চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ থানা পুলিশের এক বিশেষ অভিযানে ভারতীয় ১০৭০ পিস ডেইরি মিল্ক চকোলেট, নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং ১টি জিপ গাড়িসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা ১টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানায় কর্মরত এসআই (নিরস্ত্র) গাজী রবিউল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজার পূর্বপাশে রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনাকালে ১০৭০ পিস ডেইরি মিল্ক চকোলেট, নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং ১টি জিপ গাড়িসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, মাহাফুজ আলম (৫০) নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দরগাহ বাজার গ্রামের নুর মোহাম্মদ এর ছেলে, মো. শওকত আকবর (৪৮) ঢাকা ডিএমপি ডেমরা পশ্চিম টেংরা কেনলেন পাড়ার জালাল আহাম্মদ এর ছেলে।
তাদের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মো. শাহজাহান আলম (সাজু) কে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আর লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ গোলাম ফারুক।
আজ ৮ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাদের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মনোনীতদের নাম সাংবাদিকদের জানান। সভায় সংসদীয় বোর্ডের অন্য সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান জানান, গত ৬ অক্টোবর শুক্রবার ও ৭ অক্টোবর শনিবার দুই দিন আওয়ামী লীগ ওই দুই আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ১৬ জন ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে ১৪ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরম সংগ্রহ করেন।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ১৬ জন প্রার্থী। তারা হলেন– কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশীষ কুমার চক্রবর্তী, আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ উপ-কমিটির সদস্য মো. শাহজাহান আলম (সাজু), জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান রতন ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক শাহ মফিজ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. কামরুজ্জামান আনসারী, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ছফিউল্লাহ (হুমায়ুন মিয়া), সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নাজমুল হোসেন ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সদস্য মাইনুল হাসান, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. মাসুদুর রহমান ও সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. জালাল মিয়া।
এর আগে, গত ১ অক্টোবর সংসদ সচিবালয় এই দুই আসন শূন্য ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত এমপি আব্দুস সাত্তার ভূঞা এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এমপি একেএম শাহজাহান কামাল রাজধানীর একটি হাসপাতালে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে মারা যান।
সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে উপ-নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর আসন শূন্য হওয়ার তারিখ হিসেবে এই দুই আসনে উপ-নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে।
৩ অক্টোবর মঙ্গলবার শূন্য ঘোষিত এই দুই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১১ অক্টোবর (বুধবার) মনোনয়ন দাখিলের শেষদিন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার), মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ১৮ অক্টোবর (বুধবার), প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন ১৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার), প্রতীক বরাদ্দ ২০ অক্টোবর (শুক্রবার) এবং ভোটগ্রহণ ৫ নভেম্বর।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্মার্ট সিটিজেন গড়ার লক্ষ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষার মানোন্নয়নে স্মার্ট অভিযোগ বক্স অ্যাপ চালু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। আজ ২১ আগস্ট সোমবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ স্মার্ট অভিযোগ বক্সের অ্যাপের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা ও আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা সারমিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শওকত আকবর খান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ. এইচ. এম. শাহরিয়ার রসুল, আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহাম্মেদ, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।
প্রধান অতিথি বলেন, এবার লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি- এই চারটি ভিত্তির ওপর গড়ে তোলা হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রস্তুত হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের রোডম্যাপ। আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের এ “স্মার্ট অভিযোগ বক্স” অ্যাপটি আশুগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন ৫ নভেম্বর রবিবার। নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আজ ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১টা থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী সরাঞ্জাম বিতরণ।
এসময় সরাইল উপজেলার ৮৪টি কেন্দ্র ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৪৮টি কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ১৩২টি ভোটকেন্দ্রের জন্য ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, সিলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। দুই উপজেলার উপজেলা পরিষদ থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে এসব সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেন দুই উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে তারা কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এসব সরাঞ্জাম ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান।
জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, সুষ্ঠু ও স্বতস্ফূর্তভাবে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তায় র্যাব, পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়া মৃত্যুবরণ করায় উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২ জন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।