চলারপথে রিপোর্ট :
চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও নিরীহ কারাবন্দী বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন হয়েছে। আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া – এর ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা এ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার নীলনকশা করেন। সেনা কর্মকর্তাদের খুন ও গুমের পর এ দেশের হাজার হাজার নিরীহ বিডিআর সদস্যকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। যাদের মধ্যে এখনো অনেক বিডিআর জওয়ান বিনা বিচারে জেলখানায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলায় যারা জড়িত, তাদের খুঁজে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। আর যারা নিরীহ ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। আর যারা এখনো কারাবন্দী আছেন, তাদেরও জেল থেকে মুক্তি দিয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাবিলদার ইকবাল, হাবিলদার শামসুল আলম, হাবিলদার ফয়েজ, সৈনিক মোহাম্মদ আলী খান, প্রয়াত সৈনিক বদিউল আলম এর স্ত্রী রুবিনা আলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার ভাদুঘর ফাটাপুকুর পাড় সংলগ্ন পালকি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত কাঠের ১টি রামদা এবং ৩টি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলার খুশু মিয়া প্রকাশ খুরশিদ মিয়ার ছেলে এনাতুল ওরফে এনাদুল ওরফে এনামুল ওরফে ইমন (৩৩), পৌর এলাকার দক্ষিণ মৌড়াইলের আবদুর রকিবের ছেলে মোঃ রুবেল ওরফে রাজ্জাক (৩৪) এবং পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডা মিন্দালী পাড়ার শহিদ মিয়ার ছেলে মোঃ শরীফ (২৯)।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চাঁদের হাসি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিককে সিলগালার ও স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল এন্ড টোটাল হেলথকেয়ার হাসপাতাল নামে একটি হাসপাতালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ শহরের কুমারশীলমোড় ও লোকনাথ উদ্যান (ট্যাংকেরপাড়) এলাকায় পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
দেশব্যাপী চলমান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনিবন্ধিত ও মানহীন হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স না থাকায় কুমারশীল মোড়ের চাঁদের হাসি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া শহরের লোকনাথ উদ্যানের (টেংকের পাড়) পাশে অবস্থিত স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল এন্ড টোটাল হেলথকেয়ার হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোর্ত্তীন ওষুধ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। এছাড়া হাসপাতালটিতে প্যাথলজি পরীক্ষায় অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের প্রমান পাওয়া যায়। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০, ৫২ ও ৫৩ ধারায় উক্ত হাসপাতালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুর রহমান হিমেল, ডা. তাসনুভা তাবাসসুম নোভা, ডাঃ ফাইরোজ মায়িশ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ ছফিউর রহমান ও সদর মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫০ জন প্রতিবন্ধীর হাতে আম ও কাঁঠাল তুলে দেওয়া হয়েছে। ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ড্রিম ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আ. কুদদূস। শোকের মাস আগস্ট এর প্রথম দিন উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হেদায়েতুল আজিজ মুন্নার সঞ্চালনায় ফল বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কাউছার আহমেদ, হিসাব কর্মকর্তা গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজী, নগর পরিকল্পনাবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন দত্ত, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা, সাংবাদিক আ ফ ম কাউছার এমরান, আজিজুর রহমান পায়েল।
অনুষ্ঠানে মোট ৫০ জন প্রতিবন্ধীর হাতে আম ও কাঁঠাল তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে ক্রীড়া সংগঠক আব্দুল জলিল নামে এক প্রতিবন্ধীর চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বিডি অ্যানিমেল হেলথ, স্বপ্নতরী ও মৌসুমী প্রেস নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানে এই আয়োজনে সহযোগিতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
৬ ডিসেম্বর কলাপাড়া মুক্ত দিবস। ১৭৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর দখলদার পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে সাগরপারের কলাপাড়াকে শত্রুমুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা। আকাশে ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
জানা গেছে , ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর বিকালে মুক্তিযোদ্ধারা পার্শ্ববর্তী উপজেলা গলাচিপা থেকে ‘ভাট্রি’ নামের একটি জাহাজে কলাপাড়ায় আসেন।পরদিন রাত আটটার দিকে পাক-বাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ শুরু করেন। এ সময় পাকবাহিনীর সদস্যরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। রাত তিনটায় মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানার নেতৃত্বে ও মরহুম নাজমুল সালেকের ফলশ্রুতিতে ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধা কলাপাড়া থানা ভবন আক্রমণ করে। যুদ্ধে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নাজমুল হুদা অংশগ্রহণ করেন।
প্রায় ৭ ঘণ্টা ত্রিমুখী আক্রমণের ফলে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এতে দুই রাজাকার এবং আরিফুর রহমান মুকুল নামের এক মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। পরে ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা থানা ভবন দখল করে উড়িয়ে দেয় স্বাধীন পতাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সেলিম মিয়া ও মোঃ শামীম মিয়া নামে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
গতকাল বুধবার রাতে শহরের দক্ষিণ পৈরতলা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সেলিম মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বাড়াই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও শামীম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাজীপাড়ার হারুন মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে দক্ষিণ পৈরতলা এলাকায় সেলিম মিয়ার ভাড়া বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে সেলিম মিয়ার বাসা তল্লাশী করে ১৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।