চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত। অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সেলিম পারভেজ সভাপতি ও সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
৮ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে পরষ্পর সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠত হয়।
নির্বাচনে ক্লাবের মোট ২৩ জন সদস্যদের মধ্যে ২১ জন সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে সভাপতি পদে সেলিম পারভেজ ১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক পেয়েছেন ৫ ভোট, আক্তারুজ্জামান কোন ভোট পাননি। সাধারণ সম্পাদক পদে সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু ১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি আবু আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ৮ ভোট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে লোকমান হোসেন ১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাসান জাবেদ পেয়েছেন ৭ ভোট। অর্থ সম্পাদক পদে আফসার নিয়াজ ১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জহির শিকদার পেয়েছেন ১০ ভোট।
ভোট গ্রহণ শেষে ক্লাবের কার্যকরি পরিষদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সৈয়দ রাফি উদ্দিন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ সময় অন্য কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মোঃ হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি পদে আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নিতাই চন্দ্র ভৌমিক, দপ্তর সম্পাদক পদে বাবুল শিকদার, পাঠাগার ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে সন্তোষ চন্দ্র সূত্রধর, কার্যকরি পরিষদ সদস্য-১ পদে আল মামুন ও কার্যকরি পরিষদ-২ পদে শফিকুল ইসলামকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গভীর রাতে পথে পথে ঘুরে পথচারী, অসহায় দরিদ্র রোজাদারদের মাঝে সেহেরি খাওয়ার জন্য রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন মানবিক আশুগঞ্জ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের একদল তরুণ। তাদের নিজস্ব অর্থায়ণে রান্না করা খাবারের প্যাকেট নিয়ে সংগঠনের তরুণ সদস্যরা প্রতিদিন গভীর রাতে ছুটে যায় রেল স্টেশন, বাস স্টেশনসহ উপজেলা শহরের বিভিন্ন অলিতে গলিতে। এইসব স্থানে ঘুমিয়ে থাকা পথচারী, নৈশ প্রহরীসহ অসহায় দরিদ্র মানুষ গুলোকে ঘুম থেকে জাগিয়ে সেহেরি খাওয়ার জন্য তুলে দেয়া হচ্ছে রান্না করা খাবারের প্যাকেট।পুরো রমজান মাসই চলবে এই সেহেরি বিতরণ কার্যক্রম।
আজ ২০ মার্চ বুধবার ভোর রাতে সেহেরিতে রান্না করা খাবারের প্যাকেট বিতরণ আয়োজনে মানবিক আশুগঞ্জের তরুণদের সাথে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক সেলিম পারভেজ। এসময় আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংগঠনের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেনসহ মানবিক আশুগঞ্জের অর্ধশতাধীক তরুণ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। মানবিক আশুগঞ্জ এর’ পথে পথে ঘুরি,সেহেরি বিতরণ করি, কর্মসূচির অংশ হিসেরে বুধবার ভোর রাতে রেল স্টেশন, বাস স্টেশনসহ উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে দুই শতাধীক পথচারী,নৈশ প্রহরীসহ অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে রান্না করা খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়।
মানবিক আশুগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আলাউদ্দিন আহম্মেদ জানান ২০১৯ সালে ৭০জন তরুণ সদস্য নিয়ে সংগঠনটি মানবিক কর্ল্যাণে কাজ শুরু করে। গত ৫ বছর যাবত নিজস্ব অর্থায়ণে প্রতি রমজান মাসে প্রতিদিন রাতে সেহেরি বিতরণ কার্যক্রম, সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের সহায়তা প্রদানসহ মানব কল্যাণে বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ নিয়েছে। বর্তমানে সংগঠনে ২ শতাধীক সেচ্ছাসেবী তরুণ সদস্য রয়েছে। মানব কল্যাণে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ বলেন আজকে যেখানে তরুণ সমাজ মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে সেখানে মানব কল্যাণে কাজ করছে মানবিক আশুগঞ্জের তরুণরা। তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। এই তরুণরা উপজেলার মুখ উজ্জল করেছে। তিনি উপজেলা তথা দেশের সকল অর্থ ও বিত্তবানদেরকে মানবিক আশুগঞ্জের এই তরুণদের পাশে দাড়ানো আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে সাধারণ চালের বস্তায় মিনিকেট লিখে প্রতারণা করার দায়ে একটি চাতাল কলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল মোড়কীকরণ, অস্বাভাবিক চালের মজুদ এবং মিলগেট মূল্য তালিকা সম্বলিত সীল না থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
৬ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করেন খাদ্য অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার একাধিক চাতাল কলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রামিম পাঠান জানান, আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় অবস্থিত সেবা রাইস মিল নামক প্রতিষ্ঠানে অস্বাভাবিক চালের মজুদের পাশাপাশি বিআর-২৮ চালের বস্তায় মিনিকেট লিখে পাটের বদলে প্লাস্টিক বস্তায় মোড়কজাত করতে দেখা যায়। এছাড়া মিলগেট মূল্য তালিকা সম্বলিত সীল না থাকা এবং ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করার বিষয়টিও ধরা পড়ে। এসব অসঙ্গতি ধরা পড়ার পর ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সরকারের প্রচলিত আইন মেনে ব্যবসা করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভীর নেতৃত্বে খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রামিম পাঠান, কনজুমার্স অ্যাসোসিয়শন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সেক্রেটারি শাহীন আলম, ছাত্র প্রতিনিধি সিয়াম আফ্রিদিসহ আশুগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার ভূঞার মৃত্যুর পর গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় উপ-নির্বাচন। ওই নির্বাচনে শাহজাহান আলম সাজু নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। তিনি ১৫ নভেম্বর এমপি হিসেবে শপথ নেন। একইদিন সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তাই শপথ নেওয়ার পরও তিনি সংসদের কোনো অধিবেশনে যোগদান করতে পারেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার উদ্যোগে আজ ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আশুগঞ্জ রেলগেইট এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মাওলানা আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাওলানা শোয়েব আহমেদ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আরমান হোসাইন, মাওলানা মাহামুদুল হাসান, মাওলানা ফাহিম আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইসকন একটি জঙ্গি সংগঠন। এই জঙ্গি সংগঠনকে বাংলাদেশে অচিরেই নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে এদেশের ছাত্র-জনতা। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট আমাদের আবেদন যেন দ্রুত এই জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রাম। নদী ভিত্তিক গ্রাম হওয়ায় সবসময় এখানে ধরা পরে দেশী প্রজাতির মাছ। আর এই মাছ দিয়েই গ্রামটিতে উৎপাদন হয় শুঁটকি। নদীর তীরবর্তী স্থানে আট-দশ ফুট উঁচু বাঁশের মাচা বানিয়ে চলে এই শুঁটকির ব্যবসা। প্রতিবছর এখানে আনুমানিক ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকার শুঁটকি বিক্রি হয়ে থাকে। তবে এই মৌসুমে নদীতে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বিক্রি কমার শঙ্কা ব্যবসায়ীদের। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও আর সহজশর্তে ঋণ পেলে শুঁটকি ব্যবসা আরও সম্প্রসারণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, আশুগঞ্জের লালপুর গ্রামের এই মেঘনা পাড়ের শুঁটকি ব্যবসা শত বছরে ঐতিহ্য। এই শুঁটকি পল্লিতে বর্তমানে ২৬টি মাচা রয়েছে, যেটাকে স্থানীয় লোকজন বলেন ডাঙ্গি। তাদের দাবি, গোটা গ্রামে ছোট-বড় মিলিয়ে ৭০ থেকে ৮০টি ডাঙ্গি রয়েছে। এসব ডাঙ্গিতে সময়ভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ শ্রমিক কাজ করেন। ২০ আড়তদারসহ প্রায় ১৫০ জন এখানে শুঁটকির ব্যবসা করেন। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শুঁটকি উৎপাদনের কাজ চলে। লবণযুক্ত ও লবণ ছাড়া মানভেদে কয়েক ধরনের শুঁটকি উৎপাদন হয় এই পল্লিতে।
যে-সব মাছের শুঁটকি করা হয়- পুঁটি, শোল, গজার, বোয়াল, ঘইন্না, টেংরা, চাপিলা, লাসু, পাঙাশ, রুই, গজার, শোল, পাবদা, কাইক্কা, পুঠা মাছ। গুণে মানে ভালো ও সুস্বাদু হওয়ায় লালপুরের শুঁটকি ঢাকা, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ও ভারতসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদী থেকে মাছ ধরে জেলেরা এনে যার যার ডাঙ্গির নিচে রাখে। তারপর সেখানকার মহিলারা বসে পরে মাছ কুটা-কুটিতে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা নয়, শিশু-কিশোরেরাও এসে তাদের অভিভাবককে সহযোগিতা করে। তারপর এগুলো কেটে সেই বাঁশের তৈরি মাচার ওপর দেওয়া হয় শুকাতে। পরে সেই মাছগুলো কয়েকদিন ধরে শুকিয়ে তৈরি হয় শুঁটকি। তারপর এগুলো সংরক্ষণ করে বাজারজাত করা হয়।
শুঁটকি ব্যবসায়ী সুকমল দাস জানান, তিন কেজি মাছ থেকে এক কেজি লবণযুক্ত ও পৌনে চার কেজি মাছ থেকে এক কেজি লবণ ছাড়া শুঁটকি হয়। প্রতি কেজি লবণযুক্ত পুঁটি শুঁটকির পাইকারি দাম ৬০০ টাকা ও লবণ ছাড়া প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে পুঁটি শুঁটকি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হয়। তাছাড়া শোল ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাইম ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা, গনিয়া ৮০০ টাকা, মাঝারি গনিয়া ৬০০ টাকা ও ছোট গনিয়া শুঁটকি ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়।
তবে চাহিদা অনুযায়ী নদীতে মাছ না পাওয়ায় উর্ধ্বমুখী মাছের দাম। তাই মানভেদে শুটকির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়বে বলে জানিয়েছে সুকমল দাস।
ব্যবসায়ী তপন দাস বলেন, এ মৌসুমে মাছের দাম চড়া। তাই ব্যবসার লাভের জন্য শুটকির দামও বাড়াতে হবে। ব্যাংক থেকে ঋণ না পাওয়ায় বিভিন্ন সমিতি ও এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে। ফলে লাভের বড় অংশ তুলে দিতে হচ্ছে সমিতি ও এনজিওর হাতে।
ব্যবসায়ী লিটন চন্দ্র দাস জানান, গত ৫ বছর ধরে তিনি শুঁটকি উৎপাদন ও বিক্রি করছেন। তার ডাঙ্গিতে পুঁটি, বাইম ও চাপিলা শুকটি চাষ করেন তিনি। তবে মাছ সংকট ও অতিরিক্ত দামের কারণে উৎপাদন কমে এসেছে। আর যতটুকুই উৎপাদন হবে তা আগের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাড়াতে হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাজী আব্দুল কাইয়ূম খাদেম জানান, শুঁটকি পল্লির ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণের সুবিধা রয়েছে। তারা জামানত ছাড়াই সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা নিতে পারবে।
এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, নদী ও খালবিলে পানি কম থাকায় এবার মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদন ও সংরক্ষণে শ্রমিক-ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।