চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ২৩ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যার পর বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। সরাইল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ আলী ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুর আলমের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তরুণ দল সরাইল উপজেলা শাখার কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সভায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও স্থানীয় বিএনপি যুবদল ছাত্রদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ আলীর ভাই আজির উদ্দিন আহমেদ পান্নার সঙ্গে তরুণ দলের নেতা আরাফাত রহমান হৃদয়ের বিতণ্ডা হয়। এ সময় সরাইল উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুর আলম আরাফাতের পক্ষ নিয়ে কথা বলে। এ নিয়ে দুলাল ও নুর আলমের মধ্যে বিতণ্ডা হয়।
এরই জের ধরে দুই নেতার সমর্থকরা উপজেলা সদরের সড়কের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এতে সরাইল-অরুয়াইল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ঘন্টাব্যপি সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হয়েছে। উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আখিতারা গ্রামে আজ ২০ আগস্ট রবিবার সকাল ১১টায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রাতে আখিতারা বাজারে চায়ের দোকানে আখিতারা গ্রামের মো, আব্বাস উদ্দিন এর ছেলে মামুন খান ও একই এলাকার মো, আরব আলীর ছেলে মাহমুদের বাক-বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে সকালে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ঘন্টাব্যাপী চলমান সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন লোক আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও তৌহিদি জনতার বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদ থেকে আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে আশপাশের বিভিন্ন মসজিদের মুসুল্লি ও তৌহিদি জনতা উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন।
উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
মাওলানা শেখ আমান উল্লাহ, মাওলানা কুতুব উদ্দিন ও মাওলানা মঈনুল ইসলামসহ অন্যান্য আলেম-ওলামা, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও তৌহিদি জনতা উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করেন।
অ্যাডভোকেট সাফুল ইসলাম আলিফ এর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবি করে বক্তাগণ বলেন, হিন্দুরা এদেশের নাগরিক। হিন্দুরা তাদের নিজ নিজ জায়গায় তাদের ধর্ম প্রাণ পালন করবে। এতে কারও কোনো আপত্তি নেই। তবে ইসকন নামক জঙ্গী সংগঠনের অপতৎপরতা এ দেশে চলতে দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে বাংলাদেশে ইসকন নামক জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
সফিকুল ইসলাম বাদল, নবীনগর :
নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে বিটঘর রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে হাজারো নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এই কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কৃষক সমাবেশে ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি হাজী আবু সামা সরকার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক কেএম মামুনুর অর রশীদ।
নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী নাজমুল করিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য সাইফুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক জহিরুল হক জরু, যুগ্ম আহবায়ক মমিনুল হক পলাশ, কাজী হেলাল, মোজম্মেল হক, পৌর কৃষকদলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন খাঁন, বিটঘর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বাবুল মিয়া, শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হোসেন আহমেদসহ উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত পাঠ করেন মাঃ মাকসুদুল হক। বাংলাদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৩ মাসব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে এই কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, বিগত ১৭ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকারের কারণে আপনাদের সেবা করতে পারি নাই? আমি আগামী দিনে আপনাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে চাই, আমি আপনাদের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই? আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন? নবীনগর পূর্বাঞ্চল বাসীর দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি প্রশাসনিক থানা বাস্তবায়ন। আগামী নির্বাচনে আপনাদের প্রতক্ষ ভোটের মাধ্যমে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পূর্বাঞ্চলে প্রশাসনিক থানা বাস্তবায়ন চেষ্টা করবো। নবীনগর উপজেলা কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটি ঘোষণা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
এ উপলক্ষে আনন্দ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। গত ১ জুলাই সোমবার বিকেলে বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাড় থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। পরে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণমানুষের নেতা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কমিটি নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে করা হয়েছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় তিনি জানান, আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের অধিনস্থ সব অঙ্গ সংগঠনের সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এর মাধ্যমে তৃণমূলে আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনকে শক্তিশালী করা হবে।
অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, ‘আগামী দিনে যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকেই সরকার বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবিলা করবে।’
শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নবগঠিত কমিটির সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন-২, ডা. মো. আবু সাঈদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুল আলম খোকন, তাসলিমা সুলতান খানাম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, সৈয়দ এখতেশামুল বারী তানজিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এমবি কানিজ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক স্বপন রায়, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন ও শ্রম সম্পাদক মোশতাক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।