বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার জেলা ঈদগাহ ময়দানে চরমোনাইর মাহফিলের নমুনায় ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হবে। এতে বৃহস্পতিবার বাদ যোহর উদ্বোধনী বয়ান হবে। ৩ দিনব্যাপী মাহফিলের মূল মধ্যমণি হিসেবে করবেন আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই (৩য় দিন), নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই (২য় দিন), জামিয়া ইউনুছিয়ার মুহতামিম মুফতি মুবারকুল্লাহ দা.বা., জামিয়া দারুল আরকামের মুহতামিম আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান দা.বা. ও পীর চরমোনাই রহ. -এর সাহেবজাদা মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের দা.বা. (১ম দিন)। 25068322আরো বয়ান করবেন পীর চরমোনাই রহ. -এর অন্যতম খলিফাত্রয় হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ পীর খুলনা, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী পীর কারীমপুর ও মাওলানা আব্দুল মজিদ পীর মোড়েলগঞ্জ। এছাড়াও মাহফিলে পীর মাশায়েখ ও খ্যাতিমান ওলামায়ে কেরাম বয়ান করবেন। উক্ত ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকিরে ৩ দিনের প্রয়োজনীয় বেডিং/ছামানা নিয়ে ধর্ম-বর্ণ ও দল-মত নির্বিশেষে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বামুকের জেলা ছদর আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ আবু ছালেহ ও মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ওয়ালী প্রমুখ।
https://www.profitablecpmrate.com/ituzvky0w?key=629d3cad52ec93612199eb57d46d63c7
মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির মিডিয়া সচিব হাফেজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার এসব তথ্য জানানো হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করতে বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি ইইউ’র সদর দপ্তরের বেশ কয়েকটি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এক বিবৃতিতে বলেন, আমি আশা করি যে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আমাদের উন্নয়নে সহায়তার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান উরসুলা ভন ডার লেয়েন ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের (ইআইবি) মধ্যে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো অর্থায়ন চুক্তিসহ বেশ কয়েকটি চুক্তি সই প্রত্যক্ষ করেন।
শেখ হাসিনা বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে চায়। তিনি বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রিত ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র সমাধান।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি দ্রুত এই সংকটের একটি টেকসই সমাধানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে ইইউ’র প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকার পতনের একদফা আন্দোলন এবং শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বিভিন্ন থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে থানাসহ বিভিন্ন ইউনিট এবং ডিউটিস্থল থেকে অস্ত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব অস্ত্র উদ্ধারে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ ১ সেপ্টেম্বর রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতোমধ্যে কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর লুট হওয়া অস্ত্র ফেরত দিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এসব লুট হওয়া অস্ত্র এবং গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেরত না দিলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।
এছাড়া এর আগে বেসামরিক জনগণকে গত ১৫ বছরে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। সূত্র : যুগান্তর
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লক্ষ্মীপুরে সুবর্না মুনতাহা রিজমি নামে এক কলেজশিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বখাটেরা। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত যুবক রিয়ান ও তার সহযোগীরা।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইশমারা এলাকার কাতার প্রবাসী মুরাদ হোসেনের মেয়ে। অভিযুক্ত রিয়ান দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কালুহাজী সড়কের প্রবাসী শামীমের ছেলে। সে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের পোশাক পড়ে প্রতারণার মাধ্যমে ক্লাস করতো বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মাস ধরে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে রিজমিকে রিহান উত্যক্ত করতো। এরমধ্যে রিহান তাকে প্রেমের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু রিজমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে রিজমি তার পরিবারকে ঘটনাটি জানায়। এনিয়ে রিহানকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য পরিবারের কাছেও বিচার দেয় রিজমির মা। তখন রিহানের মা জানিয়েছে, রিহান আর কখনো রিজমিকে উত্যক্ত করবে না। কিন্তু এরপরও রিহান তাকে উত্যক্ত করতো। প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করতো। ঘটনার সময় ক্লাসের উদ্দেশে রিজমি বাড়ি থেকে কলেজে রওনা হয়। গাড়ি থেকে নেমে সামাদ স্কুল মোড় থেকে সে হেঁটেই কলেজ যাচ্ছিল। সে কলেজের গেইট পার হয়ে একটু সামনে আসলেই, রিয়ানরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে আক্রমণ শুরু করে। কিল-ঘুসি, ইট ও ছুরি দিয়ে মাথায় ও কপালে রক্তাক্ত জখম করে। তখন তার সঙ্গে আরও ১০-১২ জন ছিলো। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
কলেজছাত্রীর মা সুমি ভূঁইয়া বলেন, রিহান ও তার বন্ধুরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। কে বা কারা আমার মেয়েকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে এনে ফেলে রেখে গেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহবুবুল করিম বলেন, ঘটনাটি কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটেছে। অভিযুক্ত রিয়ান আমাদের ছাত্র না। রিজমিকে দেখতে হাসপাতালে কলেজের পক্ষ থেকে কয়েকজন শিক্ষককে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অভিনব কায়দায় এক জেলায় চুরি করে অন্য জেলায় বিক্রি করতেন এমন আন্ত:জেলা গরু চোর চক্রের মূল হোতাসহ ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সিপিসি-২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মবিন খান এতথ্য জানান। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার আলগাদিয়া এলাকার চাঁন মোল্লার ছেলে আব্দুর রহিম (৩৪), একই এলাকার হারেস মুন্সীর ছেলে শফিকুল মুন্সী আদিল (২৫), কোতয়ালী থানার বাটিলক্ষীপুর এলাকার মোতালেব মোল্লার ছেলে গাফফার মোল্লা ((২২), রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার ভবানীপুর এলাকার মৃত রফিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আব্দুল রাজ্জাক (৩৮), ফরিদপুর জেলার সালথা থানার রামকান্তপুর এলাকার আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে জামাল (২৩), বোয়ালমারি থানার শিরগ্রাম ধোপাপাড়া এলাকার ইয়াসিন মোল্লার ছেলে বাগানে মোল্লা (২০), নাগদি এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে মফিজুল ইসলাম (২২), মধুখালী থানার ডুমাইন এলাকার হারুন বিশ্বাসের ছেলে অনিক বিশ্বাস, বোয়ালমারীর সাতুর বাজারের মজিবুর রহমানের ছেলে মো: মিল্টন (২৪), নগরকান্দা থানার সন্তোষী এলাকার ইউনুছ মিয়ার ছেলে নাহিদ মিয়া (২৬), বোয়ালমারী থানার খামারপাড়া এলাকার আব্দুল বাকের শেখের ছেলে আব্দুল্লাহ শেখ (২৫), রাজবাড়ীর পাংশা থানার ভবানীপুর এলাকার রফিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো. মুন্না (১৯) এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার কোলদিয়ার ভুরকাপাড়া এলাকার মল্লিক সরদারের ছেলে মো: নুতফার (৪৯)।
তৌহিদুল মবিন খান আরো জানান, তাদের বাড়ি ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলায় কিন্তু তারা ওই এলাকায় চুরি করে না। তারা মাদারীপুর, নড়াইল, মাগুড়া, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়াসহ আশপাশের জেলায় গরু চুরি করে। সেইসব গরু আবার অন্য আরেক জেলায় স্থানান্তর করে বিক্রি করতো। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি ভাড়া করা বাসা থেকে মুলহোতা আব্দুর রহিমসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করি। পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৪টি গরু উদ্ধার করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যেসব ছাত্র-জনতা অংশ নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা হয়রানি করা যাবে না- এমন একটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ ১৪ অক্টোবর সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে এক নবযাত্রা সূচিত হয়েছে। এ গণঅভ্যুত্থানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে যেসব ছাত্র-জনতা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের মাঠে থেকে এর পক্ষে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানসংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনো মামলা, গ্রেফতার বা হয়রানি করা হবে না।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলো। এ বিষয়ে অসত্য তথ্য প্রদান করে কোনো সুবিধা অর্জনের বিরুদ্ধেও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হলো।