চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারা দেশে ৩ মাস ব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসাবে আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে জিনদপুর ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. মাঈন উদ্দীন মাইনু’র সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক কে.এম. মামুনুর অর রশিদ।
নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য মো. সাইফুল হক, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক জহিরুল হক জরু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহিম, পৌর কৃষকদলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন খাঁন, ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক রাব্বি হাসান প্রমুখ। এ সময় উপজেলা ও প্রত্যেক ইউনিয়ন কৃষকদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬টি আসনে ৫৪ জন প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) ৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার ও বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.টি.এম মনিরুজ্জামান সরকার।
জাতীয় পার্টি থেকে শাহানুল করিম, সদ্য বহিস্কৃত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা (স্বতন্ত্র প্রার্থী) সৈয়দ এ.কে এমরামুজ্জামান, জাকের পার্টির জাকির হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ইসলাম উদ্দিন, ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) ১০ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থীরা হলেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলম সাজু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনউদ্দিন মঈন (বিদ্রোহী স্বতন্ত্র), অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ (জাতীয় পার্টি), অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা (স্বতন্ত্র), ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুস (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মাইনুল হাসান, (তৃণমূল বিএনপি), রাজ্জাক হোসেন (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), আবুল হাসনাত (ইসলামী ঐক্যজোট), জহিরুল ইসলাম জুয়েল (জাকের পার্টি), কাজী মাসুদ আহম্মেদ (বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসন:এই আসনে মোট ১২ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ফিরোজুর রহমান ওলিও (বিদ্রোহী স্বতন্ত্র), রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া (জাতীয় পার্টি), সেলিম কবির (জাকের পার্টি), সৈয়দ নূরে আজম ( ইসলামী ফ্রন্ট), আব্দুর রহমান খান ওমর (জাসদ), মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদি (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), জহিরুল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র), কাজী জাহাঙ্গীর (স্বতন্ত্র), সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাস (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), সোহেল মোল্লা (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি), জামাল রানা (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) ৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুইবারের সংসদ সদস্য ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তারেক এ.আদেল (জাতীয় পার্টি), জাহাঙ্গীর আলম (জাকের পার্টি), শাহীন খান (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), বজলুর রহমান মিলন (বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি), সৈয়দ জাফরুল কদ্দুস (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর): ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান বাদল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম মমিনুল হক সাঈদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার নজরুল ইসলাম ভূইয়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন, মোবারক হোসেন দুলু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আক্তার হোসেন সাঈদ (জাসদ), মেহেদী হাসান (ইসলামী ঐক্যজোট) মো. জামাল সরকার (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), মো. মোস্তাক (স্বতন্ত্র), মো.জামসেদ মিয়া (জাকের পার্টি) ও ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুস বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, মুফতী হাবিবুর রহমান (তৃণমূল বিএনপি)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্ছারামপুর) এ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ.বি তাজুল ইসলাম। অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন (জাতীয় পার্টি), আব্দুর আজিজ (জাকের পার্টি), সফিকুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), কবির মিয়া (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি), সফিকুল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি)।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি এক লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হলেন তিনি।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান কেচি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৭ভোট।
৭ জানুয়ারি রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৩৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে মোট ভোটার ৬ লাখ ২১ হাজার ৫৮৪জন। আসনটির ১৯২ ভোট কেন্দ্রের ১৩৩৯টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ ৫ বছরেও শেষ হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষের স্বপ্নের সড়ক নবীনগর-আশুগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের নির্মাণ কাজ। তবে সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ না হলেও গত তিন বছর আগে সড়কের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েকটি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।
ভূমি অধিগ্রহনে জটিলতা, ঠিকাদারের গাফিলতি এবং প্রকল্প প্রণয়ন কমিটির ভুলের কারনে দীর্ঘ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর-আশুগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের নির্মাণ কাজ। এতে দিন দিন বাড়ছে স্থানীয়দের ক্ষোভ। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন দ্রুত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে মহাসড়কটি নির্মাণ কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) পাশ হওয়ার পর গত ২০১৮ সালের ১লা জুলাই মেঘনা-তিতাস ও পাগলা নদীর তীর ঘেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও আশুগঞ্জ উপজেলার সাথে দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আঞ্চলিক সড়কটির নির্মান কাজ শুরু করে সড়ক বিভাগ।
প্রকল্পের সময় সীমা অনুযায়ী গত ২০২১ সালের জুন মাসে সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। তবে ভ‚মি অধিগ্রহণে জটিলতা ও প্রকল্প প্রণয়ন কমিটির ভুলের কারনে মাঝ পথেই থমকে যায় সড়কটির নির্মাণ কাজ।
প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় প্রকল্প ব্যয় মোট ৪২১ কোটি ধরা হলেও সম্প্রতি ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সড়কটির নির্মাণ ব্যায় বাড়ানো হয় আরো ১৮৩ কোটি টাকা। এতে সর্বশেষ প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় দাঁড়ায় ৬০৪ কোটি টাকা।
এদিকে সড়কটি নির্মাণের আগেই ২০ কিলোমিটার পথে পাগলা ও তিতাস নদীর উপর ২টি বড় সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। তবে সড়ক নির্মাণের আগেই ৯টি মাঝারি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় সেতু ও কালভার্ট গুলো জমির উপর দৃশ্যমান অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয়দের দাবি জনসাধারনের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রæত সময়ের মধ্যে সড়কটি নির্মাণ কাজ যেন দ্রæত বাস্তবায়ণ করা হয়।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলার বাইশমৌজা গ্রামের মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তা না করার কারনে আমাদের গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এখানে ব্রীজ আছে তবে রাস্তা নেই। মানুষ পায়ে হেটে কষ্ট করে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। যদি দ্রুত রাস্তার কাজ বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে আমাদের অনেক উপকার হবে।
নবীনগর উপজেলার গাজীরকান্দি গ্রামের মোঃ সাজন মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামের ভিতর দিয়ে মোটর সাইকেল যাওয়ার রাস্তা নেই । অথচ এখানে নাকি ফোর-লেন রাস্তা হবে। রাস্তার রামে খোঁজ নেই, অনেক গুলো ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের দাবি এই রাস্তার কাজ যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। তাহলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে।
একই গ্রামের হাজেরা বেগম নামে আরেক নারী বলেন, রাস্তা না থাকার কারনে আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করতে কষ্ট হচ্ছে। পায়ে হেঁটে তাদের চলাফেরা করতে হয়। তিনি বলেন, রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগে কেন ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। এই ব্রীজগুলো আমাদের কোন কাজে আসছেনা।
এদিকে নবীনগর-আশুগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের কাজের ধীরগতির জন্যে সচেতন মহল প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের গাফলতি এবং প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির কারসাজিকেই দায়ী করেছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর-আশুগঞ্জ নির্মানাধীন রাস্তাটির কাজ প্রায় ৫বছর ধরে ঝুলে আছে। আমি মনে করি যারা প্রাথমিকভাবে রাস্তার জন্য ব্যয় ধরেছেন তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিত। কারন তারা তখন ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ভ‚মির বাজার দর না জেনেই এই ব্যয় ধরেছেন। তাই এখন প্রকল্পের কাজ যেমন দেরি হচ্ছে, সেই সাথে প্রকল্পের ব্যয়ও দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, সড়কটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার সঠিক সময়ে কাজ শুরু করতে না পারায়, আগের যে ভ‚মি অধিগ্রহণ করা ছিল সে জায়গা এবং যেখানে রাস্তা ছিল সেখানে কাজ করার সুযোগ ছিল।
কিন্তু ঠিকাদার তার সময় বাড়ানোর কোন আবেদন না করায় আমরা সেটির দরপত্র বাতিল করে দিয়েছি। আমরা পরবর্তীতে নতুন করে দরপত্র আহবান করেছি। সেটির মূল্যায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পুণঃ দরপত্র আহবানসহ নতুন ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে দ্রæত সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রায় ২০ কিলোমিটার লম্বা সড়টিতে ২টি বড় সেতু, ৭টি মাঝারি সেতু এবং ১৩টি কালভার্ট রয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার সঠিক তদন্তের জন্য পুলিশকে ৫০ বছর সময় দিতে হবে’ আইনমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয় জানতে চাইলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেন, এটা বিতর্কের প্রশ্ন না। আমার কষ্ট হয়। আপনাদের জন্য ভালো কথা বললেও আপনারা অন্য ভাবে নেন। আমি বলেছি, যারা সত্যিকারের এই অপরাধটা করেছে তাদেরকে ধৃত করার জন্য সবরকম চেষ্টা করেও যদি সময় লাগে এবং আপেক্ষিক ভাবে আমি বলেছি ৫০ বছরও যদি লাগে। কিন্তু যারা এই অপরাধ করেছে তাদেরকে ধরার জন্য যত সময় লাগুক তাদেরকে আমরা ধরবো। এই কথাকে আপনারা (সাংবাদিক) মনে করেছেন যে, ৫০ বছর লাগবে।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আমার কথা হচ্ছে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। আসল অপরাধিকে ধরা উচিত। আমাদের আইনী কাঠামোতে বলা হয়, যে অপরাধি নয়, তাকে হয়রানি করা যাবে না। প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে হবে। সেই কারণে আমি এই কথা বলেছি। আপনারা (সাংবাদিক) গেলেন ক্ষ্যাপে। আমি বুঝলাম না ভালো কথা বললেও আপনারা এরকম ক্ষেপে যান কেন, প্রশ্ন তাঁর।
এই মামলাটির তদন্ত ধীর গতি হচ্ছে কিনা এবং এরকম বিলম্বে তদন্তের আর নজির আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আমি যেই কারণে সময়ের কথাটা বলেছি। পৃথিবীতে এরকম অনেক মামলা আছে। ৪২ বছর পরে ইউনাইটেড কিংডমে (যুক্তরাজ্য) একটি খুনের মামলার আসামীদেরকে ধরতে পেরেছে। এমেরিকায় কিছু দিন আগে ২৪ বছর পরে একটি খুনের মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে। আমার কথা হচ্ছে-পুলিশ চেষ্টা করছে। তাদের তদন্ত চলছে। প্রকৃত আসামীকে এখন পর্যন্ত তদেেন্ত ধরতে পারছে না, এই জন্য তদন্তে সময় লাগছে।
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, আপনারা কি চান তদন্ত বন্ধ হয়ে যাক। আমি এই কারণেই বলেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত অপরাধিকে না ধরা হবে ততদিন পর্যন্ত তদন্ত চলবে।
এর আগে ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে আইনমন্ত্রী আনিসুল সকাল সোয়া দশটায় আখাউড়া জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি ২ দিনের সফরে নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন। তিনি বিকালে কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় যোগদান করবেন। পরদিন আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে একটি সেতু উদ্বোধন এবং দলীয় জনসভায় যোগদান করার কথা রয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন, উপজেলা মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক পিয়ারা আক্তার পিওনা প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সকল জুলুমেরই শেষ আছে। আওয়ামী লীগ মনে করেছিল, যতোদিন তারা বেঁচে থাকবে ততোদিন ক্ষমতায় থাকবে। দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। এমন কোনো দিন নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি আর হামলা হয়নি। এমন কোনো দিন নেই- রাত নেই শান্তিতে আমরা ঘুমাতে পেরেছি।’ দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা যদি থাকে তাহলেই রাজনীতি করা যায়।
আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। বিএনপি আশা করে এ সরকার গণমানুষের দাবির প্রতি লক্ষ্য রেখে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করবে। বিএনপি আর কোনো ষড়যন্ত্র দেখতে চায় না। আরেকবার ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে চায় না। বিএনপি চায় না নির্বাচনকালীন সময় ব্যবহার করে আবারও কোনো দুষ্কৃতকারী বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে চেপে বসে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে জুলুম-নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, সবাই এখন ঐক্যবদ্ধ থাকার সময়। ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে একটি নির্বাচন যদি আদায় করতে না পারি, তাহলে আন্দোলনের বিজয় ধুলিসাৎ হয়ে যাবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রকারীর শক্তি বিএনপিকে পরাজিত করতে পারবে না।
এ সময় রুমিন ফারহানা আগামী সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হতে পারলে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দেন।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. বি. এম. মোমিনুল হক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফুজায়েল চৌধুরী।