চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন-জীবনমান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। শেখা এবং জানার মধ্যে দিয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগোষ্ঠিকেও আমরা এমন ভাবে দেখতে চাই যারা দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে নানা ক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে পারেন। বিশ্বে বাংলাদেশকে চেনে মারামারি, কাটাকাটি, দুর্ণীতি-লুটপাটের কারনে। একটা ভালো কোন জায়গায় আমাদের নাম নেই। ক্রীড়া বা অন্য যেকোন ব্যাপারেই বলি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ছোট দেশ আন্তর্জাতিকভাবে ভালো অবদান রাখছে।
আজ ১ নভেম্বর শুক্রবার জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা,যুব ঋনের চেক-সনদপত্র এবং শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠন ও আত্মকর্মী সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যােগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে হওয়া এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো: সাইফুল ইসলাম।
অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মনজুর রহমান,সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আশরাফুর রহমান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক সভাপতি মো: আরজু মিয়া।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আমীর আলী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উদ্যােক্তা আবু হানিফ তালুকদার, নাঈমা আক্তার উর্মি,আফসানা আক্তার, সাদ্দাম হোসেন, পান্না বেগম এবং ছাত্র প্রতিনিধি বায়েজিদুর রহমান সিয়াম ও মেহেরুন্নেছা মুনিয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেছেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার কারণে গত ১৭ বছরের নিপীড়িত শাসন ব্যবস্থাকে বিতাড়িত করতে পেরেছে। এই আন্দোলন শুধুমাত্র ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বরং রাষ্ট্রের অপব্যবস্থার বিরুদ্ধেও ছিল। আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হঠানো গেলেও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা এখনো নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আন্দোলনের গতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পাঁয়তারা করে বেড়াচ্ছে। তারা কখনো আনসার বা ভিন্ন রুপে ফিরে আসে। তাই আমরা লঙ্কার সিস্টেমকে বদলাতে চাই যাতে কেউ লঙ্কায় গিয়ে রাবন হতে না পারে। সংখ্যালঘুদের দুর্গা পূজাকে ঘিরে একটি মহল ছাত্র সমাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করবে। তাই দূর্গাপূজাকে নির্বিঘ্ন ও সফল করতে ছাত্র-জনতাসহ সকলকে পাশে থাকতে আহ্বান জানান।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, যারা ছাত্রদের বুকে গুলি চালিয়ে রক্ত ঝড়িয়েছে তাদের অচিরেই বিচারের আওতায় আনা হবে। আন্দোলনে নিহত ও আহতদের কল্যাণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে কথা হয়েছে। ফাউন্ডেশন গঠনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ফাউন্ডেশন গঠনের পর প্রত্যেক নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা ও একজন করে সরকারি চাকরীর নিশ্চয়তা দেয়া হবে।
সীমান্ত হত্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হবে, কোন নতজানু সম্পর্ক হবে না। সেই সম্পর্ক হবে ন্যায্য ও সমমর্যাদার।
জিয়া উদ্দিন আয়ান তাঁর বক্তব্যে বলেন, এটা ছাত্রদের প্রতিনিধির সরকার। আস্থা রাখতে হবে এ সরকারের প্রতি। আগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর আগে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। শেখ হাসিনা যে গর্তেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, তাকে বের করে এনে ফাঁসি দিতে হবে। এজন্য সরকারকে চাপ দিতে হবে। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাদেরকে চাপে রাখতে হবে। প্রয়োজনে আবার আন্দোলনে নামতে হবে। আন্দোলনের সময় সারাদেশে পুলিশ নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এই পুলিশকে ঢেলে সাজাতে হবে। এমনভাবে সাজাতে হবে যেন-গুলি করা তো দূরের কথা কোনো পুলিশ যেন চোখ রাঙিয়ে কথা বলতে না পারে।
আন্দোলনে নিহত তানজিন মাহমুদ সুজনের বোন ইসরাত জাহান বলেন, পুলিশ নৃশংসভাবে হত্যাকান্ড চালিয়েছে। আমার ভাইসহ ছয়জনকে হত্যার পর পিকআপ ভ্যানে করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, যেন চেনা না যায়। সঙ্গে থাকা স্কুলের আইডি দেখে ভাইকে চিহ্নিত করা হয়। আমি আমার ভাইসহ সকল শহীদের বিচার দাবি করছি।
সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হামযা মাহবুবে সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ সমন্বয়ক আতিক মুন্সী, খালিদ হাসান, মোঃ মহিউদ্দিন, সমন্বয়ক জিয়া উদ্দিন আয়ান, আলী আহমেদ আরাফ. মোঃ ইব্রাহিম। এছাড়াও সভায় বিভিন্ন শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সাইদুর রহমান, শাহজাহান মোল্লা, ইসরাত জাহান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব নির্বাচনে জাবেদ রহিম বিজন সভাপতি, মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আজ ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার মো: ইকরামুল হক (নাহিদ) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
জাবেদ রহিম বিজন এরআগে গত ১৬ আগষ্ট প্রেস ক্লাব সভাপতির শূন্য পদে উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। দুপুর ১ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ক্লাব কার্য নির্বাহী পরিষদের ১১ পদের মধ্যে ৯টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে অন্যান্য পদে জয়ীরা হচ্ছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মো: জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো: ইব্রাহিম খান সাদাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপু, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সদস্য নজরুল ইসলাম ভূইয়া বিল্লাল ও শাহজাহান সাজু।
২টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীরা হলেন পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক মজিবুর রহমান খান ও সংস্কৃতি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী।
নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ক্লাবের নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহবায়ক এমদাদুল হক। তার সাথে ছিলেন জালাল উদ্দিন রুমি ও উজ্জল চক্রবর্তী।
চলারপথে রিপোর্ট :
হৃদ রোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এর মত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে শরীরচর্চা ও কায়িক পরিশ্রম, তাই কায়িক পরিশ্রমের সুযোগ সৃষ্টির জন্য স্থানীয় সরকারের উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। শরীরচর্চার পরিবেশ সৃষ্টিতে সিএলপিএ (সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি) ও নাগরিক অধিকার ট্রাস্ট স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের নিকট চার দফা দাবি সুপারিশ করে। এই দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য নাগরিক অধিকার ট্রাস্টের উদ্যোগে আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মানববন্ধন করে এবং স্থানীয় সরকার এর জনপ্রতিনিধিদের নিকট সংগঠনের দাবি উপস্থাপনের জন্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন এবং জনমত তৈরিতে লিফলেট বিতরণ ও নাগরিকদের স্বাক্ষর গ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তারা ৪ দফার সুপারিশ উপস্থাপন করে আগামী বাজেটে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ এর অভিভাবকদের নিকট বরাদ্দ রাখার আহবান জানান। এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে যোগদান করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এডভোকেট লোকমান হোসেন আগামী বাজেটে পরিষদের সঙ্গে কথা বলে বরাদ্দ রাখার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। দাবি সমূহ : শহরে পর্যাপ্ত মাঠ পার্ক তৈরি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ এবং এ লক্ষ্যে শহরের পুকুর সংস্করণ করা, নাগরিকদের মাঠ, পার্কের জায়গা দিতে উৎসাহী করা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বাজেটে মাঠ, পার্ক তৈরি ও সংরক্ষণ এবং খেলাধুলার জন্য বাজেট দেয়া, স্কুলগুলোতে নিয়মিত খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করা, স্কুলের মাঠগুলোতে বিকেলে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা যাতে নারীরা হাঁটতে পারে।