চলারপথে রিপোর্ট :
২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলা এলএসডি গোডাউনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। স্থানীয় এস আলম অটো রাইস মিলের নিকট থেকে ৪০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এসময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রউফ, ওসি এলএসডি শিমুল দে ও উপজেলা অটোমেজর ও হাসকিং মালিক সমিতির সভাপতি শাহজাহান সিরাজ এবং কৃষক ও মিল মালিকদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ কৃষক ও মিলারদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। বিগত ১৭ নভেম্বর থেকে সারাদেশে আমন ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও সংশ্লিষ্ট কৃষক ও মিল মালিকদের সাথে চুক্তি সম্পন্ন শেষ না হওয়ায় যথাসময়ে উদ্বোধন সম্ভব হয়নি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রউফ জানান, এবছর আশুগঞ্জে ২২ হাজার ১২৫ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৪ হাজার ১৬৭ মেট্রিক টন আতপ চাল ও ২৫৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ২৪৯ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩ হাজার ৬১৮ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট মিলারদের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতি কেজি সিদ্ধ চাল ৪৭ টাকা, আতপ চাল ৪৬ টাকা এবং ধান ৩৩ টাকায় সংগ্রহ করা হবে। তবে আশুগঞ্জ এলএসডি গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, এলএসডি) শিমুল দে জানান, গোদামে সংকুলানের ব্যবস্থা না থাকায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে আশুগঞ্জ গোদামে ৯ হাজার ২০৩ মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ২ হাজার ৪৩২ মেট্রিক আতপ চাল সংগ্রহের বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। বাকী চাল জেলার অন্যান্য গোদামের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। চালকল মালিকদের কাছ থেকে সিদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জের আলোচিত সন্ত্রাসী মো. দ্বীন ইসলাম সরকার ওরফে ধীরাকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বন্দর এলাকার ট্রানজিট মাঠের বিদ্যুতের টাওয়ারের নিচে ঝোপের মাটির নিচ থেকে ৪ রাউন্ড সিসা কার্তুজসহ একটি দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে উপজেলা শহরের আর জে টাওয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড বারের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
মো. দ্বীন ইসলাম সরকার ওরফে ধীরা উপজেলার চরচারতলা গ্রামের হাজী মো. মোগল মিয়া সরকারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় হত্যা, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র মামলাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ জানান, সোমবার রাতে আশুগঞ্জের আলোচিত সন্ত্রাসী ধীরা আর জে টাওয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড বারের সামনে স্থানীয় লোকজনের সাথে বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত হয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেওয়া তথ্যমতে ৪ রাউন্ড সীসা কার্তুজসহ কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরি একটি দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করা হয়।
আটক দ্বীন ইসলাম সরকার ওরফে ধীরার বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. কবির হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ওষুধ সেবনে আয়েশা মনি (০৪) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আয়েশা উপজেলার দূর্গাপুরের চাতাল শ্রমিক মোঃ খোকন মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হলে আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে আশুগঞ্জ পূর্ব বাজারের আল আমিন মেডিক্যাল সেন্টারের স্বত্বাধিকারী পল্লী চিকিৎসক মো. মোস্তাকিম বিল্লাহকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি সরাইল উপজেলার টিঘর গ্রামের মোতাসিম বিল্লাহর ছেলে।
এরআগে সোমবার রাতে নিহত শিশু আয়েশার পিতা খোকন মিয়া বাদী হয়ে আল আমিন মেডিক্যাল সেন্টারের স্বত্বাধিকারী পল্লী চিকিৎসক মোঃ মোস্তাকিম বিল্লাহকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত সোমবার রাতে তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি তাকে আশুগঞ্জ পূর্ব বাজারে অবস্থিত আল আমিন মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যান। এসময় ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী পল্লী চিকিৎসক মোঃ মোস্তাকিম বিল্লাহ শিশুটির শরীর দুর্বল এবং পেটে কৃমি হয়েছে জানিয়ে তাকে একটি ১শ মিলি ভিনসিনা সিরাপ (১ চামচ করে দিনে ৩ বার), একটি ১শ মিলি আপেলিন সিরাপ (১ চামচ করে দিনে ২ বার) ও একটি ১০ মিলি বেন-এ সিরাপ (১ চামচ ৭ দিন পরপর) খাওয়ার জন্য ঔষধের প্যাকেটের গায়ে নির্দেশনা লিখে দেন।
উক্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী শিশু আয়েশাকে ওষুধ খাওয়ানোর পর সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ফার্মেসী থেকে নেয়া ওষুধগুলো দেখে ১শ মিলি আপেলিন সিরাপটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে বলে শিশুটির পরিবারকে জানান।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান, নিহত শিশুর পিতা থানায় অভিযোগ দাখিল করলে প্যানেল কোড ১৮৬০ এর ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। পরে নিহত শিশুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক মোঃ মোস্তাকিম বিল্লাহকে গ্রেফতার করা করা হয়।
তবে আশুগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নুপুর সাহা বলেন, নিহত শিশুকে সেবন করানো ১শ মিলি আপেলিন সিরাপটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও মৃত্যুর অন্য কারণও থাকতে পারে। শিশুটিকে সেবন করানো ওষুধগুলো জব্দ করে পরীক্ষার জন্য ঔষধ প্রশাসনের নিকট পাঠাতে পুলিশকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট ও ওষুধগুলোর পরীক্ষার রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থল বন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরন কাজের কারনে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে ফেলা বালি পাশের খালে পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সরজমিনে দেখা গেছে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সদর উপজেলার সুহিলপুর, বুধল ও মজলিশপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওইসব গ্রামের বাসিন্দারা। খাল ভরাট হওয়ার কারণে জমিতে উঠা পানি নিষ্কাশন হচ্ছেনা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। পানি উঠেছে বাড়ি-ঘরেও। সব কিছু মিলিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের সীমা নাই। বিশেষ করে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড থেকে সুহিলপুর পর্যন্ত সড়কের পাশের বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছে।
এদিকে জলাবদ্ধতার খবর পেয়ে গত শনিবার দিনব্যাপী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সেলিম শেখ ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ভেকু দিয়ে খালে পড়া বালি অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করেছেন। গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত চলে খালের বালি অপসারনের কাজ।
সুহিলপুর গ্রামের মোঃ মজিদ মিয়া বলেন, মহাসড়ক চারলেন করার কারনে রাস্তায় ফেলা বালি পাশের খালে পড়ে খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় আমাদের গ্রামের বিভিন্ন অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন গত ১৫ দিন আগে আমি আমার তিন কানি জমিতে ধান রোপন করেছিলাম। আমার জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘর-বাড়ি জলাবদ্ধ হয়ে আছে।
বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের সফর আলী বলেন, আড়াইশ মুরগীসহ আমার একটি খামার পানিবন্দী হয়ে আছে। খাল ভরাটের কারনে এখানকার জায়গা জমি, ঘরবাড়ি সব বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ হয়ে আছে। খালের বালি অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে আমাদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।
এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারনে এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রায় দুইশত কানি ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
পুকুরের পাড় ভেঙ্গে কয়েক লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।ফোরলেন রাস্তার কারনে খাল ভরাট করে ফেলায় পানি নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না। আমি আপাতত ভেকু এনে নালা পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, পানি নিষ্কাষনের জন্য কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশের যেসব জায়গা বালু দিয়ে ভরাট হয়ে গেছে শনিবার দিনব্যাপী ভেকু দিয়ে খালের সেইসব বালু অপসারণ করে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করেছি। আজ রোববার ও বালি অপসারণ করা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত পানি নেমে যাবে। মানুষের দুর্ভোগও লাঘব হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল ২৯ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আজ ২৮ মে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৫০ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দুটি উপজেলার ১৫০টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট, বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে এসব সরাঞ্জাম পৌছে দেয়া হয়। তবে নির্বাচনের দিন ভোর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা জানান, নির্বাচনে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমান পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, দুই উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৩ হাজর ৮৮২ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
শুরুর মাত্র ৩৮ দিনের মাথায় গ্যাস সংকটে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায়। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১ মার্চ শনিবার দিবাগত রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
বছরের বেশির ভাগ সময় গ্যাস না পেয়ে উৎপাদন বন্ধ থাকায় দিন দিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে প্রিলড ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী কারখানাটি। এর আগে, গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ না থাকায় সার উৎপাদন বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে শ্রমিকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর ১৫ নভেম্বর গ্যাস সরবরাহ শুরু করে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এরপর সব ধাপ অতিক্রম করে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে সার উৎপাদন শুরু হয়।
আশুগঞ্জ সার কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন অন্তত সাড়ে ১১০০ টন ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম আশুগঞ্জ সার কারখানা। তবে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়। গ্যাস সংযোগ পেলেও চাপ কম থাকায় পুরোদমে ইউরিয়া উৎপাদন করা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। ফলে রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
আশুগঞ্জ সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) এ বি মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, গ্যাস ছাড়া সার উৎপাদন করা যায় না। ফলে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে নাগাদ উৎপাদন চালু হবে, স্পষ্ট করে তা বলা যাচ্ছে না।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাক প্রকৌশলী জাহিদুর রেজা গণমাধ্যমকে জানান, সরকারি সিদ্ধান্তে আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে, সেটি সরকারি সিদ্ধান্ত। হয়তো চলতি মৌসুমে কারখানাটিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না।