চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া বড় বাজার মাছের আড়তে অভিযান পরিচালনা করে ১৭৫ কেজি নিষিদ্ধ জাটকা জব্দ করে এতিমখানায় দিয়েছে প্রশাসন।
আজ ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোরে অভিযান পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজালা পারভীন রুহি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রেজাউল করিম। থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
এছাড়াও একই সময়ে তিতাস নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ৪ টি ফিক্সড ইঞ্জিন (খরা জাল) ও ২০ টি রিং জাল অপসারণ করা হয়। নদীতে অবৈধভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারি বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়। পরবর্তীতে এগুলো ধ্বংস করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা। এ সময় বিপুল সংখ্যক জীবন্ত কাঁকড়া ও শামুক নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান বলেন মৎস্য সম্পদ ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করে বাসায় ফিরছিলেন বৃদ্ধ নাসির মিয়া। রাস্তা পারাপারের জন্য দাঁড়িয়ে সুযোগের অপেক্ষা করছিলেন। আচমকা বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল এসে থাক্কা দেয় তাকে। সড়কে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এতে ডান পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান তিনি।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ দিন পর ১১ জুন মঙ্গলবার দুপুরে নাসির মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। প্রবাস ফেরত নাছির মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পৌরশহরের রেলওয়ে কুমার পাড়া বাইপাস এলাকার বাসিন্দা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আখাউড়া-সুলতানপুর ফোরলেন সড়কের পাশে নাসির মিয়ার বাড়ি। প্রতিদিনের মতো গত ২ জুন খড়মপুর দক্ষিণ পাড়া মসজিদে আছরের নামাজ পড়তে যান তিনি। নামাজ শেষে ফেরার পথে বাসার সামনে সড়কের অপর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পারাপারের জন্য। ব্যস্ত সড়কে হঠাৎ পশ্চিম দিকে আসা একটি মোটর সাইকেল তাক্কে সজোড়ে থাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তার ডান পা, পাজড়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান তিনি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান। চিকিৎসা শেষে সোমবার বাড়িতে নিয়ে আসেন তাকে। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত নাসির মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের আঘাতেই আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। সড়ক দূর্ঘটনা রোধে গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করা দরকার। তাহলে এভাবে কারও স্বজনকে অকালে প্রাণ দিতে হবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া পৌরসভায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধে পক্ষকাল ব্যপী মশক নিধন এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে। পৌরসভার উদ্যোগে আজ ১৪ আগস্ট সোমবার বিকালে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
পৌরসভারর ৯টি ওয়ার্ডে ফগার মেশিনের মাধ্যমে ওষুধ ছিটানো হবে এবং ঝোঁপ-জঙ্গল পরিস্কার করা হবে।
এময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়ছেল আহাম্মদ খান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, উপজেলা সার্ভেয়ার জহুরুল ইসলাম, মোঃ মাহবুব মোল্লা, আমির হোসেন প্রমুখ।
পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়ছেল আহাম্মদ খান বলেন, আমরা আগের চেয়ে উন্নত মানের ক্যামিকেল সংগ্রহ করেছি। জন কর্মী পৌরসভার ৪ ৯টি ওয়ার্ডের এ ক্যামিকেল ব্যবহার করে ঔষধ ছিটিয়ে দিবে।
আখাউড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মহামারি আকার ধারন করেছে। আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফার নেতৃত্বে মশক নিধনে আমরা পক্ষকাল ব্যপী একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছি।
আজ ইউএনও মহোদয়ের বাসভবনসহ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে ফগার মেশিনে ঔষধ ছিটিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে ঔষুধ দেওয়া হবে।
এছাড়া ড্রেন, ঝোপ-জঙ্গল যেখানে মশার লার্ভা পাওয়া যাবে সেখানে ঔষধ দেওয়া হবে। এজন্য তিনি পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ৩টি কলেজের ফল বিপর্যয় ঘটেছে। এসব কলেজের পাশের হার ৩১ থেকে ৫৯%। তিন কলেজ থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। অপরদিকে ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত একটি কলেজ ২০জন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাশ করেছে।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার সারাদেশে একযোগে এইচএসসির ফল প্রকাশ হয়েছে।
প্রকাশিত ফলাফল ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ থেকে ৫০৭ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাশ করেছে ৩০৪ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ২০৩ জন। জিপিএ-৫ নাই। শতকরা পাশের হার ৫৯.৯৬। আখাউড়া জাহানারা হক মহিলা কলেজ থেকে ১৯৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৬২ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ১৩৬ জন। জিপিএ-৫ নাই। শতকরা পাশের হার ৩১.৩১। ছতুরা চান্দপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৭৯ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা অংশ নিয়ে পাশে করেছে ২৯ জন। ফেল করেছে ৫০ জন। শতকরা পাশের হার ৩৬.৭১। এ কলেজে থেকেও কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।
অপরদিকে আখাউড়া ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে ১০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০জন।
ফলাফল খারাপ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাহানারা হক মহিলা কলেজের প্রভাষক সুভাষ চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের এ ব্যাচটি খুব খারাপ ছিল। যারা অন্যান্য কলেজের ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়নি এমন কম পয়েন্টের ছাত্রীরা আমাদের কলেজে ভর্তি হয়। তাছাড়া ছাত্রীরা নিয়মিত ক্লাশ করেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন বলেন, এ বছরের ব্যাচটি করোনার কারণে ভালোভাবে পড়ালেখা করতে পারেনি। এরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পাশ করেছিল। তাছাড়া দুর্বল ছাত্রছাত্রীরা আখাউড়ায় ভর্তি হয়। এসব কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারত থেকে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে ফেরার পথে আখাউড়া সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক সবুজ দাস (২২) কে আটক করেছে ২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
আজ ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আব্দুল্লাহপুর নামক স্থান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত সবুজ দাস জেলার নাসিরনগর উপজেলা কুন্ডা ইউনিয়নের ইন্দ্রজিত দাসের ছেলে।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তির জানায়, আখাউড়া ফকিরমোড়া বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ২০২২/১০-এস হতে আনুমানিক ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আব্দুল্লাহপুর নামক স্থান হতে বাংলাদেশী নাগরিক সবুজ দাসকে আটক করা হয়। আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিক সবুজ জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, প্রায় ৪ মাস পূর্বে রাজ মিস্ত্রির কাজের সন্ধানে ভারতের আগরতলায় যায়। পরে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশী মানব পাচারকারী মোঃ নাঈম চৌধুরীর সহায়তায় আখাউড়া আবদুল্লাহপুর এলাকায় অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি কর্তৃক আটক হয়।
আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিককে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং মানব পাচারে সহায়তাকারী মোঃ নাঈম চৌধুরী বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় আবারও আইন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হক।
আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জাতীয় চারনেতা হত্যা মামলার প্রধান কৌশলী। এ ছাড়া, বিডিআর হত্যা মামলা, দুদকের মামলাসহ রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন। ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে পরিচিত আনিসুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
আনিসুল হকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। আনিসুল হকের প্রয়াত পিতা সিরাজুল হক ওরফে বাচ্চু ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন। আনিসুল হকের বাবা-মা দু’জনই মুক্তিযোদ্ধা।