চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি মডেল গার্লস হাই স্কুলের ৬য়তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম এ ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করেন। নির্বাচিত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯কোটি ৫০লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬তলা বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের এ নতুন ভবণটি নির্মিত হবে।
স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন মৃধার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসাইন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সাধারন সম্পাদক মোবারক হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ, অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসাইন, সাবেরা সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমানে নতুন ভাবে শিক্ষার ব্যবস্থার যুগোপযোগী করে তোলার পাশাপাশি উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ৫ নভেম্বর রবিবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়কের সংস্কার কাজ, ড্রেন নির্মান ও বাউন্ডারী দেয়াল নির্মান কাজ।
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হচ্ছে শহরের পুরাতন জেলখানার মোড় থেকে মেড্ডা পীরবাড়ি পর্যন্ত (বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হুদা সড়ক), বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সড়ক, মধ্যপাড়া মহেশ্বরী দিঘীর চতুরপাশের সড়ক, মেড্ডা তিতাসপাড়া সড়ক, পৌর শিশু মেলার বাউন্ডারী দেয়াল নির্মান কাজ, শহরের কে.দাস মোড় থেকে আনন্দ বাজার খেয়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ, শহীদ পলু সড়ক (কোর্ট রোড), নব-নির্মিত মসজিদ রোডের উন্নয়ন কাজ, শিমরাইলকান্দি প্রধান রাস্তা ও উন্নয়ন কাজ, ফুলবাড়িয়া প্রধান সড়ক ও আরসিসি ড্রেন নির্মান কাজ, ভাদুঘর পৌর বাস টার্মিনালের উন্নয়ন কাজ, ভাদুঘর দারোগা বাড়ি রাস্তার উন্নয়ন কাজ, পূর্ব পাইকপাড়া ধোপা বাড়ি, গগনসাহা বাড়ি, ননি সাহা বাড়ি, অধ্যাপক হরলাল রায় রোড ও কুসুম দাস সড়কের উন্নয়ন কাজ ও ড্রেন নির্মান, উত্তর পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে দাড়িয়াপুর পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ, আমিনপুর থেকে চন্ডালখিল-নয়নপুর পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন ও মেয়র নায়ার কবির সড়ক ও ড্রেনের উন্নয়ন কাজ।
উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার সকালে পৌরসভার মিলনায়তনে মেয়র নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বক্তব্য রাখেন পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ।
সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ‚ইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, পৌর সভার কর্মকর্তাগন, পৌর কাউন্সিলরগন, ঠিকাদারগন ও আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের প্রতিটি সেক্টরেই অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার গুরুত্বপূর্ন বেশ কয়েকটি রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। আজ ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে। চলতি মাসে আরো কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার হবে। তিনি ঠিকাদারদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাজের গুনগত মান বজায় রেখে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করবেন। উন্নয়ন কাজে কোন ধরনের অনিয়ম হলে তা বরদাস্ত করা হবেনা। তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ বাস্তবায়িত হলে পৌরবাসীর ভোগান্তি লাঘব হবে। পরে তিনি ফিতা কেটে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন।
এ ব্যাপারে পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস বলেন, প্রকল্পগুলোর প্রক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। তিনি বলেন, পৌর সভার সকল রাস্তার সংস্কার কাজ করা হবে। চলতি মাসেই আরো কয়েকটি রাস্তার টেন্ডার দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রমেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে আবাসন ব্যবসা। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে মানুষ এখন ফ্ল্যাটমুখী। গত ৫ বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আবাসন ব্যবসা।
তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে রড, সিমেন্টসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে ফ্ল্যাটের দাম। প্রতিবছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বিক্রি হচ্ছে কমপক্ষে তিনশত ফ্ল্যাট। যার বাজার মূল্য প্রায় একশত পঁচিশ কোটি টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে জায়গার দাম বেড়েছে কয়েক গুন। নিম্ন আয়ের লোকেরা তাদের চাহিদামতো শহরে জায়গা কিনে বাড়ি করতে পারছেন না, তাই তারা ফ্ল্যাটের দিকেই ঝুঁকছেন। আবার অনেক প্রবাসীরাও তাদের সন্তানের লেখাপড়ার সুবিধার্থে শহরে ফ্ল্যাট কিনছেন।
এছাড়াও জায়গা কিনে বাড়ি নির্মান করা বিরাট ঝামেলার কাজ ও বাড়ি নির্মানে পৌরসভার অনুমোদন পাওয়া আগের চেয়ে কঠিন হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানুষ এখন ফ্ল্যাটমুখী হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১০ বছর আগেই আবাসন ব্যবসা শুরু হয়। তবে মানুষ বর্তমানে ফ্ল্যাটমুখী হওয়ায় গত ৫ বছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসন ব্যবসা চাঙ্গা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ফ্ল্যাটের মালিক বলেন, শহরে জায়গার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে জায়গা কিনে বাড়ি করতে পারবোনা বুঝে ফ্ল্যাট কিনেছি। তাছাড়া ফ্ল্যাটে রয়েছে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
কয়েক ফ্ল্যাট মালিক বলেন, বর্তমানে শহরে বাড়ি নির্মাণের জন্য জায়গা-জমি কেনা, নির্মাণ সামগ্রী রাখার জায়গার অভাব এবং ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমোদন নেওয়াসহ নানা জটিলতার কারনে আমরা ফ্ল্যাট কিনেছি।
আবার অনেক বাড়ির মালিক নিজেরা একটু আরাম-আয়েশে ও বিলাসী জীবনযাপনের জন্য তাদের বাড়ি আবাসন ব্যবসায়ীদেরকে (ডেভলাপার) দিয়ে দিচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলাকা ও জায়গার অবস্থান ভেদে আবাসন ব্যবসায়ীদের (ডেভলাপারদের) ৬০ ভাগ, জায়গার মালিকের ৪০ ভাগ, ডেভলাপারদের ৫৫ ভাগ, জায়গার মালিকের ৪৫ ভাগ, ডেভলাপারদের ৫০ ভাগ, জায়গার মালিকের ৫০ ভাগ হারে জায়গার মালিকরা তাদের জায়গা আবাসন ব্যবসায়ীদেরকে দিয়ে দিচ্ছেন।
আবাসন ব্যবসায়ীরা ওই জায়গা নিয়ে দুই ইউনিট, তিন ইউনিট ও চার ইউনিটের ৬তলা, ৮তলা, ১০তলা, ১২তলা ভবন নির্মান করছেন। তবে গত কয়েক বছর ধরে পৌরসভা থেকে ৬ তলার উঁচু ভবনের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছেনা।
জেলা শহরের মৌলভীপাড়া, হালদারপাড়া, বাগানবাড়ি, পাইকপাড়া, কাজীপাড়া, কাউতলী ও মুন্সেফপাড়া এলাকায় ফ্ল্যাটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।বর্তমানে এলাকা ও জায়গার অবস্থান ভেদে ফ্ল্যাটের প্রতি স্কয়ার ফুটের মূল্য ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। যা আগে ছিল ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত।
শহরের হালদারপাড়ার বাসিন্দা বকুল মিয়া বলেন, শহরে জায়গার দাম খুবই বেশী। তাই তিনি সাড়ে চার হাজার টাকা স্কয়ারফুট দামে ১হাজার ২শত স্কয়ারফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। দুই ইউনিটের ৮তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে লিফট, জেনারেটর, পানিসহ সকল সুবিধা রয়েছে। তবে গ্যাস নেই। তিনি সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করেন।
শহরের পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ আল-আমিন বলেন, শহরে জায়গার দাম বেশী। তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে শহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। শহরে জায়গা কিনে তার পক্ষে বাড়ি করা সম্ভব নয় বিধায় তিনি গ্রামে কিছু জায়গা-জমি বিক্রি করে ৩৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। তিনি জানান, তার বাসায়ও গ্যাস নেই। তিনিও সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি স্কুলের একজন শিক্ষক জানান, তিনি আশুগঞ্জের একটি সরকারি স্কুলে চাকুরি করেন। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে গত ১০/১২ বছর ধরে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে শহরের মুন্সেফপাড়ায় ১হাজার ২শত স্কয়ারফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
সেলিম মিয়া নামে একজন প্রবাসী জানান, তার বাড়ি নবীনগর উপজেলায়। ছেলেমেয়েদর লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে তিনি শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় সাড়ে চার হাজার টাকা স্কয়ারফুট দামে ১০৫০ স্কয়ারফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর জানান, শহরের প্রতিটি মহল্লাতেই এখন চড়া দামে জায়গা বিক্রি হচ্ছে। ফলে জায়গা কিনে বাড়ি নির্মাণ করা মধ্যবিত্তদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই মানুষ এখন ফ্ল্যাটের দিকে ঝুঁকছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কলেজ শিক্ষক জানান, শহরে জায়গার দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা তিন বন্ধু মিলে বছর পাচেক আগে হালদারপাড়া এলাকায় এক বাড়ির মালিকের কাছ থেকে অর্ধেক অর্ধেক হারে ৪ শতক জায়গা নিয়ে তাতে দুই ইউনিটের ৬তলা ভবন নির্মান করেছেন। তারা তিন বন্ধু পেয়েছেন ৬টি ফ্ল্যাট ও মালিক পেয়েছেন ৬টি ফ্ল্যাট। এতে তারা লাভবান হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরে কমপক্ষে ১৫ থেকে প্রতিষ্ঠান আবাসন ব্যবসার সাথে জড়িত। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঠিকাদারও আছেন। আবার ৭/৮জন যুবক মিলেও আবাসন ব্যবসা করছেন। এলাকা ভেদে ও জায়গার অবস্থান বুঝে জায়গার মালিকদের সাথে চুক্তি করেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। আবাসন ব্যবসায়ীদের (ডেভলাপারদের) ৬০ ভাগ, জায়গার মালিকের ৪০ ভাগ, ডেভলাপারদের ৫৫ ভাগ, জায়গার মালিকের ৪৫ ভাগ, ডেভলাপারদের ৫০ ভাগ, জায়গার মালিকের ৫০ ভাগ হারে জায়গার মালিকরা তাদের জায়গা আবাসন ব্যবসায়ীদেরকে দিয়ে দিচ্ছেন। ভবন নির্মানের সকল খরচ বহন করেন আবাসান ব্যবসায়ীরা। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে আবাসন রেডি হওয়া পর্যন্ত জায়গার মালিক অন্য যে বাসায় ভাড়া থাকেন সেই ভাড়াও পরিশোধ করেন আবাসন ব্যবসায়ীরা।
কয়েকজন আবাসন ব্যবসায়ী জানান, ভবন নির্মাণের জন্য পৌরসভা থেকে নকশা অনুমোদন নিতে হয়। যে স্থানে ভবন নির্মাণ করা হবে- তার পাশে ১৪ থেকে ১৬ ফুট পর্যন্ত রাস্তা থাকলেই ছয়তলা বিশিষ্ট ভবনের অনুমোদন দেয়া হয়। তারা জানান, পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকাতেই এই আকারের রাস্তা নেই। এজন্য ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত বিদ্যমান বিধি শিথিল করার দাবি জানান তারা।
আবাসন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রফিক কনস্ট্রাকশনের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, “ মানুষ বাড়ি নির্মাণের ঝামেলা এড়াতে ফ্ল্যাটের দিকে ঝুঁকছেন। সবাই চান ঝামেলামুক্ত আবাসন। আমরা মানুষকে সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ফ্ল্যাট দিচ্ছি। এছাড়া মধ্যবিত্তরা কিস্তির মাধ্যমেও ফ্ল্যাট কিনতে পারছেন।
আবাসন ব্যবসায়ী মোঃ কাদেরউজ্জামান বলেন, “ রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারনে রড, সিমেন্টসহ নির্র্মান সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ফ্ল্যাট তৈরিতে খরচ পড়ছে বেশি। প্রতি স্কয়ারফুটে এখন খরচ পড়ছে আড়াই হাজার টাকার মতো। তাছাড়া ছয়তলার বেশি উচ্চতার ভবনের অনুমোদন দিচ্ছেনা পৌরসভা। এসব কারণে ফ্ল্যাটের দাম কিছুটা বেশি’।
আবাসন ব্যবসায়ী এম.কে. বিল্ডার্সের মালিক কামরুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বছরে আড়াইশ থেকে তিনশ ফ্ল্যাট বিক্রি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এই চাহিদা। কিন্তু জায়গা স্বল্পতা এবং ছয়তলার বেশি উচ্চতার ভবন তৈরির অনুমোদন না থাকায় আমরা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ফ্ল্যাট দিতে পারছি না। তিনি বলেন, শহরের অধিকাংশ এলাকায় ১৬ ফুটের রাস্তা নেই।
তিনি বলেন, ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যমান বিধি যদি কিছুটা শিথিল করে ছয়তলার অধিক উচ্চতার ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়, তাহলে ফ্ল্যাট বিক্রি বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ হবে। পাশাপাশি ক্রেতারা তুলনামূলক কম দামে ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির বলেন, সর্বনিম্ন ১৪ ফুটের রাস্তা থাকলেই ছয়তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করা যাবে। তবে এটি পৌরসভার কোনো বিধি নয়। সরকার থেকেই এটি নির্ধানর করা হয়েছে। মূলত মানুষের হাঁটাচলা এবং যানবাহন যেন স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে- সেজন্যই এই বিধান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পৌরসভার কিছু করার নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে একপক্ষের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে।
আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম ইয়াকুব মিয়া (৩৫)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নরসিংসার গ্রামে সামিউন বাসির ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা ছিল শুক্রবার। বিকেলের ফাইনাল খেলায় পশ্চিম পাড়া দলকে উত্তর পাড়া দল পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে পশ্চিম পাড়া দল উল্লাস শুরু করলে উত্তর পাড়া দলের কয়েকজন বাধা দেন। পরে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় কয়েকজনের নেতৃত্বে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে ৫/৬ জন আহত হন। তাদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইয়াকুব মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসক ডা. শরিফুল হক বলেন, ইয়াকবের পিঠে ছুরিকাঘাত লাগে। তার শরীর থেকে অধিক রক্তক্ষরণ হয়েছে। ধারণা করছি রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন বলেন, হত্যার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা সংস্কার বিষয়ে মহামান্য আপিল বিভাগের রায়ের প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারির পরও অহেতুক গুজব ছড়িয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আজ ২৯ জুলাই সোমবার বিকাল ৩ টা থেকে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, লোকনাথ টেংকের পাড়, প্রেসক্লাব চত্বর ও বিরাসার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জমায়েত হয়ে অবস্থান, বিক্ষোভ ও মিছিল করতে থাকে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিন আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, ত্রাণ সম্পাদক আবদুল খালেক বাবুল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, উপদপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরিন, সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, পৌর যুবলীগ সভাপতি সভাপতি আলামিন সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূঞা শিপু।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশা আয়োজিত জেলা মৎস্য অফিস হলরুমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় মৎস্যচাষিদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, আশা’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকা এর এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (ফিসারিজ) সবুজ কুমার চৌধুরী।
আশা’র সিনিয়র জেলা ম্যানেজার মো: আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা টেকনিক্যাল অফিসার (কৃষি) সোহাগ আলম এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন, জেলা খামার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আনোয়ার কামাল।
উপজেলা সদর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: ছায়েদুর রহমান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আশা’র জেলা রিজিওনাল ম্যানেজার মো: আব্দুল হাকিম, সাংবাদিক খন্দকার আলমগীর হোসেন সহ আরো অনেকেই।প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রাহ্মণবাডিয়া সদর, নবীনগর, কসবা ও আখাউড়া উপজেলার মোট ৩০ জন মৎস্য চাষীদের প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়।