চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর গ্রামবাসীর উদ্যোগে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে কুড়িঘর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লাঠি খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। লাঠি খেলাটি দেখার জন্য নাটঘর ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হন। ঢাক, ঢোল আর সানাইয়ের শব্দে চারপাশ আলোড়িত হয়। বাদ্যযন্ত্রের তালে নেচে নেচে লাঠি খেলে নানান অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি ও গ্রামীণ জনজীবনের নানা দিক প্রদর্শন করে লাঠিয়ালরা। তারপরই শুরু হয় লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও তাকে আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ার অসাধারণ দৃশ্য দেখেন উপস্থিত দর্শকরা। দর্শকদের করতালি আর হৈ-হুল্লোড়ে আরো জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠে লাঠি খেলার আসর।
এই লাঠিখেলায় কুড়িঘর গ্রামের একটি লাঠিয়াল বাহিনী দল অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত লাঠি খেলায় কুড়িঘর মাঠ কমিটির সভাপতি মো: নান্নু মিয়ার সভাপতিত্বে ও মো: জাকির সরদার এর সঞ্চালণায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমেরিকা প্রবাসী মাহি এম কাউছার।
উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা ডা: মহি উদ্দিন মহিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো: মেহেদী হাসান, নবীনগর থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম অলিউল্লাহ, কামাল মেম্বার প্রমুখ। কুড়িঘর লাঠি খেলার সরদার আব্দুল আহাদ বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা আজ বিলুপ্তির পথে। আমাদের অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের লাঠি খেলা রয়েছে। আগে গ্রামের সাধারণ মানুষ বাংলা বর্ষবরণ, বিবাহ, চড়ক পূজা, সুন্নতে খাৎনা ইত্যাদি উপলক্ষে লাঠি খেলার আয়োজন করতেন। এখন আর সেই ভাবে আয়োজন করা হয় না।
আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা বিলুপ্তি হওয়ার কারণে এর খেলোয়ার সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে না নতুন কোন খেলোয়ার। আর পুরনো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা পূর্বের মত লাঠি খেলা দেখাতে পারছে না। তারপরও তারা এই বয়সে ধারুণ খেলা দেখিয়েছেন। এই খেলার মাধ্যমে যুবসমাজ বিনোদন পেয়ে মাদক ছেড়ে এই বিনোদনে আগ্রহী হবে। তাই ঐতিহ্যবাহী এই লাঠি খেলা ধরে রাখতে বিনোদনের খোরাক জোগানোর জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সফিকুল ইসলাম বাদল, নবীনগর :
নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে বিটঘর রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে হাজারো নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এই কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কৃষক সমাবেশে ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি হাজী আবু সামা সরকার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক কেএম মামুনুর অর রশীদ।
নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী নাজমুল করিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য সাইফুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক জহিরুল হক জরু, যুগ্ম আহবায়ক মমিনুল হক পলাশ, কাজী হেলাল, মোজম্মেল হক, পৌর কৃষকদলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন খাঁন, বিটঘর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বাবুল মিয়া, শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হোসেন আহমেদসহ উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত পাঠ করেন মাঃ মাকসুদুল হক। বাংলাদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৩ মাসব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে এই কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, বিগত ১৭ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকারের কারণে আপনাদের সেবা করতে পারি নাই? আমি আগামী দিনে আপনাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে চাই, আমি আপনাদের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই? আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন? নবীনগর পূর্বাঞ্চল বাসীর দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি প্রশাসনিক থানা বাস্তবায়ন। আগামী নির্বাচনে আপনাদের প্রতক্ষ ভোটের মাধ্যমে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পূর্বাঞ্চলে প্রশাসনিক থানা বাস্তবায়ন চেষ্টা করবো। নবীনগর উপজেলা কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা বাজার এলাকায় আজ ১৫ জুলাই সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের উদ্যোগে অভিযানকালে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি ও খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল নবীনগর থেকে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশের জায়গাগুলো দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করেছিল। উচ্ছেদের সময় ২০০ শতাধিক টিনের দোকান ও শতাধিক একতলা, দুইতলা বিশিষ্ট মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু মুছা। এ সময় সড়ক ও জনপদ বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান সম্পর্কে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল নবীনগর থেকে কোম্পানীগঞ্জ চলাচলের রাস্তার উভয়পাশের জায়গাগুলো দখলে রেখেছিলো। তাদেরকে বারবার বলার পরও তারা তাদের স্থাপনা গুলো সেচ্ছায় অপসারণ করেন নি। যার কারণে পূর্বে থেকে অবগত করে সোমবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযান কালে দুই শতাধিক টিনের দোকান ও শতাধিক পাকা আধাপাকা স্থাপনা, দুতলা মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ভাড়ায় চালিত নৌকাসহ নিখোঁজের দুই দিন পর হিল্লাল মিয়ার (৩৭) নামে এক মাঝির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার মেঘনার তীরবর্তী চরলাপাং গ্রামে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করেন তার স্বজনরা। নিহত হিল্লাল মিয়া উপজেলার নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের ডোপাকান্দা গ্রামের মৃত নয়াব আলীর ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, তিতাস, বুড়ি ও মেঘনা নদীতে ছিল নৌকাচালক হিল্লাল মিয়ার বিচরণ।
গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় যাত্রী নিয়ে দুর্গারামপুর যাওয়ার পথে নৌকা থেকে নিখোঁজ হন হিল্লাল মিয়া। পরবর্তী সময়ে দুর্গারামপুর নৌকা ঘাটে হিল্লাল মাঝির নৌকাটি পাওয়া গেলেও মাঝিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে তার পরিবারের সদস্যরা নবীনগর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। তখন নবীনগর থানা পুলিশসহ এলাকাবাসী অনেক খোঁজাখুঁজি করে নিখোঁজের কোনো সন্ধান পাননি।
তবে আজ ৮ অক্টোবর নিখোঁজের দুই দিন পর মেঘনা নদীতে হিল্লাল মাঝির ভাসমান লাশ উদ্ধার করে নিহতের স্বজনরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) হোমায়ন কবির বলেন, হিল্লাল মাঝির নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তার পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন। আমরা খোঁজ নিচ্ছিলাম, তবে মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্বজনরা উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে মেয়াদোত্তীর্ন লাইসেন্স ও ডিপ্লোমা বিহীন ল্যাব টেকনিশিয়ান দিয়ে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একটি প্রাইভেট হাসপাতালকে অর্থদন্ড করা হয়েছে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার এ অভিযান পরিচালনা করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম। এসময় এই অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান।
জানা যায়, উপজেলার পৌরশহরে অবস্থিত মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদ বিগত দুই বছর পূর্বে শেষ হয়ে যাওয়া সহ ল্যাব টেকনিশিয়ান ডিপ্লোমা বিহীন এস এস সি পাস স্টাফ দিয়ে ল্যাব পরিচালনা করার দায়ে মেডিকেল প্র্যাক্টিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, মেয়াদোত্তীর্ন লাইসেন্স ও এস এস সি পাস ল্যাব টেকনিশিয়ান দিয়ে ল্যাব পরিচালনা করার দায়ে অর্থদন্ড করা হয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা সুনিশ্চিত করতে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মোসলেম সরকার (৮০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মোসলেম সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ধনাশী গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নাফ সরকার এর ছেলে।
জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে ধনাশী এলাকায় নবীনগর টু রাধিকা সড়ক পারাপার হওয়ার সময় পিছন দিক থেকে আসা একটি সিএনজি মোসলেম সরকারকে ধাক্কা দিলে সে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
নবীনগর থানার (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।