চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চন্ডালখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে উঠান বৈঠক ও তেলীনগর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কমিউনিটি সভার আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠান সমূহে তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস এর সভাপতিত্বে ভিডিও কলে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাঠ প্রচার) ফাহিমা জাহান। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে ডেঙ্গু, শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দান, শিশু ও নারীর অধিকার, শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম, ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগকালীন নারী- শিশুর সচেতনতা, জেণ্ডার সমতা, নিরাপদ মাতৃত্ব, বাল্য বিবাহ, ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান সমূহে চণ্ডালখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসমা বেগম, সহ: শিক্ষক সাবেকুন নাহার, মাহবুবা খানম, তানজিয়া ইসলাম, ওমর ফারুক, আবু তাহের এবং তেলীনগর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোছাঃ মাহমুদা আক্তার, সহ: শিক্ষক ফৌজিয়া আছমা, মমতা বালা দেবী, সাবরিনা আক্তার সহ প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর দাবি পূরণ হয়েছে। রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে সিলেট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন।
আজ ৫ এপ্রিল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের মধ্য দিয়ে পূরণ হওয়া এ দাবিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ‘ঈদুল ফিতরের উপহার’ হিসেবে মনে করছেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল ভ্রমণের দুর্দশা লাঘবে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে একটি ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ, বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সদয় অনুমোদন দিয়েছেন। নির্দেশনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এর অগ্রগতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করার জন্যে রেলপথ সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, ঢাকার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে ট্রেনযাত্রা খুবই জনপ্রিয়। এ অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ায় টিকেটধারী যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারছেন না। আসন সংকটের কারণে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় দাঁড়িয়ে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা।
উক্ত দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রেলমন্ত্রী বরাবর একাধিকবার পত্র প্রেরণ করেন।
এ নিয়ে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মানববন্ধন ও নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল ভ্রমণে দুর্দশা লাগবে প্রধানমন্ত্রী রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি নতুন স্পেশাল এবং ঢাকা-সিলেট পথে চলাচলকারী কালনী এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ পথে চলাচলকারী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধিরও নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে ট্রেনের যাত্রা বিরতির খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের আহ্বায়ক আব্দুর নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা খেলাঘর আসলে সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সুধী সমাজের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমকে ‘নেপথ্যের কারিগর’ উল্লেখ করে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সচেতন মহল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত বলেন, নতুন ট্রেন চালু ও আরো দুই ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং আসন সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। আন্দোলনের সময় আমরা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেই। বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আমরা পুরো জেলাবাসী উপকৃত হলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
আত্মহত্যা করতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে হাত হারিয়েছেন শেফালী বেগম (৩৫) নামের এক নারী।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে পৌরশহরের শিমরাইলকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শেফালী বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগৎসার গ্রামের সালাউদ্দিনের স্ত্রী।
শেফালী বেগমের স্বামী সালাউদ্দিন বলেন, আমাদের সংসারে দুটি সন্তান আছে। সুখে-শান্তিতে আমাদের সংসার চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি শেফালী মানসিকভাবে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন। শুধু আত্মহত্যার কথা বলতেন। কী কারণ ছিল তা বলেননি। সকালে বাজারে ওষুধ আনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তাকে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুরে জানতে পারি আমার স্ত্রী ট্রেনে কাটা পড়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ বক্সে দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্টেবল ইমন বলেন, ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাতেম আলী ভূঁইয়া বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি মালবাহী ট্রেনে ওই নারী কাটা পড়েন। পরে দমকল বাহিনীর সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তার মাথায় আঘাত লেগেছে এবং ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, ওই নারীকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, নির্বাচন আসলেই যারা নৌকার বিরোধিতা করে নৌকার দল আওয়ামী লীগে তাদের জায়গা নেই। এমন বিরোধিতাকারীদের সনাক্ত করে তাদরে সরিয়ে প্রকৃত নিবেদিত তরুণ নেতাকর্মীদের পদায়ন করে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনকে তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজাতে হবে। আগামী নির্বাচন হবে ৫ বছর পর। এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারলে আগামী নির্বাচনে তারা দলকে সহজে জেতাতে পারবেন।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো মুসলিম মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো মহসিন,পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জামাল খান, রফিকুল ইসলাম, হানিফ মিয়া, আবুল বাশার, খবির উদ্দিন আহমেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই গ্রামে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আজ ১৩ মে মঙ্গলবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের চান্দের গোষ্ঠীর সাথে সলিমের গোষ্ঠীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই মধ্যে ১২ মে সোমবার রাতে সলিম গোষ্ঠীর এক যুবক চান্দের গোষ্ঠীর এক বাড়িতে ইয়াবা সেবন করতে যায় বলে অভিযোগ উঠে। এসময় চান্দের গোষ্ঠীর লোকজন ইয়াবা সেবনে বাধা দিলে যুবকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সোমবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জের ধরে আজ মঙ্গলবার সকালে দুই গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় উভয় পক্ষের ছোড়া ইট পাটকেলের আঘাতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহতের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সদর সহ বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে চান্দের গোষ্ঠীর সাথে সলিমের গোষ্ঠীর হানাহানি হয়েছে। এ ঘটনায় বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে। এ ঘটনার জন্য তিনি গ্রাম্য সালিশ কারক ও সর্দারদের দায়ী করেন।