অনলাইন ডেস্ক :
দুই দশক আগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদালতের রায়ের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন) ও আপিলের রায় ঘোষণা হয়েছে। রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইনজীবীরা জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর শুরু হওয়া আপিল শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, রাসেল আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবনী আক্তার।
লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত বেশ কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
প্রায় ছয় বছর আগে বিচারিক আদালতের রায়ের পর ডেথ রেফারেন্সের ও আসামিদের আপিল-জেল আপিলের শুনানি শুরু হয় ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর।
গত দেড় বছর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলার শুনানি হয়েছে।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার ক্ষমতাচ্যুতির পর বিচার বিভাগেও পরিবর্তন আসে। প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের পর আপিল বিভাগের আরো পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন।
নতুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১১, ১২ ও ১৫ আগস্ট এখতিয়ার পরিবর্তন করে হাইকোর্টের ৫৪টি হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন করেন। বেঞ্চ পুনর্গঠনের পর মামলাটি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে আসে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগের দাবি, এ হামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হামলার পরদিন মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই শরীফ ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
থানা পুলিশ, ডিবির হাত ঘুরে সিআইডি এই মামলার তদন্তভার পায়। ঘটনার চার বছর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ১১ জুন হত্যার অভিযোগ এবং বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা দুটি অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির।
জঙ্গি দল হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে সেখানে আসামি করা হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচারও শুরু হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে। সিআইডির বিশেষ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩ জুলাই আসামির তালিকায় আরো ৩০ জনকে যোগ করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।
সেখানে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চারদলীয় জোট সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের নাম আসে। দুই মামলায় মোট ৫২ আসামির বিচার শুরু হলেও অন্য মামলায় তিনজনের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় মোট ৪৯ আসামির বিচার করেন বিচারিক আদালত।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ওই মামলার রায় হয়। রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত। সেই সঙ্গে ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ের পর ওই বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছে। দণ্ডিতরাও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল-জেল আপিল করেন। পরে পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। সূত্র : কালেরকণ্ঠ
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন চাইলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারে এটি ভুল ধারণা, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই।’
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো। বিএনপির দাবি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে না। অন্যদিকে সংবিধানের বাইরে ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুই দলের এমন অবস্থানের মধ্যেই গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ইসির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা এখনও স্থিতিশীল হয়ে ওঠেনি মন্তব্য করেন হাবিবুল আউয়াল বলেন, যেকোনো কারণেই হোক নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটা অনাস্থা তৈরি হয়েছে। আগের নির্বাচনগুলো নিয়ে বিতর্ক আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই হবে না নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। নির্বাচনকে দৃশ্যমানভাবে স্বচ্ছ করতে হবে। নির্বাচনকে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন এককভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র নির্বাচনে সহযোগিতা করতে বাধ্য। কোনো নির্বাচনই পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ হয়নি। আমাদের এখনও নিরবচ্ছিভাবে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ আসেনি। তবে অস্বাভাবিক সহিংসতা কাম্য নয়।
নির্বাচনকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিকে দেখাতে হবে নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনীতি ও নির্বাচনী সংস্কৃতি পরিবর্তন হয়নি। এখনও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। আপনাদের সহযোগিতায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আশা করি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের সার্ভার সচল হয়েছে। ২৭ ঘন্টা পর আজ ৯ জুন শুক্রবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সার্ভারে ত্রুটি দিলে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১টার দিকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করে সংশ্লিষ্টরা। এসময় প্রচুর যাত্রী আটকা পরে। হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করতে অনেক পরিশ্রম হয় ইমিগ্রেশন কর্মীদের। তবে যাত্রীদের মাঝেও স্বস্তি ফিরে আসে।
জানা যায়, আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিসে ৩টি কম্পিউটার ডেস্ক রয়েছে। এরমধ্যে ২টি ডেস্কে বহিঃগমন এবং ১টি আগমনী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে সার্ভারে জটিলতা দেখা দিলে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ভারত- বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী আটকে পরে। এতে নারী শিশু সহ রোগীরা বেশি কস্ট করে। তীব্র গরমের অতিষ্ঠ হয়ে পরে যাত্রীরা। ইমিগ্রেশন এলাকাটি ছোট হওয়ায় ও বসার মত পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় বেশি। পরে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে রাতেই ইঞ্জিনিয়ার এসে সার্ভার মেরামতের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সার্ভারে জটিলতার বিষয়টি অবগতি করি। রাতেই ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে কাজ শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। উল্লেখ্য, আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার পর্যটক আসা-যাওয়া করে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, অভিবাসনের সঙ্গে সঙ্গে দিন দিন ঢাকায় ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে।
আজ ১ জুন শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।
মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণ এবং ভূমিকম্প সহনশীল নগরায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকার এবং জনগণ সবাইকে একসঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সমাজের প্রত্যেক স্তরের অংশীজনকে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
দ্রুত নগরায়ন, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা শহর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থানসমূহ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বিল্ডিং কোডের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন, তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে অবকাঠামোগত নকশা পরীক্ষা ও পরিদর্শন এবং গুণগত ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সরকার, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে একযোগে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই মিলে একটি উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি তার বক্তব্যে সেমিনার থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ ও দিকনির্দেশনাসমূহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব জেলা ও উপজেলা শহরে প্রয়োগের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম।
এ ছাড়া গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকা, এডিবি, আইইবি, বিআইপি, আইডিইবির প্রতিনিধিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে এবং দেশের কর্মক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে নিয়োগকর্তাদের অঙ্গীকার দৃঢ় করতে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে একদিনের প্রতিবন্ধী চাকরিমেলা।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটে এ মেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ বিজনেস অ্যান্ড ডিজঅ্যাবিলিটি নেটওয়ার্ক (বিবিডিএন)।
এতে অর্থায়ন করে দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস পার্টনারশিপ অন দ্য রাইটস অব পার্সনস উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিস মাল্টিপার্টনার ট্রাস্ট ফান্ড।
জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত এ মেলায় ৪০ জন প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেয় নিয়োগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
নিয়োগপত্র দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- টিম গ্রুপ, স্বপ্ন, সিআরপি, ই-শিখন, এক্সেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, শেলটেক ও উর্মী গ্রুপ।
মেলায় এসব প্রতিষ্ঠানসহ আরএমজি সেক্টর, আইটি সেক্টর, পেইন্ট ইন্ডাস্ট্রি, এনজিওর জাতীয় ও বহুজাতিক ৩১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। বিভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতার ১ হাজার ২০০ প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী মেলায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করলেও অংশ নেয় মাত্র ২৫০ জন।
মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক ১১ বছর বয়সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই হাত হারান। তার বাম হাত বাহু থেকে আর ডান হাত কবজি থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে।
আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমি এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। আমার বাবা বিদেশে ছিলেন। করোনার সময় চাকরি হারিয়ে দেশে আসার পর এখন কৃষিকাজ করেন। তাই চাকরির চেষ্টা করছি। আমি ব্র্যাক থেকে কম্পিউটার গ্রাফিক্সের কোর্স করেছি। এ মেলায় অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠানে সিভি দিয়েছি। যদি চাকরি হয় তাহলে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকেও সাপোর্ট দিতে পারবো।
চাকরিমেলায় মো. রকিবুল ইসলামকে কাস্টমার এক্সিকিউটিভের নিয়োগপত্র দিয়েছে ই-শিখন। তিনি বলেন, আমার শরীরের বাম পাশ জন্ম থেকে ঠিকভাবে কাজ করে না। আমি অ্যাকাউন্টিংয়ে স্নাতক করেছি। এ চাকরিমেলা থেকে চাকরি পাওয়ায় খুবই ভালো লাগছে। আরও অনেক কোম্পানিতে সিভি দিয়েছি। আশা করি, আরও ভালো কোম্পানিতেও ডাক পাবো। এ মেলা আমাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম।
চাকরিমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে দেশের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হতে পারে। আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। তাদের পেছনে ফেলে আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর সুযোগ নেই।
এ সময় বিবিডিএনের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন কাসেম খান, প্রধান নির্বাহী (সিইও) মুর্তজা রাফি খান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর পিটার, সৈয়দ সাদ হোসেন গিলানী, টিম গ্রুপের এইচআর প্রধান খন্দকার ইমাম, এক্সেস বাংলাদেশের ইনক্লোশন লিড তাসলিম জাহানসহ মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আকস্মিক বন্যায় আফগানিস্তানে অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২৭ জন। মূলত ভারী বর্ষণের জেরে আকস্মিক বন্যা দেখা দিলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
বাড়ির ছাদ ধসে পড়ার কারণে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে। মূলত ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জেরে শত শত বাড়িঘর ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে।
এদিকে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুদের অবস্থাও বিপর্যস্ত। প্রায় ২০০টি গৃহপালিত পশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মুখপাত্র। এছাড়া প্রায় ৮০০ হেক্টর কৃষি জমি ও ৬০০ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতির মুখে পড়েছে।
বন্যায় সবথেকে বেশি বিপর্যস্ত পশ্চিম ফারাহ, হেরাত, কান্দাহার ও জাবুল প্রদেশ। দেশটির আবহাওয়া দফতর সতর্ক করে জানিয়েছে, এখনই বিপর্যয় কাটার কোনো সম্ভাবনা নেই। আফগানিস্তানের বেশিরভাগ প্রদেশে আগামী দিনে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ৩৪টি প্রদেশের সিংহভাগই এই বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।