চলারপথে রিপোর্ট :
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা, উৎসবমুখর পরিবেশ ও আনন্দ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অংকুর এর ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব উদযাপন হয়েছে গত শনিবার। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে টানা রাত দশটা পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠানের নানান পর্ব। এ উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গুণীজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এ বছর সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ৪ গুণীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। আনন্দঘন এইসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো: সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) মো. জয়নাল আবেদীন, লেখক গবেষক ও কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সঙ্গীত শিল্পী (চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ) সৈয়দ আশিকুর রহমান আশিক, কবি দেওয়ান মারুফ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অংকুর শিশু কিশোর সংগঠনের প্রতিষ্ঠা ও সভাপতি আনিছুল হক রিপন।
এ বছর যারা সম্মাননা পেলেন তারা হলেন সাহিত্যে- লেখক ও গবেষক মানবর্দ্ধন পাল, গঙ্গীতে সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলী মোসাদ্দেক মাসুদ, যন্ত্র সঙ্গীতে সেতার ও বংশীবাদক সঞ্জিত কুমার রায়, শিশু শিল্পী ক্যাটাগরিতে রওনক জাহান রাইসা, সংগঠনে বিশেষ অবদানের জন্য অ্যাড: মোহাম্মদ জাকারিয়া এবং অরূপ রায় অপু।
অনুষ্ঠানে সার্বিক নিদের্শনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু।
চলারপথে রিপোর্ট :
উৎপাদন খরচ ও স্থানীয় চাহিদা বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করার কথা থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন আড়ৎ ও খামারে ডিম ক্রয়-বিক্রির ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। ফলে পাইকারি ও খুচরা ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে ১৪ অক্টোবর সোমবার বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা শহরের আনন্দ বাজারে অভিযান চালায়। এই সময় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিম বিক্রি করায় তিতাস পোলট্রি ফার্মকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে বাজার মূল্য নির্ধারণ করার কথা থাকলেও তারা অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রি করছিল। প্রতিটি ডিম খামার পর্যায়ে ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছিল। এছাড়া বিগত সময়ের ক্রয়-বিক্রয়ের প্রমাণ সংরক্ষণ করেনি। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে অপর ১টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রার্থীদের মধ্যে স্বচ্ছতা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের বিএনএম প্রার্থী শাহ জামাল রানা। তার আসনে সুষ্ঠু ভোটের সম্ভাবনা ৫০ ভাগ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনএম প্রার্থী শাহ জামাল রানা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে সুষ্ঠু ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে ৫০ ভাগ। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন সকলেরই কাম্য। পরে তিনি স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়তে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভিপি জামশেদুর রহমান জামশেদ, জহিরুল ইসলাম ও অনিক আহমেদসহ কর্মী সমর্থকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২০২৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত ১২ জুন বুধবার সকাল ১১টায় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে অনুর্ধ্ব-১৪ বালক ও বালিকাদের মাস ব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণ এর সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে ও অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুর সাকির ছোটনের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন মেড্ডা আলী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমান পলাশসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
এসময় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা প্রশিক্ষণের সমাপনী সনদ গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রেল পথে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেন ভাতশালা স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সুলতানপুর, মাছিহাতা ও বাসুদেব ইউনিয়নের কয়েকশত গ্রামবাসী। আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাতশালা রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা সহ ১৮টি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাধারণমানুষ অংশগ্রহণ করেন।
তিতাস কমিউটার যাত্রা বিরতি আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসানুজ্জামান ভূইয়া (তায়েফ) বলেন, ভাতশালা স্টেশনে ট্রেনটি গত ৮মাস আগেও যাত্রাবিরতি করতো। কিন্তু হঠাৎ করেই এই যাত্রাবিরতি বাতিল করেন তিতাস কমিউটার কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই এই অঞ্চলে যাত্রী প্রবাসী এবং শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। তারা ঢাকা যাতায়তের ক্ষেত্রে আখাউড়া অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে চরম দূর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। ছাত্র জনতা অবিলম্বে ট্রেন টি পুনরায় ভাতশালা স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি জানাই। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে গণসাক্ষর জমাদেবো। যদি আগামী ৬ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের দাবি না মানা হয়, তাহলে আমরা দ্বিতীয় ধাপে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
মানববন্ধন চলাকালে জয়নাল আবেদীন ভূইয়া বলেন, “আখাউড়া থেকে ভোরে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় তিতাস কমিউটার ট্রেনটি। আবারো রাতে আখাউড়ার উদ্যোশে ফিরে আসে। যাত্রা পথে গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাতশালা স্টেশনে ট্রেনটি গত ৮মাস আগেও যাত্রাবিরতি করতো। কিন্তু হঠাৎ করেই এই যাত্রাবিরতি বাতিল করেন তিতাস কমিউটার কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই এই অঞ্চলে যাত্রী প্রবাসী এবং শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। তারা ঢাকা যাতায়তের ক্ষেত্রে আখাউড়া অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে চরম দূর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। ছাত্র জনতা অবিলম্বে ট্রেন টি পুনরায় ভাতশালা স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন বক্তারা।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কবির আহম্মেদ ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মহিউদ্দিন মুক্তা বলেন এটা আমাদের নাগরিক যুক্তি দাবি এই দাবি অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।
মো: আক্কাছ মীর সমন্বয় বলেন, এখানে আগে তিতাস ট্রেন দাঁড়াতো। কিন্তু এখন অজানা কারণে ট্রেন আর দাঁড়ায় না। এতে করে আমরা তিন ইউনিয়নের মানুষ চরম ভোগান্তীতে আছি। আমরা চাই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিতাস ট্রেন আমাদের স্টেশনে না দাড়ালে আমরা কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২- প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) ঘর পাচ্ছে ৫০টি পরিবার।
আজ ৯ জুন রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ এই তথ্য জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষে “ বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” এই শ্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২-প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেনীর ভূমিহীন (যাদের জমি নেই ঘরও নেই) তাদের পুর্নবাসনের জন্য ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) ৫০টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এই ঘর গুলো নির্মাণ কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ২শতাংশ খাস জমিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৫ শত টাকা। সব গুলো ঘর একই নকশায় নির্মিত হচ্ছে। ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়া এলাকায় ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব ঘরের উপকারভোগীদের তালিকা নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন সদর উপজেলা প্রশাসন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) সদর উপজেলায় ৫০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের কাজ শত ভাগ শেষ হয়েছে। কোরবানির ঈদের আগেই ১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ৫০টি পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেয়া হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেনসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।