চলারপথে রিপোর্ট :
‘সমবায়ে গড়ব দেশ-বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যে আখাউড়ায় ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা সমবায় অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ ২ নভেম্বর শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দুবরাজ রবিদাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহি, বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা সহকারী (ভূমি) মোঃ সজিব মিয়া। অনুষ্ঠানে সমবায়ী সংগঠনের সদস্য, ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে একতাবদ্ধ হয়ে কার্যক্রম করলে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারবো। আমরা চাই উপজেলার সকলসমিতিগুলো কার্যকর তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করুন। এই কারণে আমাদের এর স্লোগান সমবায়ে গড়ব দেশ-বৈষম্যহীন বাংলাদেশ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া প্রেসক্লাবের সহ -সভাপতি কাজী হান্নান খাদেম, টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন মামুন, সমবায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, গোলাম মোস্তফা, মোঃ বিল্লাল হোসেন, ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ রাকিব প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারি পরিদর্শক বিশ্বজিৎ সাহা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূইয়া সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
আজ ৫ মে রবিবার সকালে পৌরসভার হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার আখাউড়া উপজেলার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমি দুইবার আখাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। অতীতের ভুলত্রুটির জন্য আমি ক্ষমা চাই। উপজেলা আওয়ামী লীগ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। ডিজিটাল আখাউড়া থেকে স্মার্ট আখাউড়া গড়ার লক্ষ্যে কসবা-আখাউড়ার অভিভাবক আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হকের উন্নয়নের সহযোগি হিসেবে আমি কাজ করতে চাই। আমি দলীয় নেতাকর্মীসহ আখাউড়াবাসীর কাছে দোয়া ও আমার প্রতীক আনারস প্রতীকে ভোট চাই। এসময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চান।
এসময় সভায় উপস্থিত আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূইয়াকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, কসবা-আখাউড়ার অভিভাবক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলাম।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ মে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বৈধ চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনজন। শেখ বোরহান উদ্দিন সরে দাঁড়ানোয় এখন দুজন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া ছাড়া অপর প্রার্থী হলেন মোঃ মনির হোসেন।
প্রার্থীতা প্রত্যাহার সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ব্যালটে শেখ বোরহান উদ্দিনের প্রতীক থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
আজ ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন পুতুল বেগম (৬০) কালা মিয়া (২৮), তাজুল ইসলাম ছোটন (২৫), আলো আক্তার (২২), জহুরা বেগম (৫০), রুনা আক্তার (২৫) ও সোহেদা বেগম (৫০)। আহতদের মধ্যে পুতুল বেগম আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামে মৃত মজো মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া তার সৎ চাচা ফারুকের কাছ থেকে এক বছর আগে টাকা ধার নেয়। ওই পাওনা টাকা ফেরত চাইলে দু’জনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হৃদয়ের বড় চাচা আলফাজ মিয়াসহ তাদের লোকজন ফারুক মিয়াকে লাঞ্ছিত করে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত পুতুল বেগমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আখাউড়া থানার ওসি নূরে আলম জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক মহিলা ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফরমের উত্তর পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মহিলা দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। শনিবার সকালে ১ নম্বর প্ল্যাটফরমের উত্তর পাশে ওই মহিলার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে বেলা ১১টায় রেলওয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা তার পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। মৃতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
২৮ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। আজ ২৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদ পাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. পলাশ (৩০), মো. হেলাল মিয়া (৩৫) ও মো. কাউছার (৪৫)। এদের মধ্যে কাউছারের বাড়ি আখাউড়ায় মসজিদ পাড়ায় ও পলাশ এবং হেলালের বাড়ি কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলায়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আজ মসজিদ পাড়ার ফায়ার সার্ভিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে চাইনিজ রাইফেলের ২৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য এই গুলি কুমিল্লা থেকে আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকার আশপাশের সীমান্তবর্তী কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ ১ জুন রবিবার সকালে দেখা যায়, স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কলন্দি খাল, কালিকাপুর হয়ে আব্দুল্লাপুর দিয়ে জাজি গাং, বাউতলা দিয়ে মরা গাং ও মোগড়া ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া হাওড়া নদী দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে পানি ঢোকার কারণে তলিয়ে যাচ্ছে ওইসব গ্রামের রাস্তা-ঘাট। এতে করে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর ও বঙ্গেরচর গ্রামের জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দিবাগতরাত থেকে এসব নদী, খাল দিয়ে পানি ঢুকছে। এতে করে এসব গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, গতরাত থেকে পানি ঢুকছে। বন্দরের আশপাশে পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত রফতানিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে পানি যেভাবে বাড়ছে এতে করে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে দুইদেশের বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, হাওড়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০/৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। তবে বিপদসীমা পার করেনি। বিপদসীমা থেকে ২ মিটার নিচে আছে।