চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আইন কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি-পিপি শাখা), বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণ, ঢাকা এর স্মারক নং- সলিসিটর/ জিপি-পিপি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)-১৯/২০২৪ (অংশ-১)-২১০, তারিখ-১৮/১১/২০২৪খ্রি. মূলে উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মোঃ মাহ্রূফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই আইন কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদান করা হয়। এতে সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) (জেলা জজ আদালত) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির প্রবীন আইনজীবী মোঃ সিরাজুল ইসলাম (আবিদ)। গত ২৭ নভেম্বর বুধবার সাবেক জিপি অ্যাড. মোঃ ওয়াসেক আলী এর নিকট থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।
দায়িত্বভার গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি সৈয়দ ফারুক, মোঃ জাকির হোসেন (৪), মোঃ ইউনুস সরকার, সহকারী সরকারি কৌঁসুলি আবুল কালাম, মোহাম্মদুল্লাহ্ প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অ্যাড. তাছলিমুল হক, অ্যাড. রেজাউল ইসলামসহ জেলা আইনজীবী সমিতির অন্যান্য আইনজীবীগণ।
তিনি এই দায়িত্ব পালনে সকল আইনজীবীসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তুকি মূল্যে কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ১৫ মে বুধবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্ব¡রে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন কার্ডধারী মানুষের মাঝে বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
প্রত্যেক কার্ডধারী ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল পায়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন জানান, সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
পৌরসভায় ৪৯ ৫২ জনসহ সদর উপজেলায় ১৬৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এই পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বুধবার সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট, আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। নিম্ন আয়ের মানুষেরা যেনো সঠিকভাবে এই পণ্য পায়, তার জন্য জোরদার ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। কোন ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ধনবাড়ী উপজেলার নল্লা বাজার নামক স্থানে আজ ৩০ মে মঙ্গলবার ভোর রাত ২টার দিকে একটি পিকআপভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে একটি বাড়ির ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত বাবা-মা-মেয়েকে চাপা দিয়েছে। এতে ঘটনাস্থলেই মা ফুল রানী দাস(৪২) ও মেয়ে রাধিকা রানী দাসের(১২) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাবা গনেশ চন্দ্র দাসকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হতাহতরা ধনবাড়ী উপজেলার নল্লা গ্রামের বাসিন্দা। ঘাতক পিকআপভ্যানটিকে আটক করেছে পুলিশ।
ধনবাড়ী থানার (ওসি) এম জসিম উদ্দিন জানান, সোমবার দিনগত গভীর রাতে একটি পিকআপভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে নল্লা গ্রামের একটি বাড়ির ঘরে ঢুকে পড়ে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় উল্টে যাওয়া পিকআপভ্যানের চাপায় মা ও মেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় বাবা গনেশ চন্দ্র দাস গুরুতর আহত হয়। আহত গনেশকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) নিবাসীদের জন্য পোশাক বানানোর এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণকরেন। এজন্য তিনি ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেছিলেন। নিবাসীরা নিজেদের ড্রেস নিজেরাই ব্লক ও সেলাইয়ের কাজ করে নতুন জামা প্রস্তুত করে। ৫ মার্চ রবিবার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম প্রদত্ত উপহার নিজ হাতে নিবাসীদের মাঝে বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াইল হক মীর, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোঃ ওয়ালি উল্লাহ, শিশু পরিবারের উপ তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা প্রমুখ।
উপহার পেয়ে বাবা মা হারা মেয়েরা খুবই খুশি ও আনন্দিত। নিবাসী ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানানো হয় জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম কে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পরমেশ্বরন আইয়ার বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেল অনুসরণ করতে পারে।
আজ ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে আইয়ারকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছে। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোও বাংলাদেশের এই উন্নয়ন মডেল অনুসরণ করতে পারে।’
ইহসানুল করিম আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাঁর সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে কারণ, তাঁর সরকার ও দল (আওয়ামী লীগ) সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়নের পর তা বাস্তবায়ন করে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচন। আমরা প্রতিটি মানুষের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে চাই।’
এ সময় বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক অগ্রগতির পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশকে অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, তার সংস্থা রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য ইতোমধ্যে ৭০ কোটি মার্কিন ডলার প্রদান করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা কার্বন নিঃসরণকারী নই’, তা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশ যথেষ্ট খারাপ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে।
আইয়ার অবশ্য প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, বিশ্বব্যাংক তার ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংক একটি বহুমাত্রিক বিনিয়োগ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা শহরকে আরও বাসযোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে পরিবেশগত পুনরুদ্ধার ও ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা এ দেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থারও প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থা অসাধারণ।’
তিনি উন্নয়নে বেসরকারি খাতের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এটিকে সমৃদ্ধশালী বলে বর্ণনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বেসরকারি খাতের বিকাশে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বেসরকারি খাতের জন্য সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছি।’
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান।
সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে ইব্রাহিম হোসেন নামে ৩ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে তার নিজ বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম হোসেন নেহালপুর গ্রামের শাকিব হোসেনের ছেলে।
দর্শনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম জানান, ইব্রাহিম সকালে তার বাড়ির উঠানে খেলা খেলছিল। এসময় উঠানে থাকা বিদ্যুৎচালিত পানির মোটরে হাত দিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় শিশু ইব্রাহিম। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।