চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় পতাকা অবমাননা, মসজিদ ভাংচুর ও চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এ সময় ইসকনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি করেন বক্তারা। এতে অংশ নেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরা। আজ ২ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে মিলিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ঘটনাকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে সনাতনীদের উসকানি দিচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, আইনজীবী সাইফুলের হত্যাকারী যারাই হোক না কেন, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তা না হলে দেশব্যাপী আরও বৃহৎ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। মানববন্ধন থেকে আইনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়। হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে দ্রুত নিষিদ্ধ ও বাংলাদেশে ইসকনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করারও দাবি করেন বক্তারা।
সমাবেশে উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শামসুদ্দিন সাহেবের সভাপতিত্বে বক্তব্য প্রদান করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নাসিরনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক ও ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুখলেছুর রহমান, মাওলানা গিয়াসউদ্দিন, চাতলপাড় উলামা পরিষদের সভাপতি কামরুজ্জামান তুরাব আলী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান।
তিনি আজ ২৭ নভেম্বর সোমবার বেলা তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এদিকে তিনি সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
সৈয়দ একরামুজ্জামান গত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে “কুলা” প্রতিক, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার বাসিন্দা এবং আর এ কে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর রাত আটটার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের কাঁশফুল রেস্তোরার সামনে সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ এনে বিস্ফোরক আইনে ৩৮জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুপন নাথ। সরকারি কাজে বাধা প্রদান, হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার ও পুলিশ সদস্যের আহতের ঘটনায় হওয়া ওই মামলায় একরামুজ্জামানকে চার নম্বর আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতে আসনে একরামুজ্জামান। একরামুজ্জামানের সাথে ঢাকা থেকে ব্যারিষ্টার আনিছুর রহমান ও আইনজীবী বিপ্লব কুমার চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন।
দুপুর ১২টার দিকে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে (নাসিরনগর আমলী আদালত) বিস্ফোরক আইনের ধারার মামলায় হাজিরা দেন। আদালতে তার পক্ষে আইনজীবী আলী আজমের নেতৃত্বে ১৫-২০জন আইনজীবী শুনানীতে অংশ নেন।
আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানের পক্ষের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী আলী আজম বলেন, বিস্ফোরক আইনের মামলার তারিখ গত ২ নভেম্বর। কিন্তু ঘটনার সময় একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন না। কারণ গত ২ নভেম্বর ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি একটি মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানী শেষে ঢাকার ওই আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। এই প্রমাণপত্রসহ আরো অন্যান্য প্রমাণপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত সবকিছু বিবেচনা করে বিস্ফোরক আইনের ওই মামলায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) রকিবুল হাসান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
এ ব্যাপারে সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন, আমি জামিন পেয়েছি। ঢাকায় যাচ্ছি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া এই মুহুর্তে বলার মতো কিছুই নেই। এখনই সবকিছু স্পষ্ট করতে চাচ্ছি না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন। তিনি তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে এই আসনে মাঠ পর্যায়ে একরামুজ্জামানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
সৈয়দ একরামুজ্জামানের ঘনিষ্ঠজনরা বলেন, একরামুজ্জামান নির্বাচনে অংশ নিতেই উপজেলার তিন হাজার ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ১ হাজার ১১০ হাজার ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পান ৬০ হাজার ৭৩৪ ভোট। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হক পেয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৮৮৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ কাউছার আহমদ বলেন, দুপুর তিনটার দিকে মোঃ বকুল মিয়া নামে একজন সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহাগ রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ সহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া এবং প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্প্রচার ও ভাষণের উপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সঠিক তদারকির অভাবে এবং অযত্ন ও অবহেলায় অস্তিত্ব হারাতে বসেছিল কালের সাক্ষী হয়ে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর জমিদার বাড়ি। ৭৫ বছর ধরে বেদখলে ছিল বিশালাকার বাড়িটি।
সম্প্রতি হরিপুর বড় বাড়ি সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। অবৈধ দখল উচ্ছেদের পর এবার শীঘ্রই সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
১৮শ শতাব্দীতে জেলার নাসিরনগর উপজেলায় তিতাস নদীর পাড়ে প্রায় ৪৮০ শতাংশ জমিতে জমিদার কৃষ্ণপ্রদাস রায় চৌধুরী ও গৌরীপ্রসাদ রায় চৌধুরী দৃষ্টিনন্দন এ বাড়িটি নির্মাণ করেন।
জানা যায়, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জমিদার পরিবারের লোকজন বাড়িটিতে কয়েকজন পুরোহিতদের রেখে কলকাতায় চলে যান। এরপর পুরোহিতদের বংশধরদের পাশাপাশি স্থানীয় কিছু মুসলিম পরিবার দখল নিয়ে বসবাস শুরু করেন সেখানে। সেই থেকে প্রায় ৭৫ বছর ধরে বাড়িটি ছিল বেদখলে। এতে বাড়িটি দিনের পর দিন বিলুপ্তির পথে যেতে থাকে। তবে সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাড়িটির দখলে থাকা পরিবারগুলোকে অন্যত্র পুনর্বাসিত করা হয়। এরপরই নেওয়া হয় বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তিতাসের পূর্বপ্রান্তে এত বড় বাড়ি আর কোথাও নেই। কারুকাজ খচিত ৬০টি কক্ষ বিশিষ্ট বাড়িটিতে রং মহল, দরবার হল, নাচ ঘর, পুকুর, খেলার মাঠ, মন্দির ও সীমানা প্রাচীর রয়েছে। তবে এর অনেক অংশ ভেঙে ফাটলও ধরেছে। লাল ইট সুরকির গাঁথুনি দিয়ে তৈরি ভবনের দু’পাশে কৃষ্ণ প্রসাদ রায় চৌধুরী ও গৌরী প্রসাদ রায় চৌধুরীর দুটি সমাধি সুউচ্চ মঠ রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা এখানে এসে ঘুরে ঘুরে পুরো রাজবাড়ির সৌন্দর্য দেখছেন। অনেকে আবার মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. গোলাপ মিয়া বলেন, হরিপুর রাজবাড়ি এটি আমার জন্মের আগে নির্মিত। এই বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত ছিল। বাড়িটিতে বহিরাগত লোকেরা থাকতেন। তবে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দখলে থাকা বহিরাগতদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে জায়গা দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। আমাদের দাবি, এই বাড়ি যেন পুনঃসংস্কার করে দেয়। তাহলে আমাদের তিতাসের পূর্ব পাড়ে অতীতের একটি স্মৃতি থাকবে।
স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুল জব্বার বলেন, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে বাড়িটি পরিত্যক্ত। এই বাড়িটি চুনকাঠ ও বীমের উপর দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় একটি বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি চাই, সরকার যেন দ্রুত এই বাড়িটি সংস্কার করে দেয়। বাড়িটি সংস্কার করে দিলে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরো বাড়বে। আমাদের এলাকার উন্নয়ন হবে।
ঘুরতে আসা কয়েকজন পর্যটক বলেন, আমরা হরিপুর জমিদার বাড়ি দেখতে এসেছি। দেখলাম এখানে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। রাজমহল, রঙমহল, দরমহলসহ প্রতিটি দেওয়ালে বিভিন্ন প্রকার কারুকাজ করানো রয়েছে। বাড়িটি অনেক পুরোনো হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তবে বাড়িটির ফটকের সামনে যদি এর ইতিহাস লিখে রাখা হয় তাহলে পর্যটকরা এসে এর সঠিক তথ্য জানতে পারবে। বাড়িটি যদি দ্রুত সংস্কার করা যায় তাহলে ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেখতে পারবে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, হরিপুর জমিদার একটি দর্শনীয় স্থান। এটা প্রত্নতত্ত্বের একটা গুরুত্ব আছে। জমিদার বাড়িতে যেসব বহিরাগত পরিবার ছিল তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে জায়গা দিয়ে ওখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবার ছিল তারা নিজেরাই চলে গেছেন।
বাড়িটি সংস্কারের বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে বলেন, আমাদের যে সরকারি রাজস্ব ফান্ড আছে তা থেকে এই বছরই আমরা বাড়িটির সংস্কার কাজ শুরু করব। আমরা প্রকল্প তৈরির চেষ্টা করছি। খুব দ্রুত প্রকল্পটা আমাদের মন্ত্রণালয়ে আমরা পাঠিয়ে দেব। আসা করছি প্রকল্পটা অনুমোদন হলে একটা বড় আকারের কাজ করতে পারব। বাড়িটি যেভাবে আছে আমরা ঠিক সেই ভাবে রেখেই সংস্কার কাজ করব।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ বলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক সংরক্ষার একটি আইন বা ব্যবস্থা আছে যা সারা বিশ্বে একই নিয়ম। সেভাবেই আমরা এটি সংস্কার করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধিতে ভেটেরিনারি ফিল্ড এ্যাসিসট্যান্ট (ভিএফএ) ও সমমানের পদে অগ্রাধিকারসহ ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক সংযুক্তকরণ, দ্রুত নিয়োগবিধি প্রণয়ন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদানসহ নবসৃষ্ট উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে বাংলাদেশ “ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক” স্টুডেন্টস ফেডারেশন (বিডিএলএসএফ) আইএলএসটি নাসিরনগর শাখার উদ্যোগে ইন্সটিটিউট অফ লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ক্যাম্পাস চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
বাংলাদেশ “ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক” স্টুডেস্টস ফেডারেশন আইএলএসটি নাসিরনগর শাখার সহ-সভাপতি আবদুর রাহিমের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রিফাতুজ্জামান বন্ধন, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক আয়াতুল্লাহ খান সিহাব ও ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা আক্তার জেলি প্রমুখ।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাসিরনগর উপজেলা সদরের নাসিরনগর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভূগোল বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ অর্থ আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরম পূরণের সময় কলেজ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার ফী বাবদ টাকা নেওয়া হলেও পরীক্ষার্থীদের থেকে পূনরায় ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য টাকা চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভূগোল বিষয়ের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি দুইশ থেকে তিনশ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এছাড়া আইসিটি বিষয়ের জন্য পরীক্ষার্থীদের থেকে দুইশ ও বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের থেকে তাদের ব্যবহারিক সকল বিষয়ের জন্য ২৫শ টাকা করে চাওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
নাসিরনগর সরকারি কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার এই কেন্দ্রে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক ব্যবহারিক পরীক্ষায় নাসিরনগর সরকারি কলেজ ও বিজয়লহ্মী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ভূগোল বিষয়ে প্রায় তিনশ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। অন্যদিকে ঐ কেন্দ্রে আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে আইসিটি বিষয়ে প্রায় ছয় শতাধিক পরীক্ষার্থী এবং বিজ্ঞান বিভাগে তিন বিষয়ের প্রায় ৫০ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করবে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে নাসিরনগর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় নাসিরনগর সরকারি কলেজের ভূগোল বিষয়ের প্রভাষক সাহিদুল ইসলাম ও বিজয়লহ্মী স্কুল এন্ড কলেজের ভূগোল বিষয়ের প্রভাষক সম্রাট হোসেন ভূগোল বিষয়ের ব্যবহারিকের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করছেন।
এ বিষয়ে একাধিক পরীক্ষার্থী জানান, ফরম পূরণের সময় আমাদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি নেওয়া হয়েছে। তারপরও এখন ব্যবহারিকের প্রতিটি বিষয়ের জন্য অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার বিষয়ে ভূগোল বিষয়ের প্রভাষক সাহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
নাসিরনগর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও নাসিরনগর পরীক্ষা কেন্দ্র-১ এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিল ফোরকান জানান, আমি এদের টাকা নিতে নিষেধ করে দিয়েছি, যাদের থেকে নেওয়া হয়েছে সেটা ফেরত দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ফরম পূরণের পর পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য টাকা নেওয়ার কোন বিধান না থাকলে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ফরম পূরণের সময়ই ব্যবহারিকের টাকা সংগ্রহ করা হয়, এর বাইরে টাকা নেওয়ার কোনো বিধান নেই। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।