চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসর’র সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে শিশু-কিশোর সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার সকালে লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফুলকুঁড়ি শহর শাখা।
ফুলকুঁড়ি শহর শাখার প্রধান উপদেষ্টা আবু খালেদ মো. সাইফুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সম্রাট খীসা। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) জেলা সভাপতি প্রফেসর জেড এম ফারুকী। প্রধান আলোচক ছিলেন ফুলকুঁড়ির কেন্দ্রীয় সহকারী প্রধান পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কালচারাল ও স্কুল পরিচালক রাকিবুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহির আসহাব, অ্যাডভোকেট শাহাতাদ হোসেন ও কবিরুল ইসলাম আরজুসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা।
অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফুলকুড়ি লক্ষ্মীপুর শহর শাখার উপদেষ্টা সভাপতি মোন শাহাদাত, পরিচালক শাফায়াত উল্লাহ, রায়পুর শাখা পরিচালক আহমেদ ফরিদ, কার্যকরী সদস্য কায়সার আহমেদ আফিফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কুঁড়িদের বিভিন্ন অনবদ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুখরিত এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় আসরের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শাখার আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে। এতে বৃক্ষরোপণ, চিত্রাঙ্কনসহ ৮টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৪৯ জনকে ক্রেস্ট এবং সনদ বিতরণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
গত এক যুগের বেশি সময় ধরে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হলেও নতুন শিক্ষাক্রম সেই পরীক্ষা শুরু হবে ডিসেম্বর মাসে।
নতুন কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর ভিত্তি করে এ এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেখানে লিখিত মূল্যায়নে ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নে ৩৫ শতাংশ। পুরো পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টাব্যাপী। এসব নতুন পদ্ধতি ঠিক করে প্রায় চূড়ান্ত করেছে পরীক্ষা পদ্ধতি। আগামী ৩১ মে- এর মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে সেই পরীক্ষার নাম এসএসসি থাকবে নাকি অন্য কোনো নাম হবে, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নতুন কারিকুলাম নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ে কমিটি নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সেখানে স্কুলের বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক (ষান্মাষিক) মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সাতটি ধাপ বা স্কেলে নির্ধারণ করেছে। এসএসসি পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। সেখানে ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে পরীক্ষা হবে ডিসেম্বরে। সব কিছু চূড়ান্ত করতে চলতি মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটি বৈঠক ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে নতুন কারিকুলামে। সেখানে পরীক্ষা সময় বাড়ার পাশাপাশি পরীক্ষা সময় পরিবর্তন হতে পারে। সব কিছু আরেকটি বৈঠকের চূড়ান্ত হওয়ার পর সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি জানান, মূল্যায়ন নির্দেশনা যেটি ঠিক করতে আগামী ২৭ তারিখ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত হতে পারে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, বছরের শুরুতেই এসএসসি পরীক্ষা না নিয়ে বছরের শেষে নিলে শিক্ষার্থী শিক্ষাবর্ষ পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবে। এসব দিক বিবেচনায় ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে এসএসসি পরীক্ষা ডিসেম্বর নেওয়ার সুপারিশ রয়েছে। তবে তা এখনও চূড়ান্ত না। চলতি মাসে চূড়ান্ত বৈঠকের পর তা বলা যাবে।
৫ ঘণ্টা হবে এসএসসি পরীক্ষা:
এর আগে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের বলা হয়, নতুন শিক্ষাক্রমে হবে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা। এই পাবলিক পরীক্ষায় মোট ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এতে থাকবে লিখিত পরীক্ষাও। প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নে বিরতিসহ ৫ ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকতে হবে শিক্ষার্থীদের। বর্তমান সময়ের মতো আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্রে মূল্যায়নে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা।আর এসএসসি পরীক্ষা হবে কেবল দশম শ্রেণির বিষয়ের ওপর। অর্থাৎ আগে নবম-দশম এই দুই শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হলেও নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হবে। এই শ্রেণিতে মোট ১০টি বিষয় পড়বে শিক্ষার্থীরা। বিষয়গুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি। এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সার্বিক আয়োজনের জন্য বিষয়ভিত্তিক ৬০০ শিক্ষকের সমন্বয়ে রিসোর্সপুল (বিশেষজ্ঞ দল) গঠন করা হবে। প্রথমে তাদের বোর্ডের আয়োজনে এনসিটিবির বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সাত দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিটির জন্য প্রতি বিষয়ে চারজন করে মোট ৪৪ জন শিক্ষককে চূড়ান্ত করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে সহযোগিতা ও নিরাপত্তার জন্য সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আজ ৭ আগস্ট বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে নিরাপত্তা প্রয়োজনে কয়েকটি সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগের নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।
যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, হানাহানি এবং প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হলে নিকটস্থ সেনাবাহিনী ক্যাম্পে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান ও গুজবে আতঙ্কিত হয়ে সেনাবাহিনীকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকুন। সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে নিম্নলিখিত নম্বরসমূহে যোগাযোগ করুনঃ
চট্টগ্রাম বিভাগ
১। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০১৭৬৯-৩২২৪৯১, ০১৭৬৯-৩৩২৬০৯
২। চাঁদপুর ০১৮১৫-৪৪০৫৪৩, ০১৫৬৮-৭৩৪৯৭৬
৩। ফেনী ০১৭৬৯-৩৩৫৪৬১, ০১৭৬৯-৩৩৫৪৩৪
৪। লক্ষীপুর ০১৭২১-৮২১০৯৬, ০১৭০৮৭৬২১১০
৫। কুমিল্লা ০১৩৩৪-৬১৬১৫৯, ০১৩৩৪-৬১৬১৬০
৬। নোয়াখালী ০১৬৪৪-৪৬৬০৫১, ০১৭২৫-০৩৮৬৭৭
৭। কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী এবং সাতকানিয়া উপজেলা ০১৭৬৯১০৭২৩১, ০১৭৬৯১০৭২৩২
৮। চট্টগ্রাম (লোহাগড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী এবং সাতকানিয়া উপজেলা ব্যতিত) ০১৭৬৯২৪২০১২, ০১৭৬৯২৪২০১৪
ঢাকা বিভাগ
১। মাদারীপুর ০১৭৬৯০৭২১০২, ০১৭৬৯০৭২১০৩
২। কিশোরগঞ্জ ০১৭৬৯১৯২৩৮২, ০১৭৬৯২০২৩৬৬
৩। টাঙ্গাইল ০১৭৬৯২১২৬৫১, ০১৭৬৯২১০৮৭০
৪। গোপালগঞ্জ ০১৭৬৯-৫৫২৪৩৬, ০১৭৬৯-৫৫২৪৪৮
৫। রাজবাড়ী ০১৭৬৯-৫৫২৫১৪, ০১৭৬৯-৫৫২৫২৮
৬। গাজীপুর ০১৭৮৫৩৪৯৮৪২, ০১৭৬৯০৯২১০৬
৭। মুন্সিগঞ্জ ০১৭৬৯০৮২৭৯৮, ০১৭৬৯০৮২৭৮৪
৮। মানিকগঞ্জ ০১৭৬৯০৯২৫৪০, ০১৭৬৯০৯২৫৪২
৯। নারায়ণগঞ্জ ০১৭৩২০৫১৮৫৮
১০। নরসিংদী ০১৭৬৯০৮২৭৬৬, ০১৭৬৯০৮২৭৭৮
১১। শরিয়তপুর ০১৭৬৯০৯৭৬৬০, ০১৭৬৯০৯৭৬৫৫
১২। ফরিদপুর ০১৭৬৯০৯২১০২, ০১৭৪২৯৬৬১৬২
ঢাকা মহানগর
১। লালবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আগারগাঁও, মহাখালী, তেজগাঁও, এ্যালিফেন্ট রোড এবং কাঁটাবন ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯
২। গুলশান, বারিধারা, বনানী, বসুন্ধরা, বাড্ডা, রামপুরা, শাহজাহানপুর, উত্তরখান, দক্ষিণখান এবং বনশ্রী ০১৭৬৯০১৩১০২, ০১৭৬৯০৫৩১৫৪
৩। মিরপুর-১ হতে মিরপুর-১৪, খিলক্ষেত, উত্তরা এবং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ০১৭৬৯০২৪২১০, ০১৭৬৯০২৪২১১
৪। ঢাকার মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, শান্তিনগর, ইস্কাটন, রাজারবাগ, পল্টন, গুলিস্তান এবং পুরান ঢাকা ০১৭৬৯০৯২৪২৮, ০১৭৬৯০৯৫৪১৯
বরিশাল বিভাগ
১। বরিশাল ০১৭৬৯০৭২৫৫৬, ০১৭৬৯০৭২৪৫৬
২। পটুয়াখালী ০১৭৬৯০৭৩১২০, ০১৭৬৯০৭৩১২২
৩। ঝালকাঠি ০১৭৬৯০৭২১০৮, ০১৭৬৯০৭২১২২
৪। পিরোজপুর ০১৭৬৯০৭৮২৯৮, ০১৭৬৯০৭৮৩০৮
ময়মনসিংহ বিভাগ
১। শেরপুর ০১৭৬৯২০২৫১৬, ০১৭৬৯২০২৫২৪
২। নেত্রকোণা ০১৭৬৯২০২৪৭৮, ০১৭৬৯২০২৪৪৮
৩। জামালপুর ০১৭৬৯১৯২৫৪৫, ০১৭৬৯১৯২৫৫০
৪। ময়মনসিংহ ০১৭৬৯২০৮১৫১, ০১৭৬৯২০৮১৬৫
খুলনা বিভাগ
১। বাগেরহাট ০১৭৬৯০৭২৫১৪, ০১৭৬৯০৭২৫৩৬
২। কুষ্টিয়া ০১৭৬৯-৫৫২৩৬২, ০১৭৬৯-৫৫২৩৬৬
৩। চুয়াডাঙ্গা ০১৭৬৯-৫৫২৩৮০, ০১৭৬৯-৫৫২৩৮২
৪। মেহেরপুর ০১৭৬৯-৫৫২৩৯৮, ০২৪৭৯৯২১১৫৩
৫। নড়াইল ০১৭৬৯-৫৫২৪৫৬, ০১৭৬৯-৫৫২৪৫৭
৬। মাগুরা ০১৭৬৯-৫৫৪৫০৫, ০১৭৬৯-৫৫৪৫০৬
৭। ঝিনাইদহ ০১৭৬৯-৫৫২১৫৮, ০১৭৬৯-৫৫২১৭২
৮। যশোর ০১৭৬৯-৫৫২৬১০, ০১৭৬৯-০০৯২৪৫
৯। খুলনা ০১৭৬৯-৫৫২৬১৬, ০১৭৬৯-৫৫২৬১৮
১০। সাতক্ষীরা ০১৭৬৯-৫৫২৫৩৬, ০১৭৬৯-৫৫২৫৪৮
রাজশাহী বিভাগ
১। রাজশাহী ০১৭৬৯১১২৩৮৬, ০১৭৬৯১১২৩৮৮
২। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ০১৭৬৯১১২০৭০, ০১৭৬৯১১২৩৭২
৩। পাবনা ০১৭৬৯১২২৪৭৮, ০১৭৬৯১১২৪৮০
৪। সিরাজগঞ্জ ০১৭৬৯১২২৪৬২, ০১৭৬৯১২২২৬৪
৫। নাটোর ০১৭৬৯১১২৪৪৬, ০১৭৬৯১১২৪৪৮
৬। নওগাঁ ০১৭৬৯১২২১১৫, ০১৭৬৯১২২১০৮
৭। জয়পুরহাট ০১৭৬৯১১২৬৩৪
৮। বগুড়া ০১৭৬৯১১২৫৯৪, ০১৭৬৯১১২১৭০
রংপুর বিভাগ
১। রংপুর ০১৭৬৯৬৬২৫৫৪, ০১৭৬৯৬৬২৫১৬
২। দিনাজপুর ০২৫৮৯৯২১৪০০, ০২৫৮৯৬৮২৪১৪
৩। নীলফামারী ০১৭৬৯৬৮২৫০২, ০১৭৬৯৬৮২৫১২
৪। লালমনিরহাট ০১৭৬৯৬৮২৩৬৬, ০১৭৬৯৬৮২৩৬২
৫। কুড়িগ্রাম ০১৭৬৯৬৬২৫৩৪, ০১৭৬৯৬৬২৫৩৬
৬। ঠাকুরগাঁও ০১৭৬৯৬৬৬০৬২, ০১৭৬৯৬৭২৬১৬
৭। পঞ্চগড় ০১৯৭৩০০০৬৬২, ০১৭৬৯৬৬২৬৬১
৮। গাইবান্ধা ০১৬১০৬৫২৫২৫, ০১৭৫৪৫৮৫৪৮৬
সিলেট বিভাগ
১। সিলেট ০১৭৬৯১৭৭২৬৮, ০১৯৮৭৮৩৩৩০১
২। হবিগঞ্জ ০১৭৬৯১৭২৫৯৬, ০১৭৬৯১৭২৬১৬
৩। সুনামগঞ্জ ০১৭৬৯১৭২৪২০, ০১৭৬৯১৭২৪৩০
৪। মৌলভীবাজার ০১৭৬৯১৭৫৬৮০, ০১৭৬৯১৭২৪০০
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, এই ৬৫ দিন দেশি-বিদেশি মৎস্য আহরণকারীদের অবৈধ মৎস্য আহরণ যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৪টি জেলার ৬৭টি উপজেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধের এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে। কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২ জেলের জন্য প্রথম ধাপে ১৭ হাজার ৪১৯ টন ভিজিএফের চাল এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকার উপকরণ সহায়তা দেবে।
মন্ত্রী বলেন, মাছকে বেড়ে উঠতে দেওয়া এবং অবৈধ আহরণ বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। কাউকে আইনের বাইরে কিছু করতে দেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে যে কোনো চাপ মোকাবিলা করা হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো শৈথিল্য দেখা গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদসহ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন নৌবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের প্রতিনিধি, নৌ পুলিশের ডিআইজি, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বেশ কয়েকজন বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মেরিন হোয়াইট ফিশ ট্রলার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতি, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন ও জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধিরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
দলীয় কোন্দলের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় চার জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক হালিম উল্লাহ চৌধুরী আজ ৩ জুলাই বুধবার এ মামলার রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সরাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজ আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইসমত আলী এবং মোকারম আলী সোহেল। আর সদর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার ও ইদ্রিস আলী, সিজার, বাবু, হারিছ, বকুল, লিমন, আবদুল্লাহ, শরীফ ও মিজানকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
এ মামলায় অভিযুক্ত ১৯ আসামির মধ্যে বাকি পাঁচজনকে রায়ে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালের পিপি অশোক কুমার দাশ জানান। ইকবাল আজাদ ছিলেন সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি। তার স্ত্রী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলি আজাদ বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিনজনের আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
সরাইলের অরুয়াইল ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় সরাইল থানা ভবনের কাছে খুন হন আজাদ। পরদিন তার ভাই এ কে এম জাহাঙ্গীর আজাদ বাদী হয়ে ২২ জনের নামে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বরউপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হালিম, সহসভাপতি সাদেক মিয়াসহ ২৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। তাদের মধ্যে হালিম ও সাদেক পরে মারা যান।
২০১৩ সালের ৫ মার্চ আজাদ হত্যা মামলা চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। আদালতে ডাক্তারসহ মামলার ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য বাকি থাকতেই ১৩৫ কার্যদিবস শেষ হয়ে গেলে ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুসারে মামলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর মামলাটি আবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্যে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাই কোর্টে আবেদন করেন মামলার বাদী। হাই কোর্টের আদেশে ২০২৩ সালের মে মাসে চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আবার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।