর আলম খন্দকারের তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমুর আলম খন্দকার নয় আরো অনেকেই বিএনপি থেকে চলে আসবে, একটু অপেক্ষা করুন। কারণ যে দল নেতাদের সম্মান দিতে জানে না, আর যেই দল কাউকে নির্বাচন করতে দেয় না, সেই দল তো সবাই করবে না।’
বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন আর নির্বাচনে আসা না আসা নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে -এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি জনমনে বিভ্রান্তিই সৃষ্টি করতে চায়। গতবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা যেমন বলেছিলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না, কিন্তু শেষমেষ অংশ নিয়েছিলো। এবারও তাদের এখনকার বক্তব্য আর এক মাস আগের বক্তব্যের মধ্যে কিছুটা তফাৎ আছে। যারা একটু অনুসন্ধিৎসু তারা এটা বুঝতে পারেন।’
‘গতবার যেমন গাধা জল ঘোলা করে খেয়েছিলো, এবার কি করে সেটা দেখার বিষয়’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি গণমুখী রাজনৈতিক দল যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করে তাহলে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিএনপি নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়। কাউকে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি তো সরকার, নির্বাচন কমিশন কেউ দিতে পারবে না। আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক। আর মির্জা আব্বাস সাহেবরা গত সাড়ে ১৪ বছর সরকার পতনের কথা বলছেন, এটা নতুন কিছু নয়।’
‘সরকার বিএনপির ওপর নির্যাতন করছে’ বলে বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ খন্ডন করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে কি করেছিলো সেটা পেছনে ফিরে তাকালেই বুঝতে পারবেন, দেখতে পাবেন। মির্জা ফখরুল সাহেবরা অগ্নিবোমা হামলার হুকুমদাতা। সেগুলোর অডিও রেকর্ড, তথ্য প্রমাণ সরকারের কাছে আছে। এরপরও তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। এতেই প্রমাণিত হয় সরকার মোটেই নির্যাতন চালাচ্ছে না। বরং তারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো থেকে শুরু করে এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টার, শাহ এস এম কিবরিয়াসহ আমাদের এমপিদেরকে হত্যা করা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে লাঠিপেটা করা, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরীকে রাস্তায় টানাহেঁচড়া করাসহ আমাদের নেতাকর্মীদের যে পরিমাণ অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে তা বর্ণনাতীত।’
‘সদ্য সমাপ্ত কানাডা সফরের সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, ‘টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার প্রথম প্রদর্শনী হয়েছে। ২ ঘন্টা ৫৮ মিনিটের বিরতিহীন এ প্রদর্শনীতে একজন দর্শকও আসন থেকে নড়েননি। সেখানে বাংলাদেশী, ভারতীয় ছাড়াও বিভিন্ন দেশের দর্শকরা ছিলো, প্রত্যেকেই সিনেমাটির প্রশংসা করেছেন। সিনেমাটি প্রকৃতপক্ষে আমাদের ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে। আগামী মাসে আমরা বায়োপিকটি বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।
তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, ‘কানাডা সফরে সে দেশের উচ্চকক্ষ সিনেটের মানবাধিকার কমিটির চেয়ার সিনেটর সালমা আতাউল্লাজানের সাথে বৈঠক হয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি একইসাথে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এছাড়া কানাডা পার্লামেন্টের ইমিগ্রেশন এবং নাগরিকত্ব বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ার সালমা জাহিদ এমপি’র সাথে বৈঠকে বাংলাদেশীদের সহজতর ইমিগ্রেশন এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের সহজতর ভিসার জন্য তাকে অনুরোধ জানিয়েছি।’
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ফেরার পথে আমি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপিকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি খুবই ভালো আছেন। দেশে নানা আলোচনা হয়েছে কিন্তু আমি দেখেছি তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুবই ভালো।’ সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যপাড়া দিঘীর পাড়ে বেলাল হাউজে দারুল ফিকরিল ইসলামী তাহফীযুল কুরআন মাদ্রাসার উদ্বোধন ও সবক প্রদান অনুষ্ঠান আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সবক প্রদান করেন শায়খুল ইসলাম কুতুবুল আলম আল্লামা সাইয়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. এর সুয্যেগ্য দৌহিত্র আওলাদে রাসুল (সা.) ভারত দেওবন্দ এর আল্লামা সাইয়্যিদ মওদুদ মাদানী দা. বা.।
সবক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামে মসজিদের খতিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতী সিবগাতুল্লাহ নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আল বাতুল মাদ্রাসার মুফতী তোফায়েল আহমদ নোমান, হাফেজ মাও: মুফতী যাকারীয়া, হাফেজ মাও: এমদাদুল্লাহ, হাফেজ মাও: আবুল খায়ের, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুজাম্মেল হক (আজাদ মোল্লা), সহকারী পরিচালক মুফতি খোর্শেদ আলম, মুফতি রাব্বিকুল হাসান।
সবক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উক্ত মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক মুফতী তাফাজ্জুল হক।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার আজ ১৭ আগস্ট পৌর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সহযোগিতায় বিএনপি-জামাত জোটের সৃষ্ঠ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে ছাত্র ও যুব সমাজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়েছেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের মাসব্যাপী কর্মসূচির আওতায় আজ বৃহস্পতিবার সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে পৌর আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় হাজী মুসলিম মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন, হাজী হেলাল উদ্দিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, মাহবুবুল আলম খোকন, অ্যাড. শাহনুর ইসলাম, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, সাইদুজ্জামান আরিফ, আশরাফ উদ্দিন আশা, রবিউল হোসেন রুবেল ও শাহাদাত হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।