প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা নাজমীনের বিদায় সংবর্ধনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 28 October 2024, 5 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা নাজমীনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার অন্নদা সরকারি উচচ বিদ্যালয়ের হলরুমে এ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুর রহমান ভূঞা।

ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুস সাকির ছোটনের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্যে রাখেন মডেল গালস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ, সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান ভূইয়া, সিনিয়র শিক্ষক ইয়াসমিন সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন, সহকারী শিক্ষক নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ। ছাত্রদের মাঝে বক্তব্য রাখেন রেদুয়ান চৌধুরী, মোঃ মেহেদী হাসান প্রমুখ।

এসময় বিদায়ী প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা নাজমীনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) দূর্গা রানী সিকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ফরিদা নাজমীনকে হবিগঞ্জ সদরের বসন্ত কুমারী গোপাল চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বদলি করেন।

Leave a Reply

নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে :…

অনলাইন ডেস্ক : আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন Read more

ট্রেনের টিকিট পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসছে

অনলাইন ডেস্ক : রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বাণিজ্য, পুলিশের সতর্ক বিজ্ঞপ্তি

চলারপথে রিপোর্ট : একটি প্রতারক চক্র মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা Read more

রিমান্ড শেষে শিউলি আজাদ কারাগারে

চলারপথে রিপোর্ট : হত্যা মামলায় আট দিনের রিমান্ড শেষে সংরক্ষিত Read more

অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার সময় আখাউড়ায় আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে Read more

সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময়…

চলারপথে রিপোর্ট : অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় দালালসহ Read more

আশুগঞ্জে ১০৭০ পিস চকোলেট, নগদ টাকা,…

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জ থানা পুলিশের এক বিশেষ অভিযানে ভারতীয় Read more

আইসিটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন নবীনগরের…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরের সাবেক পৌর কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিনের করা Read more

অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্নদা সরকারি উচ্চ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীসহ ৩৫০…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও Read more

২৩ নভেম্বর জেলা বাস মিনিবাস মালিক…

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা থেকে লুট হওয়া…

চলারপথে রিপোর্ট : সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীদের আদালত বর্জন অব্যাহত

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 8 January 2023, 1911 Views,

॥ বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকের অপসারণ ও জেলা জজ কোর্টের প্রধান নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে আইনজীবীদের আদালত বর্জন অব্যাহত রয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিচার প্রার্থীরা। এই ঘটনা এখন এখন টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিনত হয়েছে।
নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন কর্মসূচীর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার আইনজীবীরা দুই বিচারকের অপসারন ও আদালতের নাজিরের বিচার দাবিতে নতুন করে তিন কার্যদিবসের কর্মসূচী ঘোষনা করে। আইনজীবীরা বলছেন স্বেচ্ছায় দুই বিচারক চলে গেলেই তারা আদালতে ফিরে যাবেন।
আইনজীবীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে একজন আইনজীবী বিলম্বে একটি মামলা দাখিল করেন। কিন্তু বিলম্ব হওয়ার কারণে ওই আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করেননি। তখন উপস্থিত আইনজীবীরা বিচারককে বলেন, মামলার বাদী আইনজীবীদের মতো আইন জানেন না। তাই দেরিতে আদালতে এসেছেন। এখন (১ ডিসেম্বর) মামলাটি না নিলে এক মাস পর মামলার আবেদন করতে হবে। এতে বাদীপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পরে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকও মামলাটি নেয়ার জন্য বিচারককে অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি শুনেননি। সর্বশেষ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওই বিচারকের এজলাসে গিয়ে মামলাটি নেয়ার অনুরোধ করেন। তখন বিচারক তাঁদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর জেলা আইনজীবী সমিতি সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ি রোববার (১ জানুয়ারি) থেকে আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত বর্জন শুরু করেন। পহেলা জানুয়ারি আদালত খোলার পর আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেয় বিচারক মোহাম্মদ ফারুক। পরদিন ২ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়ার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন আইনজীবী বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে গিয়ে আইনজীবীদের বর্জন সত্ত্বে তিনি কেন এজলাসে বসেছেন তা নিয়ে বিচারকের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়। ওই সময়ে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিচার বিভাগের কর্মচারিরা ক্ষুব্দ হয়ে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিচারকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরনের অভিযোগ তুলে তারা গত চার জানুয়ারি বুধবার আদালতের প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে আদালত চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এতে বন্ধ হয়ে যায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর গত ৫ জানুয়ারি আইনজীবীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগারের অপসারণ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে অপসারণ এবং জেলা জজ কোর্টের প্রধান নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে তিন কর্ম দিবস আদালত বর্জনের কর্মসূচী ঘোষনা করেন।
এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে গালিগালাজ ও তার সাথে অশালীন আচরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মোঃ আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৭ জানুয়ারি তাদেরকে আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বোববার আইনজীবীদের আদালত বর্জনের দ্বিতীয় দিন। এমন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দূর-দুরান্ত থেকে আসা বিচার প্রার্থীরা।
বিজয়নগর থেকে আসা বিচার প্রার্থী সেলিম চৌধুরী বলেন, আদালতে আমার একাধিক মামলা আছে। উকিল আর জজ সাবদের মধ্যে ঝামেলার কারণে কোর্ট হচ্ছেনা। গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে বিষয়টি দ্রুত সমাধান জরুরি।
কসবা থেকে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ভোগান্তিতে আছি। জজ সাব আর আইজীবীদের বিরোধের খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদের বিচার প্রার্থীদের। এভাবে আদালতে চলতে পারেনা।
আশুগঞ্জ থেকে আসা বিচার প্রার্থী নাজমুল হোসেন বলেন, আদালতে কোন উকিল যাচ্ছে না। তাই মামলা নিয়ে ঝামেলায় আছি।

এদিকে বর্জনের মধ্যেও বোববার সকালে অ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম নামে এক আইনজীবী সিনিয়র সহাকারী জজ আদালত মোঃ শাহেদুল আলমের আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা পরিচালনায় অংশ নেন। বিষয়টি জানার পর আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে সিনিয়র সহাকারী জজ আদালতের ব্যাঞ্চ সহকারী আপেল মাহমুদ ও ভারপ্রাপ্ত নাজির মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মামলা পরিচালনায় অংশ গ্রহন করেছেন। ( মামলা নং- দেওয়ানী-০৩/২০২৩ এর একটি মামলায় বাদী পক্ষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন।) এর প্রেক্ষিতে বিবাদী পক্ষকে আগামী ৫দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, জনগনকে জিম্মী করে এমন অচলাবস্থা সৃষ্টি করার মাধ্যমে বিচার প্রার্থীদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। এটা কাম্য নয়।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আমরা জেলা জজ শারমীন নিগার, নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ এর অপসারন ও নাজির মমিনুল ইসলামের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আদালতে ফিরে যাব না। আমাদের আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন সোমবার আইনজীবী সমিতির বিশেষ সাধারন সভা আহবান করা হয়েছে। ওই সভা থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
এদিকে বর্জনের মধ্যেও মামলা পরিচালনায় অংশ নেয়ায় অ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলামকে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মামলা পরিচালনার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

মোকতাদির চৌধুরী এমপির হাতে লেখা ‘চিঠিতে’ যে বার্তা দিলেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 1 January 2024, 454 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জনগণের উদ্দেশে নিজ হাতে চিঠি লিখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য এবং ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। দুই পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি তাঁর আমলে হওয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরা হয়। ইতিমধ্যে লিফলেট আকারে ওই চিঠি বিতরণ করা শুরু হয়েছে।

চিঠির শুরুতেই তিনি সদর ও বিজয়নগর উপজেলাবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা জানান।

২০১১ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি কতটা সফল হয়েছেন সেটা জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘তবে যেহেতু মানুষ, ভুলত্রুটি হতেই পারে, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, এ আশা রইল।’ করোনাকালীন তিনি ও স্ত্রী অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন জনগণের জন্য কাজ করে যাওয়ার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

তিনি লিখেছেন, ‘আমার বিরামহীন প্রচেষ্টায় সদর ও বিজয়নগরের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের যে পরিবর্তন ঘটেছে তা আজ দৃশ্যমান।’ চিঠিতে তিনি দুই উপজেলাতে হওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করেন।

চিঠির শেষের দিকে তিনি লিখেছেন, ‘আল্লাহর রহমত আর আপনাদের ভালোবাসা আমার জীবনের পাথেয়। আপনাদের দোয়া চাই, খেদমত করার সুযোগ চাই। ভালো থাকুন সকলে। মঙ্গল হউক আপনাদের।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। খোদা হাফেজ।’

যুবলীগ নেতার পায়ের রগ কেটে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার

আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 1 October 2023, 1090 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে যুবলীগ নেতার পায়ের রগ কেটে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি সাচ্চু মিয়াকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯ সদস্যরা।

গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আসামিকে জেলার আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেফতার সাচ্চু মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামার ছেলে।

আজ ১ অক্টোবর রবিবার দুপুরে র‍্যাব-৯ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ আগস্ট রাত সোয়া ৯টার দিকে তালশহর নতুন বাজার জিল্লুর রহমান ব্রিজে যুবলীগ নেতা জনি মিয়ার (৩৫) ওপর হামলা চালায় সাচ্চু মিয়া ও তার সহযোগীরা। এসময় তারা জনি মিয়ার দুই পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে কুপিয়ে আহত করে। এসময় জনির চাচাত ভাই আউয়াল মিয়ার ওপর হামলা চালায় তারা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় নিতে বলেন। পথে জনি মিয়ার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোকসেন মিয়া বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

মামলার পর র‌্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।

পরবর্তীতে শনিবার বিকেলে প্রধান আসামি সাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে এ মামলায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন তালশহর গ্রামের আজহার শেখের ছেলে আজিম শেখ (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩২)।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাহিদ আহমেদ বলেন, পায়ের রগ কেটে হত্যার মামলার প্রধান আসামিকে র‍্যাব গ্রেফতার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা তাকে আদালতে পাঠিয়েছি।

সদরের বিহাইরে মাসব্যাপী বিপিএল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 23 December 2022, 1179 Views,

চ্যাম্পিয়ন বাংলা টাইগার একাদশ

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিহাইর গ্রামের মাসব্যাপী প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পন্ন হয়েছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মাঠে গতকাল অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলা টাইগার একাদশ। ফাইনাল উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেসার্স মোক্তার ব্রিকস লিমিটেড, মেসার্স মুক্তার বিল্ডার্স লিমিটেড ও মেসার্স মুক্তার ওয়েল মিল এন্ড স্টক হাউস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ মোক্তার হোসেন।
অনুষ্ঠানে সাবেক ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য ইসমাইল হোসেন হান্নান, ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী খায়রুল আলম, নাটাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগীতিক সম্পাদক মোঃ শাহানুর মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু হানিফ, জেলা তাতী দলের সাধারন সম্পাদক হাজী আরিফুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজ সেবক মোঃ মোক্তার হোসেন বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে যুবক-তরুণদের মেধা বিকশিত হয়। এর মাধ্যমেই সমাজের তরুণ-যুবারা মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত থাকতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন- খেলাধুলার মাধ্যমে আমাদের এই যুবকরাই একদিন এ জেলাকে আরও সুখ্যাতি এনে দেবে, দেশকে নিয়ে যাবে উন্নত ও মর্যাদার আসনে। তিনি টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রাসঙ্গিকতা উল্লেখ করে বলেন- এই টুর্নামেন্ট উঠতি বয়সের যুবক-তরুণ ও কিশোরদের জন্য। এই টুর্নামেন্টের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন খেলাধুলা ও সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তুলবে, আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনাম বয়ে আনবে।
মাসব্যাপী প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ৬টি টিম অংশগ্রহণ করে। জমজমাট টুর্নামেন্ট শেষে মিজান একাদশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলা টাইগার একাদশ। খেলার সার্বিক আয়োজনে ছিলেন, আজহার, সোহেল, হানিফ, সুমন, সালাউদ্দিন, মিজান, মনির, নজরুল, রাজিব, অনিক, রাকিব হাসান প্রমুখ।

অনুমোদন ছাড়াই অফিস চত্বরের গাছ কাটলেন সরকারি কর্মকর্তা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 30 January 2023, 1216 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ে থাকা ১২টি গাছ কেটে ফেলেছেন প্রকৌশলী। সম্প্রতি অফিস চত্বরে থাকা আকাশি, মেহগনি ও কড়ই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা শহরের পুনিয়াউট বাইপাস সড়কের মোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়টি অবস্থিত। প্রতিষ্ঠার পর স্টাফরা নিজ খরচে অফিস চত্বরে নারিকেল, আকাশি, মেহগনি ও কড়ই গাছ রোপণ করেন। দীর্ঘদিনে গাছগুলো অনেক বড় হয়। পরবর্তী সময়ে অফিসটি সম্প্রসারণ করে সংস্কার করা হয়। এসময় বেশকিছু গাছ কাটা পড়ে।
সম্প্রতি এ অফিসের আশপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কারের জন্য দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে মৌখিক অনুমোদন নেন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছগির উদ্দিন আহমেদ। কিন্তু তিনি ঝোপঝাড় পরিষ্কারের পাশাপাশি অফিস চত্বরে থাকা ১২টি বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ গাছ কেটে ফেলেন।
সরকারি কোনো অফিসের গাছ কাটতে গেলে বনবিভাগে লিখিত আবেদন করতে হয়। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর গাছ কাটা যায়। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় কার্যালয়ে গাছ কাটতে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছগির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্যারেরা বলেছেন ছোট ছোট গাছগুলো কেটে ফেলতে। আমি ছোট গাছগুলো কেটেছি। বড় কোনো গাছ কাটা হয়নি।’

দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. এ বি এম খান মোজাহিদী বলেন, ‘আমাকে অফিস পরিষ্কারের জন্য ছোট ছোট গাছগুলো কাটার কথা বলা হয়েছিল। বড় কাছ কেটেছে কি না জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহকারী বন সংরক্ষণ কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ জাহান বলেন, সরকারি অফিসের ছোট বা বড় যে কোনো গাছ কাটতে গেলে আমাদের কাছে আবেদন করতে হয়। আবেদনগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি কমিটি আছে। উনারা এ আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। গাছের মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানিবিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে কোনো আবেদন আমরা পাইনি।’