উৎসবমূখর পরিবেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যকরি পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন ২৩ নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন উপ-কমিটি ২০২৪ এর চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার, সদস্য সচিব মোহাম্মদ নিয়ামত খান, উপদেষ্টা হাজী মোঃ শাহজাহান মিয়া ও সদস্য মোঃ মঞ্জুর আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় মেড্ডাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নির্বাচন উপ-কমিটি ২০২৪ এর চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন জসিম উদ্দিন জমসেদ, কার্যকরি সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন কাজী তাহাসিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আমজাদ খান, সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ ছোট্ট মিয়া, সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন শাহাদাত হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ ফায়েজ খাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ আক্তার মিয়া, দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ হানিফ, প্রচার সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ আব্দুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ জাকারিয়া মাসুদ নোয়াব, কোষাধ্যক্ষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এম এ কাউছার, কার্যকরি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, মোঃ আক্তার হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, মোঃ আক্তার হোসেন, আবুল বাসার, আল নওয়াব, মোঃ শাহজাহান সিরাজ, মোঃ আবু তাহের।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২২ এপ্রিল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর সম্মেলন কক্ষে ত্রৈমাসিক নিষ্পত্তি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান।
সভায় অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ অত্র ম্যাজিস্ট্রেসির সকল পর্যায়ের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এবং ১১ টি বিচার আদালতের বেঞ্চ সহকারী, সকল আদালতের স্টেনো টাইপিস্ট, নকল শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ও আদালত পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
সভা সঞ্চালনা করেন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নেজারত শাখার ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট মো: শাখাওয়াত হোসেন।
সভার সভাপতি বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ত্রৈমাসিক নিষ্পত্তি রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করেন এবং সকল আদালতের রেজিস্ট্রার পরিদর্শণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান অধিক পরিমাণে নিষ্পত্তিতে জোড় প্রদান করেন এবং বিচার প্রার্থী জনগনের বিচার দ্রুত নিষ্পত্তিতে করনীয় সম্পর্কে সবাইকে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন। একই সাথে অধিক পরিমাণ সাক্ষী আনায়ন এবং মাননীয় প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য সবাইকে আহবান জানান। সভা শেষে ত্রৈমাসিক সর্বোচ্চ নিষ্পত্তিকারী আদালত হিসাবে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্বাচিত হয় এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান মহোদয়কে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন। একই সাথে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালত নির্বাচিত হয় এবং বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়াকে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন এবং একই সাথে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ১ম আদালত এর বেঞ্চ সহকারী ও স্টেনো টাইপিস্টদের হাতেও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাড়ির গেট-দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকদের হাত-পা বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় ডাকাতরা ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া হামলায় নারীসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- বাড়ির কর্তা সাইদুল ইসলাম (৭০), তার স্ত্রী জুৎস্না চৌধুরী (৬০), ছেলে মাইনুদ্দিন ইসলাম (২৬) ও মেয়ে আয়েশা আক্তার মুক্তা (২৮)। এর মধ্যে আয়েশা আক্তার মুক্তার দুই হাতের আঙুল ভেঙে যাওয়ায় ও মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।
সাইদুল ইসলামের আরেক মেয়ে সাদেকা ইসলাম রত্না বলেন, আমার দুই ভাই ও এক বোন দেশের বাইরে থাকে। বোন সম্প্রতি সুইডেন থেকে বেড়াতে দেশে আসে। সোমবার সন্ধ্যায় সে আবার প্রবাসের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে চলে গেছেন। মঙ্গলবার ভোরে আমার বোন আয়েশা আক্তার মুক্তা ঘরের বাইরে টয়লেটে যায়। এই ফাঁকে ২৫/৩০ জনের একটি ডাকাত দল আমাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। এর মধ্যে ১০/১২ জন আমাদের বাড়ির বাউন্ডারির দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। বাউন্ডারির ভেতরে ঢুকে ভবনের কলাপসিবল গেট ও দরজা ভেঙে সাতজন ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমার বাবা, মা ও ভাইকে মারধর করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরই মাঝে আমার বোন টয়লেট থেকে ঘরে ঢুকলে তার মাথায়ও আঘাত করে মেঝেতে ফেলে দিয়ে মারধর করে। এতে তার দুই হাতের আঙুল ভেঙে যায়। ডাকাত দল আমাদের ঘরে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমার মায়ের কান ছিড়ে স্বর্ণের দুল দিয়ে যায়।
আহত আয়েশা আক্তার মুক্তা বলেন, আমি টয়লেট থেকে এসে দেখি সাতজন লোক আমার ভাইকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। তারা আমার দুই শিশুর গলায় ছুরি ধরে রেখেছিল। তাদের সবার মুখে মাস্ক পরা ছিল। তারা আমার মাথায় আঘাত করে। এরপর আমি লুটিয়ে পড়ি। দুই হাতে কখন আঘাত পেলাম বলতে পারিনি। জ্ঞান ফেরার পর দেখেছি দুই হাতে ব্যান্ডেজ।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এই ঘটনায় ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় তিন লাখ টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা ডাকাতদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আবদুল মতিনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী ও কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন ভূঁইয়া বকুল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল-মামুন সরকার বলেন, জেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিকদের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের উদ্যোগে স্মৃতি বিজরিত স্থান আখাউড়া উপজেলার ঘাগুটিয়া এলাকায় একটি পর্যটন ছাউনী নির্মাণ করা হবে। সেই ছাউনীর নাম করন ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিনের নামে করা হবে। এছাড়াও জেলার আরো চারজন ভাষা সৈনিকের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে জেলা পরিষদ।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৯১ বয়স বয়সী ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিন বলেন, তখন আমি আখাউড়ার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। মায়ের ভাষা তারা কেড়ে নিতে চায় বিষয়টি শোনার পর আর স্থির থাকতে পারিনি। পরে আখাউড়ায় আন্দোলন শুরু করি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমার বাড়ি থেকে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসি। এই আন্দোলনের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে শার্ট ও প্যান্ট উপহার দেন।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য অতিথিরা তাকে বিদায় জানানোর সময় অনেকের চোখেই পানি চলে আসে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মিয়া মতিনের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, মিয়া আবদুল মতিনের বাড়ি আখাউড়া ফেব্রুয়ারি টনকী গ্রামে। তিনি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য আটজনের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি উপজেলার মোগড়া বাজার ও গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা প্রদিক্ষণ করে। পরে তাদের এই আন্দোলনটি গণবিক্ষোভে রূপ নেয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে তিনি ছাড়া পান। ১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মতিনসহ আরো কয়েকজনকে ঢাকায় ডেকে পাঠান ও সাহসিকতার জন্য তাদের উপহার দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত জুলাই যোদ্ধাদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেছে সদর উপজেলা প্রশাসন। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত সি ক্যাটাগরির ১৭ জন জুলাই যোদ্ধার মাঝে ১৭ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
গতকাল ২৮ মে বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চেক বিতরণ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া। এ সময় সদর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ নুরুল মাহমুদ ভূইয়া, সদর উপজেলা উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল লতিফসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আপনারা যে ভূমিকা রেখেছেন এটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতেও আপনার রাষ্ট্রের প্রয়োজনে এগিয়ে আসবেন বলে আমি মনে করি। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতদের এক যোদ্ধা বক্তব্যে রাখতে গিয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে জামাই ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
৩ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মোবারক হোসেন (২৫) নামে এ ঘটনা ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
মোবারক হোসেন জেলা শহরের পীর বাড়ির আব্দুল আলীমের ছেলে।
মোবারক দুবাই প্রবাসী ছিলেন।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোবারক গত ৭-৮ মাস আগে শহরের ছয় বাড়িয়ার সফর আলীর মেয়ে তানিয়া (১৮) কে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে শান্তি ছিল না। একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতো না। মোবারক সন্ধ্যা দিকে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মোবারক শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মোবারকের বাবা আব্দুল আলীমের অভিযোগ, মোবারককে তার স্ত্রী তানিয়া ও শালা আশরাফুল সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। মোবারকের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় তারা। এ ঘটনায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।