চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও তৌহিদি জনতার বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদ থেকে আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে আশপাশের বিভিন্ন মসজিদের মুসুল্লি ও তৌহিদি জনতা উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন।
উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
মাওলানা শেখ আমান উল্লাহ, মাওলানা কুতুব উদ্দিন ও মাওলানা মঈনুল ইসলামসহ অন্যান্য আলেম-ওলামা, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও তৌহিদি জনতা উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করেন।
অ্যাডভোকেট সাফুল ইসলাম আলিফ এর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবি করে বক্তাগণ বলেন, হিন্দুরা এদেশের নাগরিক। হিন্দুরা তাদের নিজ নিজ জায়গায় তাদের ধর্ম প্রাণ পালন করবে। এতে কারও কোনো আপত্তি নেই। তবে ইসকন নামক জঙ্গী সংগঠনের অপতৎপরতা এ দেশে চলতে দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে বাংলাদেশে ইসকন নামক জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খানকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন স্থানীয় পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি অবসরে চলে যাবেন তিনি।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিদ্যালয়ের মাঠে এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া।
সহকারী শিক্ষক গাজী আবদুল মাজিদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও সরাইল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. আইয়ুব খান, শাহবাজপুর বহুমূখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, ব্যবস্থাপনা পরিষদের সাবেক সদস্য গাজী আবদুর রাজ্জাক, কাজী আমিনুল ইসলাম শেলভী ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রধান অতিথি বলেন, সহিদ খালিদ জামিল অত্যন্ত দক্ষ, বিচক্ষণ ও মেধাবী অফিসার। ওঁর অবসর জনিত বিদায় আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ আমরা এমনই একজন কর্মকর্তাকে হারাতে যাচ্ছি উপজেলার ২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি শিক্ষকের নাম যার মুখস্থ। যিনি প্রত্যেক শিক্ষকের আচার আচরণ পাঠদানের ক্ষমতাসহ বিভিন্ন গুরূত্বপূর্ণ তথ্য জানেন। যেকোন সমস্যার তড়িৎ সমাধানে পটু ছিলেন তিনি। আমরা ওঁর সুস্থতা ও দীর্ঘ হায়াত কামনা করি। সবশেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ, অভিভাবক প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা মিলে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পুষ্টি, প্রজনন, স্বাস্থ্য ও কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ মে রবিবার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মিলনায়তনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটের আয়োজনে, সরাইল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের বাস্তবায়নে কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণির ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছে।
সরাইল পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: তানজিদ তামান্নার সভাপতিত্বে ওই কর্মশালায় সহায়ক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অফিসের উপপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, সহকারী পরিচালক ডা: সোহেল হাবিব, ঢাকা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া ও সরাইল পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
বক্তব্য রাখেন- মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুল, সরকারী অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়রে প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম আব্দুল্লাহ, পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ও পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক।
কর্মশালায় কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জাসনা আলম ফাবিহা, দ্বিতীয় পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে ইউনুছ ফায়িদা ও তৃতীয় হয়েছে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মাইশাতুল মীম। বিজয়ী তিন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। অংশগ্রহণকারী তিন বিদ্যালয়ের ৬০ জন শিক্ষার্থীকে ১টি করে ব্যাগ ও যাতায়ত ভাড়া প্রদান করেছেন আয়োজকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ও মাহে রমজানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সেক্টর সদর দপ্তর, সরাইল ও সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ব্যবস্থাপনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দুঃস্থ ও দরিদ্র জনগণের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার বিকালে উপজেলার চাউরা কবি সানাউল হক ডিগ্রী কলেজ মাঠে ১০০টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে এ ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সরাইল ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ, পিএসসি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিঙ্গারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভুইঁয়া, মেম্বার মামুন চৌধুরী, চাউরা কবি সানাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আসাদুল হক শিপন, সিনিয়র শিক্ষক আবু সালেহসহ, সরাইল ২৫ ব্যাটালিয়নের অন্যান্য অফিসার ও সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
খাদ্য সামগ্রী মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিন তৈল ও আলু এবং ইফতার ও রাতের খাবার।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সব সময়ই সমাজের দরিদ্র ও বিপন্ন মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও আমাদের এই কাযক্রম অব্যাহত থাকবে বলে বিজিবির পক্ষে থেকে জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ৮ কেজি গাঁজা ও এক হাজার পিস ইয়াবাসহ এক দম্পতিকে আটক করেছেন গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। ১০ মার্চ রবিবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পূর্ব কুট্টাপাড়া ব্যাগ ফ্যাক্টরির সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয় একটি মোটরসাইকেল।
আটককৃতরা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার বাবুল শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম শেখ (৩৩) ও তার স্ত্রী সাথী আক্তার (২৭)। তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসীতে বসবাস করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাদক উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ঢাকা অভিমুখে একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন এক ব্যক্তি। তার পেছনে এক নারী ব্যাগ নিয়ে বসা ছিলেন। তারা নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেন। পরে তল্লাশিকালে তাদের ব্যাগে এবং শরীরে অভিনব কৌশলে লুকিয়ে রাখা ৮ কেজি গাঁজা ও এক হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদেরকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক স্বামী-স্ত্রী জানান তারা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বিজয়নগর থেকে এসব মাদক এনে পাচার করছিলেন। এ ঘটনায় রাতে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে মার্কেট নির্মাণ ও বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে বারিউড়া গ্রামবাসীর লোকজন জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
এদিকে বিষয়টির তদন্তে গিয়ে সরকারি জায়গায় স্থাপনা থাকার বিষয়টি ধরা পড়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তার নজরে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ বিগত কয়েক বছর ধরে তার পুলিশ অফিসার ছেলে ও নিজের প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা বারিউড়া মৌজায় এস এ দাগ নাম্বার ১৭২এর বেশ কিছু অংশ জোরপূর্বক দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে রেখেছে। এছাড়া অনেকের কাছে দোকানের পজিশন বিক্রি করেছে। তার এই অবৈধ জায়গা দখলের কারণে ওই মহাসড়কের মধ্য দিয়ে বারিউড়া গ্রামে চলাচলকারী ভোক্তা, ক্রেতা ও জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এমনকি বাসস্ট্যান্ডের জায়গা দখল করায় লোকাল বাস ও দূরপাল্লার বাস নির্দিষ্ট স্থানে না থেমে বাজারের মাঝখানে থামতে হচ্ছে। যার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণ।
এ অবস্থায় জনস্বার্থে মহাসড়ক ও এর আশেপাশের জায়গা দখলমুক্ত করতে মনসুর চেয়ারম্যানের দখল করা মার্কেট ও দোকানপাট উচ্ছেদের জন্য গ্রামবাসী প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা জানান, ছোটবেলায় আমরা দেখেছি এখনে একটা ব্রিজ ছিল। ব্রিজের নিচ দিয়ে পণ্যবাহী নৌকা চলাচল করত। রাস্তার কাজ করতে গিয়ে ব্রিজের নিচের অংশ বন্ধ হয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান এই সরকারি জায়গা দখল করে এখানে মার্কেট নির্মাণ করেন। দখল করা মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের পজিশন বিক্রি করেছেন তার কাছের আত্মীয় স্বজনের কাছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ বলেন, আমি কোনো সরকারি জায়গা দখল করি নাই। গ্রামের কিছু লোকজন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমাকে হেও করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছে।
ছেলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সে ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ছেলে এ বিষয়ে কোনো জায়গায় কোনো ফোন করেনি। তার বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মিথ্যা। সে তার কর্মস্থলে চাকরি করছে।
এদিকে, শনিবার দুপুরে দখল করা জায়গা পরিদর্শন করতে যান উপজেলা কৃষি অফিসার মো. একরাম হোসেন। এ সময় তিনি সরকারি জায়গায় স্থাপনা থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখলের যে অভিযোগটি উঠেছে আমরা সে বিষয়টি তদন্ত করতে এসেছি। তদন্ত কাজ চলমান। জায়গার পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রশাসন ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে তদন্তের প্রতিবেদন দেওয়া হবে।