চলারপথে রিপোর্ট :
সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা থেকে লুট হওয়া একটি বিদেশি রিভলবার পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ২৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগর সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকা থেকে এই অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সদর মডেল থানার এসআই রেজাউল করিম ও এসআই নেয়ামত উল্লাহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে শিমরাইলকান্দি এলাকা থেকে বিদেশি রিভলবারটি উদ্ধার করে। রিভলবারটি গত ৫ আগস্ট সদর থানা থেকে লুট হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্যারাতে একাডেমির পক্ষ থেকে ২১জন শিক্ষার্থীর মাঝে বেল্ট বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামের ক্যারাতে একাডেমির হলরুমে এসব বেল্ট বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, অভিভাবক সদস্য মোঃ জাবেদ সহ ক্যারাতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগন।
বেল্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে ক্যারাতে একাডেমির প্রধান প্রশিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের গ্রেড উন্নতি হওয়ার কারনে তাদের মধ্যে বেল্ট বিতরণ করা হয়েছে। মোট ২১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২জনকে কালো বেল্ট, ৭জনকে নীল বেল্ট এবং ১৪ জনকে হলুদ বেল্ট দেয়া হয়। যারা বেল্ট পেয়েছে তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী বেল্ট পেয়েছেন।
কালো বেল্ট পাওয়া তানিয়া আক্তার শেফা বলেন, কালো ব্যাল্ট পেয়ে আমি খুব খুশি। কারণ আমি আগে ব্লাউন্ড বেল্ট ছিলাম। পরীক্ষায় পাশ করে কালো বেল্ট অর্জন করেছি।
নীল বেল্ট পাওয়া পুষ্পা আক্তার বলেন, আজকে আমি নীল বেল্ট পেয়েছি। আমাকে নীল বেল্ট প্রদান করায় জেলা ক্যারাতে একাডেমিকে ধন্যবাদ জানাই। আমার ইচ্ছা আমিও একদিন কালো বেল্ট অর্জন করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভবনের দুতলার সানসেটে এক সপ্তাহ ধরে আটকে ছিল একটি বিড়াল। অবশেষে দমকল বাহিনীর সদস্যরা সেটিকে উদ্ধার করে।
আজ ৮ মে সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই বাড়ির বাসিন্দারা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিড়াল ডাকার শব্দ পাচ্ছিলেন। রাত হলেই তারা শব্দ পেতেন। রবিবার রাতে বিড়াল ডাকার শব্দ শোনার পর সকালে বিড়ালটিকে খোঁজা শুরু করেন। অবশেষে ছাদে গিয়ে নিচের দিকে তাকাতে দেখেন দুতলার জানালার সানসেটের ওপর বিড়ালটি বসে আছে। কোনোদিকে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছিল না। পরে দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে উদ্ধার করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দমকল বাহিনীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আব্দুস সামাদ বলেন, সকালে বিড়াল আটকে আছে বলে আমাদের খবর দেওয়া হয়। বিড়ালটি জানালার সানসেটে আটকে পড়ায় কোনোদিকে যাওয়ার মতো রাস্তা ছিল না। তাই গত এক সপ্তাহ ধরে বিড়ালটি সেখানে আটকে ছিল। অবশেষে আমরা উদ্ধার করি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্যালক ও দুলাভাইয়ের পক্ষের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫জন আহত হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। হাসপাতালে এসেও তারা পুনরায় সংঘর্ষে জড়ান। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল নাগাদ এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে আনোয়ার মিয়া (৫০), রাহিম মিয়া (১৮), দ্বীন ইসলাম (২৪), শাকিল মিয়া (২২), ময়না বেগম (৪০), ইসমাইল মিয়া (১৫), মনির মিয়া (৪৪), ইয়াসিন মিয়া (২১) ও মনসুর মিয়া (৩৫) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা নেন। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গজারিয়া গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে দ্বীন ইসলামের স্ত্রী পারিবারিক কলহের জেরে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে আখাউড়া আমলী আদালতে একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। মামলায় শহীদ ভূইয়ার ছেলে মনির ও মনসুরকে আসামী করা হয়। মনির হলেন আনোয়ারের বোন জামাই। মামলার বিষয়টি মনিরের কাছে কেন গোপন রাখা হলো এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে ওইখানে দু’পক্ষের লোকজন আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে সদর মডেল থানার পুলিশ এসে হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, চিকিৎসা নিতে আসা দু’পক্ষের লোকজন জরুরি বিভাগের ভেতরে উভয়পক্ষের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে হাসপাতালের রোগী ও স্টাফরা আতংকিত হয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শ্যালক ও দুলাভাইয়ের পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা হাবিবকে চোখের জলে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। এর আগে তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ জুলাই শুক্রবার বাদ জুমা শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযার পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা হাবিবের মরদেহ দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
এর আগে মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রয়াত সেলিম রেজা হাবিবের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
প্রয়াত এই নেতার জানাযায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, হাজী হেলাল উদ্দিন, কামরুজ্জামান আনসারী, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মহসিন, তানজিন আহমেদ, আইন সম্পাদক অ্যাড. মফিজুর রহমান বাবুল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কাজী আবুল কালাম, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বাবুল, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক স্বপন রায়, সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, অ্যাড. লোকমান হোসেন, হাসান সারোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আউয়াল, জামাল খান। এছাড়া নামাজে জানাযায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন উপস্থিত ছিলেন।
জানাযা শেষে তাকে এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘গায়েবি’ মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা পুলিশের হয়রানি ও ১০ দফা দাবি বস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসমাবেশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি।
আজ ২৭ মে শনিবার দুপুরে শহরের মৌড়াইল এলাকায় এ জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য ও সাবেক সাংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী।
এতে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফেজুর রহমান মোল্লা কচি প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের এই আন্দোলন অহিংস, গণতন্ত্র, জনগণের অংশগ্রহণমূলক। আমরা বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগের এদেশে অনেক ভূমিকা রয়েছে। তারা জনবিরোধী দল হিসেবে নিজেদেরকে চিহ্নিত করবে না। আমরা আশা করি জনগণের বিপুল পরিমাণ ভোটে জিতব। আর আওয়ামী লীগের অবস্থা গাজীপুরের নির্বাচনেই দেখতে পেয়েছি। আমরা দেশের জন্য বিদেশমুখী। আমাদের থেকে আওয়ামী লীগ আরো বিদেশমুখী।
এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। সমাবেশে নির্ধারিত স্থানে প্রশাসনের অনুমতি না দেওয়ায় তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানান।