আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে অধ্যাপক এ.কে.এম হারুনুর রশিদের স্মরণ সভা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 8 November 2024, 52 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রয়াত অধ্যাপক এ.কে.এম হারুনুর রশিদের ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

banner

আজ ৮ নভেম্বর শুক্রবার বেলা ১১ টায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে সংগঠনের উপদেষ্টা সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরন সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মনবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর অমৃত লাল সাহা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-আমীন শাহীন, সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সাবেক জেলা আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানা উল্লাহ।

বক্তব্য রাখেন সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কবি আবদুল মান্নান সরকার, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ মোঃ নাসির মিয়া, সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীন আশরাফ।

সংগঠনের সদস্য ফাহিম মুনতাসিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের পরিচালক ও প্রশিক্ষক শারমিন সুলতানা।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সোনালী সকালের সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান সানি।

আলোচনা সভা শেষে অধ্যাপক এ.কে.এম হারুনুর রশীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজ।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস…

চলারপথে রিপোর্ট : ৩৩ তম আন্তর্জাতিক ও ২৬ তম জাতীয় Read more

আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু

চলারপথে রিপোর্ট : ২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন ধান ও চাল সংগ্রহ Read more

সরাইলে ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়ে বাজেয়াপ্ত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ Read more

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ভারতে বাংলাদেশের পতাকার অবমাননা, Read more

সরাইলে জাল টাকার নোটসহ গ্রেফতার ২

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইলে জাল টাকার নোটসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে Read more

নবীনগরে টিকটক বানাতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে টিকটক করতে গিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ Read more

উঠান বৈঠক

চলারপথে রিপোর্ট : জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও সম্প্রচার Read more

আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় ২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন Read more

৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হলো

অনলাইন ডেস্ক : দেশের কল্যাণ, নিরাপত্তা, মুক্তি ও শান্তি কামনা Read more

নাটক থেকে বিদায় নিলেন ফারিয়া শাহরিন

অনলাইন ডেস্ক : ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে Read more

যাকে বিয়ে করতে চান জানালেন ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক : দেশের মডেল ও অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা Read more
ছবি সংগৃহীত

লাখ টাকা আয় চিতই পিঠা বিক্রি…

চলারপথে রিপোর্ট : আব্দুল কাদের চিতই পিঠা বিক্রি করে মাসে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও হয়রানি অভিযোগে মানববন্ধন

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 26 June 2024, 401 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা।

banner

আজ ২৬ জুন বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল হাসান, নিউ মার্কেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জেলার রেস্তোরাঁ ও মিষ্টান্ন ভাণ্ডার প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত ভ্যাট দেয়। কিন্তু ভ্যাট কর্মকর্তা আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বিভিন্ন সময় এমনকি মধ্য রাতেও ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। তাকে টাকা না দিলে ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। ব্যবসায়ীরা দ্রুত এ কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানান। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। তবে ব্যবসায়ীদের করা বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, বিধি মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, গতকাল এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলা দায়ের করেন মো. রাশেদুল হক নামে এক ব্যবসায়ী। আদালত মামলাটি তদন্তে পিবিআইকে আদেশ দেয়।

ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসার’ সবক ও দোয়া অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 6 May 2024, 327 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া টি এ রোডে অবস্থিত ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র ১৪৪৫/৪৬ হিজরি শিক্ষাবর্ষের সবক অনুষ্ঠান উপলক্ষে আজ ৬ মে সোমবার বাদ মাগরিব মাদরাসা মিলনায়তনে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

banner

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ।
ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিচালক মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান এর পরিচালনায় উক্ত দোয়া মাহফিলে আমন্ত্রিত উলামায়ে কেরামদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামীম মাওলানা আখতারুজ্জামান, ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম (রহ:) এর সাহেবজাদা হাফেজ অলি উল্লাহ, জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয়ের পরিচালক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিছ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, মুফতী মারুফ কাসেমী, মুফতী শরিফ উদ্দিন আফতাবী, মুফতী আব্দুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, ফখরে বাঙ্গাল (রহ)’র দৌহিত্র মুফতী রাকিবুল হাসান তাজ, কারী হোসাইন আহমদ প্রমুখ।

ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম (রহঃ) ‘র নামে ” ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা”র সবক অনুষ্ঠানে আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ বলেন, শুধুমাত্র দেহ থাকলেই একজনকে মানুষ বলা যাবে না, মানুষ হওয়ার জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। আর ঐ শিক্ষা-ই একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ গড়তে সহায়তা করে যে শিক্ষা আল্লাহ প্রদত্ত, অর্থাৎ এলমে ওহী তথা কুরআনী শিক্ষা।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়, তবে সে শিক্ষা হলো কুরআনের শিক্ষা। কুরআনের শিক্ষা ছাড়া অন্যান্য শিক্ষা একজন মানুষের জন্য মেরুদণ্ড না হয়ে মৃত্যুদন্ড হয়ে দাঁড়ায়।
মুফতী মুবারকুল্লাহ ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা থেকে যেন উম্মতের আগামী প্রজন্মের পথপ্রদর্শক তৈরি হয়ে দেশ জাতি মুসলিম মিল্লাতের ঈমাণ আমলের হেফাজতে ভূমিকা পালন করতে পারে সেদিক খেয়াল রেখেই ছাত্রদের লেখাপড়ার পাশাপাশি আমল আখলাকের প্রতি সচেতন থাকার জন্য মাদরাসার দায়িত্বশীলদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

এলেম আমল ও উন্নত চরিত্র গঠনের মাধ্যমে আদর্শ ও সুনাগরিক তৈরি করতে ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে অন্যান্য অতিথিবৃন্দগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরিশেষে মাদরাসার উন্নতি কল্পে মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট বিশেষ দোয়া করা হয়।

উক্ত দোয়া মাহফিলে উলামায়ে কেরাম, সাংবাদিকবৃন্দ সহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

কাজীপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির ১৬তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন সমাপ্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 25 December 2022, 1275 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাজীপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ১৬তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন সমাপ্ত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই মহাসম্মেলন শনিবার রাতে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। ইসলামী মহাসম্মেলনে বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ ফরহাদ উদ্দিন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রথম দিন গত বৃহস্পতিবার রাতে আল্লাহর ভয় ইসলামের আদর্শ ও সমাজ ব্যবস্থার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ভারত থেকে আগত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাচ্ছিরে কুরআন আল্লামা ডঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাকা লালজান শাহী জামে মসজিদের খতিব ও আলোচক এনটিভি মাইটিভি, বিজয় টিভির ইসলামিক ভাষ্যকার হযরত মাওঃ ক্বারী আব্দুল কাইয়ুম মিয়াজী যুক্তিবাদী, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ পীরে কামেল জামিয়া ইউনুছিয়ার শিক্ষাসচিব আল্লামা মুফতি শামসুল হক সরাইলী। দ্বিতীয় দিন গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মৃত্যুর যন্ত্রণা ও কবরের আযাবের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন- ঢাকা কেরানীগঞ্জ জামিয়া রহমানিয়া সামসুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল হযরত মাওঃ মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী, কুমিল্লা খলিলপুর শাহী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওঃ আহসানুল হক শাহীন শরাফতী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামে মসজিদের খতিব ও জেলা ঈদগাহ মাঠের ইমাম হযরত মাওঃ ছিবগাতুল্লাহ নূর। সম্মেলনের শেষ দিনে গত শনিবার রাতে নামাজের গুরুত্ব ও পিতা-মাতার হক, মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাজ ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মোফাচ্ছিরে কুরআন বরেণ্য আলেমে দ্বীন শাইখুল হাদিস জৈনপুরী পীর আল্লামা সাইয়্যেদ মুফতি ডঃ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সিদ্দিকী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া দারুল আরকাম ও শাইখুল হাদিস জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মহা-পরিচালক আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান এবং বাংলাদেশে তাহরেকী খতমে নবুওয়্যতের প্রচার সম্পাদক হযরত মাওঃ এনামুল হক আজাদী প্রমুখ।
ইসলামিক সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাজীপাড়া ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাংবাদিক মীর মোঃ শাহীন। মাহফিল পরিচালনায় ছিলেন- কাজীপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোঃ কিতাব আলী মিয়া সরদার, সাধারণ সম্পাদক, খন্দকার শাহ নেওয়াজ, হাফেজ মাওঃ ইদ্রিস, হাফেজ মাওঃ নুরুল ইসলাম, মাওঃ সৈয়দ আশরাফুল রহমান আসাদী।
ইসলামিক মহাসম্মেলনে হাজারো মানুষের ঢল দেশ ও জাতির কল্যাণে সারাদেশের কবরবাসীসহ কাজীপাড়ার কবরবাসীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় মা-বাবাকে স্মরণ করে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত হয়।

জমে উঠেছে পশুর হাট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 26 June 2023, 903 Views,

পবিত্র ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। জেলার ৯টি উপজেলায় বসেছে ৭১টি পশুর হাট। ইতিমধ্যেই এসব হাটে বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। তবে ক্রেতারা জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর গবাদি পশুর দাম একটু বেশী।

banner

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কোরবানীর হাটে বিক্রির জন্য জেলার ১৩ হাজার ৮৯১ টি খামারে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৬৬টি গবাদি পশু লালন-পালন করা হয়। তবে জেলায় কোরবানীর জন্য গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার। চাহিদার তুলনায় কম রয়েছে ২০ হাজার গবাদি পশু।

তবে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডাঃ কাজী নজরুল ইসলাম জানান, চাহিদার তুলনায় গবাদি পশু কম থাকলেও কোন সমস্যা হবেনা। কারন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জেলা থেকে ২০/২৫ হাজার গবাদি পশু আমদানি করবেন।

এছাড়াও জেলায় বহু কৃষক পরিবারে কোরবানীর হাটে বিক্রির জন্য ২/৩টি করে গবাদি পশু লালন-পালন করছেন। যার জন্য জেলায় কোরবানীর পশু নিয়ে কোন সমস্যা হবেনা। তিনি বলেন, এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার গবাদি পশু কেনা বেচা হবে বলে আশা করছি।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য মতে জেলার ১৩ হাজার ৮৯১ টি খামারে মধ্যে সদর উপজেলায় ৪১০৬টি খামার, সরাইল উপজেলায় ৯৬৬টি, আখাউড়া উপজেলায় ৬৭৪টি, কসবা উপজেলায় ২১৩৬টি, নাসিরনগর উপজেলায় ১৬০৭টি, নবীনগর উপজেলায় ১৫৯৫টি, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১২৫০টি, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৯৩৭টি ও বিজয়নগর উপজেলায় ৬২০টি খামার রয়েছে।

এসব খামারে কোরবানীর হাটে বিক্রির জন্য ৫২০৭৭টি ষাঁড়, ১৯১৯৫টি বলদ, ১৭৬৮৪টি গাভী, ১২২১৩টি মহিষ, ১৩৫৮৮টি ছাগল, ৫৯০৭টি ভেড়া, অন্যান্য ৩২টি লালন-পালন করা হয়। এছাড়াও অনেক কৃষক পরিবারেই কোরবানীর হাটে বিক্রির জন্য ২/৩টি করে গবাদি পশু লালন-পালন করছেন।

এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন উপজেলায় কোরবানীর হাট বসছে ৭১টি। এইসব হাটের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পৌরসভার ১টিসহ মোট ৫টি, সরাইল উপজেলায় ৯টি, নাসিরনগর উপজেলায় ৯টি, আখাউড়া উপজেলায় ৫টি, কসবা উপজেলায় ১১টি, নবীনগর উপজেলায় ১৩টি, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৫টি, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৬টি ও বিজয়নগর উপজেলায় বসবে ৮টি কোরবানীর হাট।

এসব হাটে কাজ করবে ৫৩টি মেডিকেল টীম। এর মধ্যে সদর উপজেলায় কাজ করবে ৬টা, সরাইল উপজেলায় কাজ করবে ৪টা, নাসিরনগর উপজেলায় কাজ করবে ৯টা, আখাউড়া উপজেলায় কাজ করবে ৫টা, কসবা উপজেলায় কাজ করবে ৩টা, বাঞ্চারামপুর উপজেলা কাজ করবে ৫টা, আশুগঞ্জ উপজেলায় কাজ করবে ৬টা, বিজয়নগর উপজেলায় কাজ করবে ২টা টীম।

সরজমিনে কয়েকটি খামারে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে খামারের মালিক- কর্মচারিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। খামারিরা রুটিন মাফিক গবাদি পশুর পরিচর্যা করছেন। প্রতিটি খামারেই কাজ করছে ৮/১০জন শ্রমিক। গবাদি পশুকে গোসল করানো, খাবার দেয়াসহ গবাদি পশুর গোবর পরিষ্কার করেন তারা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের নয়নপুর এলাকার রূপচান্দ বিবি ডেইরি খামারে গিয়ে দেখা যায় ওই খামারে কোরবানীর জন্য শতাধিক দেশীয় গরু লালন-পালন করা হচ্ছে।

খামারের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর আমরা দেড় শতাধিক গরু লালন-পালন করেছিলাম। গত বছর ৩০টি গরু বিক্রি করতে পানিনি। গত বছরের থাকা ৩০টি গরুসহ এই বছর শতাধিক গরু লালন-পালন করেছি। সবগুলোই দেশীয় জাতের। প্রতিদিন গরুগুলোকে ২/৩বার করে মোটরের পানি দিয়ে গোসল করাই। গরুর যাতে গরম না লাগে সেজন্য ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে খামারে। গরুগুলোকে স্বাভাবিক খাওয়ার দেয়া হয়। বেশীর ভাগ সময় দেয়া হয় ঘাস।

তিনি বলেন, এ বছর গুরুর খাবার ও ঔষধপত্রসহ সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। তাই গত বছরের চেয়ে এ বছর প্রতি গরুতে ২০/২৫ হাজার টাকা বেশী খরছ হয়েছে। আশা করি এই আমাদের সবগুলো গরু বিক্রি হবে, দামও ভাল পাবো।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের গোকর্ণঘাটের নিউ প্রিন্স ডেইরী খামারে কোরবানীর জন্য ২৬০টি গরু লালন-পালন করা হয়। ইতিমধ্যেই তারা ৩০ টি গরু বিক্রি করে ফেলেছেন। এই খামারে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা ও সর্বনিম্ন দেড় লাখ টাকা মূল্যের গরু রয়েছে।

খামারের মালিক মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, ২৬০টি গরুর মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩০ গরু বিক্রি করে দিয়েছি। ঢাকা, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা খামারে এসে গরু কিনে নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, খামারের বড় গরুটা ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। খামারে ১৮জন শ্রমিক কাজ করে। তিনি বলেন, এই বছর প্রতি গরু ১০-১৫ হাজার টাকা বেশী দিয়ে কিনতে হয়েছে। এছাড়াও এ বছর গবাদি পশুর খাবার ও ঔষুধপত্রের দাম বেশী। তিনি বলেন আশা করি ভারত থেকে গরু না আসলে আমাদের ব্যবসা ভালো হবে।

এ ব্যাপারে খান এগ্রো ডেইরি ফার্মের কর্ণধার ও জেলা ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ সাইফুদ্দিন খান শুভ্র জানান, জেলায় প্রায় ১৩ হাজার ৮শত খামারি রয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বাড়াতে গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, দানাদার খাবারের পরিবর্তে, গো-খাদ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়াতে পারলে গরুর দাম অনেক কমে যাবে।

তিনি বলেন, এ বছর তার খামারে বিক্রির জন্য ১০৭টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি খামার থেকেই গরু বিক্রি করি। তিনি বলেন, ভারত থেকে চোরাইপথে গরু না আসলে স্থানীয় খামারীরা লাভবান হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডাঃ কাজী নজরুল ইসলাম জানান, চাহিদার তুলনায় গবাদি পশু কম থাকলেও কোন সমস্যা হবেনা। কারন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জেলা থেকে ২০/২৫ হাজার গবাদি পশু আমদানি করবেন। এছাড়াও জেলায় বহু কৃষক পরিবারে কোরবানীর হাটে বিক্রির জন্য ২/৩টি করে গবাদি পশু লালন-পালন করছেন। এতে জেলার চাহিদা পূরণ হবে। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার গবাদি পশু বিক্রি করা হবে বলে আশা করছি।

প্রথম দিনেই মহাসড়কের পাশে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 28 December 2022, 1250 Views,

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান শুরু

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কের পাশে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিনে গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় পৌর এলাকার মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শহরতলীর ঘাটুরা পর্যন্ত কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উভয়পাশের প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ডেইজী রায়সহ সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সওজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শহরের মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সদর উপজেলার ঘাটুরা পর্যন্ত কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উভয়পাশে অবৈধভাবে কাঁচা-পাকা স্থাপনা নির্মান করে নিজেরা ব্যবসা-বাণিজ্য ও দোকানঘর ভাড়া দিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এসব অবৈধ স্থাপনা নিজেদের উদ্যোগে সরিয়ে নিতে সওজের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে মাইকিং করা হয়। কিন্তু কেউই অবৈধ স্থাপনা ছাড়তে চাননি। ফলে বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঘাটুরা পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত করা ২২০টি স্থাপনার মধ্যে অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযান সম্পর্কে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিপুল পরিমান সরকারী সম্পত্তি বেহাত হয়ে অবৈধ দখলদারদের জিম্মায় ছিল। দখল হওয়া সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের লক্ষ্যেই এই উচ্ছেদ অভিযান। তিনি বলেন, মেড্ডা বাসষ্ট্যান্ড থেকে ঘাটুরা পর্যন্ত মোট ২২০টি স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাকী স্থাপনা গুলো উচ্ছেদ করা হবে। তিনি বলেন, এতে মোট ১৭৮ শতাংশ সরকারি ভূমি অবৈধ দখলমুক্ত হবে। উচ্ছেদ মুক্ত হওয়ার পর সড়কটি ফোরলেনে উন্নীত করার প্রস্তাবনা দেয়া হবে।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারি কমিশনার গোলাম মোস্তফা মুন্না বলেন, চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়ক ফোরলেনে উন্নীত করার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। শান্তিপূর্নভাবেই এই অভিযান চলছে। এর মধ্যে কিছু স্থাপনার দখলদার মহামান্য হাইকোর্টের কাগজ দেখিয়েছেন। আজকের মধ্যে সেই সকল কাগজপত্র যাচাই করা হবে। যদি মামলার কাগজ সঠিক থাকে তাহলে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে। আর যদি কাগজ ঠিক না থাকে তাহলে আমরা উচ্ছেদ করবো।

 

banner