চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 24 November 2024, 767 Views,

চলারপথে রিপোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ। তিনি আজ ২৪ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইনে জেলা পুলিশের কুচকাওয়াজে সশস্ত্র বাহিনীর সালাম গ্রহণ করেন এবং কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে জেলা পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ লাইন্সের এক কল্যাণ সভায় মিলিত হন।

banner

পরে বেলা ১২টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

কানাডায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুমিনুল হক : কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। Read more

দুঃখ প্রকাশের মধ্য দিয়ে উত্তেজনার অবসান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 21 December 2022, 2358 Views,

ভাদুঘরে বিজয় মেলায় প্রবেশের রাস্তা নিয়ে বাদানুবাদ

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তঃজেলা এক পরিবহন শ্রমিক নেতাকে মারধরের জের ধরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এলোপাথারী বাস রেখে দেড় ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে পরিবহন শ্রমিক নেতারা। গত মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার ভাদুঘর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে এই ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিলে রাত ১১টার দিকে মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেয় পরিবহন শ্রমিকরা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে দুইপক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়।
জানা গেছে, পৌর এলাকার ভাদুঘর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের পেছনে পৌরসভার গরুর বাজারে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৭দিন ব্যাপী বিজয় মেলার আয়োজন করে পৌরসভা। বাস টার্মিনালের মাঝখান দিয়ে দুই পাশে উঁচু করে বাঁশ বসিয়ে বিজয় মেলায় যাওয়ার রাস্তা ও লাইটিং করা হয়। টার্মিনালের মাঝখানে বাঁশ বসিয়ে মেলায় যাওয়ার রাস্তায় করায় টার্মিনালে বাস পার্কিং ও বাস ঘুরানো নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। বিষয়টির প্রতিকার চাইতে মঙ্গলবার রাতে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চট্টগ্রাম রুট কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিজয়মেলার অফিসে উপস্থিত থাকা পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদদুসের কাছে যান। সেখানে জাকির হোসেনের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদদূস শ্রমিক নেতা জাকির হোসেনকে মারধর করেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা রাত ৯টার সময় কুমিল্লা-সিলেট মহাড়কের ভাদুঘর বাস টার্মিনাল এলাকায় বাস আড়াআড়ি করে রেখে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কের দুইদিকে প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত শ্রমিকরা এ সময় পৌরসভার প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হক রেজা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম, আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ ও পরিবহণ শ্রমিক নেতারা ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজিত শ্রমিকদেরকে এ ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিলে রাত সাড়ে ১০টায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ব্যাপারে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চট্টগ্রাম রুট কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে টার্মিনালের মাঝখান দিয়ে বাস বসিয়ে মেলায় যাওয়ার রাস্তা করায় টার্মিনালে বাস পার্কিং করতে সমস্যা হওয়ার বিষয়টি পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদদুসকে বলতে গেলে তিনি প্রথমে আমার সাথে অশোভন আচরণ করেন। পরে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে কয়েকটি থাপ্পর মারেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে।
এ ব্যাপারে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ বলেন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের এক শ্রমিক নেতাকে মারধর করায় মঙ্গলবার রাতে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। পরে প্রশাসনের আহবানে আমরা অবরোধ তুলে নেই। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুইপক্ষের বৈঠকে বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, অবরোধের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিক নেতাদের আলাপ আলোচনা করে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিবহন শ্রমিকরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়। তিনি বলেন, বুধবার বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস বলেন, রাতের বেলা শ্রমিক নেতা জাকির অন্যান্য শ্রমিকদেরকে সাথে নিয়ে মেলার গেইটের সামনের কয়েকটি বাঁশ ভেঙ্গে ফেলে পরে আমাদের সাথে সে অশোভন আচরণ করে। তিনি জাকিরকে থাপ্পর মারার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বুধবার বেলা ১১টায় সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বৈঠকে উভয়পক্ষ এক অপরের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বৈঠকের পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস টার্মিনাল ও মেলার জায়গা ডিমারগেশন (চিহ্নিত) করে দিয়েছেন। এখন মেলা নিয়ে আর কোন সমস্যা হবে না।

বিশ্ব গ্লকোমা দিবস আজ

জাতীয়, 12 March 2024, 779 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
মানুষের চোখের অন্ধত্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে গ্লকোমা। তবে গ্লকোমা কোনো একটি মাত্র অসুখ নয়। এটি আসলে চোখের অনেক সমস্যার একটি সমষ্টি। যার ফলে চোখের মধ্যে থাকা এবং দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ মুহূর্তে দেশে গ্লকোমা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৫০ হাজার। গ্লকোমা সাধারণত দুই চোখে একসঙ্গে হয়।

banner

উপসর্গ
রোগটির প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন উপসর্গ না থাকায় রোগী বুঝতে পারেন না যে তিনি ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার পরে রোগীরা বুঝতে পারেন।
এই রোগের প্রথম উপসর্গটি হলো পার্শ্ববর্তী দৃষ্টি প্রায় হারিয়ে ফেলা। এ ছাড়া—

✍ঘন ঘন চশমার গ্লাস পরিবর্তন হওয়া।
✍ চোখে ঝাপসা দেখা বা আলোর চারপাশে রংধনুর মতো দেখা।
✍ ঘন ঘন মাথা ব্যথা বা চোখে ব্যথা হওয়া।

✍ দৃষ্টিশক্তি কমে আসা বা দৃষ্টির পারিপার্শ্বিক ব্যপ্তি কমে আসা।
✍ কম আলোতে কাজ করলে চোখে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
✍ চোখে লাল ভাব।
✍ বমি বমি ভাব এবং বমি করা।

কারণ
এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও চোখের উচ্চচাপ এই রোগের প্রধান কারণ বলে ধরে নেওয়া হয়।
তবে চোখের স্বাভাবিক চাপেও কিন্তু এই রোগ হতে পারে। পরিবারের অন্য কোনো নিকট আত্মীয় যেমন মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, চাচা, মামা, খালা বা ফুপুর এই রোগ থাকলে, চল্লিশের বেশি বয়স হলে কিংবা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, স্টেরয়েড নামক ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করলে, চোখে ছানি অপারেশন না করলে বা করতে দেরি হলে অথবা জন্মগত চোখে ত্রুটি থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

চিকিৎসা
✍ চোখে ড্রপ ব্যবহার করা।
✍ মুখে ওষুধ সেবন করা।
✍ লেজার থেরাপি।
✍ সার্জারি।

প্রতিরোধ
✍ নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করুন।
✍ আপনার পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে জানুন। যাঁদের বয়স ৪০ বছরের বেশি এবং যাঁদের গ্লকোমার পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাঁদের প্রতি এক থেকে দুই বছর অন্তর চক্ষু বিশেষজ্ঞের দ্বারা চোখ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
✍ জিংক, কপার, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন এ, ই, সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন : শাক-সবজি।
✍ কফি পানের পরিমাণ কমাতে হবে।
✍ একবারই বেশি করে পানি খাওয়া যাবে না বরং অল্প পরিমাণ পানি বারবার খেতে হবে।
✍ শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
✍ চোখের প্রেসার বেশি থাকলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
মনে রাখবেন, গ্লকোমার কোনো প্রতিকার নেই, প্রতিরোধই একমাত্র উপায়।

নদীর তীরে ঘুড়ির মেলা

জাতীয়, 16 June 2023, 1154 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার তুলশীগঙ্গা নদীর তীরবর্তী সন্যাসীতলায় মন্দিরের পাশে বসে দুই দিনব্যাপী ঘুড়ির মেলা। গ্রামীণ এ মেলা সন্যাসতলীর ঘুড়ির মেলা হিসেবে পরিচিত। মেলার সঠিক ইতিহাস কেউ বলতে না পারলেও জনশ্রুতি রয়েছে, সন্যাসী পূজাকে ঘিরে দুশ বছরের অধিক সময় আগে মেলাটির উৎপত্তি ঘটে। সেই থেকে পঞ্জিকা অনুসারে প্রতিবছর বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ আজ ১৬ জুন শুক্রবার বিকেলে বসে গ্রামীণ এ মেলা। মেলায় আশপাশের গ্রাম ছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে।

banner

জয়পুরহাটের এই সন্যাসতলীতে হিন্দু ধর্মের লোকজন মন্দিরে সন্যাসীকে পূজা দিয়ে দিনটি উদযাপন করলেও এটি মূলত হিন্দু-মুসলিমের একটি মিলন মেলা। বিকেলের পর সময় গড়ানোর সাথে সাথে মেলায় মানুষের ঢল নামে। মেলাকে ঘিরে জামাই এবং স্বজনদের আপ্যায়ন চলে মেলা সংলগ্ন আশপাশের কয়েক গ্রামে। রং বেরংয়ের ঘুড়ি মেলার আকর্ষণ হলেও বর্তমানে মেলায় বসে রকমারি মিষ্টির দোকান। যেখানে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি ও চিনির শাহী জিলাপি আকৃষ্ট করে মেলায় আসা দর্শকদের। মেলায় বাঁশ কাঠ ও লোহার তৈরি সংসারের বিভিন্ন সামগ্রী ও মাছ ধরার নানা যন্ত্রের আমদানিও নজর কাড়ে মানুষের। শিশুদের খেলাধুলার জিনিসপত্র এবং কসমেটিক্স এর দোকানও বসে দুইদিনের এ মেলায়। জামাই-মেয়ের পাশাপাশি স্বজনদের আপ্যায়নের রীতি এলাকায় চলে আসছে এ মেলাকে ঘিরেই। স্থানীয় মহব্বতপুর গ্রামের আনিছুর রহমান, দেওগ্রামের জেমিয়ার হোসেন বলেন, আমাদের বাবা-দাদারা এই মেলা করতে এসেছিল, আমরাও এই মেলাতে কেনাকাটা করতে আসি।

এ মেলাকে ঘিরে আশে পাশের জেলা থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। মেলাতে আসা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ফারুক হোসেন, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার নিতাই চন্দ্র, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা আলিফ হোসেন বলেন, প্রতি বছর এই সন্যাসতলী মেলাতে আসি আমরা শুধু ঘুড়ি কিনতে। ঘুড়ি ছাড়াও এখানে সব ধরনের জিনিসপত্র পাওয় যায়।

সন্যাসতলী মেলা কমিটির সভাপতি মন্টু চন্দ্র বলেন, প্রতি বছরের মত এবারেও বসেছে সন্যাশতলী মেলা এই মেলা প্রায় দুশ বছরের পুরাতন মেলা। এ মেলা হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলে পরিচালনা করে থাকি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এ মেলায় আসেন।

ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, এই সন্যাসতলী মেলাকে ঘিরে আশপাশের জেলা থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়।

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে ৪জন নিহত

জাতীয়, সারাদেশ, 16 July 2025, 215 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গাড়িবহরে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হাতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে হামলাকারী ও পুলিশের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩ঘন্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে বাজার এলাকা থেকে পাচুড়িয়া পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কে রণক্ষেত্র পরিতন হয়। নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী হামলাকারীদের উপর গুলি চালায় । এতে যুবলীগ সদস্যসহ ৪ জন নিহত ও সাংবাদিক পুলিশসহ প্রায় একশ’ আহত হয়েছে। নিহতরা হলো- জেলা শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে যুবলীগ সদস্য দীপ্ত সাহা (২৫), শহরের থানাপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮) ও টুঙ্গিপাড়ার ইদ্রিস মোল্লার ছেলে ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা (৩৫)। এরা সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে বলে গোপালগঞ্জ আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাবিল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

banner

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেছেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে উদ্ভত পরিস্থিতির জন্য জেলা জুড়ে অনির্ষ্টিকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পরবর্তিতে রাত ৮টা থেকে পরের দিন বৃহস্পতিবার ৬ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। এসব ঘটনায় জেলা শহরসহ আশপাশ এলাকায় ভিতির সৃস্টি হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আজ ১৬ জুলাই বুধবার দুপুর ২টার পরে এনসিপি তাদের কর্মসূচি শেষ করে যাওয়ার সময় শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্থানীয় জনতা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আইন-শৃঙখলা বাহিনী সংঘর্ষ থামাতে মুহুমুহু রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল ছুড়ে। মুহর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। সংঘর্ষ সারা শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্থানীয় জনতা জেলা কারাগারে হামলা করে। তারা কারাগারের প্রধান ফটক ভাঙ্গার চেষ্টা করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রতিহত করেন।

এ সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এনসিপির নেতাকর্মিদের একত্রিত করে সেনা পাহারায় বাগেরহাটের প্রবেশদ্বার মোল্লারহাট সেতু পার করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

এদিকে, রাত ৮টা থেকে আগামীকাল ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সঠিক : মির্জা ফখরুল

জাতীয়, রাজনীতি, 11 May 2025, 286 Views,

ডেস্ক রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে বিএনপি সঠিক বলে মনে করে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ ১১ মে রোববার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আনন্দিত যে, বিলম্বে হলেও গতরাতে (শনিবার) অন্তরর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গে যুক্ত সকল সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অপশাসন চালনাকারী, ফ্যাসিবাদী দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে আমরা সঠিক বলে মনে করি। তবে আমাদের দাবি মেনে আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে চাপের মুখে ব্যবস্থা নেয়ার মত বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হতো না। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম পরিচালনায় অন্তর্র্বতীকালীন সরকার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে মনে রাখবেন বলে আমরা আশা করি।

banner

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি আমরা প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তার হাতে দেওয়া পত্রে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসাবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার’ দাবি জানিয়েছিলাম। ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎকালেও তার হাতে দেওয়া পত্রে আমরা ‘পতিত ফ্যাসীবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল তাদের বিচার দ্রুত করে দেশের রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার’ দাবি জানিয়েছি।

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম যে, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। বিভিন্ন সভা, সমাবেশে ও আলোচনায় আমরা আমাদের এসব দাবি বার বার উত্থাপন করেছি। উল্লেখযোগ্য যে, আমরা প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বলেই বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলো বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ তাদের ভোটাধিকার তথা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য গুম, খুন, জেল, জুলুম সহ্য করেও অব্যাহত লড়াই করেছে। তাদের সেই দাবি এখনও অর্জিত হয়নি। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিও ক্রমাগত উপেক্ষিত হওয়ায় জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে সে ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য আমরা অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।