অনলাইন ডেস্ক :
ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপাতত নাটক থেকে বিদায় নেয়ার কথা জানিয়েছেন। ২ ডিসেম্বর সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী ফারিয়া জানান, তাকে আর নাটকে দেখা যাবে না। ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ত থাকায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অভিনেত্রী শাহরিন ফেসবুকে লেখেন, ‘যারা মাঝখানে আমাকে ফোন করেছিলেন, মেসেজ করেছিলেন কাজের জন্য, সরি আমি কারও ফোন ধরতে পারিনি, মেসেজের রিপ্লাইও দিতে পারিনি। কারণ, ওই ফোনটাই আমি অনেক দিন ইউজ করিনি। সো সবার রিপ্লাই একসাথে দিচ্ছি, আপাতত নাটকে কাজ করছি না। কবে করব এটাও জানি না কিন্তু ভালো টিভিসি হলে করব। ধন্যবাদ।’
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়ে বিনোদন জগতে অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন পা রাখেন। এরপর বিজ্ঞাপনে মডেল ও নাটকে অভিনয়ে নিজের জায়গা গড়ে তোলেন। ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি নাটকে তার কাজ দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
স্পোর্টস ডেস্ক :
‘১৪ সংখ্যাটা খারাপ নয়’ -ম্যাচশেষে বলছিলেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম। ১৪ তার চোখে খারাপ না লাগারই কথা।
কেননা ১৪-০ ব্যবধানেই যে জিব্রাল্টারকে গতকাল উড়িয়ে দিয়েছে তার দল। তুলে নিয়েছেন নিজেদের ইতিহাস ও ইউরো বাছাইয়ে সবচেয়ে বড় জয়।
গোলবন্যার ম্যাচে ফ্রান্সের হয়ে গোলের খাতায় নাম লেখান ৯ জন ফুটবলার। এর মধ্যে হ্যাটট্রিকের দেখা পান কিলিয়ান এমবাপ্পে। জোড়া গোল করেন অলিভিয়ে জিরু ও কিংসলি কোমান। একটি গোল করে ফ্রান্সের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার মালিক হন ওয়ারেন জের-এমেরি। ১৭ বছর বয়সী এই ফুটবলারের অভিষেক হয়েছে আজ। তিনি ছাড়াও একটি করে গোল করেছেন মার্কাস থুরাম, জনাথন ক্লস, ইউসুফ ফোফানা, আদ্রিয়ান রাবিওঁ, ওসমান দেম্বেলে।
গতকালের আগে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় জয় এসেছিল ১৯৯৫ সালে। আজারবাইজানকে সেবার ১০-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। এছাড়া ইউরো বাছাইয়ে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডটি ছিল জার্মানির। ২০০৬ সালে সান মারিনোকে ১৩-০ গোলে হারায় তারা।
ফ্রান্সের কাছে রেকর্ড হারানো রাতটা ভালোভাবে কাটেনি জার্মানদের। ঘরের মাঠে প্রীতি ম্যাচে ৩-২ গোলে হেরেছে তুরস্কের কাছে। পঞ্চম মিনিটে কাই হাভার্ৎজের গোলে এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই পিছিয়ে পড়ে ২-১ ব্যবধানে। বিরতির পর ৪৮ মিনিটে সমতা ফেরান নিকলাস ফুলক্রুগ। তবে ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে তুরস্ককে জয়সূচক গোলটি এনে দেন ইউসুফ সারি।
স্পোটর্স ডেস্ক :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপের মেগা আসরে জায়গা নিশ্চিত করেছে নামিবিয়া। প্রথমবার ২০ দল নিয়ে আয়োজিত হবে আগামী আসরের টি-২০ বিশ্বকাপ। ১৯তম দল হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে নামিবিয়া।
আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইপর্বে তানজানিয়ার বিপক্ষে ৫৮ রানের বড় জয়ে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে ২০২১ ও ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলটি। এদিন শুরুতে ব্যাট করে ১৫৬ রান করে তারা। জবাবে তানজানিয়া ৯৯ রানে অলআউট হয়। আসরে টানা পাঁচ জয় নিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো দলটি।
বিশ্বকাপে ফাঁকা থাকা একমাত্র জায়গার জন্য বুধবার মাঠে নামবে জিম্বাবুয়ে ও নাইজেরিয়া এবং উগান্ডা ও কেনিয়া। চার দলের মধ্যে জয়ী দুই দলের পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে এক দল বিশ্বকাপে যাবে।
স্বাগতিক হিসেবে ২০২৪ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের। ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপে সেরা আটে শেষ করায় অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করেছে। ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত আইসিসির টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটে থাকায় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ২০২৪ বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত।
এই ১২ দলের সঙ্গে বাছাইপর্ব থেকে আসা আট দল যোগ হয়ে বিশ্বকাপে অংশ নেবে ২০ দল। এরই মধ্যে ইউরোপ অঞ্চল থেকে আয়ারল্যান্ডস ও স্কটল্যান্ড বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পেয়েছে। এশিয়া অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে নেপাল ও ওমান। আমেরিকা অঞ্চল থেকে খেলবে কানাডা। আফ্রিকা অঞ্চল থেকে নামিবিয়া বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে। ওই অঞ্চলে ফাঁকা থাকা জায়গার জন্য লড়ছে জিম্বাবুয়ে-কেনিয়া। পূর্ব আফ্রিকা থেকে পাপুয়া নিউগিনি খেলবে ২০২৪ বিশ্বকাপে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বকাপ চলাকালীন ক্রিকেটার নাসুমকে চড় মারার ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার ডাকযোগে এবং ই-মেইলে এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাহিদুর রহমানের পক্ষে ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান এটি পাঠিয়েছেন। এতে দোষ প্রমাণ হলে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাথুরু সিংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বিসিবিকে।
এছাড়াও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় ব্যবস্থা না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছেন। তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি রবিবার থেকে এ তদন্ত শুরু করে।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সান্য মলহোত্রের সিনেমা ‘মিসেস’। সিনেমাটিতে তুলে ধরা হয়েছে এক নারীর শ্বশুরবাড়ির জীবনযাপন। নিজের স্বপ্ন, উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিসর্জন দিয়ে শ্বশুরবাড়ির সেবায় মন দিতে হয় ওই নারীকে। সম্বন্ধ করে বিয়ের পরে একান্নবর্তী পরিবারে গিয়ে পুরুষতন্ত্রের শিকার হয় সান্যের অভিনীত চরিত্র ‘রিচা’। সিনেমাটির প্রশংসায় মেতেছেন দর্শকেরা। তবে সান্যের সিনেমা নিয়ে আপত্তি জানালেন কঙ্গনা রনৌত। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই নিজের মতামত প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা।
‘মিসেস’ সিনেমার বিষয়বস্তু নিয়েই সমস্যা কঙ্গনার। একান্নবর্তী পরিবারকে ও পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যেভাবে দেখানো হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি কঙ্গনার। তাছাড়া, গৃহবধূদের সাথে পারিশ্রমিক প্রাপ্ত শ্রমিকের তুলনারও বিরোধিতা করেছেন তিনি। নিজের ঘরের ও সন্তানের জন্য কাজ করার সাথে শ্রমিকের তুলনা টানা মোটেই ঠিক নয় বলেই মতো কঙ্গনার।
তবে ‘মিসেস’ সিনেমার নাম না উহ্য রেখেই বিরোধিতা করেছেন কঙ্গনা। একটি পোস্টে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনিও একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়েছেন। নারীরা পরিবারের কোনও দায়িত্ব নিচ্ছেন না, এমন তিনি দেখেননি। বরং মহিলারাই নাকি ঠিক করতেন, বাড়িতে কখন খাওয়া-দাওয়া হবে, কখন বাড়ির সকলে ঘুমোতে যাবেন, কে কখন বাইরে যাবেন। তার বাড়িতে নাকি নারীদের তত্ত্বাবধানেই সব কিছু হতো। স্বামীর খরচের হিসাবও তাদের কাছে থাকত। পুরুষদের ঘনঘন বাইরে যাওয়া ও মদ্যপান নিয়ে নারীরাই আপত্তি জানাতেন।
এখানেই শেষ নয়। বিয়ে নিয়েও নিজের মতামত জানান কঙ্গনা। তার মতে, বিয়ে মানে শুধুই সঙ্গীর থেকে মনোযোগ ও মান্যতা পাওয়া নয়। বরং বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আশ্রয় পান প্রবীণ ও সহায়তা পায় সদ্যোজাতেরা। আগের প্রজন্মের প্রায় সবাই কোনও প্রশ্ন না করেই বাবা-মায়ের সেবা করতেন।
এ বিষয়ে কঙ্গনার মন্তব্য, বলিউডের বহু সিনেমায় বিয়ে নামক ধারণাকেই নষ্ট করে দিয়েছে। এ দেশে যেভাবে বিয়ে হয়ে এসেছে এতো দিন, সেভাবেই বিয়ে হওয়া উচিত। বিয়ের সব সময়েই একটা উদ্দেশ্য ছিলো। সেই উদ্দেশ্য হলো ধর্ম, যার অর্থ কর্তব্য। নিজের কর্তব্যটুকু করুন। তাতেই হবে। জীবন খুবই ছোট। বেশি মান্যতা পেতে গেলে মনোবিদের সাথে একাই জীবনটা কাটাতে হবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।