চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইডি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান। আজ ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, ৮৩ জনের মধ্যে ৭৯জনের চাকরি হয়েছে মেধার ভিত্তিতে এবং ৪ জনের চাকরি হয়েছে কৌটার ভিত্তিতে। কৌটার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া ৪জন হলেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, আপনাদেও মাধ্যমে আমি জনগনকে এই ম্যাসেজ দিতে চাই, কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার জন্য কাউকে টাকা দিতে হয়েছে এমন কোন অভিযোগ নেই। তবু নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে কারো বিরুদ্ধে যদি কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজনৈতিক মামলায় হয়রানির বিষয়ে তিনি বলেন, জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে আমি অবগত আছি। কেউ যদি মনে করেন তাকে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে, কাউকে অযথা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বা অর্থ আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে তাহলে তথ্য প্রমাণসহ পুলিশের কাছে দারস্থ হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রয়োজনে ওই ব্যক্তি আমার কাছে আসতে পারেন। পুলিশ অযথা কাউকে হয়রানি করবেনা। ইতিমধ্যে ৫/৬ জনের আবেদন পেয়েছি এবং সে ব্যাপারে যথাযথ সমাধান দিয়েছি। তিনি বলেন, কারো বিষয়ে কোন অভিযোগ থাকলে বা সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে আমাকে স্পেসেপিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) মোঃ জয়নাল আবেদিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের নব-নির্বাচিত সভাপতি আল-আমীন শাহীন। প্রেস ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রেনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১০ মার্চ রবিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সবশেষ ২০২২ সালের ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পদে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান ইহসানুল করিম। তিনি ২০১৫ সাল থেকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন।
ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবশেষে দাম্পত্য জীবন শুরু করেছেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ৭০ বছর বয়সের চিরকুমার অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক শওকত আলী হাওলাদার। তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী বিধবা শাহিদা আক্তার নাজুকে (৩৫) বিয়ে করেছেন।
রামপাল সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক বিয়ের পর নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন। দ্রুত তা ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকে স্ত্রী নাজুর সঙ্গে শওকত আলী হাওলাদারে যুগল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে শুভ কামনা জানাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ কটু মন্তব্যও করছেন।
রামপালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক শওকত আলী হাওলাদারের বাড়ি উপজেলার জিগিরমোল্লায় হলেও তিনি হুড়কা গ্রামে বসবাস করেন। রামপাল কলেজে শিক্ষকতার পাশাপশি ভাইবোনদের মানুষ করতে তার সময়মতো বিয়ে করা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা শওকত আলী হাওলাদারকে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও তিনি সবসময় তা এড়িয়ে গেছেন। ভাইবোনেরা বিয়ে করে সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অবসরপ্রাপ্ত এই কলেজ শিক্ষক একাকিত্ব অনুভব করায় ৭০ বছর বয়সে এসে পার্শ্ববর্তী মোংলা উপজেলার মিঠাখালী এলাকার কন্যা সন্তানের জননী বিধবা শাহিদা আক্তার নাজুকে বিয়ে করেন।
গত শনিবার (১৮ মার্চ) ১০ লাখ টাকা দেনমোহরানা নিয়ে এবং নগদ পাঁচ লাখ টাকা ওয়াসিলে এ বিয়ে করেন শওকত আলী হাওলাদার। বিয়ের পোশাকে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা সেই ছবি তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুই আইডিতে পোস্ট দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। রামপাল ছাড়িয়ে এই বিয়ের খরব এখন চায়ের দোকান, অফিসে আড্ডায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
শওকত আলী হাওলাদারের ছোট ভাই আব্দুল হালিম খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বড় ভাইয়ের কাছে মানুষ হয়েছি। সারাটা জীবন তিনি আমাদের সুখে দুঃখে বটবৃৃক্ষের মতো আগলে রেখেছেন। বড়ভাই কলেজ শিক্ষকতা থেকে অবসরে চলে আসায় এবং বর্তমানে আমরা নিজেদের পরিবার ও ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি অনেকটা একাকিত্ব বোধ করছিলেন। তার এই একাকিত্ব দূর করতে ও তাকে দেখভাল করতে এ সময় তার একজন সঙ্গিনী খুবই দরকার ছিল। এই পরিস্থিতে আমরা তাকে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করলে তিনি একটা সময় এসে রাজি হন। এরপর আমরা মোংলা উপজেলার মিঠাখালি এলাকার এক কন্যা সন্তানের জননী বিধবা শাহিদা আক্তার নাজু (৩৫) সঙ্গে তাকে বিয়ে দিয়েছি। কনের আগের সংসারের মেয়েটার দায়িত্ব আমার বড় ভাই শওকত আলী নিয়েছেন। তারা বর্তমানে সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন। পরিবারসহ নতুন বর ও কনে আগামীতে হজেও যাবেন। সংবাদমাধ্যমে দেশবাসীর কাছে এই নবদম্পতির জন্য দোয়া চাই।’
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় একজন খুন ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে। এবার ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় ধাপে বিজয়ী যারা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাইদুর রহমান স্বপন ও আখাউড়ায় মনির হোসেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আর আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মো. মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
ছাইদুর রহমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপির ফুফাতো ভাই ও কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এবং মনির হোসেন আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। ছাইদুর রহমান স্বপন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট।
আখাউড়া উপজেলায় মো. মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।
ঝালকাঠি: ঝালকাঠি সদরে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে খান আরিফুর রহমান এবং নলছিটি উপজেলায় সালাহউদ্দিন খান সেলিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ঝালকাঠি সদরে খান আরিফুর রহমান আনারস প্রতীকে ৩৩ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুলতান হোসেন খান দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯৭১ ভোট। নলছিটি উপজেলায় সালাহউদ্দিন খান সেলিম ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অ্যাডভোকেট জিকে মোস্তাফিজুর রহমান।
ঝালকাঠির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুস ছালেক মঙ্গলবার রাতে বেসরকারিভাবে দুই উপজেলার প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
জয়পুরহাট: জয়পুরহাট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. হাসানুজ্জামান মিঠু মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৪৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এইএম মাসুদ রেজা আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৭৯টি।
অপরদিকে, পাঁচবিবি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেকুন নাহার। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভিপতি আবু বকর সিদ্দিক আনারস প্রতীক পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৪৭ ভোট।
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ২৫ হাজার ২৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (পালকি প্রতীক) বুলবুল হাসান পিপুল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রাজীবুল হাসান রাজু ১১ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (তীর ধুনুক প্রতীক) মোছা. নার্গিছ আক্তার মোট ৩৬ হাজার ৬০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (হাঁস প্রতীক) মোছা. ইন্দোনেশিয়া পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৬১ ভোট।
চৌগাছা (যশোর): যশোরের চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান পেয়ছেন ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আকলিমা খাতুন লাকি পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৯০ ভোট। আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মো. শামিম রেজা নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার দুটি পদে ভোট গ্রহণ করা হয়।
কুমিল্লা: জেলার সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া বেসরকারিভাবে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল থেকে জানা যায়, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু, তিনি হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৬৩টি ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী আখতারুজ্জামান রিপন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট। বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী গোলাম সরোয়ার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩১৪ ভোট।
অন্যদিকে, বরুড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রথমবারের মতো আনারস প্রতীক নিয়ে হামিদ লতিফ ভূঁইয়া ৮৯ হাজার ৬৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী এ এন এম মইনুল ইসলাম পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫৪ ভোট।
বগুড়া: বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু আনারস প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত রাজু বগুড়া-৩ (আদমদিঘী দুপচাঁচিয়া উপজেলা) আসনের এমপি সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাধনের বাবা। এমপি বাধনের মা জেলা পরিষদের বগুড়া ৩নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শামীমা আখতার মুক্তা।
চেয়ারম্যান পদে রাজু নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় নিশ্চিত করেছেন বগুড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেসবাউল করিম। রাজুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের রাশেদুল ইসলাম রাজা।
জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আহম্মেদ বিপ্লব, কাহালুতে হাবিবুল হাসান কবিরাজ সরুজ এগিয়ে আছেন। দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার বগুড়া জেলার তিন উপজেলার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে তিনটি উপজেলার ২৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে কাহালু উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পেদে ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, আদমদীঘি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। আগামী ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন হবে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
চলারপথে ডেস্ক :
একটা ভোটও কারচুপির চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিক ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ ২৩ ডিসেম্বর শনিবার বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আচরণবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটা ভোটও কারচুপির চেষ্টা করা হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। নানা কারণে এবার ভোট নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছ, আমাদের দেশ নিয়ে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করার দাবি আছে বিদেশিদের। প্রার্থীদের সহায়তায় জাতীয় নির্বাচন সফল করতে চাই।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে পক্ষপাতীত্বের কোনো সুযোগ নেই। অনেকে বলেন প্রশাসন সরকারি দলের পক্ষপাতিত্ব করেন। এটা আসলে সঠিক নয়। সবাই সচেতন থাকলে এবং চোখ কান খোলা রাখলে এটা বোঝা যাবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, প্রচারণার সময় কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। নির্বাচন কমিশন থেকে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভোটের মাঠে অনিয়ম করতেই হবে, এই বিশ্বাস থেকে প্রার্থীদের বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের বলব সিস্টেমের ওপর আস্থা রাখুন। ভোটারদেরই ভোট দিতে হবে, অন্য কেউ দিয়ে দেবে এটা হবে না। রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোট পাল্টাতে পারে না। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফল ঘোষণা হয়। প্রার্থীরা ঘরে বসেই জানতে পারেন ফলাফল।
মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফে উনছিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তিনজন আরএসও সদস্যকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটারগান (এলজি) ও ১৪৬ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
১৬ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ হাসান বারী নূর জানান, সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিওিতে হোয়াইক্যংয়ের উনচিপ্রাং ক্যাম্প- ২২ এর সি/৫ ব্লক সংলগ্ন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাহাড়ের ঢালে অবস্থানকালীন অবস্থায় ৩ জন রোহিঙ্গাকে ৩টি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার বন্ধুক (এলজি) ও ১৪৬ রাউন্ড তাজা গুলিসহ আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছেন উনছিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি/৫ ব্লকের (ঘর নং- ৭৫৩, এফসিএন : ৪০৪৬৫১) মনির আহমদের ছেলে কামাল হোসেন (২৭), ব্লক সি/২ এর (ঘর নং – ৩৪০, এফসিএন : ২৪৯১৪৯) আব্দুর শুক্কুরের ছেলে অজিউর রহমান (১৮) ও বি/৪ ব্লকের (এফসিএন :২৪৫৬৮৪) তাজিমুল্লার ছেলে মুজিবুর (১৭)। তারা তিনজনই (RSO) রোহিঙ্গা স্যালভেশন অর্গানাইজেশন এর সক্রিয় সদস্য এবং ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
এদিকে স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তরা ক্যাম্পে ও গ্রামে স্থানীয়দেরকে বিভিন্ন সময় অপহরণ, ডাকাতি এবং খুনসহ নানা অপরাধ সংঘটিত করে আসছে। এতে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও অপহরণ আতংকে দিনাতিপাত করছে। ওদের উৎপাত ও তৎপরতা কমাতে পাহাড়ে ও ক্যাম্পে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার আহবান জানান স্থানীয় সচেতন মহল।