চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে কৃষক দলের বর্ধিত সভা আজ ১ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেলে নবীনগর উপজেলা ও পৌর কৃষকদলের যৌথ উদ্যোগে নবীনগর মহিলা কলেজ হলরুমে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম জুরু মিয়ার সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল এবং পৌর কৃষকদলের সদস্য আনোয়ার হোসেন খাঁন এর যৌথ সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে. এম. মামুন অর রশিদ।
বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বিভাগের কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকদলের আহবায়ক ভিপি আবু শামীম মোঃ আরিফ, সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে. এম. মামুন অর রশিদ বলেন, হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার সহযোগীরা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে তা প্রতিহত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীমের বদলির প্রতিবাদে উপজেলা সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ অক্টোবর শুক্রবার সকাল সকাল ১০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষার্থীর সহ বিভিন্ন পেশার লোকজন মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে সার্বক্ষণিক ছিলেন। আন্দোলনে আহতদের অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন এবং হাসপাতালে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। আন্দোলনের পর যে সব ছাত্র ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজ করেছে, তাদেরকে উপজেলা প্রশাসন থেকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছেন।
বক্তারা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীমের বদলির আদেশ অবিলম্বে বাতিল করা হোক এবং তাকে পুনরায় বহাল করা হোক। নতুবা আরো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১০টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নবীনগর থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহাবুব আলম নেতৃত্বে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষে মোনাজাত করা হয়।
মোনাজাত শেষে মোহাম্মদ এবাদুল করমি বুলবুল এম.পি’র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পর্যায় ক্রমে উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, বাংলাদশে আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, বীর মুক্তেিযাদ্ধাগণ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতকি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন দপ্ত রের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্র্ণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও জীবনভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা তানভীর ফরহাদ শামীমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্র্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
বিশেষে অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মরিুজ্জামান মনির, পৌরসভার মেয়র অ্যাড. শিব শংকর দাস, নবীনগর সার্কলের অতিরিক্ত পুিলশ সুপার সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসনে সাদেক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, সহকারী কমিশনার মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহবুব আলম, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শামীম আহমেদ, পৌর আওয়ামী লীগের, সম্পাদক শুক্কুর খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, উপপ্রচার সম্পাদক প্রণয় কুমার ভদ্র পিন্টু, কার্যকরী সদস্য সাইফুর রহমান সোহেল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুিক্তযোদ্ধা শামসুল আলম শাহন, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম সরকার, বীর মুুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম, ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সাঈদ প্রমুখ।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর রচনা, কবিতা আবৃত্তি চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার নিজ গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে প্রতারণা করে প্রায় কয়েক কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন ছাত্রলীগ নেতা শান্ত কুমার রায়।
অভিযুক্ত শান্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
তিনি উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের নির্মল রায়ের ছেলে।
প্রতারণার শিকার ৬ ভুক্তভোগী নির্মল রায় ও তার ছেলে শান্ত রায়কে অভিযুক্ত করে ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে নবীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, শান্ত কুমার রায় ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি এলাকায় সিগারেটের এজেন্ট ও র্স্বণের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চট্টগ্রামে তার বাবার স্বর্ণের দোকান রয়েছে। সে নাম ব্যবহার করে তার বাবার সহযোগিতায় শান্ত কুমার রায় এলাকায় বিশ্বস্ত হয়ে উঠেন, সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার ঘনিষ্ঠজনদের টার্গেট করে ব্যাংকের রেটের চেয়ে উচ্চ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে সিগারেটের ব্যবসা ও স্বর্ণের ব্যবসায় বিনিয়োগ করার কথা বলে নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান।
গত শনিবার ও রোববার (১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি) অনেকের টাকা ফেরত দেওয়ার তারিখ ছিল, ওইদিন থেকেই শান্ত লাপাত্তা, তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। শুরু হয় কানাঘুষা, বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক টাকা নেওয়ার তথ্য। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকেই তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আরো জানা যায়, নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামের হকের ৪০ লাখ টাকা, মো. সুজন মিয়ার ২০ লাখ টাকা, আব্বাস উদ্দিনের ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ছগির আহমেদের ১২ লাখ টাকা, শ্যামল চন্দ্র দাসের ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা, অক্লান্ত চন্দ্র দেব নাথের ৩ লাখ টাকা ও নিখলী গ্রামের খোরশেদ আলমের ৫ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
এছাড়া থোল্লাকান্দি গ্রামের বিকাশ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের ৩৯ লাখ টাকা, থোল্লাকান্দি গ্রামের আতিকুর রহমান রনির (বিকাশের দোকান) ৩ লাখ টাকা, বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের শাহ জালালের (বিকাশের দোকান) ৫৩ লাখ টাকা, ধরাভাঙ্গা গ্রামের বাবলু মিয়ার ১১ লাখ টাকা, বাড়াইল গ্রামের (বিকাশের দোকান) মাহফুজুর রহমানের ৩ লাখ টাকা, নরসিংদী জেলার মুরাদনগরের বাদল মিয়ার ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শান্ত ও তার বাবা নির্মল রায়। এসব পাওনাদাররা শান্ত ও তার বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অভিযোগকারী শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, স্বর্ণ কিনবে বলে আমার কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেয়। লাভ হলে এর কিছু অংশ দেবে বলে আমাকে জানায়। কিন্তু টাকা দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। এখন খুঁজে পাচ্ছি না।
অপর ব্যক্তি ছগির আহমেদ বলেন, ব্যবসায়িক কাজে শান্ত আমার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নেয় গত জুলাই মাসে। বলেছিল তার বাবার স্বর্ণ ব্যবসা আছে দিলে লাভ হবে। কিন্তু এরপর থেকে আমার টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন তারিখ দিতে থাকে। গত শনিবারে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তাকে আর পাচ্ছি না। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাচ্ছি। সে আমার মতো অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে।
ব্যবসায়ী মো. হক সাহেব বলেন, শান্ত ও তার বাবা ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে প্রায় সময়ই টাকা নিতো, আবার ফেরতও দিয়ে দিতো, সর্বশেষ ৪০ লাখ টাকা নিয়েছে, অন্য কারও কাছ থেকে টাকা নিতো এটা আমার আগে জানা ছিল না, এখন শুনতে পাচ্ছি আমার মতো ৩০ থেকে ৪০ জনের কাছ থেকে সে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
অপরদিকে সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে রিফাত আহম্মেদের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা, বড়িকান্দি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি পদ দেওয়ার কথা বলে জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শান্ত কুমার রায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা শান্ত কুমার রায়কে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তার মোবাইল ফোন (০১৭৮৮৫৫০১৩০) বন্ধ পাওয়া যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুউদ্দিন আনোয়ার বলেন, এ পর্যন্ত ছয়জন পাওনা টাকার বিষয়ে নির্মল রায় ও তার ছেলে শান্ত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর উপজেলার মেঘনা নদীবাহিত পলির বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে ব্যাপক ভাবে সরিষা চাষ হচ্ছে। এ বছর সরিষা চাষে সাফল্যে আশানুরুপ সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে এ এলাকার কৃষকরা রবি মৌসুমে সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশা করছে। উপজেলার যে সব ইউনিয়নে বেশী সরিষা আবাদ বেশী হয় সে সকল ইউনিয়ন গুলো হল রছুুল্লাবাদ, বীরগাঁও, বড়াইল, সলিমগঞ্জ, কৃষ্ণনগর, বিটঘর, নাটঘর। এ বছর কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে সরিষা চাষ করেছে প্রায় ১৫০০ হেক্টর জমিতে। মন প্র্রতি সরিষার মুল্য ৩,৫০০-৪,০০০ টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৮-৯ মন সরিষা উৎপাদন হয়। এ বছর বৃষ্টিতে ক্ষতি না হলে প্রায় ২,০০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হত।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. আবু তাহের তার চাষকৃত জমির পরিমান- ৫০ শতক। বিটঘর ইউনিয়নের গুড়িগ্রামের হারেছ ভূঁইয়া তার চাষকৃত জমির পরিমাণ- ১০০ শতক। প্রতিটি জমিতেই তরতাজা সবুজ সরিষা গাছ গুলোতে হলুদ ফুলে ফুলে ভরে ওঠায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। সরেজমিনে এ সমস্ত এলাকা পরিদর্শনে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে কোন কোন জমিতে তাজা সরিষা ফুল / কোন জমিতে ফুল ঝড়তে শুরু হয়েছে। কোন জমির গাছ গুলোতে সরিষার দানা ও বাঁধতে শুরু করেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। রতনপুর ইউনিয়নের ভিটি বিশারা গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক মিয়া জানান, এ বছরই তিনি ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। তার জমিতে সরিষার গাছ গুলো যেভাবে লকলকিয়ে উঠেছে এবং হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে তাতে তিনি এ বছর সরিষার ভাল পাবেন বলে আশাবাদি হয়েছেন। রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের রছুল্লাবাদ গ্রামের কৃষক খন্দকার ফরিদ মিয়া জানান, এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় জমিতে সরিষার ফলন ভাল হবে বলে তিনি আশা করছেন। গত বছর যে সমস্ত জমিতে অন্য ফসল চাষ করেছিলেন এবার সেই জমিতেই অত্যান্ত কম খরচে সরিষা চাষ করেছেন। সরিষার বাড়ন্ত ফুলে ভরা গাছগুলো দেখে তিনি আশান্বিত হয়েছেন । এবারে সরিষা উৎপাদন করে তিনি যথেষ্টই লাভবান হতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।
উপজেলা কৃষি অফিসার জগলুল হায়দার জানান,অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকার চেয়ে উঁচু এলাকার পলি সমৃদ্ধ বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে সরিষা ফসলের আবাদ ভাল হচ্ছে। কারণ এ রুপ জমি গুলো অত্যন্ত উর্বর। এ বছর রবি মৌসুমে কৃষকরা মরিচ, সরিষা, ছিটানো পিঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, ডাল, ভুট্টা, ধনিয়া পাতা, গোলআলু – মিষ্টি আলু, বাদামসহ বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে চাই, যা গ্রামাঞ্চলের চিরায়ত অভাব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো কনিকাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে সায়মা (১২) ও কসবা উপজেলার কুঠি গ্রামে ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে ইলমা (৬)। সায়মা সম্পর্কে ইলমার খালা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিহত সায়মার মা জুহেরা বেগম জানান, দুপুরে ইলমা ও সায়মা বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। এসময় ইলমা পানিতে পড়ে ডুবে যায়। তাকে বাঁচাতে সায়মাও পানিতে লাফ দেয়। তবে সাঁতার না জানার কারণে তারা তীরে আসতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরাও চেষ্টা করে তাদের উদ্ধার করতে পারেননি। পরে তারা দু’জনই পানিতে তলিয়ে গিয়ে মারা যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।