অনলাইন ডেস্ক :
অসুস্থ বোধ করায় এবং নারী সাংবাদিক হওয়ায় চারটি মামলায় গ্রেফতার সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে শর্ত সাপেক্ষে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল ৩০ নভেম্বর শনিবার রাত সোয়া ১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন, পুলিশ তাকে আটক করেনি। কারওয়ান বাজারে জনগণ তাকে আটক করেছে। পরে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। জনগণ যখন তাকে আটক করে তখন তার প্যানিক অ্যাটাক হয়। তিনি অসুস্থ বোধ করায় এবং নারী সাংবাদিক হওয়ায় সব দিক বিবেচনা করে তাকে ৪৯৭ ধারায় পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হচ্ছে। তবে, তাকে শর্ত দেয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে হওয়া চারটি মামলায় জামিন নিতে হবে। এই শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, মুন্নী সাহাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে রাত ১০টার দিকে কারওয়ান বাজারে অফিস থেকে বের হলে স্থানীয় লোকজন মুন্নী সাহাকে ঘিরে ফেলে। পরে তেজগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে হেফাজতে নেয় এবং ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের রক্তঝরা দিন। একই সঙ্গে তাদের আন্তর্জাতিক সংহতির দিন। প্রতিবছর ১ মে সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়। ১২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে ১৮৮৬ সালের এই দিন রাস্তায় নামেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা। আর এই শ্রমিকদের ওপর গুলি চলে। এতে নিহত হন ১১ জন তরতাজা শ্রমিক। তাদের জীবনদানের মধ্য দিয়ে পরবর্তীকালে যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্বে ৮ ঘণ্টা শ্রমের দাবি মেনে নেওয়া হয়। সেই থেকে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতীক হিসাবে ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
বাংলাদেশেও প্রতিবছর মে দিবস পালিত হয়। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে দিনটি পালনের আয়োজন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
সমাজ বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে শোষণের বিরুদ্ধে শ্রমজীবীরা প্রথমে বিচ্ছিন্ন এবং পরে সংঘবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে এসেছে। এ সংগ্রামের মাধ্যমে এক সময় দাস প্রথা বিলুপ্ত হলেও শ্রমিকের কাজের কোনো ধরাবাঁধা সময় ও নিয়ম ছিল না। উনিশ শতকের গোড়ায় কলকারখানায় সপ্তাহে ৬ দিন গড়ে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টার বেশি অমানুষিক পরিশ্রম করতেন শ্রমিকরা। বিনিময়ে মিলত সামান্য মজুরি। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কিংবা সামাজিক নিরাপত্তাও ছিল না তাদের। এর বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লড়াই শুরু হলেও তা বিরাট দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকায়। ১৮৮৬ সালে যা চূড়ান্ত রূপ নেয়। ওই বছরের ১ মে দৈনিক ১২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে শ্রমিকরা ফুঁসে ওঠেন। হে মার্কেটের কাছে তাদের বিক্ষোভে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে ১১ শ্রমিক নিহত হন। উত্তাল সেই আন্দোলনের মুখে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে দিতে বাধ্য হয় এবং বিশ্বব্যাপী দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের সময় চালু করা হয়। ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক সমাবেশে ১ মে-কে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরের বছর থেকে বিশ্বব্যাপী এ দিনটি পালিত হচ্ছে।
দিনটিতে বরাবরই বাংলাদেশে সরকারি ছুটি থাকে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও টকশো সম্প্রচার করবে।
আত্মশুদ্ধি, নিজ নিজ গুনা মাফ, সকল বালা-মছিবত থেকে হেফাজত ও রহমত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে আজ ১৫ জানুয়ারি রবিবার আমিন, আমিন ধ্বনিতে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মোনাজাতে মুসলিম বিশ্বের কল্যাণ ও শান্তি চেয়ে লাখো মুসল্লি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন।
সকাল ১০টা থেকে ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ২০ মিনিট স্থায়ী এই আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মারকাজের তাবলিগ জামায়াতের সুরা সদস্য ও শীর্ষস্থানীয় নেতা মাওলানা ক্কারী মো. জোবায়ের হাসান।
আখেরি মোনাজাতে দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মার সুদৃঢ় ঐক্য, আখেরাত ও দুনিয়ার শান্তি কামনা করা হয়। এসময় দুহাত তুলে মহান আল্লাহ’র দরবারে ফরিয়াদ জানায় লাখ লাখ মুসুল্লী। এরআগে হেদায়তী বয়ান করা হয়। ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমানের হেদায়তী বয়ানের পর পরই শুরু করা হয় আখেরি মোনাজাত।
বিশ^ ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. মাহফুজ জানান, আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার রাত থেকেই ইজতেমাস্থল টঙ্গীর তুরাগ নদের তীর অভিমুখে মানুষের ঢল নামে। রবিবার সকাল ৯টার দিকে ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। শীত-ধুলো-বালি উপেক্ষা করে ৫-৬ কিলোমিটার দূরে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, কার, ট্যাক্সি ও অন্যান্য যানবাহন রেখে হেঁটেই মুসুল্লিরা ছুটে যান ময়দানের দিকে।
মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিমান বন্দর থেকে বোর্ডবাজার-গাজীপুরা-টঙ্গী-আশুলিয়াসহ বিভিন্ন সড়ক মুসুল্লিতে একাকার হয়ে যায়। যে দিকেই চোখ যায় শুধু পাঞ্জাবী-টুপি পড়া মানুষ আর মানুষ। ইজতেমা মাঠ বিস্তৃত হয়ে পড়ে গোটা মহাসড়ক, অলিগলি থেকে শুরু করে বাড়ি-ঘরের ছাদ সর্বত্রই ছিল মুসল্লি।
মোনাজাতে অংশ নিতে অনেকে ইজতেমার মূল ময়দানে ঢুকতে না পেরে পত্রিকা, পাটি, চট, জায়নামাজ, পলিথিন বিছিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন মুসুল্লিরা। অনেকেই আবার মোবাইল ফোনে র্দূদূরান্ত থেকে মোনাজাতে শরিক হন।
আখেরি মোনাজাতে নারীদের অংশ গ্রহণ: আখেরি মোনাজাতে কয়েক হাজার নারী অংশ নিয়েছেন। মূল ইজতেমা ময়দানে তাদের বসার কোন ব্যবস্থা না থাকায় তারা ময়দানের বাইরে খালি জায়গায়, কলকারখানা ও বসত বাড়ির ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন শতাধিক মহিলা। নরসিংদী থাকা আসা সানোয়ারা বেগম বলেন, আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার রাতে টঙ্গীতে এসেছি। কোথাও স্থান না পেয়ে হাসপাতালের চত্বরে অবস্থান নিয়েছি।
বিদেশী মেহমান: বিশ্বইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য জানান, ভারত, চীন, সৌদি, পাকিস্তান, ফিলিফিন, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কাতার, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য মুসুল্লী এবারের ইজতেমায় অংশ নেন।সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ৩ এপ্রিল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে এ সহযোগিতা চান তিনি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাকিদের ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ইতোমধ্যেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। আমি চাই বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীন সহায়তা করুক।’
নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চল এতোদিন অবহেলিত ছিল। কারণ আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো সরকারই এ এলাকার উন্নয়নে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
ইয়াও ওয়েন শেখ হাসিনাকে আগামী জুলাই মাসে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানালে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফুলসজ্জিত গাড়িবহর ও সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে অবসরে গেলেন কনস্টেবল মো. মিজানুর রহমান। গতকাল রবিবার দীর্ঘ ৪০ বছরের কর্মজীবন শেষ করে অবসরে যান তিনি। বিকালে অন্যরকম এক আয়োজনের মাধ্যমে তাকে বিদায় জানিয়েছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেলসহ থানা পুলিশের কর্মকর্তা-সদস্যরা।
বিদায়ের আগে থানায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমানের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তার হাতে সম্মাননা স্মারক ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন থানা পুলিশের সদস্যরা।
শেষ মুহূর্তে ফুল দিয়ে সজ্জিত থানা পুলিশের গাড়িবহরের মাধ্যমে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। বিদায়বেলায় এমন সম্মাননায় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন মিজান।
কনস্টেবল মো. মিজানুর রহমানের বাড়ি কুমিল্লা সদর উপজেলার শাসনগাছা এলাকায়। তিনি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। এর মধ্যে তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চাকরি করেছেন। দীর্ঘ ৪০ বছরের চাকরি জীবন শেষে ব্রাহ্মণপাড়া থানা থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
কনস্টেবল মিজানুর রহমান বলেন, আমার সর্বস্ব দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে জনসাধারণের সেবা করেছি। অবসরকালে কর্মস্থল ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি স্যার ও সব সহকর্মীরা সুন্দর একটি আয়োজনের মাধ্যমে আমাকে বিদায় দিয়েছেন। এতে গর্ববোধ করছি।
ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, আমরা একসঙ্গে থাকার স্মৃতিকে অন্তরে লালন করে একজন পুলিশ সদস্যকে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে বিদায় দিতে পেরেছি। পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে অবসরকালে এভাবেই বিদায় দেওয়া উচিত।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের (৪আইআর) উপকরণগুলো মানবতাকে আঘাত বা অবমূল্যায়ন করে এমন কাজে ব্যবহার না করার বিষয়টি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সরঞ্জামগুলো আমাদের মানবতাকে আঘাত বা ক্ষুণ্ন করে এমন কাজে যেন ব্যবহার করা না হয়।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) কর্তৃক আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যেন সমাজে বিভাজন সৃষ্টি না করে, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করার ওপর প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, ৪আইআর আমাদের সমাজের মধ্যে আরো বিভাজন তৈরি করবে না। এ উদ্দেশে আমাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশের তরুণদের ৪আইআর ও ভবিষ্যৎ কাজের জন্য তৈরি করতে শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ৪আইআরকে শুধু অনুসরণ করবে না; বরং নেতৃত্ব দেবে।
দেশের শিক্ষার্থীরা রোবোটিক্সে যে ধরনের উদ্ভাবনী কাজ করছে, তা দেখে উৎসাহ বোধ করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সারাদেশে যে উদ্ভাবন মেলার আয়োজন করে আসছি, সেখানেও তাদের মধ্যে দারুণ উৎসাহ দেখেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই ডব্লিউিইএফ’র সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ৪আইআর কেন্দ্রকে স্বাগত জানাবে।
সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৪আইআর-এর জন্য যথাযথ আইন, নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ন্যানোটেকনোলজি ইত্যাদি বিষয়ে পৃথক জাতীয় কর্ম-কৌশল তৈরি করেছি।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি এবং অন্যান্য বিষয়ে বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট স্থাপন করছে।
সরকারপ্রধান বলেন, স্মার্ট গভর্নেন্সের জন্য ভবিষ্যতের রাজনৈতিক নেতাদের বিকাশের জন্য আমরা স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমিও চালু করেছি।
বাংলাদেশ একটি গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট তৈরির বিষয়ে জাতিসংঘের কাজে আগ্রহী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করি যে, এই গ্লোবাল কমপ্যাক্টে ডিজিটাল ও সীমান্ত প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ও উৎপাদনশীল ব্যবহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে।
তিনি সাইবার-আক্রমণ, বিভ্রান্তিকর তথ্য ও অন্যান্য অপকর্মের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সম্মিলিতভাবে সাইবার-আক্রমণ, বিভ্রান্তমূলক তথ্য ও অন্যান্য অপকর্মের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখতে হবে।