অনলাইন ডেস্ক :
নীলফামারীর সৈয়দপুরের জন্মভূমির মাটিতে পা রেখেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বেবী নাজনীন। আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করেন। সৈয়দপুর বিমানবন্দর ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বেরিয়ে এলে বাইরে অবস্থানরত বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতা-কর্মী ও দর্শনার্থীরা স্বাগত জানান। অনেকেই তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। বেবী নাজনীন হাত নেড়ে সংবর্ধনার জবাব দেন।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বলেন, আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। দেশ আমাদের সকলের। আমাদের দেশের প্রতি ভালবাসা চিরন্তন।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতি নিয়ে আমার কোনো ক্ষোভ নেই। বিএনপির কথা উল্লেখ না করে বলেন, দলের সাথে ছিলাম, দলের সাথে আছি। অসংখ্য তাজা প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। আমি আমার সাধ্যমতো ছাত্র-জনতার পাশে থাকবো।
পরে তিনি স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাঙ্গালীপুরের বাসায় যান এবং কিছু সময় কাটান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সহ-সভাপতি অ্যাড. ওবায়দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ পারভেজ লিটন, জেলা যুবদলের আহবায়ক তারিক আজিজ প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অর্ধযুগ আগে একটি ম্যাচ খেলে ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার ঘরের মাঠে একই ব্যবধানে জিতে সেই হারের প্রতিশোধ নিয়েছেন সাবিনারা।
তহুরা খাতুনের জোড়া আর আফিদা খন্দকারের গোলে ১৪ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতলো বাংলাদেশ। ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর আর কোনো ম্যাচ জেতেনি সাবিনারা। এ বছর ষষ্ঠ ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো লাল-সবুজ জার্সিধারী মেয়েরা।
একটা ভয় ছিল সিঙ্গাপুরকে নিয়ে। র্যাংকিংয়ে এগিয়ে। তারপরও আগের একমাত্র সাক্ষাতে ৩-০ গোলে হার। অর্ধযুগ পর ঘরের মাঠে সেই সিঙ্গাপুরকে পেয়ে সাবিনারা আত্মবিশ্বাসী হলেও জিতবেই এমন কথা জোর দিয়ে বলতে পারছিলেন না।
কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে দেখা গেলো র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে কর্তৃত্ব বাংলাদেশেরই। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলে বাংলাদেশ লিড নিয়ে নেয় সিঙ্গাপুরের মেয়েরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই। আফিদা ও তহুরার গোলে বাংলাদেশ বিরতিতে যায় ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাম দিক থেকে সাবিনা শট কর্নার করে বল দিয়েছিলেন মারিয়াকে। মারিয়া আবার বলটি সাবিনাকে ঠেলে দিয়ে গোলমুখে ক্রস নেন অধিনায়ক। ডিফেন্ডার আফিদা খাতুনের হেড ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলে লিড নেয় বাংলাদেশ।
ব্যবধান দ্বিগুণ করতে বেশি সময় নেয়নি সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। ১৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মারিয়া মান্ডা দুইজনকে কাটিয়ে বল নিয়ে ঢুকে ডিফেন্সচেরা পাস দেন তহুরা খাতুনকে। তহুরা গোল করে লিড বাড়িয়ে নেন স্বাগতিক মেয়েরা।
ব্যবধান ৩-০ হতে পারতো ২৫ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে শট নিয়েছিলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। বল ক্রসবার উঁচিয়ে চলে যায় বাইরে।
৬০ মিনিটে তহুরা খাতুন নিজের জাত নিয়েছিলেন দারুণ এক গোল করে। নিজেদের রক্ষণভাগ থেকে লম্বা শট নিয়েছিলেন মাসুরা পারভীন। বক্সের ভেতরে উড়ে আসা সেই বল ধরে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে প্লেসিংয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন তহুরা।
৭৭ মিনিটে মারিয়া মান্ডা বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন সাবিনার কাছ থেকে। মারিয়া প্রথম পোস্টে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। বল চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে।
রুপনা চাকমা, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, আফিদা খন্দকার, মাসুরা পারভীন, মনিকা চাকমা (স্বপ্না রানী) , সানজিদা আক্তার (শামসুন্নাহার জুনিয়র) , মারিয়া মান্ডা, রিতু পর্না চাাকমা (শাহেদা আক্তার রিপা) তহুরা খাতুন (সুমাইয়া) ও সাবিনা খাতুন (আকলিমা।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
দিনের শুরুটা ভালো না হলেও পরবর্তীতে বোলার ও ব্যাটারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭০ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে বসে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পিতবার সকালে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। এতে প্রথম ইনিংস থেকে টাইগাররা ২৩৬ রানের লিড পেলে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানিস্তানকে ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মত ব্যাট হাতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ১৩৪ রান করে বড় লিড দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিন শেষে ৭৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান করেছিলো বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪৬, মাহমুদুল হাসান জয় ৭৬ রানে আউট হন। দিন শেষে মুশফিকুর রহিম ৪১ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ, দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের পরের দিকের ব্যাটাররা। বাকী ৫ উইকেটে মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। ৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরমধ্যে ৩টিই নেন আফগানিস্তানের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা নিজাত মাসুদ।
মুশফিক ৭৬ বলে ৪টি চারে ৪৭ ও মিরাজ ৮টি চারে ৮০ বলে ৪৮ রানে আউট হন। লোয়ার অর্ডারে তাসকিন আহমেদ ২, তাইজুল শূন্য, শরিফুল ইসলাম ৬ রানে আউট হন। বল হাতে আফগানদের পক্ষে সেরা বোলার ছিলেন প্রথম দিন ২ উইকেট নেয়া মাসুদ। ১৬ ওভারে ৭৯ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও আব্দুল মালিক। ৫ ওভারে ১৭ রান তুলে ফেলেন তারা। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বিচ্ছিন্ন হতে পারতেন জাদরান ও মালিক। শরিফুলের বলে লিটনের হাতে জীবন পান জাদরান।
জীবন পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি জাদরান। ষষ্ঠ ওভারে শরিফুলের শিকার হন তিনি। ৬ রান করেন জাদরান। এরপর আফগানিস্তানের উপর চাপ বাড়ান আরেক পেসার এবাদত। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আফগানদের ২ উইকেট তুলে নেন এবাদত। মালিককে ১৭ ও রহমত শাহকে ৯ রানে শিকার করেন এবাদত। এতে ৩ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে বিরতিতে যায় আফগানিস্তান।
বিরতি থেকে ফিরে আফগানিস্তান শিবিরে দ্বিতীয়বারের মত আঘাত হানেন শরিফুল। অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদিকে ৯ রানে থামান তিনি। এতে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এ অবস্থায় দলের হাল ধরে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আফসার জাজাই ও নাসির জামাল। জুটিতে ৭৩ বলে ৬৫ রান তুলে উইকেটে সেট হয়ে যান তারা। এ অবস্থায় জুটি ভাঙ্গতে মরিয়া ছিলো বাংলাদেশ।
অবশেষে দলীয় ১১৬ রানে জামালকে লেগ বিফোর আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মিরাজ। ৬টি চারে ৩৫ রান করেন জামাল।
মিরাজের ব্রেক-থ্রুর পর আফগানিস্তানকে চেপে ধরেন এবাদত ও তাইজুল। এতে ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানে শেষ হয় আফগানদের প্রথম ইনিংস। আফগানদের পক্ষে জাজাই সর্বোচ্চ ৩৬ ও জানাত ২৩ রান করেন।
এবাদত ৪৭ রানে ৪টি, শরিফুল ২৮ রানে, তাইজুল ৭ রানে এবং মিরাজ ১৫ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫০ ও মিরপুরের ভেন্যুতে ৫০ শিকার পূর্ণ করেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানদের ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
জাকির হাসানকে নিয়ে ইনিংস শুরু করে প্রথম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আফগানিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার আমির হামজার বলে আউট হন ৪টি চারে ১৩ বলে ১৭ রান করা জয়।
দলীয় ১৮ রানে জয়ের বিদায়ের পর জাকিরকে নিয়ে ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৯ রানে জীবন পেয়ে আহমাদজাইর করা ১৮তম ওভারে শেষ চার বলে চারটি বাউন্ডারি মারেন শান্ত।
ইনিংসের ২১তম ওভারে বাউন্ডারি মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান জাকির। পরের ওভারের প্রথম বলে চারের সহায়তায় টেস্টে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি করেন শান্ত। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন জাকির ও শান্ত। দু’জনই ৬৪ বল করে খেলে সমান ৫৪ রানেই অপরাজিত আছেন। জাকির ৬টি ও শান্ত ৮টি চার মারেন।
স্কোর কার্ড (টস-আফগানিস্তান)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস (প্রথম দিন শেষে ৩৬২/৫, ৭৯ ওভার, মুশফিক ৪১*, মিরাজ ৪৩*) :
মাহমুদুল হাসান ক ইব্রাহিম ব রহমত ৭৬
জাকির হাসান ক আফসার ব নিজাত ১
নাজমুল হোসেন শান্ত ক নাসির ব হামজা ১৪৬
মোমিনুল হক ক আফসার ব নিজাত ১৫
মুশফিকুর রহিম ক জামাল ব মাসুদ ৪৭
লিটন দাস ক ইব্রাহিম ব জহির ৯
মিরাজ ক হামজা ব আমাদজাই ৪৮
তাসকিন এলবিডব্লু ব আজাদজাই ২
তাইজুল ক মালিক ব নিজাত ০
করিফুল বোল্ড মাসুদ ৬
এবাদত অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (বা-৮, লে বা-১, নো-১৬, ও-৭) ৩২
মোট (অলআউট, ৮৬ ওভার) ৩৮২
উইকেট পতন : ১/৬ (জাকির), ২/২১৮ (মাহমুদুল), ৩/২৫৬ (মোমিনুল), ৪/২৭১ (শান্ত), ৫/২৯০ (লিটন), ৬/৩৭৩ (মিরাজ), ৭/৩৭৫ (মুশফিক), ৮/৩৭৫ (তাইজুল), ৯/৩৭৭ (তাসকিন), ১০/৩৮২ (শরিফুল)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ১০-১-৩৯-২ (নো-১),
মাসুদ : ১৬-২-৭৯-৫ (ও-১, নো-৪),
জানাত : ১১-৩-৩৩-০ (ও-১),
জহির : ১৬-০-৯৮-১ (ও-১, নো-৮),
হামজা : ২৪-১-৮৫-১ (নো-৩),
শাহিদি : ৩-০-৯-০
রহমত : ৬-১-৩০-১।
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস :
জাদরান ক লিটন ব শরিফুল ৬
মালিক ক জাকির ব এবাদত ১৭
রহমত ক তাসকিন ব এবাদত ৯
শাহিদি ক মিরাজ ব শরিফুল ৯
জামাল এলবিডব্লু ব মিরাজ ৩৫
জাজাই ক শরিফুল ব এবাদত ৩৬
জানাত স্টাম্প লিটন ব মিরাজ ২৩
হামজা ক মোমিনুল ব এবাদত ৬
আহমাদজাই ক লিটন ব তাইজুল ০
মাসুদ ক জাকির ব তাইজুল ০
জহির অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (লে বা-১, নো-৪) ৫
মোট (অলআউট, ৩৯ ওভার) ১৪৬
উইকেট পতন : ১/১৮ (জাদরান), ২/২৪ (মালিক), ৩/৩৫ (রহমত), ৪/৫১ (শাহিদি), ৫/১১৬ (জামাল), ৬/১১৬ (জাজাই), ৭/১২৮ (হামজা), ৮/১৪০ (আহমাদজাই), ৯/১৪৬ (মাসুদ), ১০/১৪৬ (জানাত)।
বাংলাদেশ বোলিং :
তাসকিন : ৭-০-৪৮-০ (নো-৪),
শরিফুল : ৮-২-২৮-২,
এবাদত : ১০-১-৪৭-৪,
তাইজুল : ৫-০-৭-২,
মিরাজ : ৯-১-১৫-২।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস :
মাহমুদুল হাসান ক জাদরান ব হামজা ১৭
জাকির হাসান অপরাজিত ৫৪
নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৫৪
অতিরিক্ত (নো-৩, ও-৬) ৯
মোট (১ উইকেট, ২৩ ওভার) ১৩৪
উইকেট পতন : ১/১৮ (জয়)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ৫-০-৩৪-০,
মাসুদ : ৩.৫-০-৩০-০ (নো-৩),
হামজা : ৬.১-০-২৭-১,
জানাত : ৪-০-২৪-০ (ও-২),
জহির : ৪-০-১৯-০।
অনলাইন ডেস্ক :
স্কটল্যান্ডের কাছে বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে ৩১ রানে হেরে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব থেকে ছিটকে গেল জিম্বাবুয়ে। এর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপে আরব আমিরাতের কাছে হেরে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয়েছিল দলটিকে।
আজ ৪ জুলাই মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান তোলে স্কটল্যান্ড। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন লিস্ক। এ ছাড়া ক্রস ৩৮, ম্যাকমালেন ৩৪, জর্জ মানজি ৩১ এবং ক্রিস্টোফার ম্যাকব্রাইড ২৮ রান করেছেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে উইলিয়ামস তিনটি এবং চাতারা নিয়েছেন দুটি উইকেট।
জবাবে খেলতে নেমে ১৮তম ওভারের মধ্যে ৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। এখান থেকে রায়ান বার্ল ও ওয়েলেসলি মাধেভেরে ৭৪ বলে ৭৩ রানের জুটিতে জিম্বাবুয়ের আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে তুলতে পারেননি তারা। ফলে ৪১.১ ওভারেই ২০৩ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফলে ৩১ রানে পরাজয় বরণ করে জিম্বাবুয়ে।
বাছাইপর্ব থেকে দুটি দল খেলবে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে। শ্রীলঙ্কা আগেই চূড়ান্তপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে। বাকি ছিল একটি জায়গা। জিম্বাবুয়ে আজ জিতলেই শূন্যস্থানটি পূরণ হতো। কিন্তু হারে ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে নেমে গেল জিম্বাবুয়ে। ৩১ রানে হেরে নেট রান রেটে চতুর্থস্থানে থাকা নেদারল্যান্ডসের চেয়েও পিছিয়ে পড়েছে জিম্বাবুয়ে।
স্কটিশরা আবার শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডসের। যার অর্থ ওই ম্যাচে স্কটল্যান্ড হেরে গেলেও দুইয়ে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই জিম্বাবুয়ের।
আগামী পরশু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি খেলবে স্কটল্যান্ড। এই ম্যাচটা জিতলেই চূড়ান্তপর্বে উঠবে স্কটল্যান্ড। কিন্তু হারলে? নেদারল্যান্ডস যদি অনেক বড় ব্যবধানে জেতে তাহলে ডাচরাই উঠে যাবে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে।
চলারপথে ডেস্ক :
দেশের ফুটবলে যাত্রা শুরুর পর থেকে নিত্যনতুন ইতিহাস গড়ে চলছে বসুন্ধরা কিংস। আজ ২৬ মে শুক্রবার কিংস অ্যারেনায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৬-৪ গোলে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো তারা।
প্রথম ক্লাব হিসেবে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে (গত ৭৫ বছরে) টানা চারবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির গড়েছে কিংস।
এবার কিংসের শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই। ১৭ ম্যাচে ১৫ জয়ে ৪৬ পয়েন্ট অস্কার ব্রুজন শিষ্যদের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনীর পয়েন্ট ৩৪।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে কিংস। তারই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। রবসনের পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেন দোরিয়লতন গোমেজ। তবে ২৬ মিনিটে সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। ৩৮ মিনিটে দীপক রায়ের গোলে এগিয়ে যায় তারা। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (৪৫+৩) গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কিংসের অধিনায়ক রবসন রবিনহো। দুই মিনিট পরেই (৪৫+৫) মোরসালিনের গোলে স্বস্তি ফেরে কিংস শিবিরে। ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কিংস।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় কিংস। শেখ রাসেলকে ম্যাচে দাঁড়াতেই দেয়নি তারা। ম্যাচের ৫০ এবং ৬৫ মিনিটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন দোরিয়েলতন। ৬৯ মিনিটে কেনেথ ইকেচুকুর গোল ব্যবধান কমায় রাসেল। ৭৬ মিনিটে নিজের চতুর্থ এবং দলের হয়ে ছয় নম্বর গোলটি করেন দোরিয়েলতন। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যাবধান কমান কেনেথ ইকেচুকু।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে এটাই সর্বোচ্চ গোলের ম্যাচ। ম্যাচের শেষ দিকে জ্বলে ওঠে কিংস অ্যারেনার ফ্লাডলাইট। উৎসবের আমেজে কোনও কমতি ছিল না কিংসের। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়েন কানায় কানায় পরিপূর্ণ কিংস অ্যারেনার দর্শকরা।