চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ উপলক্ষে জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে আজ ১ ডিসেম্বর কসবায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসান মাহমুদের সঞ্চালনায় এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, “জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার আজও হয়নি। এর বিচারের মাধ্যমে আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যতদিন এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না, আমাদের আন্দোলন চলবে।”
বক্তব্য রাখেন ছাত্র আন্দোলনের নেতা আমিনুল ইসলাম, কসবা উপজেলা ছাত্রদলের নেতা সিরাজুল হক ইমু, শিবির নেতা আব্দুর রহমান, জামায়াত নেতা শামিম রেজা, যুব জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, ছাত্র অধিকার পরিষদের বিল্লাল হোসেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিচালক শাহাবুদ্দিন ইসলাম হৃদয়।
বৈষম্যবিরোধী নেতা আহসানুল হক ফাহাদ ও রাকিবুল ইসলামসহ উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের নেতা সাদ্দাম হোসেন, সাইফুল ইসলাম, টি আলী কলেজ ছাত্রদলের নেতা তারেক মাহমুদ, শিবির নেতা জুনায়েদ সিদ্দিক এবং ছাত্রদলের দেলোয়ার হোসেন জিন্নাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও ২ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। ব্ল্যাক আউটের কারণে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে অভিন্ন সার্ভিস কোড ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিত করণের ২ দফা দাবিতে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন।
তবে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোন দাবি পূরণ না করে বরং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন ও নবীনগরের ডিজিএম আসাদুজ্জামানসহ সারা দেশের প্রায় ২০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
বরখাস্তকৃত অন্য কর্মকর্তারা হলেন এজিএম রাজন কুমার দাস, ডিজিএম দিপক কুমার সিংহ, এজিএম মনির হোসেন, জুনিয়র জেনারেল ম্যানাজার মো. জাকির হোসেন, জিএম মো. হুমায়ুন কবির, ওয়ারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ, ডিজিএম মো. রাহাত, এজিএম আবদুল হাকিম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, জেনারেল ম্যানাজার মুশফিকুল ইসলাম, জিএম জুলফিকার, জিএম মো. আবুল হাসান, ডিজিএম মো. বেলাল হোসেন, ডিজিএম জাহিদুল ইসলাম, ডিজিএম আবদুল জলিল, এজিএম ইয়াসির আরাফাত ও ডিজিএম সামিউল কবির। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্ল্যাকআউটসহ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান ফটকে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাসিরনগর আঞ্চালিক কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানাজার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৪ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিতরণ করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে যাবতীয় মালামাল ক্রয় করে দেয়। এগুলির বেশীর ভাগই নিম্নমানের হয়। এতে তারা বিপুল পরিমান দুর্নীতি করে থাকে। পল্লীবিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও চাকুরী বৈষম্য দুর করতে এ আন্দোলন। আগেও বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেই আন্দোলন করেছি। তারপরও আমাদের ২০জন কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুৎ করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানজার মো. মুকবুল হোসেনকে চাকুরীচ্যুৎ করায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোস্তাফিকুর রহমানকে। তিনি বলেন, চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে বহাল এবং দাবি আদায়ের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমপ্লিট শাট দিয়েছে। বেলা ১১টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ আমদানী ও বিতরণ কার্যাক্রম বন্ধ করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা দুইটি, নাসিরনগর, নবীনগর, আখাউড়া উপজেলার ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চিকিৎসাধীন এক স্বজনকে রক্ত দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এক যুবক। নিহত ওই যুবকের নাম মো. ইয়ার হোসেন (৩৩)।
গতকাল ১৭ জুন শনিবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা নামকস্থানে ওই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়ার হোসেন কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানার পাকদেওড়য়া গ্রামের নবাব মিয়ার ছেলে। ইয়ার হোসেনকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিক্সাটি সড়ক নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ‘রোলার গাড়িতে’ ধাক্কা লাগলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুঘটনায় আরো দু’জন আহত হয়েছেন।
কসবা থানা, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ব্লাডব্যাংক অব আন্দিকুট ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠনের সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র মতে, ইয়ার হোসেন একজন নিয়মিত রক্তদাতা ও ব্লাডব্যাংক অব আন্দিকুট ইউনিয়নের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, রাত পৌনে আটটার দিকে খাড়েরা এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।
নিহত ইয়ার হোসেনের কাছে ব্লাড ব্যাংক অব আন্দিকুট ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠনের আইডি কার্ড রয়েছে বলেও জানান তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় যাত্রী বেশে গাঁজা পাচারের সময় মো. জসিম (৪৭) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল ১৫ জুলাই সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহাম্মেদ।
গ্রেফতার মো. জসিম কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কালতা (দিঘিরপাড়) গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে।
ওসি রাজু আহাম্মেদ বলেন, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই উপজেলার কুঠি চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিছু লোক যাত্রী বেশে গাঁজা বহন করছে। পরে বাসস্ট্যান্ডের কাজি পরিবহন বাস কাউন্টারের সামনে থেকে মো. জসিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও বস্তা তল্লাশি করে ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহাগ সরকার, সোহেল মিয়া ও নজু মিয়া নামে তিন জন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইভটিজিংয়ের দায়ে মো. মাঈনুদ্দিন (২৮) নামে এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ১৫ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের রাবেয়া মান্নান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
মাঈনউদ্দিন বায়েক ইউনিয়নের ধোপাখলা গ্রামের ইদন মিয়ার ছেলে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাঈনুদ্দিনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ও ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাঈনুদ্দিন উল্লিখিত বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতেন।
শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা প্রশাসনকে অবহিত করে। স্থানীয় লোকজন মাইনুদ্দিনকে আটক করে। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছামিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় নাছিমা আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ১২ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের একটি ব্রীজের নীচ থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। নাছিমা আক্তার মুলগ্রাম ইউনিয়নের নিবড়া গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের পরিবারের দাবি, তার স্বামী হত্যা করে ব্রীজের নীচে ফেলে দিয়ে গেছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নিহতের বড় বোন জামিয়া বেগম জানান, নাছিমার স্বামীর বাড়ি সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে। প্রায় দুই যুগ আগে তার বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে স্বামীর পরকীয়ার বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যতা চলে আসছিলো। স্বামীর সাথে বনিবনা না হলে বাবার বাড়িতে না গিয়ে অধিকাংশ সময় আমার বাড়িতেই থাকতো। জামিয়া বেগমের বাড়ি আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে। শুক্রবার তার বাড়িতে নাছিমার স্বামী লিটন আসে । এখানেও স্বামী-স্ত্রীর তর্কের এক পর্যায়ে নাছিমা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষন পর তার স্বামী লিটন মিয়াও বেরিয়ে চলে যায়। এরপর কেউই ফিরে আসেনি। সকালে লোকজনের মুখে শুনে গিয়ে দেখতে পান মুলগ্রাম ব্রীজের নীচে পড়ে আছে ফাঁস লাগানো তার বোনের লাশ। তাদের সন্দেহ পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের কারনে তার স্বামী তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ব্রীজের নীচে ফেলে চলে গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে তিনিও ঘটনাস্থলে গিয়ে তার গ্রামেরই নাছিমা আক্তারের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানায় খবর দেন।
নাছিমার স্বামী লিটন মিয়া জানান, তার বোনের বাড়িতে তাকে আনার জন্য গিয়েছিলাম। তার বড় বোন আমার সাথে আসতে বলায় রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর আমিও আমার বাড়িতে চলে আসি। সকালে শুনেছি সে মারা গেছে। কিভাবে কি হয়েছে আমি কিছুই জানিনা। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে তারা।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহাম্মদ জানান, একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইননুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।