চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আইন-শৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
আজ ৩০ অক্টোবর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী জনসচেতনতা, বাল্যবিবাহ বন্ধকরণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়। একে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রবিউস সারোয়ার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম মিয়া, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল কাদের, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাখেশ পাল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ হান্নান, সাধারণ সম্পাদক বসির উদ্দিন তুহিন, ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, জামায়াতে ইসলামির প্রতিনিধি অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, খেলাফত মজলিশের সভাপতি মাওলানা মোঃ আবদুস সাত্তার, উপজেলা কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব মুফতি মোঃ মুখলেছুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অনাথবন্ধু দাস প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলম, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাসহ আইনশৃংখলা উন্নয়ন ও নাসিরনগরের প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজে নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকারি নিদের্শ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সকলকে সেবা দেয়ার মন মানুষিকতা নিয়ে কাজ করার আহবান জানান। প্রশাসনের সকল বিভাগে দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্সের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
মতবিনিময় শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিস, নাসিরনগর থানা, সরকারি বালিকা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার হাওর অঞ্চলের মানুষের জন্য দ্রুত চিকিৎসা সেবার জন্য প্রায় ২১ লাখ টাকা ক্রয়ে ওয়াটার এ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি ডাকবাংলো চত্বরে কয়েকটি গাছের চারা রোপন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস পেয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান।
তিনি আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই নির্বাচনে এসেছি। আমার বিষয়ে বিএনপি কী বলল- সেটা আমার মন্তব্য করার বিষয় না। আমি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এর চেয়ে বেশি আশ্বাস আর প্রয়োজন নেই। এছাড়াও আমার উপর নির্বাচনী এলাকার জনগণের চাপ ছিল নির্বাচন করার।
সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন, সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও সরকারের উপর চাপ আছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। তাই আমি জনগণের মতামত নিয়েই নির্বাচনে এসেছি।
বিজয়ী হলে বিএনপি যদি দলে ফেরাতে চায় তাহলে ফিরবেন কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে একরামুজ্জামান বলেন, যদি আমি নির্বাচিত হই এবং তখন যদি কেউ আমাকে টানে তখন আমি দেখব কোথায় যাব, কী করব।
বিএনপির বিশ্বাসঘাতক বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের জায়গা থেকে বলতেই পারে, আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতে চিন্তা করে নির্বাচনে এসেছি। আমার ব্যাপারে বিএনপি কি বললো না বললো তা আমি মন্তব্য করবো না।
উল্লেখ্য আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং আর.এ.কে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সৈয়দ একরামুজ্জামান গত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে “কুলা” প্রতিক, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মাঠ পর্যায়ে একরামুজ্জামানের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ১ হাজার ১১০ হাজার ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পান ৬০ হাজার ৭৩৪ ভোট। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হক পেয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৮৮৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট। আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান গত ২৭ নভেম্বর সোমবার দুপুর তিনটার দিকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এর আগে ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় পরদিন মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ সহ দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানকে বহিষ্কার করা হয়।
মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোঃ আবু জাফরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাসহ অন্যান্য পদ থেকে বহিষ্কারের পর বুধবার বহিষ্কৃত সৈয়দ এ কে একরামুজ্জানকে নাসিরনগরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে উপজেলা বিএনপি। বুধবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ. হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন স্বাক্ষরিত ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির দলীয় প্যাডে লেখা অবাঞ্ছিতের ঘোষণাটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন এম.এ. হান্নান। নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিবৃতি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কমিটি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে বহিস্কার করেছে। বিএনপির নাসিরনগর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে এই বহিস্কৃত নেতাকে নাসিরনগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হান্নান বলেন, একরামুজ্জামানকে উপজেলার সকল জায়গায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাসিরনগর উপজেলা সদরের নাসিরনগর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভূগোল বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ অর্থ আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরম পূরণের সময় কলেজ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার ফী বাবদ টাকা নেওয়া হলেও পরীক্ষার্থীদের থেকে পূনরায় ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য টাকা চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভূগোল বিষয়ের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি দুইশ থেকে তিনশ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এছাড়া আইসিটি বিষয়ের জন্য পরীক্ষার্থীদের থেকে দুইশ ও বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের থেকে তাদের ব্যবহারিক সকল বিষয়ের জন্য ২৫শ টাকা করে চাওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
নাসিরনগর সরকারি কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার এই কেন্দ্রে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক ব্যবহারিক পরীক্ষায় নাসিরনগর সরকারি কলেজ ও বিজয়লহ্মী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ভূগোল বিষয়ে প্রায় তিনশ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। অন্যদিকে ঐ কেন্দ্রে আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে আইসিটি বিষয়ে প্রায় ছয় শতাধিক পরীক্ষার্থী এবং বিজ্ঞান বিভাগে তিন বিষয়ের প্রায় ৫০ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করবে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে নাসিরনগর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় নাসিরনগর সরকারি কলেজের ভূগোল বিষয়ের প্রভাষক সাহিদুল ইসলাম ও বিজয়লহ্মী স্কুল এন্ড কলেজের ভূগোল বিষয়ের প্রভাষক সম্রাট হোসেন ভূগোল বিষয়ের ব্যবহারিকের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করছেন।
এ বিষয়ে একাধিক পরীক্ষার্থী জানান, ফরম পূরণের সময় আমাদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি নেওয়া হয়েছে। তারপরও এখন ব্যবহারিকের প্রতিটি বিষয়ের জন্য অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার বিষয়ে ভূগোল বিষয়ের প্রভাষক সাহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
নাসিরনগর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও নাসিরনগর পরীক্ষা কেন্দ্র-১ এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিল ফোরকান জানান, আমি এদের টাকা নিতে নিষেধ করে দিয়েছি, যাদের থেকে নেওয়া হয়েছে সেটা ফেরত দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ফরম পূরণের পর পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য টাকা নেওয়ার কোন বিধান না থাকলে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ফরম পূরণের সময়ই ব্যবহারিকের টাকা সংগ্রহ করা হয়, এর বাইরে টাকা নেওয়ার কোনো বিধান নেই। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) অর্থায়নে এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে স্কুল মিল্ক ফিডিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ শুভজিত পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ইকবাল মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফ হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নুরে আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মাজারুল হুদা, মোহাম্মদ কবির হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল হক, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন ভূইয়া, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোড়কান দাস, প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলামসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুষ্টির চাহিদা মেটাতে এবং পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে সরকার পাইলট প্রকল্প হিসেবে সারাদেশে ৩শত উপজেলায় একটি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল চলাকালীন প্রতিদিন ২শত মিলিমিটার করে দুধ খাওয়ানো হবে।
নাসিরনগর উপজেলার নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯২ জন শিক্ষার্থী এই মিল্ক ফিডিং কার্যক্রমের আওতায় স্কুলে এলেই দুধ খেতে পারবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিসের উদ্যোগে নিষিদ্ধ চায়না জালের বিরুদ্ধে সপ্তাহব্যাপী অভিযান শুরু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ ২৬ জুলাই বুধবার পর্যন্ত এক সপ্তাহের অভিযানে প্রায় ২০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ চায়না জাল আগুনে পুড়ানো হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।
নাসিরনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ দিন হলো বর্ষার পানি নাসিরনগরের বিভিন্ন হাওর ও বিলে ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মা মাছ নুতন পানি পেয়ে প্রজনন শুরু করেছে। এতে ডিম থেকে শুরু করে সব ধরণের মা মাছ সহজেই চায়না জালে ধরা পড়ছে। আর হুমকিতে পড়েছে হাওরের দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন।
মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার বলেন, হাওরের দেশীয় মাছের প্রজনন ধরে রাখতে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে গত সাত দিন উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালানো হয় বিভিন্ন হাওর-বিল ও স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীর গোডাউনে। সবশেষ আজ চাতলপাড় ইউনিয়নের বড় বাজারে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি গোডাউন থেকে ১০ হাজার মিটার চায়না জাল ও দুই হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পোড়ানো হয়। এরপর গুডোউনগুলো সিলগালা করে দুই ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার করে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোনাব্বর হোসেন বলেন, হাওরের মাছকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যারা নিষিদ্ধ চায়না জাল ব্যবহার করে মাছের প্রজননে বাধা প্রদান করবে তাদেরই মৎস্য আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৬ জন মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিব ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মোনাব্বর হোসেন তাঁদের এই কারাদণ্ড দেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও নাসিরনগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা পূর্বপাড়া তাজু ফকিরের বাড়ি থেকে মাদকসেবনের সময় তাঁদেরকে আটক করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আটককৃত কুন্ডা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম,আক্তার হোসেন,তৌহিদ মিয়া, নজরুল ইসলামকে ৩ মাস করে বিনাশ্রমে কারাদণ্ড এবং তাজু ফকির ও সোহরাব মিয়াকে ৬ মাস করে বিনাশ্রমে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। কারাদণ্ড প্রাপ্তদেরকে রাতেই জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্মকর্তাসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিব ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মোনাব্বর হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের মাদক বিরোধী মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।