চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় দালালসহ ৫ বাংলাদেশী নাগরিকে আটক করেছে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) সদস্যরা।
আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে মাধবপুর দেবনগর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহজাদপুর এলাকার মৃত গনেশ সরকারের ছেলে পরিমল সরকার (৫৫), একই এলাকার লক্ষ্মী সরকারের ছেলে তাপস সরকার (৩৫) ও শ্যামল সরকারের ছেলে স্বপন সরকার (৪৫), বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর এলাকার রায় কুমার মজুমদারের ছেলে দুর্জয় মজুমদার (১৯), মাধবপুর উপজেলা দেবনগর এলাকার মৃত আবু সামার ছেলে দালাল মোহাম্মদ আলী (৬০)।
২৫ বিজিবি জানায়, অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ৫ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করা হয়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দালাল মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে তারা ভারতে চিকিৎসা ও কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।
আটককৃত মানব পাচারকারী দালালসহ ৫ বাংলাদেশী নাগরিকদের মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) অভিযান চলমান থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৬৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিগত ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের গাড়ি ভাংচুর, হামলা ও বিষ্ফোরনে ঘটনায় বিএনপি নেতা এস.এম. রাষ্টু বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে বিজয়নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী এস.এম রাষ্টু বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের মৃত মিয়া চান সরকারের ছেলে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন নাহার টুনি, কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খাঁন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউছার ভূইয়া, জেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস.এম. মাহবুব, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী ছৈয়দুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান শামীউল হক চৌধুরী শামীম, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূইয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতন, আওয়ামীলীগ নেতা তৈফিকুল ইসলাম মুকুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুর্নিমল সাহা, শিক্ষক জিয়াউর রহমান, পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়াসহ ১৬৮ জন।
এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় বাদী এস.এম রাষ্টু অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
নির্বাচনের আগে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপজেলার মীর্জাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গেলে আসামীরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে বিএনপির প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমন করে। আসামীরা খালেদ মাহবুব শ্যামলের দুটি গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে ও বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে মারধোর করে। ঘটনার পরদিন বাদি থানায় মামলা করতে গেলে আসামীদের হস্তক্ষেপে মামলা করতে পারেননি। তাই মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাফায়েত আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলা সমিতি ঢাকা সাধারণ সভা আজ ১১ নভেম্বর শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের আরসি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ও বিজয়নগর উপজেলা সমিতি ঢাকার আহবায়ক অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিএসসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও পুলিশের সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী, পিপিএম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম, সাবেক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ও জি টেক সলিউশিন লি:-এর উপদেষ্টা জাফর উল্লাহ খান, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম চৌধুরী বিপিএম, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মো. হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. তোফাজ্জল হোসেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এমরান জাহান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব জগদীশ চন্দ্র দেবনাথ, লিরিক গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি মিয়া মোহাম্মদ সেলিম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
সভায় গঠনতন্ত্র ও কার্যকরি কমিটি সর্ব সম্মতিক্রমে অনুমোদন দেয়া হয়। অনুষ্ঠানটি ঢাকাস্থ বিজয়নগরবাসীর মিলনমেলায় পরিণত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাঙ্গা ভুলে গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ব্যানার হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিশু শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া একদল শিশু শিক্ষার্থী এই কর্মসূচি পালন করে। জানা যায়, উপজেলার পল্লী এলাকা পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। একাধিকবার হামলা সংঘর্ষ ভাঙচুর ও মামলার ঘটনাও ঘটেছে। রাত দিন ২৪ ঘণ্টাই একটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকতো গ্রামবাসী। গত ১৮ই এপ্রিল একটি খাস জমির দখলকে কেন্দ্র দু’দল গ্রামবাসী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে যোগ দেয়। আহত হয় শতাধিক নারী-পুরুষ। পুলিশ গ্রেপ্তার করে ২০ জনকে। পরে কয়েকশত লোককে আসামি করে পুলিশ মামলা করে।
গ্রেপ্তার এড়াতে নারী-পুরুষ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। গ্রামে বৃদ্ধ, অসুস্থ ও শিশু ছাড়া আর কাউকে খুব একটা চোখে পড়ে না। মাঝে মধ্যে পুলিশ হানা দেয়। ২-৪ জনকে ধরে আনে। এতে করে আতঙ্কে গোটা গ্রামেই এখন বিরাজ করছে ভুতুড়ে অবস্থা। একটি মাধ্যমিক ও দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গেছে। বিষয়টি ওই গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীদের মনে দাগ কেটেছে। তারা অনেক ভেবে-চিন্তে গতকাল সাদা কাগজে লেখা ব্যানার নিয়ে গ্রামীণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে। এসময় তদের হাতে লেখা ছিল, ‘দাঙ্গা নয়, শান্তি চাই’, ‘ডু নট কোয়ারেল’, ‘দল বেঁধে স্কুলে যেতে চাই’। শিশু শিক্ষার্থীরা জানায়, ঘরে বাবা নেই, ভাই নেই। মাও লুকিয়ে থাকেন। স্কুলে শিক্ষার্থী নেই। বিকালে ইচ্ছামতো খেলতে পারছি না। এভাবে আর ভালো লাগছে না। আমরা ঝগড়া চাই না। সকলে মিলে গ্রামে শান্তি এনে দেন। সকল মানুষকে গ্রামে এনে দেন।
কলেজের প্রভাষক মো. এলাই মিয়া বলেন, ওই শিশুদের আকুতি ও মনের চাওয়া আমাদের বুঝতে হবে। তাদের চাওয়াটাকে পাওয়ায় পরিণত করতে কাজ করতে হবে। শিশুরা শান্তি চায়। গ্রামের সকল সরদার মাতব্বরকে মন খুলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। প্রয়োজনে পাশের গ্রামের লোকজনকে কাজে লাগিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবির বিশেষ অভিযানে বিজয়নগরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে- মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে, ভারতীয় ট্যাবলেট, ভারতীয় ক্রিম, ভারতীয় উন্নতমানের জর্জেট শাড়ি এবং ভারতীয় সিগারেট।
৫ অক্টোবর শনিবার বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবির অধীনস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা বাইপাস নামক এলাকায় একটি বিশেষ অভিযানে সিলেট হতে ঢাকাগামী এস এ পরিবহনের একটি কাভার্ড ভ্যান হতে এসব ভারতীয় মালামাল জব্দ করতে সক্ষম হয়।
বর্তমানে জব্দকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামালসমূহ বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে যা আখাউড়া কাস্টমস্ অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থেকে এক ব্যক্তির (৫০) মরদেহ উদ্ধার করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
আজ ২৪ মে বুধবার দুপুরে উপজেলার শশই এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, স্থানীয়রা মহাসড়কের পাশে মরদেহটি দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ তা উদ্ধার করে। নিহতের মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তসহ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাগত রয়েছে।