চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোহনা টেলিভিশনের ১৫ বছর পদার্পন উপলক্ষে আজ ১১ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব কার্যালয়ে মোহনা টেলিভিশন দর্শক ফোরামের আয়োজনে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে ও মোহনা টেলিভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহজাদা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া এসোসিয়েশনের সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন শাহীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদেকুর রহমান, আ. ফ. ম কাউসার এমরান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু, সাবেক সহ সভাপতি শেখ সহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম খান সাদাত, সৈয়দ মোঃ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আশিকুল ইসলাম, নব নির্বাচিত সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন রুমি প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক এইচ এম সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুজিবুর রহমান খান, দৈনিক ইস্টার্নমিডিয়ার সম্পাদক ও প্রকাশক নজরুল ইসলাম বিল্লাল, দৈনিক আজকের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক আবু নাসের রতন, গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান, আরটিভি’র জেলা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান পায়েল, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আশিক মান্নান হিমেল, দৈনিক প্রজাবন্ধু’র নির্বাহী সম্পাদক আবুল হাসনাত সাবেরিন মোঃ লিটন, দৈনিক দিনদর্পণ’র জেনারেল ম্যানেজার হুমায়ুন কবির প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা মোহনা টেলিভিশনের উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আলোচনা সভাশেষে কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তুকি মূল্যে নিম্ন আয়ের লোকজনের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে। আজ ১৩ আগস্ট রবিবার সদর উপজেলা পরিষদ চত্তরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি করে মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পৌর এলাকার ৪৯৫২টি পরিবারসহ সদর উপজেলায় ১৬৬১৮ জন নিম্ন আয়ের লোকের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এই পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
রবিবার পৌর এলাকার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, মেড্ডা কালভৈরব, আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়।
টিসিবির পণ্য বিক্রয় উদ্বোধনকালে সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন, ট্যাগ অফিসার মোঃ ইয়াসিন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার মাস ধরে নেই শিশু-কিশোর ও নারীদের ইপিআই টিকা প্রদানের কার্ড। ফটোকপি করে চালানো হচ্ছে কার্যক্রম। এ নিয়ে ভবিষ্যতে নানা ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কায় অভিভাবকরা।
জানা যায়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএমএ ভবনের নিচতলায় অবস্থিত ইপিআই টিকা দান কেন্দ্র। এই ইপিআই কেন্দ্র থেকে ১৫ মাস পর্যন্ত শিশুদের বিসিজি, ওপিভি, পেন্টাভ্যালেন্ট, পিসিবি, এমআর ভ্যাকসিন, আইপিভি, হামের দেওয়া হয়। এছাড়া মেয়েদের টিটি টিকা এবং এমআর টিকা দেওয়া হয়। এ কেন্দ্রে জেলা সদরসহ আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক শিশু, কিশোর ও নারীরা টিকা দিতে আসেন। এই কেন্দ্রে শিশুদের সপ্তাহে ৬দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াই পর্যন্ত এই টিকা দেওয়া হয়। কিন্তু চার মাস ধরে এ কেন্দ্রে টিকা দিতে আসা সেবা প্রার্থীরা ইপিআই কার্ড হাতে পাচ্ছে না৷ টিকা দিতে হচ্ছে কার্ডের হচ্ছে ফটোকপি দিয়ে।
আবু হানিফ নামের অভিভাবক বলেন, আমার শিশুকে এই প্রথম টিকা দিতে এসেছি। কিন্তু টিকা কার্ড দিয়েছে ফটোকপি করা। বয়স ১৫ মাস হওয়া পর্যন্ত এই কার্ড দিয়েই টিকা দিতে হবে। ফটোকপি করা কার্ড কি ১৫ মাস টিকবে? এমনকি ভবিষ্যতে শিক্ষাক্ষেত্র, বিদেশ গমন, জন্মনিবন্ধনসহ নানা ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
শরিফা বেগম নামের একজন বলেন, এই টিকা কার্ড তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফটোকপি যে দিচ্ছে তা কি থাকবে? নষ্ট হয়ে গেলে তো অনেক দুর্ভোগে পড়তে হবে।
এ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্সরা বলেন, টিকা কার্ড দিতে না পারায় প্রায় সময়ই অভিভাবকরা আমাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। অনেক সময় বাগ-বিতণ্ডা থেকে চরম আকার ধারণ করে।
এই কেন্দ্রের সুপারভাইজার মমিনুল ইসলাম বলেন, কার্ড না থাকার বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জানুয়ারির আগে কার্ড পাওয়া যাবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরামউল্লাহ বলেন, বেশ কয়েক জায়গা থেকে টিকা কার্ড সংকটের তথ্য পেয়েছি৷ আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। অচিরেই এই কার্ড মিলবে বলে প্রত্যাশা করছি। তখন আর এই সমস্যা থাকবে না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা এতে বাসুদেব ইউনিয়ন শাখার ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির গঠন ও অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি’র সদর উপজেলা শাখা কমিটির আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন ও সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর হোসেনের দলীয় তিনটি প্যাডে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি অনুমোদনে স্বাক্ষর দেওয়া হয়।
বাসুদেব ইউনিয়ন কমিটিতে কাজী আবুল খায়েরকে সভাপতি, মোঃ মুহিত উল্লাহ মোল্লা মানিক কে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মোঃ জয়নাল আবেদিন ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক, মোঃ মুহিউদ্দিন ভূঁইয়া মুক্তাকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোঃ সুমন ভূঁইয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক (১) ও মোঃ কামাল খাঁনকে সাংগঠনিক সম্পাদক (২) মনোনীত করা হয়।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন। তিনি আশা করেন সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এই বাসুদেব ইউনিয়ন কমিটি কেন্দ্র এবং জেলা সদর কমিটির সাথে সমন্বয় রেখে বিএনপি’র সকল কর্মসূচিকে বেগবান করে তুলবেন।
বাসুদেব ইউনিয়ন বিএনপিকে একটি যোগ্য নেতৃত্ব এবং শক্তিশালী গ্রহণযোগ্য কমিটি উপহার দেওয়ায় নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামল, আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন ভাই ও সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন কে ধন্যবাদ জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ১২ দফা দাবিতে আজ ১১ আগস্ট রবিবার দুপুরে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা কলেজের উপাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক হামজা মাহমুদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ, কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো লিখিতভাবে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে জমা দেন। বিষয়টি নিয়ে কলেজের সকল শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করেন কলেজের অধ্যক্ষ।
দাবিগুলো হলো-ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে সকল প্রকার রাজনীতি কলেজে নিষিদ্ধ করতে হবে, শিক্ষকরাও ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না এবং কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডাসহ কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পালিত হবে না। ক্লাসের মানোন্নয়নসহ শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যবই পৌঁছাতে পারছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। শেণিকক্ষে পড়ানো সিলেবাসের বিষয়বস্তর উপর পরীক্ষা নিতে হবে এবং হুটহাট নোটিশে বা শ্রেণিকক্ষে ঘোষণা দিয়ে চাপানো যাবে না। শ্রেণি পরীক্ষা, অর্ধবার্ষিকী ও বাৎসরিক পরীক্ষা খাতা মূল্যায়নের পর নম্বরপত্রে নম্বর তুলে নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং মূল্যায়নের ধরণের জবাবদিহিতা শিক্ষকদের দিতে হবে। পরিকল্পিতভাবে ব্যবহারিক ক্লাসের সময় নির্ধারণসহ মানোন্নয়ন করতে হবে। কলেজে ধর্মপালন, হিজাব বা নিকাব পরিধানে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না এবং কোনো প্রকার কটুক্তি, অপমানমূলক কথা বা ইঙ্গিত কোনো শিক্ষক দিতে পারবে না। এমন হলে সেই শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতসহ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্মপালনে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না, সকল শিক্ষককে লিখিতভাবে এই বিবৃতি দিতে হবে এবং কলেজের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বাড়াতে হবে। প্রত্যেক শ্রেণিতে মনিটর নিয়োগ দেয়াসহ শিক্ষকরা কিভাবে পাঠদান করাচ্ছেন সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে রিপোর্ট করবেন। শ্রেণিকক্ষের উন্নয়নসহ শিক্ষার্থীদের দ্বারা শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রমে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভূক্তি বাড়াতে হবে। পড়াশোনায় প্রায় এক মাসের ক্ষতি হওয়ায় একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা বাতিলসহ সবাইকে অবিলম্বে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে দ্বিতীয় বর্ষের পাঠদান শুরু করতে হবে।
আন্দোলন চলাকালীন কলেজের উপাধ্যক্ষ নিজের ফেসবুকের মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে সম্বোধন করেছিল। তাই উপাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। এবিষয়ে কলেজের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে হবে। মেয়েদের সঙ্গে অশোভন আচরণসহ নানা রকম অভিযোগ থাকায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ বা বদলির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ. জেড. এম. আরিফ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন। শিক্ষকদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কলেজের উপাধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলে সম্প্রদায়ের দাবির মুখে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সীতানগরের কাজলা বিলের প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবৈধ দখলবাজদের দেয়া বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে।
আজ ৩ জুলাই সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মোঃ মোশারফ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ বাঁধটি অপসারণ করেন।
এ সময় প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়ার অপরাধে দখলদার কিলন মিয়াকে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দীর্ঘদিন পর জলাশয়টি উম্মুক্ত করে দেয়ায় জেলে সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই সিতানগর গ্রামের কাজলা বিলের উম্মুক্ত জলাশয়ে বাঁধ নির্মান করেন একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে করে মুক্ত জলাশয়ে মাছ শিকার করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন সিতানগর ও কাশিনগর গ্রামের শতাধিক জেলে পরিবার।
উপায়ন্তু না দেখে গ্রামবাসী জলাশয়টি উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ থেকে জলাশয়টি উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য দখলদার কিলন মিয়া ও গৌর সাহাকে একাধিক নোটিশ দেয়া হয়।
নোটিশ পেয়েও তারা জলাশয়টি উম্মুক্ত করে না দেয়ায় সোমবার দুপুরে বিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মোঃ মোশারফ হোসেন। তিনি জলাশয়ে থাকা বাঁধটি অপসারন করে দেন ও কিলন মিয়াকে ১লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য নিশিকান্ত ঋষি জানান, গ্রামের শতাধিক পরিবার এই বিলের সাথে জড়িত। প্রভাবশালী গৌর সাহা এবং কিলন মিয়া এই বিলের মধ্য বাঁধ নির্মান করেন। এতে এলাকার জেলে স¤প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। জেলেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে জলাশয়টি উম্মুক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, দখলদাররা জলাশয় দখলের বিষয়টি স্বীকার করায় পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এর আলোকে দখলদার কিলন মিয়াকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এখন থেকে জেলেরা উম্মুক্তভাবে জলাশয় থেকে মাছ শিকার করতে পারবেন।