চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যম প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছর উপলক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৬ নভেম্বর শনিবার সকালে ১০টায় শহরের মডেল গার্লস স্কুলের হলরুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের আয়োজনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
এসময় শিশু নাট্যমের প্রাক্তন ছাত্রী সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নাইমা সুলতানা খানের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন এবং ফাহিম মোনতাসির যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন, চিনাইর আঞ্জুমান আরা কলেজের অধ্যাপক কবি মহিবুর রহিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন বেলাল, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, জেলা বিএনপি নেতা আলী আজম প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু।
এ সময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যম জেলায় তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। আগামীতে শিশু নাট্যমে শুধুমাত্র ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৬ টি ভাগে না পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে কাজ করবে এমনটাই আমরা প্রত্যাশা করি। সুন্দর এ আয়োজনের জন্য আয়োজকদের আমরা ধন্যবাদ দেন। এটা শিশুদের মানুষিক বিকাশে কাজ করবে। এ সময় শিশুদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক, চুরি, ছিনতাই এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গ্রামবাসী।
আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ বাজারে গ্রামবাসী উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সেন্দ গ্রামের মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আলামিন, আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা তাজু মিয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মারুফ মিয়া।
এ সময় বক্তারা বলেন, গ্রামের ভেতর বেশ কয়েকটি স্পটে প্রকাশ্যে মাদক ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। এতে যুব সমাজ চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। ভাঙে যাচ্ছে অনেক সংসার। নেশার টাকা জোগাড় করতে পারিবারিক ও সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে তারা। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করলেও প্রতিকার মিলছে না। বিভিন্ন সময় লোক দেখানো অভিযান চালানো হলেও পরক্ষণে তারা দ্বিগুণ উৎসাহে একই কাজে লিপ্ত হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে মাদক নির্মূলে জোর দাবি জানাচ্ছি।
পরে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর তীরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ভাদুঘরের বান্নি (বারুণী) মেলা।
আজ ২৭ এপ্রিল) শনিবার সকালে তিতাস নদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গা স্নানের মধ্য নিয়ে এই বান্নি শুরু হয়। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের ১৪ তারিখ এ বান্নি অনুষ্টিত হয়। ঠিক কত বছর আগে এই বান্নির যাত্রা শুরু হয়েছে, তার সঠিক তথ্য কেউ জানাতে পারেননি। মূলত গঙ্গাস্নান কে কেন্দ্র করে তিতাস পাড়ে বসে এ বান্নি মেলা। মেলায় অংশ নেয়া ভক্ত ভক্তপূর্ণার্থীদের পাশাপাশি দোকানিরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বেঁচাকেনা ভাল হওয়ায় বেশ খুশি তারা।
শনিবার সকালে ভাদুঘর তিতাস পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই নদীর তীরে এসে জড়ো হয়েছেন হাজারো ভক্তপুন্যার্থী। তারা তিথি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গঙ্গা স্নানে অংশ গ্রহন করেন। নদীর পবিত্র জলে গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে ভক্তরা নিজেদের পরিবারের পাশাপাশি দেশ জাতীর কল্যাণ কামনায় তারা বিশেষ প্রার্থনা করেছেন।
সুস্মিতা রানী দাস নামে এক ভক্ত জানান, নদীতে গঙ্গাস্নান করেছি নিজের জড়ো দেহের জানা অজানা পাপ মোচনের জন্য। গঙ্গাস্নান শেষে গঙ্গা মায়ের কাছে পরমকরুনাময় ভগবানের কাছে নিজের পরিবার ও দেশের মানুষের মঙ্গলকামনায় প্রার্থনা করেছি।
মিষ্টিদেব নামে অপর ভক্ত জানায়, গঙ্গার পবিত্র জলে স্নান করার পর রোগশোগ মোচন হয়। এই বিশ্বাস থেকে গঙ্গাস্নানে অংশ নিয়েছি। ভগবান যেন সবার মঙ্গল করেন।
মেলায় আসা বিজয় দাস বলেন, গঙ্গাস্নান করেছি।মেলা থেকে নারু, মন্ডা মিঠাই,তিল্লাই, খই,চিড়া কিনেছি। বাচ্চাদের জন্য খেলনা সামগ্রী ক্রয় করেছি, বেশ ভাল লেগেছে।
এ দিকে ঐতিহ্যবাহী এ গঙ্গাস্নান কে কেন্দ্র করে তিতাস নদীর তীর ঘেষো বসেছে লৌকজ মেলা (বান্নি)। মেলায় নাগরদৌলা, হরেক রকম বাহারী খাবার মুড়ি-চিড়া, মাঠা, তিল্লাই, বাতাসাসহ মাঠির তৈরী বাহারী খেলনা দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা। ভক্ত সমাগম বৃদ্ধির পাশাপাশি বেঁচাকেনা ভাল হওয়ায় খুশি বিক্রেতারা।
খাবারের দোকানের পসরা নিয়ে আসা রথিন্দ্র নাথ রায় জানান, ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ ভাল। বেঁচা-কেনাও হচ্ছে বেশ। তাই তিনি বেশ খুশি।
মাটির খেলনা সামগ্রী নিয়ে আসা পবিত্র পাল বলেন, প্রতিবছর ভাদুঘরের বান্নিতে আসি। এবারো এসেছি। ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ ভাল।
মেলায় ঘুরতে আসা রাফি বলেন, বৈশাখ মাসে জেলার বিভিন্ন স্থানে মেলা হয়ে থাকে। তবে ভাদুঘরের এই মেলা ঐতিহ্য রয়েছে। এই মেলাকে আমরা বান্নি বলে থাকি। আগে বাবা দাদাদের সাথে আসতাম। আজ নিজের ছেলে মেয়ে কে নিয়ে এসেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আসলাম হোসেন জানান, মেলায় যে কোনো ধরনের অপতৎপড়া রোধ করার জন্যে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
দিনব্যাপী এই মেলায় অন্তত ৫’শতাধিক দোকানি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে। এর থেকে কোটি টাকারও বেশি বাণিজ্যের আশাবাদ স্থানীয়দের।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা আজ ১২ মার্চ রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বিশিষ্ট নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত প্রমুখ।
সভায় মাহে রমজান উপলক্ষে নিয়মিত বাজার মনিটরিং, মাদক বিরোধী টাস্কফোর্সের সংখ্যা বাড়ানো, আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন ও আজমপুর স্টেশনে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার, শহরের যানজট নিরসন, রমজান মাস উপলক্ষে শহরের কয়েকটি রাস্তাকে ওয়ানওয়ে করা, শহরের পুরাতন কোর্ট রোড, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ও ফরিদুল হুদা রোডের সান্ধ্যকালীন মাছ বাজার ও নিউ মার্কেটের পেছনের কসাইয়ের দোকানগুলো উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সভায় রমজান মাসে টিসিবি ও ওএমএসের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনা করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সভায় শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকা মার্চ মাসের বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন ছাড়া সকল ধরনের বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সভায় পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, রমজান মাসে কোন ব্যক্তি, ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান যদি ব্যাংকে বড় অংকের টাকা লেনদেন করেন এবং ওই ব্যক্তি, ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান যদি পুলিশের সহায়তা চান তাহলে পুলিশী নিরাপত্তার মাধ্যমে তারা ব্যাংকে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিকে সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে জনপ্রতিনিধিদেরকেও কাজ করতে হবে।
সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যানগণ, ৯ উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ ও আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২ হাজার ৫শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্য সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৯ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফাহমিদা সিদ্দিকী হাবিবা, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উপ-সহকারী কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক ও উপজেলার ১১টি ইউপির চেয়ারম্যান ও তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ৫ কেজি আউশ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।