চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারা দেশে ৩ মাস ব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসাবে আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে জিনদপুর ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. মাঈন উদ্দীন মাইনু’র সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক কে.এম. মামুনুর অর রশিদ।
নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য মো. সাইফুল হক, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক জহিরুল হক জরু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহিম, পৌর কৃষকদলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন খাঁন, ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক রাব্বি হাসান প্রমুখ। এ সময় উপজেলা ও প্রত্যেক ইউনিয়ন কৃষকদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাই তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত তাই তার দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর যদি তিনি সুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে তাকে বাকি সাজা খাটতে হবে।
আজ ১১ জুন রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ল রিপোর্টার্স ফোরাম’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোন সুযোগ নেই। পাশাপাশি পলাতক তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তিনিও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
দশবছর পর জামাত ঢাকায় সমাবেশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদেরকে অনুমতি দেওয়ার মালিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অতএব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করুন।
অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামাতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামাতের বিচার করার জন্য যথেষ্ট তথ্যপত্র রয়েছে। তবে তারা বিচারে যতক্ষণ পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে অপরাধী দল হিসেবে বলা যাবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার এবং সঞ্চালনা করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা।
আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও ফোরামের অন্য নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সকল জুলুমেরই শেষ আছে। আওয়ামী লীগ মনে করেছিল, যতোদিন তারা বেঁচে থাকবে ততোদিন ক্ষমতায় থাকবে। দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। এমন কোনো দিন নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি আর হামলা হয়নি। এমন কোনো দিন নেই- রাত নেই শান্তিতে আমরা ঘুমাতে পেরেছি।’ দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা যদি থাকে তাহলেই রাজনীতি করা যায়।
আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। বিএনপি আশা করে এ সরকার গণমানুষের দাবির প্রতি লক্ষ্য রেখে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করবে। বিএনপি আর কোনো ষড়যন্ত্র দেখতে চায় না। আরেকবার ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে চায় না। বিএনপি চায় না নির্বাচনকালীন সময় ব্যবহার করে আবারও কোনো দুষ্কৃতকারী বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে চেপে বসে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে জুলুম-নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, সবাই এখন ঐক্যবদ্ধ থাকার সময়। ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে একটি নির্বাচন যদি আদায় করতে না পারি, তাহলে আন্দোলনের বিজয় ধুলিসাৎ হয়ে যাবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রকারীর শক্তি বিএনপিকে পরাজিত করতে পারবে না।
এ সময় রুমিন ফারহানা আগামী সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হতে পারলে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দেন।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. বি. এম. মোমিনুল হক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফুজায়েল চৌধুরী।
অনলাইন ডেস্ক :
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গ-সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনি মতামত দিয়ে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই- ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং তার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ)-কে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসেবে গণ্য করা হইয়াছে; এবং যেহেতু, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশন নং-৬৩০/২০০৯-এ ১ আগস্ট ২০১৩ তারিখের প্রদত্ত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত/প্রাপ্ত নিবন্ধন বাতিল করিয়া দিয়াছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের ওই রায়কে বহাল রাখিয়াছে; এবং যেহেতু, সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রহিয়াছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সব অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে সেহেতু, সরকার, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তার সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তার সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে। এর আগে, সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের যেসব কর্মী ১৯৭১ সালের পর জন্ম নিয়েছেন তাদের গণহারে বিচার করা হবে না।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিকে এখন নিজের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে তারেক রহমান। দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য আজ বিএনপি ও তার মিত্ররা উঠেপড়ে লেগেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জিজ্ঞেস করতে চাই- আপনারা আর কতদিন চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন? আপনাদের দল আজ খাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন খাদের মধ্যে পড়ে যাওয়া বাকি আছে। আগামী নির্বাচন বর্জন করলে খাদের মধ্যে পড়ে যাবে।
আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
ড. হাছান বলেন, বিএনপির অপরাজনীতি বন্ধ করা দরকার। জ্বালাও-পোড়াও করে কোনো লাভ হয়নি, হবেও না। বিএনপি এমন একটি দল, যে দল করলে কোনো নির্বাচন করা যাবে না। মেম্বার, কাউন্সিলর, উপজেলা, চেয়ারম্যান কোনো নির্বাচন করা যাবে না। নেতাকর্মীদের কী ঠেকা পড়েছে সেই দল করে তারেক রহমানের লাঠিয়াল বাহিনী হওয়ার?
ড. হাছান বলেন, আজ তাদের গণমিছিল থেকে যদি মানুষের ওপর হামলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা হয়, মানুষের সহায়-সম্পত্তি নষ্ট করা হয়, তাহলে আমরা ছেড়ে দেব না। আমরা জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
তিনি বলেন, চার থেকে সাড়ে চার মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে গেছে, সেটি সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে এবং হয়েছে। আমরা গত পরশু ভারত সফর করে এসেছি। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি বুঝতে পারবে কম্বল বাঁচাতে গিয়ে কম্বলটাই উজাড় হয়ে গেছে। বিএনপি বর্জন করলেও তাদের নেতারা বর্জন করেনি, করবে না। গণতন্ত্রের পথে হাঁটলে তাদের লাভ হবে।
ড. হাছান বলেন, বিএনপি গত কয়েক বছর ধরে বিদেশিদের কাছে গিয়ে অনেক অনুনয়-বিনয় করেছে। শেষমেশ দেখতে পেল তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি বিদেশিরা কোনো সমর্থন জানাল না। তারা যেভাবে চেয়েছিল, সেভাবে কিছুই হচ্ছে না। এখন তারা ভিন্নসুরে কথা বলা শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র কী বলল, তাতে কিছু আসে যায় না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বাংলাদেশে আসার পর বিএনপি আশা করেছিল তিনি তাদের অভিযোগ, অনুনয়-বিনয়, দাবির ব্যাপারে কিছু একটা বলবেন। কিন্তু তিনি কিছুই বলেননি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল এসেছিল, তারাও কিছু বলেনি। অর্থাৎ তারা বুঝতে পেরেছে বিদেশিদের পেছনে ছুটে কোনো লাভ নেই।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আশরাফুল হাসান আসুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান টিটু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণের জন্যই বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো বিষাক্ত নয়, বরং বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণের জন্যই বিরামহীনভাবে কাজ করে আসছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাস্যকর ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে ওবায়দুল কাদের আজ ৫ মে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী নিষ্ঠুর স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্র কাঠামোকে বিষাক্ত করে গেছে এবং তার প্রতিক্রিয়া ও ক্ষত এখনও সমাজ-রাষ্ট্র বয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতির নামে রাষ্ট্র কাঠামোর সর্বত্রই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী আদর্শ এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিষ্ঠিত ও লালন-পালন করেছে। সময়ের সাথে সাথে বিএনপি একটি বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সেই বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ নিরাপদ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ এই জনপদের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপ্রদর্শক। সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার পর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন শুধু নয়, এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য যে সরকার আইনগত বৈধতা ও স্বীকৃতি অর্জন করে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার বন্দরে পৌঁছে দিয়েছিল, সেই সরকার ছিল ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের জনপ্রনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত সরকার তথা আওয়ামী লীগ সরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের সংগঠন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার হিসাব তুলতে গিয়ে নিজের স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানকেই সুস্পষ্ট করেছেন। ব্যক্তি স্বার্থে ও ক্ষমতার লোভে আদর্শচ্যুত কতিপয় দালাল, খুনি ও স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠীকে নিয়ে গঠিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের আওয়ামী লীগ সম্পর্কে এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য তাদের স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন যে স্বাধীনতা, তার ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস; মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস; এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে যদি কেউ আওয়ামী লীগকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় তাহলে তারাই এ দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের প্রতি শতভাগ নিষ্ঠা রেখে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণই আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বিভেদের কথা বলছেন! এতে আমাদের আফসোস হয়। জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলার হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ যুদ্ধ করে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। জাতির পিতাকে হত্যার পর খুনি-ঘাতকচক্র স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পবিত্র চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রাজনৈতিক বৈধতা দিয়ে বিভেদের গোড়াপত্তন করেছিল সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতা বিরোধী, বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র, ভুঁইফোঁড়, দালাল রাজনীতিবিদ ও কালোবাজারীদের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম হিসেবে সৃষ্টি হয় বিএনপি। তখন এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা তখন নিজেদের পরিচয় দিতেও ভয় পেত। তথাকথিত সেনা অভ্যুত্থানের মিথ্যা অভিযোগে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর শত শত মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসার এবং শত শত মুক্তিযোদ্ধা সৈনিককে ফাঁসি দিয়ে ও ফায়ারিং স্কোয়াডে নৃসংশভাবে হত্যা করে জিয়াউর রহমান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপির মুখম-লে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতনের কলঙ্কের কালিমা রয়েছে। সেই কলঙ্কের কালিমা এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সঙ্গে তাদের সহ-অবস্থানের ঘটনা আড়াল করতেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন।
সূত্র : বাসস