ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসছেন পীর চরমোনাই

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 1 December 2024, 608 Views,
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার জেলা ঈদগাহ ময়দানে চরমোনাইর মাহফিলের নমুনায় ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হবে। এতে বৃহস্পতিবার বাদ যোহর উদ্বোধনী বয়ান হবে। ৩ দিনব্যাপী মাহফিলের মূল মধ্যমণি হিসেবে করবেন আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই (৩য় দিন), নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই (২য় দিন), জামিয়া ইউনুছিয়ার মুহতামিম মুফতি মুবারকুল্লাহ দা.বা., জামিয়া দারুল আরকামের মুহতামিম আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান দা.বা. ও পীর চরমোনাই রহ. -এর সাহেবজাদা মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের দা.বা. (১ম দিন)। 25068322আরো বয়ান করবেন পীর চরমোনাই রহ. -এর অন্যতম খলিফাত্রয় হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ পীর খুলনা, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী পীর কারীমপুর ও মাওলানা আব্দুল মজিদ পীর মোড়েলগঞ্জ। এছাড়াও মাহফিলে পীর মাশায়েখ ও খ্যাতিমান ওলামায়ে কেরাম বয়ান করবেন। উক্ত ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকিরে ৩ দিনের প্রয়োজনীয় বেডিং/ছামানা নিয়ে ধর্ম-বর্ণ ও দল-মত নির্বিশেষে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বামুকের জেলা ছদর আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ আবু ছালেহ ও মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ওয়ালী প্রমুখ।

banner

https://www.profitablecpmrate.com/ituzvky0w?key=629d3cad52ec93612199eb57d46d63c7

মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির মিডিয়া সচিব হাফেজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার এসব তথ্য জানানো হয়।

Leave a Reply

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

কানাডায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুমিনুল হক : কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। Read more

ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙা সেতুতে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ

জাতীয়, 4 September 2023, 1024 Views,

চলারপথে রিপোট
নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রাম ও মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজবাড়ীয়া গ্রামের একমাত্র সংযোগ সেতুটি ১০ বছর ধরে ভেঙে থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে। সেতুটি ভাঙার প্রায় ১০ বছর পার হলেও এখনো সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। নারী-পুরুষ, বয়স্ক মানুষ, রোগীসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দায়িত্বশীল কেউ উদ্যোগ নেয়নি সেতু মেরামতের বা নির্মাণের। ফলে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার বাসিন্দা সেতুটি পারাপার হয়।

banner

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে দুই ইউনিয়নের সংযোগ এই সেতু ভেঙে আছে। লোকজন থেকে কিছু টাকা তুলে কাঠ দিয়ে সেতুটি প্রতিবছর সংস্কার করা হয়। কিন্তু অনেক গাড়ি ও লোকজন চলাচল করায় কাঠ দিয়ে সংস্কার করলে বেশিদিন টিকে না। ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। এই সেতুটি বছরের পর বছর পার হলেও নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভাঙা ওই সেতু দিয়ে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়িসহ যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এ ছাড়াও ভারী যানবাহন চলাচল না করতে পারায় অনেকেই দুর্ভোগে পড়ছেন।
মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজা বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল বারেক হাওলাদার বলেন, ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটা অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে আর ভোগান্তি থাকবে না।

রানাপাশা ইউনিয়নের ইসালাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ বলেন, সেতুটির জন্য হাজার হাজার মানুষ বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে কেউ নতুন করে সেতু তৈরির জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে না।

অটোরিকশা চালক দেলোয়ার হাওলাদার ও রাজ্জাক ফকির বলেন, আমাদের প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা পারাপার করতে হয়। এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে যেতে এই সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। কিছুদিন আগে এই সেতু দিয়ে একটি টমটম পার হতে গিয়ে উল্টে যায়। আমরা গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে তারপর গাড়ি পার করি। এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মোল্লারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেএম মাহাবুবুর রহমান সেন্টু বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু কিছু কাছ অসমাপ্ত রয়েছে। এই সেতুটির কারণে দুই ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

নলছিটি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইকবাল কবীরের সঙ্গে সেতুর বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

ঝালকাঠি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকার বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে আন্ডার হান্ড্রেড মিটার প্রকল্পের আওতায় ওই সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনুমোদন পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।

১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা আইনজীবীদের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 7 February 2023, 1003 Views,

স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুনরায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দিলেন আইনজীবীরা। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনজীবীর সমিতিরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভা ও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে তাদের সকল আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু হবে চলবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জেলা আইনজীবী সমিতির সূত্রে জানা গেছে, আদালতের শীতকালীর ছুটির আগে গত ১ ডিসেম্বর আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন তিনটি মামলা না নেয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন শুরু করেন আইনজীবীরা। ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

banner

এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে একদিনের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।

এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেন আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।

এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।

মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে দুই আদালত ব্যতিত (জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত) সকল আদালতে ফিরে যান আইনজীবীরা। এতে আদালতের অচলাবস্থা দূর হয়।

গত ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আইনজীবীদের দাবি পূরন না হওয়ায় তারা ওইদিন বিশেষ সাধারণ সভা করে তারা তাদের কর্মসূচি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ৩০ জানুয়ারি মধ্যে তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় তাদের কর্মসূচি আবার ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার আইনজীবীরা তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় বিশেষ সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।

এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ তানবীর ভূঞা জানান, গত ৩০ জানুয়ারি সমিতির সাধারণ সভা করে তাদের কর্মসূচি ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। ওই সভায় বলা হয়েছিল উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে পুনরায় বিশেষ সাধারণ সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।

কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরা মঙ্গলবার পুনরায় সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। সকল আইজীবীর মতামতের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার থেকে তাদের সকল আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু হবে।

নাসিরনগরে প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 3 September 2023, 624 Views,

চলারপথে রিপোট
নাসিরনগরে জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় নারীসহ ৪ জন আহত হয়।

banner

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দুই বছর পূর্বে পূর্বভাগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির প্রতিবেশী শামসু মিয়ার কাছে ৭১শতক জায়গা বিক্রি করে। সেই জায়গা নিজেদের বলে দাবি করে শামসু মিয়ার চাচাত ভাই আঙ্গুর মিয়া। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময় বাকবিতন্ডা হয়। বিষয়টি শামসু মিয়া পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় টহলরত পুলিশ ভুক্তভোগীদের বাড়িতে গেলে তাদের দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় আঙ্গুর মিয়া ও তার লোকজন। পালাতে গিয়ে পায়ে আঘাত পায় আঙ্গুর মিয়ার ছোট ভাই রহিম মিয়া। পরবর্তীতে ঘটনার দিন রবিবার দুপুরে শামসু মিয়ার বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে আঙ্গুর মিয়ার লোকজন। এসময় তারা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ চারটি গরু নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

জায়গার মালিক সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির বলেন, প্রায় দুই বছর পূর্বে আমি শামসু মিয়ার কাছে জায়গাটি বিক্রি করি। কিন্তু আঙ্গুর মিয়া ও তার লোকজন জোর করে জায়গাটি দখল করতে চায়। এনিয়ে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে আঙ্গুর মিয়ার লোকজন। হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে আঙ্গুর মিয়ার ভাতিজী তানিয়া আক্তার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ করা হয়েছে সেটা সত্য নয়। রবিবার দুপুরে তারাই আমার চাচার ঘরে হামলা চালিয়েছে।

পূর্বভাগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অবিদ মিয়া জানান, পুলিশ দেখে ভয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে আঙ্গুর মিয়ার ছোট ভাই রহিম মিয়া পায়ে আঘাত পেয়েছে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বলেন, এব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ৪

জাতীয়, 29 August 2023, 1046 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুুতিকালে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ভাগবজর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার ও তাদের কাছ থেকে একটি সিএনজিসহ চাকু, লোহার রড উদ্ধার করে পুলিশ।

banner

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের মিরপুর গ্রামের ইব্রাহীম হোসেন (৩৩), সুমন শেখ (২০), আসলাম শেখ (২২) ও জিয়াউল হক শুভ (২০)।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার রাতে উপজেলার কাথম-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ভাগবজর এলাকায় একদল ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতি শুরু করে। এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে চারজনকে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার মুখে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ তাদের কাছ থেকে দুইটি চাকু, একটি কাঠের বাটযুক্ত লোহার চাকু, দুইটি লোহার রড, তিনটি সাদা রংয়ের নাইলনের রশি এবং একটি সবুজ রংয়ের সিএনজি উদ্ধার করে।

আমরা ক্ষমতায় গেলে এ দেশকে নতুন করে গড়ে তুলবো: ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 7 January 2023, 3402 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের দশ দফা দাবি এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা বিষয় ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের পুনিয়াউটস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল এর বাসভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাবিব উন-নবী-খান সোহেল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিব উন-নবী-খান সোহেল বলেন, পল্টনে বিএনপির জনাতঙ্কের ভয়ে পল্টনে সভা করতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। তিনি আওয়ামীলীগের সমালোচনা করে বলেন, তারা এখন চামচামিতে লিপ্ত। ছাত্রলীগকে পকেট মার এবং মোবাইল চোর উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ভারে মঞ্চ থেকে ধপাস করে ভেঙ্গে পড়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। এমনিভাবে একদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গদিও ধপাস করে ভেঙ্গ পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা তাদের ২৭ দফা প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংস্কার কমিশন করবো। কেন করবো? আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বিনা ভোটের ক্ষমতায় থেকে সংবিধানকে কাটাছেড়া করে একে দলীয় একটা বইয়ে পরিণত করেছে। সংবিধানের কিছু ধারা এমনভাবে পরিণত করেছে, যে ভবিষ্যতে কোনো সংসদে এটি পরিবর্তন করা যাবে না। এটিকে বেআইনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত আওয়ামীলীগ। সংবিধান সংস্কার করার এখতিয়ার রাখতে পারেন না। এই ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেই। তিনি বলেন, আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো। যে বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ। দল মত নির্বিশেষে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এ দেশকে নতুন করে গড়ে তুলবো।
তিনি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বিগত সময়ে স্বাধীনতা স্বপক্ষকে ও বিপক্ষে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদকে সামনে এনে জাতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। আমরা জাতিকে বিভক্ত করা থেকে ফিরিয়ে আনবো। আমরা সকলকে দেখিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে দলীয় সরকার অধীনে অবাধ সুস্থ নির্বাচন না হবে, ততদিন পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট হতে হবে। জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া সুযোগ দিতে হবে। সংবিধানের মালিক জনগন। জনগণ তার মালিকানা হারিয়েছে। তাই আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে। আওয়ামী লীগ ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেই সময়কার নির্বিচনে প্রায় সকল আসনের জয়লাভ করেছিল। দু-একটিতে ন্যাপ ও জাসদের প্রার্থী জয়লাভ করলেও পড়ে তাদেরকে পরাজিত দেখানো হয়েছে।
তিনি তার পিতা অলি আহাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমার পিতা সেই সময়ের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু পরে নির্বাচনের ফলাফল বদলে তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে বিজয় দেখানো হয়েছে। সেই থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগ ভোট কারচুপি করছে বলে অভিযোগ করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা হবে উল্লেখ করে রুমিন বলেন, সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হয়ে হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। রাষ্ট্রপতির কোন ক্ষমতা নাই। তিনি কেবল জানাজা পড়েন আর ফিতা কাটেন। এর বাইরে তার আর কোন কাজ নেই। এই ফিতা কাটা আর জানাজা পরা থেকে রাষ্ট্রপতিকে বের করে নিয়ে আসবো আমরা। যেখানে আমরা ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত করবো। টানা দুইবারের বেশি রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি থাকতে পারবেন না। এছাড়া আমরা বলেছি, সংসদকে আমরা দুই কক্ষে বিভক্ত করবো। একটি হবে উচ্চকক্ষ অপরটি হবে নিম্নকক্ষ। সংদকে কার্যকর করার জন্যে এই উদ্যোগ নেয়া হবে।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে দেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন লুটপাটের সর্ব রাজ্য। বিদ্যুৎ খাত, ব্যাঙ্ক খাত, রাস্তাঘাট অবকাঠামোগত খাতে লোটপাট করা হচ্ছে। সে জন্য কমিশন গঠন করবো। শ্বেতপত্র প্রকাশ করবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত আদালতে সম্প্রীতি ঘটে যাওয়া প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। একটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বারের সভাপতি যে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন একজন জজ সাহেবকে, এটা আদালতে চলতে পারে না। তিনি আদালতের সমালোচনা করে বলেন, আপনারা বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখলে জামিন দেন না। সরকারের ইশারায় আপনারা চলেছেন। এখন এর জন্য আপনারা দায়ী।
মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মীর্জা ফকরুল অত্যন্ত সজ্জন রাজনীতিবিদ। তাকে রাত ৩টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তুলে নেয়া হয়েছে। তাকে চারদিন ধরে কোন ডিভিশন দেওয়া হয় নাই। হাইকোর্ট রিট করে ডিভিশন নিতে হয়েছে। তার নাম না থাকায় সত্ত্বেও তিনি জামিন পাননি। এটাই বাংলাদেশের আদালতের অবস্থা। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে একটি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ তৈরী করবো। সেই বিচার বিভাগ দল মত নির্বিশেষে সকলের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ দেখাবে। আমরা প্রশাসনিক সংস্কার করবো। কারণ প্রশাসনে তো এখন লীগ ছাড়া আর কিছু নাই। পুলিশ লীগ, ক্যাডার লীগ, বিচারক বিচারক লীগ। এই লীগের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।
রুমিন বলেন- আমরা মিডিয়া কমিশন গঠন করবো, মিডিয়া কিভাবে পক্ষপাত মূলক আচরণ করে। পক্ষপাত মূলক খবর পড়ে। তিনি টকশো প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আপনারা টকশো গুলো দেখেছেন, কতটুকু ধোকা দেয় তারা। আমরা দু’একটা কথা বলতে গেলে আওয়ামী লীগের চ্যালা, আওয়ামী লীগের দলের একজন বক্তা কথা বলা শুরু করে দেয়। এরকম মিডিয়া আমরা চাই না। আমরা নিরপেক্ষ মিডিয়া তৈরি করবো। তিনি বলেন, ডিজিটাল এ্যাক্ট এর ভয় দেখিয়ে মিডিয়ার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। তথ্য কমিশনার চাপ দিয়ে মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ ধরনের চাপ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে হবে না।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে যে গুম, খুন, নির্যাতন, হেফাজতে রেখে নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার প্রত্যেকটি বিচার করবো।
শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে জিডিপির পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ চিকিৎসা করতে গিয়ে ফকির হয়ে যাচ্ছে। তাদের জমি জমা বিক্রি করতে হচ্ছে। সে অবস্থা থেকে আমরা বাংলাদেশকে মুক্ত করবো।
সভায় জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হক সাঈদ, সদস্য রফিক শিকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারান সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ কেন্দ্রীয় বিএনপি এবং জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।