চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাস্থ দক্ষিণ মৌড়াইলে অবস্থিত মাদরাসাতু নূহ তাহফিজুল কুরআন এর সবক ও পাগড়ি প্রদান উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ অক্টোবর শনিবার সকাল ৯টায় মুফতি রুহুল আমীন কাসেমীর সভাপতিত্বে বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সফিক আজীজির সঞ্চালনায় শুরু হলে এতে শুভাগমন করেন আওলাদে রাসূল (সা.) সাইয়্যেদ মাওদূদ মাদানী।
সভাপতির বক্তব্যে মুফতি রুহুল আমিন কাসেমী বলেন, ছাত্র ভায়েরা উস্তাদদের কাছ শুধু অক্ষর জ্ঞান অর্জন করলেই চলবে না। এর পাশাপাশি উস্তাদদের ও আকাবির আসলাফদের চিন্তা চেতনার শিক্ষাও অর্জন করতে হবে। কারণ শুধু অক্ষর জ্ঞান অর্জনের দ্বারা বর্তমানের অবস্থা হলো এমন, শুধু অক্ষর জ্ঞান শিক্ষকরা শিখিয়ে দেয়, ছাত্ররাও গ্রহণ করে নেয়। যার ফলে ছাত্র ছাত্রের জায়গায় থেকে যায়। পরবর্তীতে ছাত্র ও ওস্তাদের মাঝে দ্বীনের সম্পর্কও থাকে না। বিপরীতে উভয়ের সম্পর্ক চিরকাল থাকে। এবং দ্বীনের কাজের জন্য সহজ হয়। এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ হিসেবে শায়খুল হিন্দ মাহমুদ হাসান দেওবন্দী ও হুসাইন আহমাদ মাদানীর ইতিহাস উল্লেখ করেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি এহসানুল হক শাহীন সাফল্য ও লক্ষ্য উদ্দেশ্যের জবাবে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার শুরুলগ্ন থেকেই আমরা বিভিন্ন কুরআন প্রতিযোগিতায় সফলতার সাথে অংশগ্রহণ করে আসছি। এবং প্রতিবছরই হাফেজে কুরআনদের মাথায় পাগড়ি দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রত্যেকটা ছাত্রকে ইয়াদওয়ালা হাফেজ বানিয়ে দ্বীনের যোগ্য দায়ী হিসেবে গড়ে তোলা।
অবশেষে সাইয়্যেদ মাওদূদ মাদানী দ্বীনি বিষয়ে কিছু আলোচনা করে হাফেজদের মাথায় পাগড়ি পড়িয়ে দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করে দেন।
এসময় মুফতি বাহরুল ইসলাম, মাও. জামাল উদ্দিন, এইচ এম জাবেদ হোসাইন, হা. আবু ইউসুফ উবায়দী, হা. ইসহাক, মাও. কাউসার আহমাদ, মাও. শহীদুল হক আনসারী ও মুফতি আমীর হামজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাতশালা স্টেশনের কাছে আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আনুমানিক ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবপ জানা যায়নি।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একরু সূত্র জানায়, ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সকাল ১১টার দিকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, ভাতশালা এলাকায় একজন ট্রেনে কাটা পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে ওই ব্যক্তি কোন ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
একদিকে লোডশেডিং, পাশাপশি বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগ করলেও সংশ্লিষ্ট মহলের সাড়া মিলে না যথাসময়ে। বিপদজনক হলেও অবহেলার কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর মাঝে।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এমনই এক ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ (ঘাটুরা)র আওতাধীন হালদার পাড়া এলাকায় গভঃ মডেল গার্লস স্কুলের সামনে। এখানে বেলা বারোটার দিকে বিদ্যুৎ এর মূল সার্ভিস তারের একটি তার পথের মাঝে ঝুলে পড়ে। সেখানে ট্রান্সফর্মারে সংযোগ সহ তারটির প্লাস্টিকের কালো আবরণ অনেক জায়গায় নেই।
ঝুলে পড়ে তারের পাশ দিয়ে পথ চলেছে স্কুলের কোমলমতি শিশু কিশোর শিক্ষার্থী সহ পথচারীরা।
বিপদজনক অবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে স্থানীয় লোকজন বড় ড্রাম, বালতি ফুটের টব রেখে বিপদ এড়ানোর প্রাথমিক চেষ্টা করে এবং বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে অভিযোগ জানান।
অভিযোগকারী নাইটিংগেল হাসপাতালে কর্মরত রতন রায় গণমাধ্যমকে জানান, তার ঝুলে পড়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অভিযোগ কের্ন্দের ইঞ্জিনিয়ার নূর আলমকে জানানো হয়েছে। কিন্তু দুপুরের পরও কেউ আসেনি। এছাড়া তারটি কিছুদিন পরপরই ছিঁড়ে পড়ে থাকে, কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে যায় কতৃপক্ষ, এতে করে প্রাণহানীর আশঙ্কা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদের কাছে বিকেল সাড়ে তিনটায় বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, অভিযোগ কেন্দ্রে খবর নিচ্ছি। বেলা সাড়ে চারটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খবর নিয়ে জানা গেছে পথে পথচারীদের নাগালের মধ্যে ঝুলে থাকা বিদ্যুৎ তারটি সরানোর জন্য কেউ আসেনি। এ অবস্থায় স্থানীয় এবং পথচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমানকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে এই ফুলের শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আশরাফ স্বাস্থ্য, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সমাজসেবা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার চক্রবর্তী, শিক্ষা বিভাগের মণির হোসেন, নজরুল ইসলাম সড়ক জনপথ, আবু নাছের যুব উন্নয়ন, শামীম মাদকদ্রব্য নি:অধিদপ্তর লোমান শিক্ষা, দিদার হেলথ, শেখ মণির সমাজসেবা অধিদপ্তর, আসিফা সমাজসেবা অধিদপ্তর, মণির হোসেন স্বাস্থ্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রুবেল মিয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী আব্দুল মতিন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী হিরণ খান, আব্দুল্লা জনস্বাস্থ্য, ইয়াসির আরাফাত বরকত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জাকির হোসেন চৌধুরী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মো: ইসমাইল মিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, উত্তম কুমার দাস সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রমুখ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে অলি মিয়া (৭০) এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত অলি মিয়া শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকার মৃত মতি মিয়ার ছেলে। এর আগে শনিবার রাতে শহরের জগৎবাজার এলাকায় তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, নিহত অলি মিয়া শহরের জগৎ বাজার এলাকায় একটি শৌচাগার পরিচালনা করতেন। শনিবার রাতে তিনি ওই শৌচাগারে দায়িত্বরত অবস্থায় ৪/৫ লোক মুখ বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় বেশকিছু নগদ অর্থ লুটে নিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে আজ রবিবার ভোরে জাতীয় হৃদ রোগ ইন্সটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মোজাফফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিষাক্ত কেমিক্যাল খাদ্যপণ্য তৈরি করার অভিযোগে মো. হোসাইন নামে এক ব্যক্তিকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া তাকে আরো এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ১০ জুন সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম পৌর এলাকার খৈয়াসারে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় দুইটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।
অভিযানে থাকা বিএসটিআই কুমিল্লা কার্যালয়ের পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মো. লুৎফুর রহমান সাংবাদিকদেরকে জানান, মো. হোসাইন নামে এক ব্যক্তি মেসার্স সাইফুল ফুড অ্যান্ড প্রোডাক্ট নামে দুটি কারখানা পরিচালনা করছিলেন। কারখানা দুটিতে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের জুস, চানাচুর, চিপস তৈরি করা হচ্ছিলো। এসব পণ্যে বিএসটিআইয়ের নকল মোড়ক ব্যবহার করছিলেন। এজন্য তাকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে।
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।