চলারপথে রিপোর্ট :
জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত প্রয়োজন। একে অপরের প্রতি সহনশীলতা, সহমর্মিতা হতে মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। সভ্যতার প্রয়োজনে আবারও আমাদের পরষ্পরের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকল দলের, ধর্মের ও সর্বশ্রেণীর মানুষের, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জনপদের জন্য সকল মতের মানুষের পারষ্পরিক সহযোগিতা ও সহাবস্থান অপরিহার্য। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে শান্তিপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
আজ ২১ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ‘জননিরাপত্তা’ বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, যুব সংগঠন প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ইস্যুতে মানুষের মধ্যে একধরণের শংকা বিরাজ করছে, মব জাষ্টিস, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা এসকল ক্ষেত্রে জনগনণর অসন্তুষ্টি মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ) এর কাছে দৃশ্যমান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে এই গোল-টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এমএএফ। ইউকেএইড এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত বাংলাদেশ ষ্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল একাউন্টিবিলিটি ফর সিটিজেন এমপাওয়ারমেন্ট (বি-স্পেস) প্রকল্প এই উদ্যোগের সহায়তা প্রদান করেছে। সভায় বক্তারা যে সকল সমস্যা তুলে ধরেন। সভায় তলে ধরা সমস্যা ও সুপারিশ সমূহঃ
১. শহরে নারী নিরাপত্তার অভাব রয়েছে, রাস্তায়, বাসে, শিক্ষাঙ্গনে নিয়মিত হয়রানীর শিকার হতে হয়। ৬৫% নারী মনে করে পুলিশ যথাযথ সহায়তা করে না ফলে তারা কোন অভিযোগ দায়ের করতে চায়না।
২. সাইবার ও অনলাইন প্রতারণা নিয়মিত ঘটনা, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি
৩. বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের অযথা মব জাষ্টিস না করে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের হাত তুলে দেওয়া উচিত। অথযা রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে তাকে হয়রানী করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
৪. সকল ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব, এক্ষেত্রে কেউ যেন বাড়াবাড়ি না করে । সকল ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাই হল সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা ।
৫. কিশোর গ্যাং, ছিনতাই, মাদক মানুষের জীবনমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা জননিরাপত্তার জন্যও হুমকি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসাবে মোহাম্মদ রুহুল আমিন, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী। জাতীয় পার্টির সদস্য আবু কাওছার খান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শামীমা বাছির স্মৃতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুমানুল ফেরদৌসি। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণ-অধিকার পরিষদ, মুসলিম, খ্রীষ্টান ও হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন যুব সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ম্যাফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক এবিএম মমিনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের তরুণ ফেলো সাঈদ হাসান সানি, সমির চক্রবর্তী, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকাস্থ রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. সাজিদুল ইসলামকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসেন।
ঘটনাস্থলে তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. সাজিদুল ইসলাম বলেন, সবেমাত্র ঘটনাস্থলে আসলাম। আমরা দেখবো কী ত্রুটি রয়েছে এবং তা বোঝার চেষ্টা করবো। বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবো এবং সেগুলোর রিডিং নেব। এগুলো নেওয়ার পরে মূলত জানা যাবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করণ, আন্তঃনগর বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি ও বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম-এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলা নাগরিক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আজ ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী কমরেড নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর সানলাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতাল-এর চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সমাজকর্মী মো. আল আমিন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের এই দাবির পক্ষে জেলা নাগরিক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এক পর্যায়ে ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বরাবর এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উক্ত স্মারকলিপির প্রেক্ষাপটে বিগত ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখার স্মারক নং ০৪.০০.০০০০.৫১২.১৬.০০২.১৮.১০১-এর এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল ভ্রমণের দুর্দশা লাঘবে জেলাবাসীর এই প্রাণের দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তারপর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী এই দাবিটির বাস্তবায়ন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু আঠারো মাস অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত নিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এমতাবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপিতে আবেদন জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির মানববন্ধনের নামে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রলীগ শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
আজ ১১ মার্চ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগ তাদের শান্তি সমাবেশ করে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
অপর দিকে, সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সামান্য দূরে রেলগেইট সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পন্য সামগ্রী, কৃষি উপকরণ, শিক্ষা উপকরণসহ সকল কিছুর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন করে জেলা বিএনপি।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
এদিকে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে শহরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সমাবেশের আগে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির মানববন্ধনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে বাঁধা প্রদান করে। পরে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের পাদদেশে শান্তি সমাবেশ করে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, বিএনপি মানববন্ধনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পায়তারা করছে। এই মানববন্ধনে যারা এসেছেন তারা চিহ্নিত অপরাধী। তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাদের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
অপর দিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পন্য সামগ্রী, কৃষি উপকরণ, শিক্ষা উপকরণসহ সকল কিছুর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে আমরা মানববন্ধন করেছি। এটা আমাদের পূর্ব নির্ধারিত ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ছিলো।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিবেশের যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিলো। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন চার লেন সড়কের কাজ পুনরায় শুরু হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ফিরে আসবে। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে সড়কটি পরিদর্শনে এসে এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব বলেন, ‘ভারতীয় পক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তোমরা আসো, কাজ করো- আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। যতো দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব কাজ করো। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাও কথা বলেছেন উল্লেখ করে সচিব মো. এহছানুল হক বলেন, ‘বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজরে রয়েছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়কটি দেখার জন্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আমাকে পাঠিয়েছেন।’ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার লেন সড়ক প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ১০ই আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। এরপর থেকেই বন্ধ এই প্রকল্পের কাজ। এদিকে কাজ বন্ধ থাকায় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক কিলোমিটার চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন। নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘ যানজটে নাকাল হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্টই হত্যা করেছে বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার সুযোগ নেই। এটি মৃত ইস্যু।
তিনি বলেন, যথাসময়ে নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ ২৪ জুন শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এম.পি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, এখন সরকারের সব অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা যখন বলি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তখন তারা বলে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। চারদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের আস্থা দেশের জনগণের ওপর। আর জামায়াত-বিএনপির আস্থা বিদেশিদের ওপর, যারা ’৭১ সালে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, ’৭৪ সালে যারা ত্রাণের জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, যাদের প্রত্যক্ষ মদদে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই বিদেশি শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে তারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে আয়োজিত জনসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি’র সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন।