চলারপথে রিপোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ৪ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। আজ ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নারীসহ ৪ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তারা হল সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে মতর আলী (৭৭) ও একই গ্রামের আহাদ আলীর স্ত্রী জোহেরা খাতুন (৭৬)।
দুইজনের স্বজনরা জানান পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত সাতদিন আগে তাদের প্রতিবেশীদের সাথে একটি মারামারি হয়ে আহত হয়েছিল, কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নেইনি।
কালীকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দিপাড়া গ্রামের মৃত রন্জিত শুক্ল দাসের ছেলর অজয় শুক্ল দাস (৪২) ও শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের মিলন মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৫)। বাকি দুইজন নিহতদের ঘটনার সম্পর্কে কোন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নী।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল হাসান বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ১০ কেজি গাঁজাসহ মোঃ কামরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে সরাইল থানার পুলিশ।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বছিউড়া গ্রামের ঈদগাহ ময়দানের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ ফারুক হোসেন ও এএসআই (নিরস্ত্র) রুবেল আখন এবং সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসময় তাঁর হেফাজতে রাখা ১০ কেজি গাঁজা উপস্থিত সাক্ষীগণের সামনে জব্দ করেন। গ্রেফতারকৃত কামরুল ইসলাম (মনিরুল) ঝিনাইদহ জেলার কালি চরণপুর উপজেলার বয়ড়া তলা এলাকার মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে।
সরাইল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. রফিকুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাওলানা মাহমুদুল হাসান রাজধানীতে গুলিতে নিহত হন। হাসিনা সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট বাড্ডায় নিহত হন তিনি। তার মৃত্যুর ৫২ দিন পর উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে এই মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে। সম্প্রতি নিহতের গ্রামের বাড়িতে সরাইল থানা থেকে পুলিশি তদন্তের জন্যে কাগজ গেলে এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নিহত ব্যক্তির নামে মামলা হওয়ায় সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নিহত মাহমুদুল হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে রাজধানীর উত্তরায় বসবাস করতেন। গাজীপুরের কাপাসিয়া চাঁদপুর বাজার মসজিদের খতিব ছিলেন তিনি।
নিহত মাহমুদুল হাসানের চাচা সাইদুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট বিকেলে বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় আমার ভাতিজা মাহমুদুল হাসান। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাকে কয়েকদিন আগে ফোন করে জানায়, আমার ভাতিজা মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা হয়েছে। তা শুনে আমি হতভম্ব! মৃত ব্যক্তির নামে এতোদিন পরে মামলা কীভাবে সম্ভব হয় !
তিনি আরো বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় মাওলানা মামুনুল হক এবং ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়দের সাথে কথা বলেছি। তারা আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি কঠিন ভাবে দেখবেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শরীফ উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন আগে সরাইল থানা থেকে ফোন দিয়ে মাহমুদুল হাসানের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। কারণ জিজ্ঞেস করায় তারা জানালেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুনে আমি অবাক হলাম। কারণ ঢাকায় নিহত হওয়ার পর তার মরদেহ আমাদের গ্রামে দাফন করা হয়েছে। এখন সে নাকি মামলার আসামি! পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার জানালেন, তার মৃত্যু সনদ দিতে। আমি বিষয়টি তার চাচাকে জানাই।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ বিষয়ে বলেন, রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে একটি অনুসন্ধান স্লিপ এসেছে। যেহেতু অভিযুক্ত মৃত, সেই অনুযায়ী আমরা প্রতিবেদন সেখানে পাঠিয়ে দেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে।
আজ ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের চান্দার গোষ্ঠী ও বারেকের গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রমজানের শেষ দিকে তেরকান্দা গ্রামের নানু মিয়ার ছেলে শাহরুলের একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চুরি হয়। অভিযোগ ওঠে বারেকের গোষ্ঠীর লোকজন এই চুরির সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। সোমবার রাতে এই নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় চান্দার গোষ্ঠী ও বারেকের গোষ্ঠীর লোকজন। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণে আনলেও আজ সকাল থেকে ফের সংঘর্ষে জড়ায় তারা। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, সংঘর্ষের ভয়াবহতা আরো বাড়ে এই দুই গোষ্ঠীর পক্ষ নিয়ে মঙ্গলের গোষ্ঠী, সরদার বাড়ি ও হাজী বাড়ির লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায়। ধানি জমি, ভিটা বাড়িসহ সড়কের ওপর চলে এই সংঘর্ষ। বৃষ্টির মত ছোঁড়া হয় ইটপাটকেল। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫টি বাড়িঘরে ভাঙচুর লুটপাটসহ আগুন দেওয়া হয়। এ সময় ৩০ জন আহত হন।
সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আটক করা হয় চারজনকে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সেনাবাহিনী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন ২০২৩ উপলক্ষে সরাইলে প্রার্থীদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ ও মতবিনিময় সভা আজ ৩০অক্টোবর সোমবার দুপুর ১২টায় সরাইল উপজেলা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উদ্বুদ্ধকরণ ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো.শাহগীর আলম।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিনসুলতানা, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো.শাহগীর আলম তিনি বলেন, নির্বাচন শতভাগ অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।ভোটাররা নির্বিঘ্নে তার ভোট প্রয়োগ করবে। তিনি বলেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচনের দিকে সারা দেশের নজর রয়েছে। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টিম সব সময় সজাগ থাকবে। তিনি বলেন,১৭টি ইউনিয়নের ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।প্রার্থীদের সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে। আমাদেরকে লিখিত ভাবে জানাবেন আমরা ব্যবস্থা নিবো।কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বিতর্কিত করতে চান তাহলে আমরা হার্ড লাইনে থাকবো। এসময় প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে জেলা প্রশাসক বলেন,আপনারা বলেছেন নির্বাচন ১৬ আনা’ না’ তিনি বলেন, ৩২ আনা সঠিক নির্বাচন হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী এড: জিয়াউল হক মৃধা, জাতীয় পার্টি’র মনোনীত প্রার্থী মো: আব্দুল হামিদ ভাসানী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী রাজ্জাক হোসেন, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর হোসেন, ইউপি সদস্য মো. সরুজ মিয়া প্রমুখ। জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মিসহ উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন বুধবার। ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
আজ ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসন গঠিত। দুই উপজেলায় রয়েছে ১৭টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় রয়েছে ৯টি ইউনিয়ন ও আশুগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ৮টি ইউনিয়ন।
উপ-নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৭৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯টি এবং আশুগঞ্জ উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার।
উপ-নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৩২টি। এর মধ্যে সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৮৪টি ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪৮টি ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে।
উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। এরা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এই আসনের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া-(কলারছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী-(লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের ২ বারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (আপেল প্রতীক), জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল-(গোলাপ ফুল), ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ-(মোটর গাড়ী প্রতীক)।
তবে প্রতীক বরাদ্দের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন।
উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বর্তমানে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটর গাড়ি প্রতীক) গত শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে পুলিশের দাবি আবু আসিফ নিজেই আত্মগোপন করেছেন।
এদিকে নিখোঁজ স্বামীর (আসিফ) সন্ধান পেতে ও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ করতে জেলা প্রশাসক ও উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নেছা মেহরিন। মঙ্গলবার দুপুরে লোক মারফত তিনি রিটার্নিং অফিসারের কাছে এই আবেদনপত্র পাঠান। আবেদনের অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আশুগঞ্জ থানার ওসির কাছে ও দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও উপ-নির্বাচরে রিটার্নিং অফিসার মোঃ মোঃ শাহগীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (কলারছড়ি প্রতীক) নির্বাচনে সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন।
“উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সমর্থক গোষ্ঠির ব্যানারে” বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা আজাদ ওরফে শিউলী আজাদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকারের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় কলারছড়ির পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্থানীয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে নির্দেশনা দেন। প্রচার-প্রচারণায় সরকারি দলের নেতাদের সহযোগীতা পেয়ে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। নির্বাচনে তিনি চমক দেখাতে পারেন বলে মনে করছেন নির্বাচনী এলাকার লোকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার আশুগঞ্জ ও সরাইল এলাকার একাধিক ভোটার বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসনে বিএনপির সাবেক এমপি ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা প্রার্থী হতে পারেন। ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা যাতে নির্বাচনী এলাকায় সুবিধা না করতে পারেন সেজন্য আওয়ামীলীগ বিএনপির পদত্যাগী নেতা উকিল আবদুস সাত্তারের পক্ষে মাঠে নেমেছে। উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসন থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ের প্রত্যাশা করেছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূঞা।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। নির্বাচনে ১হাজার ১শত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করার পাশাপাশি থাকবে ৪ প্লাটুন বিজিবির সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম এবং ৪টি স্ট্রাইকিং টিম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাত্তার দায়িত্ব পালন করবে ৩জন পুলিশ, অস্ত্রধারী ২জন আনসার, লাঠিধারী ১০জন আনসার ও ২জন গ্রাম পুলিশ।
উপ-নির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপ-নির্বাচন উপলক্ষে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। কোন ধরনের বিশৃংখলা সহ্য করা হবেনা। কেউ বিশৃংখলার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেউ বিশৃংখলার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।