চলারপথে রিপোর্ট :
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান মামলা ও কারাদন্ড দেওয়ার পরও কসবায় বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় কাটা। রাতের আধাঁরে কেটে নেওয়া হচ্ছে পাহাড় ও টিলা ভূমি। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের লতুয়ামুড়া এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে মামুন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে সাত দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এ আদালত পরিচালনা করেছেন প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ইকরামুল হক নাহিদ এবং তৌহিদুল ইসলাম। তাদেরকে সহযোগীতা করেছেন জেলা পুলিশ ও বিজিবি।
কারাদন্ড প্রাপ্ত মো. মামুন মিয়া কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের লতুয়ামুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে গতকাল শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নে পাহাড় রয়েছে। কসবা উপজেলার মাদলা মৌজায় এক দাগেই পাহাড় রয়েছে দুইশ ৩৭ একর। এনিয়ে দুই ইউনিয়নে পাহাড় রয়েছে তিনশ ৭৫ একর। তবে স্থানীয়দের ধারণা ৫০ একরেরও বেশী পরিমান পাহাড় কেটে নেওয়া হয়েছে। এভাবে কাটতে থাকলে এক সময় পাহাড়হীন হয়ে পড়বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র পাহাড় কাটা ও মাটি বিক্রয়ের সাথে জড়িত। তারা প্রকৃতিরখুঁটি পাহাড় ধ্বংস করছে। তাদের সাথে রয়েছে ভূমি অফিসের কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশ।
কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার দায়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মামুন মিয়া নামের একজনকে সাতদিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জহিরুল হক কবির বলেন, পাহাড় কাটার দায়ে কারাদন্ডপ্রাপ্ত মামুন মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় আট বছরের এক শিশুকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে শাহআলম মিয়া (৪০) নামের এক যুবক। শুক্রবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় থানায় ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া শাহআলম মিয়া (৪০) কসবা পৌর শহরেরর বিশারাবাড়ি শালিকপাড়া এলাকার একরাম মেস্তুরের ছেলে। তাকে আজ ২৯ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
পুলিশ ও মামলার এজহার সূত্রে জানাগেছে, শিশুটির বাবা বেচেঁ নেই। মায়ের অনত্র বিয়ে হয়ে গেছে। দাদীর সাথে বসবাস করতেন শিশুটি। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াশুনা করত। শুক্রবার সকালে শিশুটির দাদী অন্য এক জায়গায় গেছেন। ঘরে কেউ নেই। একাই শুয়ে ছিলেন। শাহআলম কৌশলে ওই ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটির সমবসয়ী এক শিশু এসে ঘরের ভিতরে এ ঘটনাটি দেখতে পায় এবং চিৎকার শুরু করে। দুই শিশুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এলে শাহআলম পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির চাচা বাদী হয়ে শাহআলমের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে থানায় একটি ধর্ষণের চেষ্টা মামলা করেছে। রাতেই পুলিশ শাহআলমকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, শিশুটিকে একা ঘরে পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামী শাহআলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না। তাদের রাজনীতি হচ্ছে হত্যা ও মিথ্যার রাজনীতি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, তাদের বিশ্বাস করা যায় না।
আজ ১০ মার্চ শুক্রবার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছোট ভাই আরিফুল হক রনির ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের শাসনামলে দেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি ও মিসকিনের দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন।
এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় কাটা গাছ ক্রেনে করে ট্রাকে ওঠানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাপ্পি (২৫) ও পারভেজ (২৪) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ ৭ জুলাই রোববার দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকাশাইর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুইজনের মধ্যে একজন ক্রেনের চালক এবং অপরজন হেলপার ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, মহাসড়ক প্রসস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। তাই সড়কের পাশে গাছ এরইমধ্যে কাটা শুরু হয়েছে। দুপুরে কাটা গাছের অংশ ক্রেনে করে ট্রাকে ওঠানো হচ্ছিল। এসময় পাশের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তারে ক্রেনটি স্পৃষ্ট হয়। এতে ক্রেনের চালক ও হেলপার মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ফসলি জমির মাটি কাটার অপরাধে দুই ব্যক্তিকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের আলমপুর ও রাজনগর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের আলমপুর ও রাজনগর এলাকায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে করা হচ্ছে। খবর পেয়ে দুুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তৌহিদ আলম (৩৪) ও রিশাদ আলম চৌধুরী (২১)কে আটক করেন। এ সময় ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন এর অধীনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার বলেন, ফসলি জমি সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনো ভাবেই জমির উর্বর মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হবেনা। ফসলি জমির মাটি কাটায় ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে জমির মালিক ও কৃষকেরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১০৩ কেজি গাঁজা ও ২৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রবিবার রাত ১১টার দিকে অভিযানটি চালায় র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের দলটি ভৈরবের নাটালের মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় একটি ট্রাক তল্লাশি চালিয়ে ৫১টি বান্ডিলে মোড়ানো ১০৩ কেজি গাঁজা, ২৯৮ বোতল ফেনসিডিল, নগদ ৫২০০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার জব্দ করে। গ্রেফতার করা হয় ট্রাকে থাকা দুজনকে। তারা হলেন কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার কল্পবাস গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আশিকুল ইসলাম (২৮) ও ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানার দক্ষিণ চর আইচা গ্রামের আবুল কাশেম হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ হাওলাদার (৩১)।
র্যাবের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্কাছ আলী গ্রেফতার দুজনকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করে জানান, তারা মাদকের এই চালানটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থেকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল। দীর্ঘদিন যাবত তারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে ভৈরব থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী মামলা দিয়ে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।