অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোট ২৭৭ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
৫ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে আজ ৬ নভেম্বর বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় গণনা। ভোটগণনার প্রথম থেকেই ইলেক্টোরাল ভোটের লড়াইয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যখন ম্যাজিক ফিগারের কাছাকাছি, মোট ২৬৭ ইলেকটোরাল ভোটে ভোটে এগিয়ে ছিলেন, তখনই ট্রাম্পের জয় প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হয়।
সব ভোট গণনা শেষের আগেই প্রাথমিক ফলাফল বিশ্লেষণে এ তথ্য জানিয়েছে ফক্স নিউজ। তাদের হিসাব-নিকাশ মতে, আর কোনোভাবেই কমলা হ্যারিসের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
সর্বশেষ খবরে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের প্রাপ্ত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ২৭৭। অপরদিকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬টি ভোট।
দেশটিতে মোট ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। জিততে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে। তা ইতিমধ্যে ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন এবং আরও কিছু রাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজ ভোট তার দখলে যাওয়ার খুব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ট্রাম্পের জয়ের খবরে বিভিন্ন রাজ্যে উৎসবে মেতেছেন তার সমর্থকরা। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের প্রধান কার্যালয় থেকে বিবিসি জানিয়েছে, ফক্স নিউজ যখন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের অনুমান ঘোষণা করছিল তখন হলরুমে উপস্থিত সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। তাদের কান ফাটানো জয়ধ্বনিতে এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনেক সমর্থক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ট্রাম্পের নামে স্লোগান দিতে থাকেন।
অপরদিকে, কমলা এখনও হাল ছাড়ছেন না। তার প্রচারশিবিরের সহসভাপতি সেড্রিক রিচমন্ড বলেন, ‘আমাদের এখনও ভোট গণনা করা বাকি আছে। আমাদের এমন রাজ্য রয়েছে যেগুলোর ফল এখনও নিশ্চিত নয়। আগামীকাল ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাষণ দেবেন।
অনলাইন ডেস্ক:
ছয়দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও নেভেনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল। ফায়ার কর্মীরা চেষ্টা করেও করতে পারছেন না কূলকিনারা। আরো নতুন এলাকায় ছড়াচ্ছে আগুন। মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। এর মধ্যেই লস অ্যাঞ্জেলেসের ওপর দিয়ে যাওয়া ঝোড়ো বাতাসের গতি আরো বাড়তে পারে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। ফলে দাবানল আরো বিস্তৃত হতে পারে।
গত মঙ্গলবার থেকে আলাদা ছয়টি দাবানল লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সেখানে চারটি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে প্যালিসেইডস দাবানল আরও এক হাজার একর এলাকায় ছড়িয়েছে। আগেই এই দাবানলে পুড়েছে ২২ হাজার একর এলাকা। ক্যালিফোর্নিয়ার ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্যালিসেইডস দাবানল মাত্র ১১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের আগুন নেভাবে ক্যালিফোর্নিয়াসহ আশপাশের সাত অঙ্গরাজ্যের ফায়ার কর্মীদের আনা হয়েছে। সহায়তা করছে কানাডা ও মেক্সিকো।
এমন দুর্যোগের মাঝেও থেমে নেই অপরাধ। ফায়ার সার্ভিস কর্মী সেজে লুটপাট চলছে লস অ্যাঞ্জেলেসে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের ক্যাপ্টেন মাইক লরেঞ্জ বলেছে, বাসিন্দাদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়িতে লুটপাটের ঘটনায় অন্তত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য সেজে লুটপাট করছিলেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় শপিং মলের কাছে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সেখানে আগুনের শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা গেছে। আজ ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, স্থানীয় সময় ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়ায় রুজভেল্ট বুলেভার্ড ও কটম্যান অ্যাভিনিউয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কমপক্ষে দুইজন আরোহীসহ বিমানটি একটি শপিং মলের কাছে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থলে ‘বড় ধরনের ঘটনা’ ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে জরুরি ব্যবস্থাপনা কার্যালয়। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেখানে আগুনের শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যায়। এরপর ঘটনাস্থলে দ্রুত জরুরি উদ্ধার কর্মীরা পৌঁছান।
দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরে যায়। বিমানের ধ্বংসাবশেষ একাধিক যানবাহনে আঘাত করেছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানটিতে দুজন আরোহী ছিলেন। তবে স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানটিতে ছয়জন যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিমান বিধ্বস্তের ফলে রুজভেল্ট মলের কাছে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এবং ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নের জন্য কাজ করছে জরুরি উদ্ধারকারীরা।
এরআগে ২৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারের সঙ্গে একটি যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় হেলিকপ্টার ও বিমান উভয়ই বিধ্বস্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হেলিকপ্টার ও বিমানে আরোহীদের ৬৭ জনের সবাই নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীর আকাশ ছেয়ে যায় নানা রঙের ফানুসে। আর এসব ফানুসের কারণে রাজধানীতে চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। ফায়ার সার্ভিস জানায়, এসব আগুনে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ চারটি আগুনের মধ্যে শুধু এক জায়গায়ই ফায়ার সার্ভিসকে কাজ করতে হয়েছে। বাকি তিন জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায়। সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার।
তিনি বলেন, রাত ১২টার পর আমরা রাজধানীর চার জায়গায় ফানুসের কারণে আগুন লেগেছে বলে জানতে পেরেছি। সেই স্থানগুলো হলো- সদরঘাট হকার্স মার্কেটের টিনের ছাদ, লালবাগ মৌলভীবাজার মসজিদের সামনে বিদ্যুতের তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের ছাদ ও মানিকদি বাজারের একটি বাসার ছাদ। এর মধ্যে মানিকদি বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের দুটি ইউনিট ১০-১৫ মিনিট কাজ করেছিল। বাকি তিন জায়গার আমাদের গাড়ি পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভে যায়। রোজিনা আক্তার বলেন, এই চার জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আগুনের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
এর আগে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে ফানুস ওড়ানো না হয় এবং আতশবাজি না ফোটানো হয়ে সে বিষয়ে প্রতিটি থানায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, থার্টি ফার্স্টে উন্মুক্ত স্থানে কোনো আয়োজন করা যাবে না। কোথাও কোনো ডিজে পার্টি হবে না। কোথাও আতশবাজি-পটকা ফুটানো যাবে না, ফানুস ওড়ানো যাবে না। আপনারা জানেন, ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। তাই স্ট্রিক্টলি অনুরোধ করছি যাতে কেউ ফানুস না ওড়ায়। ফানুস ওড়ালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারী বৃষ্টির পর ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার সৃষ্ট হয়েছে। আকস্মিক এই বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়েছে, প্রায় ২৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যে বন্যার কারণে শতাধিক পৌরসভার প্রায় ৩ হাজার ৩০০ জন বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে অনেককেই আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত স্থান পরিদর্শন করবেন তিনি। রাজ্যের গভর্ণর এডুয়ার্ডো লেইট জানিয়েছেন, ওই রাজ্যে ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ বিপর্যয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
আগামী কয়েকদিনে আরো ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টির মধ্যেও নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
ভারী বৃষ্টিতে বেশ কিছু ব্রিজ ভেঙে পড়েছে এবং রাস্তা-ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সূত্র: ফক্স নিউজ, এএফপি
অনলাইন ডেস্ক :
বিদেশি কূটনীতিকদের গাড়িবহরে হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন। কূটনীতিকদের কেউ হতাহত হননি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের নিরাপদে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে ডয়চে ভেলে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ২২ সেপ্টেম্বর রোববার কূটনীতিকরা আফগানিস্তানের সীমনান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের একটি পর্যটন এলাকায় ভ্রমণ করছিলেন। সংশ্লিষ্ট এলাকাটিতে তালেবানদের একটি ঘাঁটি রয়েছে বলে জানা গেছে। ওই গাড়িবহরে ১২টি দেশের কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনেরা ছিলেন। গাড়িবহরটি সোয়াত জেলার মালাম জাব্বায় পর্যটন স্পট এবং পাহাড়ি রাস্তা অতিক্রম করার সময় হামলার শিকার হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং আরো তিনজন আহত হন। সোয়াত জেলার পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদুল্লাহ খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কূটনীতিকদের গাড়িবহর পুলিশ প্রটোকলের মাঝে অবস্থান করছিল, তবে সামনে থাকা পুলিশ ভ্যানটিতে সরাসরি বোমা আঘাত হানে। এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একটি বড় দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
হামলায় হতাহতের বিষয়ে মুহাম্মদ আলি খান বলেন, নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম বুরহান। অন্যদিকে আহতরা হলেন- পুলিশের উপপরিদর্শক সার জামিন, কনস্টেবল হাবিব গুল ও আমানুল্লাহ। ১২টি দেশের কূটনীতিকদের একটি কাফেলা ওই এলাকা পরিদর্শনে বেড়িয়েছিলেন। এই কাফেলায় ছিলেন, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া, পর্তুগাল, কাজাখস্তান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, জিম্বাবুয়ে, রুয়ান্ডা, তুর্কমেনিস্তান, ভিয়েতনাম, ইরান, রাশিয়া এবং তাজিকিস্তানের কূটনীতিকরা। তারা সবাই নিরাপদে ইসলামাবাদে ফিরে আসেন। কূটনীতিকরা পর্যটন, হস্তশিল্প এবং রত্নশিল্পের প্রচারের জন্য স্থানীয় চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেখানে যাচ্ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাফেলাটিকে প্রটোকল দিয়ে নিয়ে যাওয়া স্কাউট পুলিশের গাড়িতে একটি আইইডি বোমা আঘাত হানে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি হামলার নিন্দা করেছেন এবং পুলিশ সদস্যদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
সোয়াত উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থী উগ্র বিদ্রোহীদের কেন্দ্রস্থল। সরকারের সাথে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পরে, ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে সেখানে উগ্রপন্থীরা তাদের হামলা জোরালো করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ২০২৩ সালে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী ঘটনায় প্রায় ৯৩০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা কর্মী। এছাড়া প্রায় ২,০০০ জন আহত হয়েছেন। ইসলামাবাদ-ভিত্তিক পাক ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আগস্টে, উগ্রপন্থীদের টানা দুই দিনের হামলায় কমপক্ষে ৮৪ জন নিহত হয়েছিলেন।