জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নবীনগর, 5 November 2024, 67 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

banner

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান মহাবিদ্যালয়ের প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাইফুল ইসলাম মুরাদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মনজুর আলম, সভাপতি নবীনগর প্রেস ক্লাব শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল, বিটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকারুল হক, সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিউলী কর, উপজেলা কৃষি অফিসারের প্রতিনিধি গৌতম ভৌমিক, সভাপতি বিদ্যাকুট পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোঃ আব্দুর রাজ্জাক খোকা, প্রধান শিক্ষক বিদ্যাকুট পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোঃ ইশা খান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী গ্রামীণ ব্যাংককে উদ্যোক্তার মডেল হিসাবে আখ্যা দিয়ে বলেন নারীরা বিনা জামানতে ঋন নিয়ে আত্মনির্ভশীল হয়েছে। বাংলাদেশে উদ্যোক্তা হওয়ার যে ইতিহাস তা গ্রামীন ব্যাংক হতে সৃষ্ট বলে তিনি মতামত প্রদান করেন।

তিনি আরো বলেন বর্তমান যুগ মোবাইলের যুগ, মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে বাচ্চাদের ব্যাপক শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। তাই আমাদের সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে।

বাচ্চাদের শতভাগ স্কুলে পাঠানের জন্য আহব্বান জানিয়ে রাজীব চৌধুরী বলেন বর্তমান সরকার বছরের প্রথম দিনই সকল শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছে। তাই আমাদের সকলের উচিত বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন অশিক্ষাই সকল অজ্ঞতার মূল। আমরা বর্তমান সমাজে যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি তার মুলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটন করতে চায়, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চাই তাহলে নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।

উক্ত নারী সমাবেশে বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহ ওমাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এসমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকিস্বরুপ।

জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সমাপনী বক্তৃতার মাধ্যমে নারী সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। উক্ত নারী সমাবেশে প্রায় পাঁচশতাধিক নারী উপস্থিত ছিল।

Leave a Reply

আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলন

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি পদে প্রার্থী Read more

নাসিরনগর হানাদার মুক্ত দিবস আজ

চলারপথে রিপোর্ট : ৭ ডিসেম্বর নাসিরনগর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ Read more

বরিশালে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক : আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে নগরীর বান্দ Read more

ভারতের সাথে প্রতিবেশীর মতো সম্পর্ক হবে…

অনলাইন ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই Read more

হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত

অনলাইন ডেস্ক : ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস। হবিগঞ্জে র‌্যালি Read more

মেহেরপুর মুক্ত দিবস পালিত

অনলাইন ডেস্ক : ৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস। দিবসটি উদযাপন Read more

৪৪ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল আটক

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এক বিশেষ অভিযানে Read more

মেহেরপুর মুক্ত দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক : ৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস। এই দিনে Read more

হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক : ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল হবিগঞ্জ Read more

কলাপাড়া মুক্ত দিবস আজ

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ ডিসেম্বর কলাপাড়া মুক্ত দিবস। ১৭৭১ সালের Read more

আখাউড়া মুক্ত দিবস পালিত

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া মুক্ত দিবস। দিবসটি Read more

আজ আখাউড়া মুক্ত দিবস

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ ডিসেম্বর আখাউড়াবাসীর জন্য স্মরণীয় দিন। ১৭৭১ Read more

ডোবায় মিলল নারীর অর্ধগলিত মরদেহ

নবীনগর, 14 December 2023, 652 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার একটি ডোবা থেকে অজ্ঞাত (আনুমানিক ৪০) এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

banner

আজ ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নবীনগর উপজেলার পৌরশহরের মাঝিকাড়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাস জানান, মাঝিকাড়া গ্রামের একটি ডোবায় এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

তিনি আরো জানান, মরদেহটি কয়েকদিন পানিতে থাকার কারণে সারা শরীরে পচন ধরেছে। মরদেহ সনাক্তের জন্য চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪জন গ্রেফতার

কসবা, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 10 November 2024, 140 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

banner

৯ নভেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও নবীনগর উপজেলায় পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো:- সেলিম (৬১), মো. ইসরাইল মিয়া (৫০), মো. হাসান উদ্দিন (৫৩) ও মো. মোরসালিন আহম্মদ চৌধুরী (২৮)।

সেলিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের উলচাপাড়া এলাকার মৃত ছাহেদ আলীর ছেলে। তিনি রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া মো. ইসরাইল মিয়া পৌর শহরের বিরাসার এলাকার মৃত সফর আলীর ছেলে। ইসরাইল মিয়া বিরাসার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

মো. হাসান উদ্দিন নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ৪নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবং আটককৃত মোরসালিন কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার স্বপন চৌধুরী ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বিভিন্ন স্থানের অভিযান পরিচালনা করে দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা ও একজন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম, ইসরাইল এবং ছাত্রলীগ নেতা মোরসালিনকে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা গ্রেফতার করা হয়েছে।

অপরদিকে, নবীনগর থানার ওসি হুমায়ূন কবির বলেন, জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হাসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা ও নাশকতার মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

নবীনগর, 18 February 2023, 1305 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
চরের ফসলি ও খাস জমির উর্বর মাটি কেটে বাল্কহেড দিয়ে মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র।

banner

কৃষকরা ইটভাটার মালিক ও তাদের দালালদের প্রলোভনে পড়ে দেদারসে বিক্রি করছে ফসলি জমির উপরিভাগের (টপ সয়েল) উর্বর মাটি। এতে ফসলি জমির আবাদ
হুমকিতে পড়েছে।

আইন অমান্য করে ক্ষমতাসীন দলের কয়েক প্রভাবশালী নেতা ২৪টি পাওয়ার ট্রলির মাধ্যমে দিনরাত চরের ফসলি জমির মাটি কেটে বড় বড় দুটি বাল্কহেডের মাধ্যমে নিচ্ছে বিভিন্ন জেলার ইটভাটায়।

ব্যক্তি মালিকানা জমির পাশাপাশি চরাঞ্চলের সরকারি খাস জমির মাটিও কেটে নিচ্ছে তারা। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এসব জমির মাটি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ছয় চাকার নম্বরবিহীন পাওয়ার ট্রলির চাপে নষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাঘাট।

শুধু তাই নয়, চর মানিকনগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর তীরে অবৈধভাবে অস্থায়ী ফেরি দিয়ে পল্টুন বানিয়ে বড় বড় মালবাহী বাল্কহেডের মাধ্যমে এসব মাটি চলে যাচ্ছে নরসিংদী, নায়ারণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার ইটভাটায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চর মানিকনগরের চরের ফসলি জমি ও সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কেটে তার পাশেই সদ্য খননকৃত একটি বিশাল পুকুর।

স্থানীয়রা জানান, নিষিদ্ধ ভেকুর সাহায্যে প্রায় দেড় মাস ধরে মাটি কেটে বিভিন্ন ভাটায় নেয়া হয়েছে। এখন তারই পাশে ফসলি জমি থেকে এক্সকেভেটরের সাহায্যে মাটি কেটে নিয়ে গভীর গর্ত করা হচ্ছে।

গত দেড় মাস ধরে ২৪টি পাওয়ার ট্রলির মাধ্যমে মাটি কাটা হচ্ছে, এতে ফসলি জমির আয়তন হ্রাস পাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই মাটিকাটার সঙ্গে জড়িত নাসিরাবাদ গ্রামের সাবেক মেম্বার কাদির, নাসিরাবাদ পুরানপাড়ার জামাল, শ্রীঘর গ্রামের যুবলীগ নেতা আলমগীর, চর মানিকনগর ওসমান মিয়া।

স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ইটভাটার মালিকরা কৃষকদের প্রলোভন দেখিযে দেদার ভেকু মেশিন দিয়ে এসব ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে।

এরপরও স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আইন অনুযায়ী, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী পুকুর, খাল-বিল, নদ-নদী, চরাঞ্চল, পতিত ও আবাদি জমি থেকে মাটি কাটা নিষিদ্ধ।

অন্যদিকে জমির মাটি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ছয় চাকার পাওয়ার ট্রলির চাপে নষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাঘাট।

মাটিকাটার সঙ্গে জড়িত জামাল মিয়া বলেন, আমরা দেড় মাস ধরে মাটি কিনে কেটে নিচ্ছি। সরকারি খাস জমি পাশে হলে আমরা ওই জমি কাটি না। এসব মাটি বিভিন্ন জেলার ইটভাটায় বিক্রি করি ১০ টাকা ফুট হিসেবে।

আমার সঙ্গে অনেক বড় বড় মানুষই এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে, কিন্তু তাদের নাম বলা যাবে না।

মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা তো কৃষকের কাছ থেকে মাটি কিনে ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করছি। এই জমির পাশে হয়তো খাস জমি আছে, এইসব খাসজমি থেকে মাটি না কাটার জন্য ভেকু চালককে বলে দিয়েছি।

এবিষয়ে শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মেহেদী হাসান জালাল মিয়া বলেন, চর মানিকনগর আমার ওয়ার্ডে পড়েছে। মাটি কাটার বিষয়ে আমি শুনেছি।

শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি এখান থেকে কোন টাকা-পয়সাও নেই না, আমি এসবের সঙ্গে জড়িতও না। ওরা মাটি কাটে শুনছি, তবে খাস জমি নাকি মালিকানা জমি থেকে কাটছে জানি না। দুই একদিনের মধ্যে আমি সরজমিনে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।

এ বিষয়ে নবীনগর ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান বলেন, যেহেতু অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নিচ্ছে শুনলাম এখন আমি স্থানীয় তহসিলদারকে পাঠাবো ঘটনাস্থলে। যদি ঘটনা সঠিক হয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন, আমি তো বিষয়টা জানি না। এখনই এ্যাসিল্যান্ডকে বলছি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৩৩ জনকে সাজা

নবীনগর, বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 5 June 2024, 757 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৩৩জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ১০৭ মামলায় ৩লাখ ৮২হাজার ৯শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

banner

আজ ৫ জুন বুধবার জেলার সদর, বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলায় এই জরিমানা আদায় ও সাজা দেয়া হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জেসমিন সুলতানা জানান, বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলা পরিষদ, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ ও নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্বাচনে বিভিন্ন অপরাধের কারণে তিন উপজেলায় ৩৩জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ১০৭ টি মামলায় ৩লাখ ৮২হাজার ৯শত টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬১টি মামলার মধ্যে ৪২ মামলায় ৪২ জনকে ২লাখ ১৭হাজার ৯শত টাকা জরিমানা ও ১৯ মামলায় ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। বিজয়নগর উপজেলায় ২৮টি মামলার মধ্যে ১৮টি মামলায় ১৮ জনকে ৮৩হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ মামলায় ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

নবীনগর উপজেলায় ১৮ টি মামলার মধ্যে ১৪টি মামলায় ১৪ জনকে ৪২হাজার টাকা জরিমানা এবং ৪ মামলায় ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়।

অপরদিকে নবীনগরের কাঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জহির উদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে কেন্দ্রে বসে ভাত খাওয়া প্রিজাইডিং অফিসার এ কে এম রমজান আলীকে প্রত্যাহার করা হয়।

এ ছাড়া বিজয়নগরের মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আটক পোলিং এজেন্টকে ছাড়াতে এলে তল্লাশি করে দুই লাখ টাকা পাওয়া চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোশাহেদ আলীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নবীনগরে ৪৩জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যার ৫৪তম দিবস পালিত

নবীনগর, 10 October 2024, 101 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামে ১৯৭১ সালে ১০ অক্টোবর পাক হানাদার বাহিনী মহান মুক্তিযোদ্ধে ৪৩ জনকে একসাথে নির্মমভাবে হত্যার ৫৪তম দিবস উপলক্ষ্যে এক স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

banner

আজ ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ১নং বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামের আত্নদানকারী শহীদদের স্মরণে গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি আয়োজনে পাগলা নদীর তীরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের ৭১ স্মৃতিসৌধ এবং খারঘর গণকবর জামে মসজিদ ও মাদরাসার সামনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।

খারঘর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্টানে খারঘর গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ ইমরুল কায়েস সুমনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম।

গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ জীবনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর ডা. আসাদুজ্জামান রিফাত, নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু মুছা, নবীনগর থানা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) সজল কান্তি দাস,নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এডভোকেট রেজাউল করিম সবুজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোখলেছুর রহমান, খারঘর যুদ্ধে যুদ্ধাহত রিনা বেগম,সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রজব আলী মোল্লা, বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার, বড়াইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দীন মীর, বড়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার শিকার বাংলাদেশে যতগুলো গণকবর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম খারঘর গণকবর। এটি বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী জায়গা। এই জায়গাটি স্বাধীনতা পরবর্তী অনেকেই ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কাছে এই এলাকা মুক্তিযোদ্ধা ও তরণ প্রজন্মের ও খারঘর গণকবর সংরক্ষণ কমিটির দাবি একটি গণকবর কমপ্লেক্স নির্মাণ ও অবহেলিত ৪৩ জন শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন করা।

বক্তারা আরো বলেন, খারঘর অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রয়েছে যাদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করতে গিয়ে শহীদ ও আহত হয়েছেন। সেই শহীদ ও আহত পরিবার সদস্যদের প্রতি সরকারের মানবিক দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেন।