চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আইন-শৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
আজ ৩০ অক্টোবর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী জনসচেতনতা, বাল্যবিবাহ বন্ধকরণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়। একে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রবিউস সারোয়ার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম মিয়া, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল কাদের, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাখেশ পাল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ হান্নান, সাধারণ সম্পাদক বসির উদ্দিন তুহিন, ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, জামায়াতে ইসলামির প্রতিনিধি অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, খেলাফত মজলিশের সভাপতি মাওলানা মোঃ আবদুস সাত্তার, উপজেলা কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব মুফতি মোঃ মুখলেছুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অনাথবন্ধু দাস প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলম, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাসহ আইনশৃংখলা উন্নয়ন ও নাসিরনগরের প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজে নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকারি নিদের্শ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সকলকে সেবা দেয়ার মন মানুষিকতা নিয়ে কাজ করার আহবান জানান। প্রশাসনের সকল বিভাগে দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্সের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
মতবিনিময় শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিস, নাসিরনগর থানা, সরকারি বালিকা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার হাওর অঞ্চলের মানুষের জন্য দ্রুত চিকিৎসা সেবার জন্য প্রায় ২১ লাখ টাকা ক্রয়ে ওয়াটার এ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি ডাকবাংলো চত্বরে কয়েকটি গাছের চারা রোপন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে রনি মিয়া (৬) নামে এক শিশুকে খুন করার তিনদিন পর তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ০২ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রনি মিয়া কুলিকুন্ডা গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। সে কুলিকুন্ডা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ রিফাত মিয়া (১৩) ও লিটন মিয়া (১৭) নামে দুই কিশোরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রিফাত মিয়া কুলিকুন্ডা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে ও লিটন মিয়া একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রনি মিয়া ইউনিয়নের দাঁতমন্ডল গ্রামের ওরসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন ওরসে মাইকিং করে। পরে শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে নাসিরনগর থানায় একটি ডায়রি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ধারনা করা হচ্ছে শিশু রনি মিয়ার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার জন্য তাকে খুন করে তার লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি দাঁতমন্ডল গ্রামের ওরসে যাওয়ার কথা বলে রনি মিয়া ঘর থেকে বের হয়। গ্রামের লোকজন রিফাতের সাথে রনি মিয়াকে ওরসে যেতে দেখে।
পরিবারের লোকজন রিফাতের ব্যাপারে সন্দেহ পোষন করায় আমরা প্রথমে রিফাততে আটক করি। রিফাত পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে ও তার সাথে লিটন মিয়া ছিলো বলে জানায়।
পরে লিটনকেও গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে লিটনও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে কুলিকুন্ডা গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশু রনি মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদে দুই ইউপি সদস্যের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নারী ও অপর পুরুষ ইউপি সদস্য আহত হওয়ার খবর মিলেছে। ঘটনার পর একজন আরেকজনকে দোষ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে আহত নারী ইউপি সদস্য মোছা. জাকিয়া আক্তার প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে থানায় এজহার দিয়েছেন। ২৩ মে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদে মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই ইউপি সদস্য হলেন ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মো. ইরন মোল্লা ও ৭, ৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোছা. জাকিয়া আক্তার।
কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাছির মিয়া ও নারী সদস্য জাকিয়াকে ঘটনার পর থেকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন ইরন। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য অনাস্থার প্রস্তাব এনে লিখিত দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়ার কাছে।
জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুন্ডা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিএনপির সাবেক সহসভাপতি (সদ্য বহিস্কৃত) ওমরাও খানের (আনারস প্রতীক) পক্ষে নির্বাচন করেন সাধারণ ইউপি সদস্য ইরন মোল্লা। এদিকে আ.লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার (ঘোড়া প্রতীক) পক্ষে নির্বাচন করেন সংরক্ষিত নারী সদস্য জাকিয়া আক্তার। নির্বাচনের পর প্রথম মাসিক সভার আহবান করেন চেয়ারম্যান।
২৩ মে পরিষদের কক্ষে সভা চলাকালীন সময় বিএনপির সহ-সভাপতি ওমরাও খান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার বিষয়টি তুলেন ইরন মোল্লা। সে সময় চেয়ারম্যান ও জাকিয়াকে দোষারোপ করেন ইরন। সভা কক্ষে অন্য আলোচনা পরিহার করে ইউনিয়ন পরিষদের আলোচনা শুরু করতে বলায় গালমন্দ করতে থাকেন ইরন। এক পর্যায়ে নারী ইউপি সদস্য প্রতিবাদ করায় তার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন ইরন। এ সময় ইরন ও জাকিয়া উভই আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় জাকিয়াকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
আহত জাকিয়া আক্তার বলেন, ইরন একজন খুনি। সে ডাকাত দলের সদস্য। সে শুধু আমার উপরই হামলা করেনি, চেয়ারম্যান ও অপর একজন সদস্যকেও মারধর করতে চেয়েছে। কিন্তু অন্যরা লজ্জায় বলতে পারছে না। ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান ও আমাকে খুন করার প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইরন মোল্লা বলেন, আমি আগে খারাপ কাজ করতাম কিন্তু বর্তমানে সব কিছু ছেড়ে আমি ভালো হয়ে গেছি। নির্বাচনে আমি বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ওমরাও খানের পক্ষে কাজ করছি এটা সত্য। পরিষদে এসব বিষয় নিয়ে সুন্দরভাবে আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু জাকিয়া আমায় খারাপ ভাষায় গালমন্দ করলে আমি তাকে আঘাত করি।
কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ইরন নাসিরনগরের জন্য একটি আতংকের নাম। ঘটনার পর থেকে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। ইউএনওর কাছে লিখিত দিয়েছি। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা সঠিক বিচার চাই।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহাগ রানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দেওয়া হবে।
ইউএনও মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া বলেন, সভা চলাকালীন একজন ইউপি সদস্য আরেকজন নারী ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে আহত করেছে। এর পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছে। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরের ফিরোজিয়া হাফিজিয়িা মাদরাসার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান করা হয়েছে। আজ ৫ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুমা মাদরাসা মসজিদে পাগড়ী প্রদান করা হয়।.
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি ও মাদরাসার দাতা মোঃ নাছির চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়া।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদ্রাসা জামে মসজিদের খতিব মূফতি মাওলানা নজরুল ইসলাম, ইমাম ও প্রধান শিক্ষক হাফেজ মোঃ ইয়াইয়া মাহমুদ।
এসময় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ প্রধান শিক্ষক এবিএম ছালেম,সদস্য হাজী আলামিন চৌধুরী,ইলিয়াছ মিয়া,প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিমসহ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ,শিক্ষার্থী ও মুসল্লীগণ উপস্থিত ছিলেন। মাদ্রাসার ৩ জন হাফেজ মো: জাকির হোসেন,হাফেজ মো: আবুল খায়ের ও হাফেজ মো: রাকিবুল ইসলামের মাথায় পরিধান করান মাদ্রাসা জামে মসজিদের খতিব মূফতি মাওলানা নজরুল ইসলাম। নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হাওড় এলাকায় দুটি টিউবয়েল বসানো হয়েছে। পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কিছু গাছের চারা রোপণেরও। ছোট্ট এ উদ্যোগে যেন বড় প্রশান্তির খবর কৃষকদের জন্য। তপ্ত রোদে ধান কাটতে এসে আপাতত টিউবয়েলের পানিতে তারা তৃষ্ণা মিটাতে পারছে। তারা আশায় আছে কাঠফাঁটা রোদে বৃক্ষের ছায়াতলে জিরিয়ে নিয়ে কাজ করতে পারার সময়টুকুর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের পতইর গ্রামের পূর্বপাড়া ছাত্র ও যুব সমাজের কয়েকজন হাওড়ে টিউবয়েল বসানোর উদ্যোগ নেন। এ কাজে এগিয়ে আসেন কয়েকজন প্রবাসী। তাদের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই পতই এলাকার হাওড়ে দুটি টিউবয়েল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে ধান কাটতে আসা কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা ওই টিউবয়েল থেকে পানি নিতে শুরু করে। অনেকে ওই টিউবয়েলের কাছে বসে খাবারও খায়।
এক কৃষক বলেন, ‘এখন অনেক রোদ। গরমও বেশি। ধান কাটতে এসে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে। সঙ্গে যেটুকু পানি থাকে তাতেও হয় না। যে কারণে এখানে টিউবয়েল বসানোয় আমাদের অনেক উপকার হলো। আমরা অনেক খুশি হয়েছি টিউবয়েলটি বসানোয়।’
ওই এলাকার বাসিন্দা ও উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত একজন বলেন, ‘আমরা চার-পাঁচজন মিলে এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ার কথা মাথায় আনি।
ছাত্র ও যুবসমাজের পাশাপাশি প্রবাসীরা এগিয়ে এলে কাজটি সহজ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত দুটি টিউবয়েল বসানো হয়েছে। আরো একাধিক টিউবয়েল বসানো হবে। এ ছাড়া হাওড় এলাকার কৃষকের বিশ্রামের জন্য কিছু গাছের চারা লাগানোরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে নির্মাণাধীন একটি মসজিদ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়ন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, গোকর্ণ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকার উসমান ফিসারিজের একটি নির্মাণাধীন মসজিদটি বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা দকে মসজিদের পাশের একটি পুকুরে স্থানীয় এক ব্যক্তি কাজ করতে যান। তখন তিনি মসজিদের ভেতর ঝুলন্ত কিছু দেখতে পান। ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন মানুষের মরদেহ ঝুলছে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ জানায়, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হবে। তবে যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।