চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় আজ ৩ নভেম্বর রবিবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার থানা কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নারী সমাবেশের অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা: আবুল মনসুর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল আজীজ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৈয়দ অলী মোহাম্মদ রাছেল, উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদা আক্তার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ মকবুল হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাবেয়া সুলতানা ইভা ও বাঞ্ছারামপুর প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক এমএ আউয়াল। নারী সমাবেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, বর্তমান সরকার জরায়ু মুখ ক্যান্সার রোগের ভয়াবহতার কথা চিন্তা করে ৫ম -৯ম শ্রেণী ছাত্রীদের এবং ১০-১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্য এইচপিভি টিকাদান ব্যবস্থা করেছেন। তিনি আরো বলেন, জরায়ু মুখ ক্যান্সার আমাদের দেশে ট্যাবু একটি বিষয়, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আক্রান্ত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এ রোগের কথা কাউকে বলিনা, এটি ঠিক নয়, জরায়ু মুখ ক্যান্সারকে সাধারণ রোগের মতোই মনে করে চিকিৎসা করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, বাংলাদেশের যত নারী ক্যান্সারে মারা যায় তার অর্ধেক মারা যায় জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। সাধারণত নারীরা যে সকল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় বৈশ্বিকভাবে জরায়ুমুখ ক্যান্সার চতুর্থ সর্বোচ্চ। প্রতিবছর বিশ্বের ছয় লক্ষ নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। তার মধ্যে তিন লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার জন মৃত্যু বরন করেন। এর প্রায় ৯০% বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশে হয়ে থাকে। বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশী নারীদের ক্ষেত্রে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশে প্রতি এক লক্ষ নারীর মধ্যে এগারজন জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর ৪৯৭১ জন মহিলা মৃত্যুবরন করেন।
উক্ত নারী সমাবেশে বাল্য বিবাহ রোধ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াবহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই এসব সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান বক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামীসহ একাধিক মামলার ২জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। ১৬ অক্টোবর বুধবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভাদুঘর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোঃ অলিউল্লাহ (৬৬) এবং রূপসদী গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ কামাল মিয়া- (৫৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি রাম দা, ৩টি টেটা, ২টি ছুরি, ৩ টি বল্লম, ৪৫০ ইউরো, ১২২ ইউএস ডলার ও নগদ ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮শত টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। যৌথ বাহিনীর দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের জমি সংক্রান্ত মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী মোঃ অলিউল্লাহকে গ্রেফতার করে।
একই সময়ে যৌথ বাহিনীর অপর একটি টিম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামে অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামী ও সন্ত্রাসী মোঃ কামাল মিয়াকে গ্রেফতার করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ৫টি রাম দা, ৩টি টেটা, ২টি ছুরি, ৩ টি বল্লম, ৪৫০ ইউরো, ১২২ ইউএস ডলার ও নগদ ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮শত টাকা উদ্ধার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর জামায়াত ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কাজী আবুল বাশার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা ও কর্ম পরিষদের সদস্য নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমির এবং কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল জাব্বার।
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কর্মপরিষদ সদস্য মো. শামীম নূর ইসলাম ও উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চল সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চল সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আমির মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. মাহিমুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহনগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মো. শফিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র শিবিরের অর্থ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত, বাঞ্ছারামপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এত বেশি ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে আর ঘটেনি। নব্বই বছরের বৃদ্ধ রাস্তায় আসেনি, বৃদ্ধদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত জঘন্যতম, নির্মমতা ও পৈশাচিকতা প্রদর্শন করেছে আওয়ামী লীগ। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরে তাদের শাসনামলের সবচেয়ে নির্যাতিত-মজলুম দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিশোধ নেয়নি। কারণ জামায়াত এভাবে প্রতিশোধ গ্রহণ করবে না। তিনি আরো বলেন, আমরা এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই প্রতিশোধ নেব। আমরা জানমাল দিয়ে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করতে চাই। সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে, কারণ এ সংবিধানে ইসলামের কোনো কথা নেই। আমরা এই সরকারের অধীন আগে সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে যাব না। আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, চলতি শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ থেকে এককালীন বৃত্তি প্রদান কর্মসূচি জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার্জনে উৎসাহিত ও উজ্জীবিত করবে। তিনি এই প্রসংশনীয় উদ্যোগের জন্য জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি আজ ৩ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ আয়োজিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন বৃত্তি প্রদান কর্মসূচিতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত অত্র উপজেলাধীন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই কথা বলেন।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্তৃক উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, জেলাপরিষদ সদস্য সনি আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামকে ২১ মাস আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা এক মামলায় রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ ২১ আগস্ট বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতের বিচারক সাদেকুর রহমান তাঁর ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ২০০৮ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এর আগে তিনি ১৯৯৬ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। একই সঙ্গে তিনি দলটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন। পরে কমিটি থেকে বাদ পড়েন। গতকাল ২০ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে তাজুল ইসলামকে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে মিছিল বের করাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রফিকুল পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন বাদী হয়ে ৩০২ ধারাসহ (হত্যা) বিভিন্ন ধারায় বিএনপির ১৭ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই মামলার এজাহারে সাবেক সংসদ সদস্য তাজুলের নাম নেই, তবে এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
জানতে চাইলে জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদল নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় পেছন থেকে ইন্ধনদাতা হিসেবে তাজুল ইসলামের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ কারণে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ওসি সহিদুল ইসলাম বলেন, ওই মামলায় জেলা গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল আহমেদ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালতে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। এর আগে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিনি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁকে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, আজ দুপুরে তাজুল ইসলামকে পুলিশের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালতের ভেতর বিএনপির আইনজীবীরা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনের জন্য হইচই করেন। আওয়ামী লীগের চারজন আইনজীবী সেখানে উপস্থিত হলেও পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় কোনো কথা বলেননি। একপর্যায়ে তাঁরা এজলাস ত্যাগ করে চলে যান। তিনটায় আদালতের রায়ের পর প্রিজন ভ্যানে তুলে পুলিশ তাঁকে আদালত থেকে নিয়ে যায়। এ সময় বিএনপির আইনজীবীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
কয়েকজন আইনজীবী বলেন, আদালত প্রথমে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আইনজীবীদের হইচইয়ের কারণে পরে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান মামুন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলাম খান ও জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আইনজীবী আবদুর রহিম বলেন, ছাত্রদল নেতা রফিকুল হত্যা মামলায় তাজুল ইসলামের ইন্ধন রয়েছে। সে সময় থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ গ্রহণ করেনি। আদালতে পুলিশসহ ৬০ জনের বেশি আসামি করে মামলা দিলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের খবরে আজ দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আনন্দমিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুরে উপজেলার মুসা মার্কেট থেকে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নেতাকর্মীরা আনন্দমিছিল বের করে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মহসিন, সদস্য সাখাওয়াত হোসেন, আবদুল করিম, দেলোয়ার হোসেন, আবদুল করিম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জসিম মিয়া (২২) নামক এক যুবককে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশ্রাফবাদ মাদরাসা মাঠে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আশ্রাফবাদ গ্রামে। তার বাবার নাম শিরন মিয়া।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের আশ্রাফবাদ মাদ্রাসা মাঠে আশ্রাফবাদ গ্রামের শিরন মিয়ার ছেলে জসিম একই গ্রামের রওশন মিয়ার ছেলে ইমন মিয়াসহ কয়েকজন ক্রিকেট খেলছিল। এসময় দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমন মিয়া তার হাতে থাকা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে জসিমকে এলোপাথাড়ি পেটায়। এসময় জসিম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
নিহত জসিমের দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। কয়েকদিন পর সে বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল।
নিহত জসিমের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী জানান, ক্রিকেট খেলার সময় হঠাৎ করে ইমন আমার ভাইকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পেটাতে থাকে। সে গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার বলেছে আমার ভাই মারা গেছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই।
নিহত জসিমের ভাতিজা রিপন মিয়া বলেন, আমরা ক্রিকেট খেলার সময় আমার চাচার ওপর কোনো কারণ ছাড়া ব্যাট দিয়ে পেটায়। চাচাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চাচা মারা যান।
এবিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাহমত উল্লাহ পাভেল বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে জসিমকে পেটায় ইমন। হাসপাতালে আনার পর জসিম মারা যায়। ইমনকে গ্রেফতার করতে অভিযানে আছি।