চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে টিকটক করতে গিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের এপ্রোচে ধাক্কা লেগে মোঃ রাফি (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর টু রাধিকা সড়কের নারুই (ব্রাহ্মণহাতা) গ্রামের পূর্ব পাশে বিলের ব্রিজের এপ্রোচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাফি নবীনগর উপজেলার আলমনগর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মোঃ সামসু মিয়ার ছেলে।
মোঃ রাফি নবীনগর সরকারি কলেজের ছাত্র। নিহতের প্রতিবেশী মোঃ জামাল মিয়া তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, দুপুরে নবীনগর টু রাধিকা সড়কে বন্ধুদের নিয়ে টিকটক করতে যান রাফি। বন্ধুদের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের এপ্রোচে ধাক্কা লেগে গুরতর আহত হন রাফি। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, এ বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে সহকারি অধ্যাপক ডা. মনির হোসেন শিশু বিশেষজ্ঞ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৩ হাজারের বেশি মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধ বিতরণ করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কালঘড়া হাফিজ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পে এই চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। চিকিৎসা সেবা পেয়ে রোগিরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরুর আগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কালঘড়া আমেনা মেমোরিয়াল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও কালঘড়া হাফিজ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা ডা. সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ শফিকুর রহমান, রসুলাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন, নবীনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ চক্রবর্তী, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ আবু কাওসার, প্রেসক্লাবে সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূইয়া মিনাজ, সহ সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর দেলুয়ার হোসেন, প্রধান শিক্ষক মো. ইয়ার হোসেন, দূর দূরান্তক আগত ৩৪ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, এলাকার যুব সমাজ ও বিভিন্ন সুধী মহল।
বক্তারা বলেন সমাজের মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের অনেক মানুষ টাকার অভাবে সঠিক চিকিৎসা পায় না। সেখানে অত্র এলাকার কৃতি সন্তান ডাঃ মনির হোসেনের এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। এভাবে সমাজের উচ্চবিত্তরা এগিয়ে আসারও আহ্বান করেন। ডাক্তার মনির হোসেন বলেন, ৩৪ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে আজকের এই চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু। ভবিষ্যতে এমন সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে নিখোঁজের একদিন পর আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার হেলাল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকালে নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া কৃষি জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। হেলাল মিয়া নবীনগর উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। হেলালের মা পিয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে তার বউ প্রতিনিয়ত মারধর করতো। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। কিভাবে মারা গেলো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার ছেলের মৃত্যুর সাথে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন জড়িত থাকতে পারে। হেলালের বোন পারভীন বেগম বলেন, আমার ভাই নবীনগরে ভাড়া বাসায় থেকে ঝাল মুড়ি ফেরি করে বিক্রি করতো। আবার মাঝে মাঝে রিকশা চালাতো। বউয়ের নির্যাতন ও পারিবারিক অশান্তির কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, নারায়ণপুর গ্রামে কৃষি জমিতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল করেছে। তিনি আরো বলেন, লাশের দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঠান্ডার কারণে তার শরীর শক্ত হয়ে গেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের বাউচাইল গ্রামে আজ ৩০ মে বৃহষ্পতিবার সকালে আম পারতে গিয়ে আম গাছ থেকে সাইফুল ইসলাম (৬০) নামের একজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি মৃত মনাফ মিয়ার ছেলে।
নিহতের মেয়ে ইভা আক্তার বলেন, আজ সকালে বাবা আম পারতে গাছে উঠলে সেখান থেকে পড়ে গুরুত্বর আহত হন। দ্রুত নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মেহেরুনেছা বলেন, সাইফুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি আম গাছ থেকে পড়ে মারা গেছে। তাকে হাসপাতালে আনার সময় পথিমধ্যে তিনি মারা যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে মো. সোহাগ (২৮) নামে এক সৌদি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১০ জুন সোমবার দুপুরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের বাইশমৌজা বাজারের পাশে আব্দুল্লাহ্ চরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহাগ কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সাতঘর হাটির আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি তিনমাস আগে ছুটিতে দেশে এসে বিয়ে করেছিলেন।
পরিবারের লোকজন জানায়, সোহাগ বাইশমৌজা বাজারের পাশে আব্দুল্লাহ্ চরে ১০/১৫টি মহিষকে ঘাস খাওয়াচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।