অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বে কেউ উঁচু দালান দেখলে ভয় পায় আবার কেউ অন্ধকারে ভয় পায়। কলা দেখে ভয় পাওয়ার কথা কেউ কি কখনো শুনেছেন? এবার বিরল এই ‘ব্যানানাফোবিয়া’ বা ‘কলাভীতি’ সমস্যার কথা শুনা যাচ্ছে। ওই ভীতিতে ভুগছেন সুইডেনের লিঙ্গ সমতাবিষয়ক মন্ত্রী পাওলিনা ব্রান্ডবার্গের।
তিনি বিরল কলা-ভীতির সমস্যায় আক্রান্ত। একে বলা হয় ‘ব্যানানাফোবিয়া’। সেই কারণে তার সরকারি সফরের সময় আশপাশ থেকে সব কলা সরাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মন্ত্রীর সফরের সময় তার কক্ষ থেকে আগে থেকেই সমস্ত কলা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন সুইডিশ সরকারি কর্মকর্তারা। সম্প্রতি এমনই খবর জানায় বিবিসি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসেনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্র্যান্ডবার্গের সহকারী কর্মকর্তারা ই-মেইলে অনুরোধ করেছেন, মন্ত্রীর উপস্থিতির আগে যেন কোথাও কলা না থাকে। ২০২০ সালে ব্র্যান্ডবার্গ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ নিজেই তার বিশ্বের অদ্ভুততম কলা-ভীতি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। যদিও সেই পোস্টটি পরে মুছে ফেলা হয়।
কলা-ভীতি শুধু ব্র্যান্ডবার্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সুইডিশ রাজনীতিবিদ টেরেসা কারভালোও একই ধরনের ভীতিতে ভোগেন। কারভালো মজার ছলে উল্লেখ করেন যে, যদিও কর্মক্ষেত্রে নানা বিষয়ে তার এবং ব্র্যান্ডবার্গের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে, কিন্তু কলা নিয়ে ভীতি তাদের মধ্যে একটি ‘সাধারণ শত্রু’ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যানানাফোবিয়া খুবই বিরল একটি মানসিক সমস্যা। এর কারণে কলা দেখা বা গন্ধ পাওয়ার সাথে সাথেই উদ্বেগ, মানসিক অস্বস্তি বা বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ব্র্যান্ডবার্গের অফিস থেকে পাঠানো ইমেইলে এটি শক্তিশালী অ্যালার্জি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মন্ত্রী নিজেও একে ফোবিয়া হিসেবে স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, তিনি এই সমস্যার সমাধানে পেশাগত সাহায্য নিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনেক বিরল ফোবিয়ার মতো ব্যানানাফোবিয়ার কারণও অস্পষ্ট। তবে শৈশবে ঘটে যাওয়া কোনো নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থেকে এই ভীতি জন্ম নিতে পারে। ব্র্যান্ডবার্গের এই বিশেষ কলা-ভীতির খবর মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে। মানসিক ফোবিয়া যে ধরনেরই হোক, তা ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সুইডেনের সরকারি কর্মকর্তারা এই ধরনের বিরল ফোবিয়াকে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে সচেতনতার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাফেজ ফয়সাল আহমেদ।
তার এ অর্জনে বাবা-মাসহ গর্বিত জেলাবাসী।
তিনি জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সময় ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার এশার নামাজের পর বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে বিজয়ী ফয়সালের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১৬৬ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ফয়সাল আহমেদ তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। যার পুরস্কার হিসেবে তাকে দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫২ লাখ ৬২ হাজার ৫৭৯ টাকা) ও সম্মাননা পদক। ফয়সাল রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছেন।
তার বাবা মো. সিরাজ মিয়া দীর্ঘদিন সৌদি আরবে প্রবাস জীবন কাটিয়ে বর্তমানে বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। হাফেজ ফয়সালের এক ছোট বোন রয়েছেন। ফয়সাল বড় সন্তান।
হাফেজ ফয়সাল আহমেদের বাবা মো. সিরাজ মিয়া বলেন, ফয়সাল আহমেদ ছোট থেকেই ইসলামী পড়ালেখার প্রতি বেশ মনোযোগী। সে সব সময় স্বপ্ন দেখত, ইসলামী বিষয়ে ভালোভাবে পড়ালেখা করে একজন আলেম হবে। সে স্বপ্ন নিয়েই সে এগিয়ে যাচ্ছে। তার প্রথম হেফজ বিষয়ে শিক্ষাজীবন শুরু হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মৈন্দ বারুরা দারুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে। এরপর সে জেলা শহরের ইকরা মাদ্রাসায় কিছুদিন পড়াশোনা করে। বর্তমানে ফয়সাল রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় পড়ছে। সে সৌদি আরবে এতো প্রতিযোগীদের সঙ্গে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে যে সুনাম বয়ে এনেছে, তাতে পিতা হিসেবে আমি গর্বিত। আমি চাই, আমার ছেলে একজন ভালো মানুষ ও একজন ভালো আলেম হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলুক।
তার মা বলেন, ফয়সাল সব সময় বলে, সে ইসলামী শিক্ষার মাধ্যমে আল্লাহর ঘর দেখবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে। আমার ছেলে এত বড় কৃতিত্ব অর্জন করেছে, আমি তাতে গর্বিত। আমরা স্বপ্ন দেখি, ফয়সাল যেন ভালো আলেম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এবং ইসলামের খেদমতের পাশাপাশি দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারে।
এ বিষয়ে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল জানান, ফয়সালের এ কৃতিত্ব কেবল ইয়াছাপুরা ইউনিয়নের নয় বরং ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সমগ্র বাংলাদেশের কৃতিত্ব। তার এমন অর্জনে আমরা সবাই গর্বিত। তিনি দেশে এলে আমাদের ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা জানানো হবে।
গত ২৫ আগস্ট সৌদি আরবের ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্ববধানে মক্কায় ৪৩তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে বিশ্বের ১১৭টি দেশ থেকে ১৬৬ প্রতিযোগী অংশ নেন। পাঁচ বিভাগে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সর্বমোট ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় পূর্ণ কোরআন হিফজ বিভাগে তৃতীয় হয়েছেন হাফেজ ফয়সাল আহমেদ।
অনলাইন ডেস্ক :
কি পরিমাণ দুর্নীতি হলে একটি সেতু বাতাসেরে ধাক্কায় ধসে পড়তে পারে। হা ঘটনা সত্য সামান্য বাতাসের ধাক্কায় নির্মাণাধীন আস্ত একটা সেতু ধসে পড়েছে। আবার শুনলে আবাক হওয়ার মত। এই সেতু নির্মান চলছে প্রায় আট বছর ধরে। এখন কি হবে?
জানা যায়, ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে রাতে একটু ঝড়ো বাতাসেই ধসে পড়েছে ৮ বছর ধরে নির্মাণাধীন সেতু। এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন অর্ধ-শতাধিক মানুষ। ধ্বংসস্তূপ এদিক-সেদিক হলেই তার নিচে চাপা পড়তেন তারা।
আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। সোমবার দিবাগত রাতে তেলেঙ্গানা রাজ্যের পেদ্দাপল্লী জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন রাতে তেলেঙ্গানার পেড্ডাপল্লি জেলায় একটি নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে দুটি পিলারের মধ্যে পাঁচটি কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়ে। বাকি তিনিটি শিগগিরই ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তবে সেতুটি থেকে ৬০০ মিটার দূরে ওদেদু গ্রামের সরপঞ্চ সিরিকোন্ডা বাক্কা রাও বলেন, সৌভাগ্যক্রমে একটি ৬৫ জনের একটি বিয়ের বাস মাত্র এক মিনিট আগে অতিক্রম করে কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।
জানা যায়, ২০১৬ সালে তৎকালীন তেলেঙ্গানা বিধানসভার স্পিকার এস মধুসূদন চারী এবং স্থানীয় বিধায়ক পুট্টা মধু মানাইর নদীর ওপর প্রায় এক কিলোমিটার সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন এবং এর জন্য প্রায় ৪৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছিল। কাজটি এক বছরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল এবং তিনটি শহর মন্থনী, পরাকাল এবং জাম্মিকুন্টার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার কমিয়ে আনার কথা ছিল। সেতুটি ভূপালপল্লীর টেকুমাতলা মণ্ডলের গারমিল্লাপাল্লু থেকে পেড্ডাপল্লীর ওডেডেডুকে সংযুক্ত করার কথা ছিল।
সাংবাদকিদের স্থানীয়রা জানান, কমিশনের জন্য চাপ থাকায় এবং সরকার তার বকেয়া পরিশোধ না করায় ঠিকাদার এক বা দুই বছরের মধ্যে কাজ বন্ধ করে দেন। ওই একই ঠিকাদার ভেমুলাওয়াদায় একটি সেতু নির্মাণ করেছিলেন যা ২০২১ সালে ভারী বৃষ্টিতে ভেসে যায়। গ্রামবাসীরা গত পাঁচ বছর ধরে সেতুর নীচে কাঁচা রাস্তা তৈরি করে চলাচল করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সন্দীপ রাও বলেন, প্রকল্পের খরচ বেড়ে গিয়েছিল এবং গত বছর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ না করেই আরও ১১ কোটি টাকা খরচ যোগ করা হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
বাসররাতে বর-কনের একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩০ মে প্রতাপ যাদবের (২২) সঙ্গে বিয়ে হয় পুষ্পার (২০)। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নিজেদের ঘরে যান তারা। পরদিন সকালে তাদের লাশ উদ্ধার হয়।
তবে বন্ধ ঘরে বর-কনের মৃত্যুতে সন্দেহ প্রকাশ করেন আত্মীয়-স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
পুলিশ সুপার প্রশান্ত বর্মা জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুয়ায়ী, হার্ট অ্যাটাকে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় ৪২৫ অভিবাসীকে আটক করেছে, দেশটির কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগ। রাজধানী কুয়ালালামপুরের চেরাসের তামান কনটের তিনটি ভিন্ন ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। যাদের বয়স ৮ থেকে ৫৪ বছর।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত ১টায় অভিযানে ৮০ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা মোট ৬০০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিকের কাগজপত্র চেক করেন এবং এর মধ্য থেকে যাদের কাগজপত্র নেই এমন ৪২৫ জন বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে ৩৭২ জন পুরুষ এবং ৫৩ জন নারী রয়েছেন।
আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৫২, মিয়ানমার ১০৮, ইন্দোনেশিয়া ৩০, নেপাল ২০, পাকিস্তান ৭, কম্বোডিয়া ৬ এবং ফিলিপাইনের ২ জন রয়েছেন।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামসুল বদরিন মহসিন সাংবাদিকদের বলেছেন, পাস বা পারমিটের অপব্যবহার, অবৈধভাবে পরিচয়পত্র ছাড়াই (অতিরিক্ত অবস্থান) ও বিভিন্ন অরাধের কারণে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশনস ১৯৬৩ এর অধীনে আরও বেশি তদন্ত করা হবে বলেও যোগ করেন শ্যামসুল বদরিন মহসিন।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামসুল বদরিন মহসিন বলেন, আমরা সবসময় জনগণের দেওয়া অভিযোগ এবং তথ্যের ভিওিতে ব্যবস্থা নেবো এবং যারা অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় থাকেন, তাদের পাসের অপব্যবহার এবং এই দেশে অনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনাকারী বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে আপস করব না।
অনলাইন ডেস্ক :
সার্বিয়ার একটি স্কুলে বন্দুক হামলা চালিয়ে আট সহপাঠী ও এক নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যা করেছে শিক্ষার্থী। আহত হয়েছে এক শিক্ষক ও ছয় শিক্ষার্থী মিলিয়ে সাতজন।
আজ ৩ মে বুধবার সকালে বেলগ্রেডের একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে অতর্কিত গুলি চালায় এক শিক্ষার্থী। তার বয়স ১৪ বছর। সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
গুলি থেকে বেঁচে যাওয়া এক ছাত্রীর বাবা দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল এন ওয়ানকে জানান, গুলির সময় তার মেয়ে ঘটনাস্থলে ছিল। সে পালাতে সক্ষম হয়। ছেলেটি প্রথমে শিক্ষককে গুলি করে, এরপর সে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে।
শিক্ষকের জীবন রক্ষায় চিকিৎসকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান সেখানকার মেয়র মিলান নেদেলজকোভিচ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত আট শিশু, এক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। এক শিক্ষক ও ছয় শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে৷ পুলিশ সপ্তম শ্রেনির এক ছাত্রকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে।
সার্বিয়ায় এ ধরনের হামলার ঘটনা সচরাচর ঘটে না। দেশটির বন্দুক আইনও তুলনামূলক কঠোর।
সূত্র: ডয়চে ভেলে