বগুড়া এ্যাডভোকেটস বার সমিতির নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল জয়ী

জাতীয়, 30 November 2024, 28 Views,

আব্দুল গফ্ফার, বগুরা
বগুড়া জেলা এ্যাডভোকেটস বার সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত মুক্তা-রফিক প্যানেলের ১৩টি পদের সবাই বিজয়ী হয়েছেন। গতকাল ২৯ নভেম্বর শুক্রবার দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

banner

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান এ্যাডভোকেট জহুরুল হক জাফর। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা প্রার্থী না দিলেও তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। অপরদিকে জামায়াত পূর্ণ প্যানেলে এবং জাসদ সমর্থিত আইনজীবীরা আংশিক প্যানেলে পৃথকভাবে নির্বাচনে অংশ নেন।

প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায়, সভাপতি পদে ৪৪০ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত মুক্তা-রফিক প্যানেলের এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান মুক্তা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত সমর্থিত ফোরাম ল’ইয়ার্স কাউন্সিল এর প্রার্থী এ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দীন পেয়েছেন ১৫৭ ভোট। ৩৪৩ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেলের এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি মনোনীত পল্টু-ববি পরিষদের প্রার্থী আব্দুল লতিফ পশারী ববি পেয়েছেন ৩২৯ ভোট।

অন্যান্য বিজয়ীরা হলেন-সহ-সভাপতি পদে এ্যাডভোকেট আতিকুল মাহবুব সালাম, শফি আহম্মেদ মিঠু, যুগ্ম সম্পাদক পদে আব্দুল মতিন মন্ডল, এস এম নুরুজ্জামান মেহবুব, লাইব্রেরী ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে জাকারিয়া সরকার ফেরদৌস, ম্যাগাজিন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এস আব্দুল্লা-হীল বাকি লিপন নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন এ্যাডভোকেট আশাবুদ জামান আশিব, নিউটন খন্দকার, মিন্টু কুমার সরকার, মোস্তফা শাকিল, মৌসুমী আকতার।

এ নির্বাচনে ১৩টি পদে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাসদের মোট ৪৮জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

Leave a Reply

কসবায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : গণঅধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আয়োজনে Read more

আড়াই বছর পর ভারতে ফিরে গেল…

চলারপথে রিপোর্ট : অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে আড়াই বছর পর Read more

কসবায় ‌‘জিয়া বিল’র ধান কাটার উদ্বোধন

চলারপথে রিপোর্ট : কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক জিয়া বিল Read more

চাকরির দাবিতে নাসিরনগরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে সরকারি চাকরিসহ ৪ দফা Read more

আখাউড়া স্থলবন্দরে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। আজ Read more

বিজয় দিবস উদযাপনে সভা অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী Read more

মহাসড়কে থ্রি হুইলারের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান Read more

গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা থেকে ৩৫.১ কেজি গাঁজাসহ Read more

ভারতকে অবশ্যই আওয়ামী লীগের লেন্স দিয়ে…

অনলাইন ডেস্ক : ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস…

চলারপথে রিপোর্ট : ৩৩ তম আন্তর্জাতিক ও ২৬ তম জাতীয় Read more

আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু

চলারপথে রিপোর্ট : ২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন ধান ও চাল সংগ্রহ Read more

সরাইলে ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়ে বাজেয়াপ্ত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ Read more

পদত্যাগ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম

জাতীয়, 11 September 2024, 116 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম পদত্যাগ করেছেন। তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠনের ডিটিও বরাবর ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

banner

আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সং‌শ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা আজই জানানো হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরর একটি সূত্র জানিয়েছে।

মাহবুবুল আলম বর্তমানে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখান থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে জনপদ

জাতীয়, 4 January 2023, 1191 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
ভোর থেকে কুয়াশার প্রকোপ কম থাকলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। একদিকে অধরা সূর্য অন্যদিকে উত্তরের বাতাস- সব মিলিয়ে শীতে জবুথবু ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের সব জেলার জনপদের মানুষজন। গত দুই দিন ধরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা সারাদেশ। তাপমাত্রার পারদ নামছে। পৌষের শেষার্ধে কনকনে ঠান্ডায় শীতার্ত হয়ে পড়েছে প্রাণীকুল। সারাদিন সূর্যের দেখা নেই।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী তিন দিন শীতের দাপট অব্যাহত থাকবে। এরপর কিছুটা কমে আবার নামবে। থেমে থেমে এভাবেই জানুয়ারি মাসটাই শীতে পার হয়ে যাবে। বাংলাদেশের আবহাওয়া কখনও উঞ্চ, কখনও আর্দ্র এবং এর বাইরে সমভাবাপন্ন। সমুদ্র, পাহাড়, নদ-নদী, সবুজ-বনানী ও সমতলভূমির কারণে এখানকার আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন হয় না। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তনে সাম্প্রতিক সময়ে এতে পরিবর্তন ঘটেছে। এখন অসময়ে বর্ষা খরা ও শীতের প্রবণতা বাড়ছে। এখনকার আবহাওয়া পঞ্জিকার হিসাব মানছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে শীতের তীব্রতা থাকায় বিপাকে পড়ছেন কর্মজীবীসহ সাধরাণ মানুষেরা। বিশেষ করে দৈনন্দিন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। শীতের কারণে মাঠ-ঘাট প্রায় ফাঁকা। ফসলের ক্ষেতে কাজ করতে তেমন একটা দেখা যায়নি দিনমজুরদের। রিকশাভ্যান-ইজিবাইকের সংখ্যাও কম রয়েছে রাস্তায়। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলার তৃণমূল পর্যায়ের হাট-বাজারেও লোক সমাগম কম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের কালিসীমা এলাকার নির্মাণ শ্রমিক মামুন মিয়া বলেন, শীতের কারণে আজ কাজে যেতে পারিনি। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া কষ্টকর। আমাদের চেয়ে বয়স্করা আরও বেশি কষ্টে আছেন। হাড়ভাঙা শীতে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে।
এদিকে শীতের কারণে জেলায় শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। ফলে বেড়েছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগের ওষুধ বিক্রি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার শেরপুরের ওষুধের দোকানি মো. সানাউল হক বলেন, বিকেল হলেই দোকানে শিশুদের ঠাণ্ডা-কাঁশির ওষুধ নিতে ভিড় পড়ে যায় মায়েদের। গত কয়েক দিনে ঠাণ্ডাজনিত রোগের ওষুধ বিক্রি বেড়েছে।
উত্তরের হিমেল বাতাস আর মেঘে ঢাকা সূর্য। দুইয়ে মিলে কনকনে শীত বিরাজ করছে প্রকৃতিতে। আর এই কনকনে ঠাণ্ডায় জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের জন সাধারণ আর ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এদিকে এই বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করতে থাকলে জনজীবন বিপর্যস্ত হবে বলে জানান খেটে খাওয়া মানুষেরা।
ঢাকার আগারগাঁও আবহাওয়া অফিসের একজন সিনিয়র আবহাওয়াবিদ বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে বর্ষা মওসুম যাত্রাবিরতি দিলে নভেম্বর মাস থেকে উত্তরে বায়ুপ্রবাহ শুরু হয়। হিসাবে তখন থেকেই বাতাসে ঠান্ডার প্রভাব বাড়তে থাকে। কিন্তু শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়- তার বেশ পরে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে। বাংলাদেশের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রীষ্মকালে গড় তাপমাত্রা থাকে ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি। বর্ষাকালে ২৬ দশমিক ৭ এবং শীতে ১৮ দশমিক ৭২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার দিনগত শেষরাতে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ টেকনাফে ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৬ ও সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগের হিসাবে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে এবং আট ডিগ্রির মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। ছয় থেকে আট ডিগ্রির মধ্যে থাকলে সেটিকে মাঝারি এবং তারও নিচে নেমে এলে তখন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে শীত সেটিকে শৈত্যপ্রবাহ বলতে নারাজ আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়া বিভাগের উপ-পরিচালক বিশিষ্ট আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান দুপুরে বলছিলেন, চলতি শীতের বড় কারণ কুয়াশা। তিনি বলছিলেন, শীতকালে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমে শীতল থাকে। রাত-দিনে সময়ের ব্যবধান বেড়ে যায়। বাতাসে ভেসে বেড়ানো জলীয়বাষ্পকণা ঘনীভূত হয়ে ধূলিকণার সাথে মিশে কুয়াশা তৈরি করে। এই কুয়াশা সূর্যকিরণকে ভূপৃষ্ঠে নামতে বাধা দেয়। দিনের তাপমাত্রা কমে যায়। আর এতে করে ঠান্ডার অনুভূতি তীব্র হয়।
আগামী তিন দিন কুয়াশার তীব্রতায় শীতের পূর্বাভাস জানিয়ে হাফিজুর রহমান জানান, এখন সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কমে গেছে। ঢাকা শহরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেখানে ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়া, সেখানে শেষরাতের তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি। অর্থাৎ বায়ুমণ্ডল প্রায় একই রকম শীতল থাকছে। তীব্র শীত অনুভূত হওয়ার বড় কারণ এটাই। গত দুই দিন ধরে কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা এক কিলোমিটারেরও নিচে নেমে এসেছে। জলে স্থলে অন্তরীক্ষে সবধরনের যান্ত্রিক কিংবা অযান্ত্রিক বাহন চলাচল সীমিত হয়ে গেছে।
১৯৪৮ সালে তৎকালীন পূর্ববাংলার ঢাকায় আবহাওয়া অফিস চালু হয়। পুরনো রেকর্ড অনুযায়ী, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ৪০ বছর পর ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলে বিরাজমান জলীয়বাষ্পকনা উষ্ণতার কারণে বরফে পরিণত হতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে এখানে শীতের তীব্রতা সত্ত্বেও পেঁজা তুলোর মতো বরফ জমে না। ১৯৬৮ সালে সিলেট অঞ্চলে পানির উপরিভাগে পেঁয়াজের খোসার মতো পাতলা আবরণ তৈরি হয়েছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে। ঢাকায় ১৯৬৪ সালের ১৮ ও ২০ ফেব্রুয়ারি তাপমাত্রা নেমেছিল ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আবহাওয়া বিভাগের কাছে সংরক্ষিত সর্বনিম্ন রেকর্ড।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলো থেকে তাপমাত্রার যে রেকর্ড জানা গেছে তাতে ঢাকায় সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ৬ এবং সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ১, টাঙ্গাইলে ১৮ দশমিক ৫, রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ২ এবং সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৯, রংপুরে সর্বোচ্চ ২২ দশমিক ৪ সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫, ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ৫, সর্বনিম্ন ১৩, সিলেটে সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ৫, সর্বনিম্ন ১২, চট্টগ্রামে ২৫ দশমিক ৭ ও ১৪ দশমিক ৯, খুলনায় ২১ দশমিক ৫ ও ১৩ দশমিক ৫, যশোরে ১৭ দশমিক ৪ ও ১৪, বরিশালে ২৫ দশমিক ৪ ও ১৩ দশমিক ১, কুমিল্লায় ২৬ দশমিক ৩ ও ১৫, নোয়াখালীতে ২৫ দশমিক ৩ ও ১৫ দশমিক ৫, চাঁদপুরে ২৪ দশমিক ২ ও ১৫ দশমিক ৪, কক্সবাজারে সর্বোচ্চ ২৭ ও সর্বনিম্ন ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। কোথাও বৃষ্টিপাতের খবর নেই। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে।

ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা

জাতীয়, 10 January 2024, 501 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় নারী-পুরুষসহ সকল বয়সী মানুষের ঢল নেমেছে। গ্রামের একটি ফসলের মাঠে অতিথিদের বসার স্টেজ। তার সামনে মাঠের চারপাশে দড়ি দিয়ে গোল চত্বর চিহ্নিত করে, তার চারপাশ দিয়ে ঘুরছে ঘোড়ার দল। শীতকে উপেক্ষা করে কেউ দাঁড়িয়ে, আবার কেউবা মাটিতে বসে উৎসবমুখর পরিবেশে উপভোগ করছেন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। আবার মাঠের এক পাশে নানা রকম খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। যেন সেখানে মেলা বসেছে।

banner

হারিয়ে যাওয়া গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা পুনরুদ্ধারে মঙ্গলবার পড়ন্ত বিকালে এমন চিত্র দেখা যায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে। সেখানে এলাকাবাসীর উদ্যোগে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় ফুলবাড়ী উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে তিনটি গ্রুপে ২০ জন খেলোয়াড় তাদের নিজ নিজ ঘোড়া নিয়ে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।

দুপুরের পর থেকে দূর-দূরান্ত থেকে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাকে ঘিরে ওই এলাকায় তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। খেলা দেখতে পেরেও খুশি দর্শকরা।

খেলা দেখতে আসা শফিকুল ইসলামসহ দর্শকরা বলেন, ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা। আগে বিভিন্নস্থানে খেলাগুলো দেখা যেতো, কিন্তু এখন আর তেমন দেখা যায় না। দীর্ঘদিন পরে আবারও এমন খেলার আয়োজনে খুশি আমরা। স্থানীয়রাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই খেলা দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা।

খেলার শুরুতে আগে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি। খেলা শেষে এ প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের মাঝে পুরস্কার দেওয়া হয়।

ফুলবাড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নীরু সামসুন্নাহার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল, ব্যবসায়ী রাজু কুমার গুপ্ত ও ব্যবসায়ী রাজু কুমার রহুল আমিন প্রমুখ।

ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে পতেঙ্গা সৈকতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম

জাতীয়, 29 May 2023, 1019 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে ‘জি ২০ মেগা বিচ ক্লিন আপ’ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

২০২৩ সালে ভারতের জি ২০ প্রেসিডেন্সির আচরণবিধির অধীনে রোববার আয়োজিত এই ঘণ্টাব্যাপী কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, সুশীল সমাজ, শিক্ষার্থী ও তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতের জি ২০ প্রেসিডেন্সি চলাকালে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। এটি উভয় দেশের বিস্তৃত ও সুগভীর অংশীদারত্বের প্রতিফলন। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক হচ্ছে বহুমুখী এবং সেটা যৌথ প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষাসহ সুবিস্তৃত নানা ক্ষেত্রে সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
তিনি বলেন, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক আবাসস্থলের সংরক্ষণ ও সুরক্ষার এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাদের দুই দেশের যৌথ মূল্যবোধ ও অগ্রাধিকারসমূহের একটি স্বতঃস্ফূর্ত সম্প্রসারণ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবসময় জলবায়ু ইস্যুতে সম্মুখসারিতে রয়েছে। ভূমিমন্ত্রী উপকূলীয় ও সামুদ্রিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণের সহায়ক হিসেবে ভারত সরকারের এই উদ্যোগ এবং নাগরিক-কেন্দ্রিক অংশগ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন।

পরিবেশের ওপর সামুদ্রিক বর্জ্যের প্রভাব সম্পর্কে সংবেদনশীল করা ও সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ‘জি ২০ মেগা বিচ ক্লিন আপ’ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। এতে পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা ও জনসমাজের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

আওয়ামী লীগ সবসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 22 October 2023, 596 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সবসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে আমরা হারিয়েছি। একইসঙ্গে হারিয়েছি আমার মা এবং ভাইদেরকে। আমার তো হারাবার কিছু নেই! পঁচাত্তর সালের পর; যে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, যে বাংলাদেশে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। এই বাংলাদেশে ১৯৯২ সালে আমরা দেখেছি, ২০০১ এর পর বা তার আগেও বারবার আঘাত এসেছে কিন্তু আমরা (আওয়ামী লীগ) সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম, পাশে আছি।’

banner

আজ ২২ অক্টোবর রবিবার দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পরে তিনি গোপীবাগে রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিদর্শন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, যখন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডাক দিয়েছিলেন—যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করো, তখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই যার যা কিছু ছিল তাই নিয়ে, অস্ত্র তুলে নিয়েই আমাদের এই দেশ স্বাধীন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সাধারণত উদার মনের। তারা সবসময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে। যে কারণেই আমাদের আজকের স্লোগান ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সবাই আমরা ঠিক এভাবে উৎসব পালন করে যাচ্ছি। আজকে সারা বাংলাদেশে ৩২ হাজারের উপর পূজামণ্ডপ। পূজা সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি শুধু এটুকু বলবো, আমাদের যতটুকু করার আমরা করেছি। আপনাদের অনেকগুলো দাবি ছিল। আমি কিছু দিন আগেই আপনাদের সঙ্গে বসেছি। অনেক কিছু বিস্তারিত বক্তব্য দিয়েছি। আজকে যেহেতু একটা উৎসবের দিন কাজেই কী দিলাম বা কী করলাম, কী পেলাম, কী পেলাম না সে কথায় আমি যাব না। আমরা এই মাটির সন্তান সবাই। এই মাটিতে নিজ নিজ অধিকার নিয়ে আপনারা বাস করবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছেন। কাজেই এখানে সকলেরই সমান অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার যাতে বলবৎ থাকে, সেই অধিকার যাতে সুপ্রতিষ্ঠিত থাকে আমরা সব সময় সেই চেষ্টাই করি।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা এটুকু চাইবো, আপনারাও আশীর্বাদ করেন বাংলাদেশের জন্য; আজকে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা—এখন ঘরে ঘরে খাবার আছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আছে, চিকিৎসা সেবা মানুষের কাছে আমরা দিয়ে দিচ্ছি, সারাদেশে যে উন্নয়নের ছোঁয়া, এটা মানুষের কল্যাণেই আমাদের কাজ। আর মানুষের কল্যাণ করাটাই আমরা মনে করি একমাত্র দায়িত্ব।’

তিনি বলেন, ‘২০০৮ এর নির্বাচনে বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ করব, সেটা আমরা করে দিয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ। ইন-শা-ল্লাহ আমরা সেটাও করতে পারব। আমরা সব সময় বিশ্বাস করি, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এমনকি আমাদের ইসলাম ধর্ম; সুরা কাফেরুনে বলা আছে স্পষ্ট, লাকুম দ্বীনুকুম ওয়াল-ইয়া দ্বীন। অর্থাৎ যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। কাজেই কেউ কারও ওপর হস্তক্ষেপ করবে না। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন হোক, সেটাই আমরা চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে আমাদের সংগঠনের সব নেতাকর্মী প্রত্যেকেই পাশে থাকবে। কোনো রকম অঘটন যাতে না ঘটে সেদিকে আমরা সতর্ক থাকব।’