চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে মাহফিল করার নামে আয়োজন করা গান-বাজনা বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (ইউএনও) মোঃ মোশারফ হোসাইন গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বৈশামুড়া গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন। পুলিশ জানায়, ফিরোজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি মাহফিলের কথা বলে গান-বাজনার আয়োজন করেন। এ আয়োজন কবরস্থানের পাশে হওয়ায় এলাকার লোকজন আপত্তি তুলেন। বিষয়টি ইউএনও এবং ওসিকে অবহিত করেন তারা। ফিরোজ মিয়াকে এ আয়োজন বন্ধ করতে ফোনে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে কাজ না হলে এক পর্যায়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। লোক সমাগম বেশি হওয়ায় পুলিশ সেখান থেকে চলে আসে। এরই মধ্যে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (ইউএনও) মোঃ মোশারফ হোসাইন সেখানে অভিযান চালিয়ে গান বাজনা বন্ধ করে দেন। এ সময় ফিরোজ মিয়া পালিয়ে যায়। অভিযানের সময় গান-বাজনার কাজে ব্যবহৃত কিছু জিনিস জব্দ করে নিয়ে আসে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিব বলেন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে ফলাফলের গেজেট স্থগিত রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনে আছে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে ইসি প্রকাশিত গেজেট স্থগিত রেখে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবে। সে অনুযায়ী তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে তদন্ত প্রতিবেদনে ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইসি নির্বাচন বাতিল বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করতে পারে।
জাহাংগীর আলম বলেন, গণমাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ও লক্ষীপুরের একটি ভোট কেন্দ্রের কিছু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। ইসি সেটির বিশ্লেষণ করেছে। এটার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। সরেজমিন তদন্তের পর তারা যে প্রতিবেদন দেবে, তারপরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে, ৫ নভেম্বর রবিবার লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে একের পর এক সিল মারছেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, যিনি সিল মেরেছেন তার নাম আজাদ হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ। পরে বিষয়টি ইসির নজরে আসে।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ রাকিব হোসেন, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. সামছুল করিম ও আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহমুদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোটার চার লাখ তিন হাজার ৭৪৪ জন। ১১৫টি ভোট কেন্দ্রের ৮২৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু এক লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। ভোট পড়ে ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪৬ ভোট।
আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহজাহান আলম ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। এ উপনির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ‘ওপেন ভোট’ নেওয়ার পাশাপাশি ‘জাল ভোট’ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল–আশুগঞ্জ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন জামাতা ও শ্বশুর। তবে এ আসনে ভোটারদের মধ্যে আলোচনায় জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিনের নাম বেশি চাউর হচ্ছে।
এ আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ফলে এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নেই। তবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সাতজন প্রার্থী আছেন। এর মধ্যে জাপার প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা ও তাঁর শ্বশুর স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার (ঈগল) নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি নজর কাড়ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাঁরা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
এখানকার প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি), জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঞা, তাঁর শ্বশুর জাপার দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির (রওশন) সহসভাপতি জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল প্রতীক), সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসানাত আমিনী ও বিএনপির দলছুট সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজ্জাক হোসেন। সমঝোতার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলমকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে।
নেতা-কর্মীরা বলছেন, রেজাউল ইসলাম ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের বাসিন্দা। একই আসনে তাঁর শ্বশুর সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জামাই-শ্বশুরের দ্বন্দ্ব ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তখন তাঁরা একে অপরের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ান। রেজাউল তখন মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন। সে সময় ভোটের দুই দিন আগে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য হন রেজাউল। তবে শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা সিংহ প্রতীক নিয়ে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে ছিলেন। গত ৫ নভেম্বরের উপনির্বাচনেও জিয়াউল হক অংশ নিয়েছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার সঙ্গে বর্তমানে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির প্রার্থী হয়ে ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট। ওই নির্বাচনে জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীকে ৩৯ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। কোনো কোনো নেতা-কর্মীর ভাষ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ও জনপ্রিয়তার কারণে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মঈন উদ্দিন।
রেজাউল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল সারা দেশে ২৬টি আসন জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে, যার একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। আশা করি, আওয়ামী লীগের সভাপতির আদেশ এখানে পালিত হবে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে হতাশ করবেন না।’
জাপার সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ‘কে নির্বাচন করল, সেটা দেখার বিষয় নয়। আমি এ জনপদে দুবার সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে নির্বাচন করব।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে যেতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর কোনো চাপ নেই।’
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক ডজন মামলার আসামী ও চিহ্নিত চোর আসাদ উল্লাহ প্রকাশ কাউছার মিয়া-(৩৭) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি প্রাইভেটকার জব্দ ও বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালংকার (২ ভরি ৫ আনা) এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার অনন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসাদ উল্লাহ প্রকাশ কাউছার মিয়া সরাইল উপজেলার রানীদিয়া গ্রামের মোঃ তাজুল ইসলামের ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার অন্নদা মোড়ে চেকপোষ্ট বসানো হয়। এ সময় চেকপোষ্ট এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহ হলে প্রাইভেটকারসহ আসাদ উল্লাহ প্রকাশ কাউছারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে বিভিন্ন প্রকারের স্বর্ণ অলংকার যার ওজন (২ ভরি ৫ আনা) ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, বুধবার রাতে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামের ফজলু মিয়ার ঘরে থেকে এই স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন চুরি করে কাউছার। সে একজন পেশাদার চোর।
এ ব্যাপারে বিরুদ্ধে ১২টি চুরির মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
সরাইলে সিরাতুন্নবী (সা.) মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে আকাঈদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সংরক্ষণ পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা শাখার উদ্যোগে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে উক্ত মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
হেফাজত ইসলাম সরাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুফতি রায়হান উদ্দিন, মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আল মাহদি, মুফতি মুর্শিদ চৌধুরী, মুফতি মনিরুজ্জামান, মুফতি সালমান কাশেমী, মুফতি ইয়াছিন, মুফতি বাকি বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা এহসান উল্লাহ, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, মুফতি সুলাইমান, মাওলানা সাইফুর রহমান হাবিবী ও মাওলানা সিফাত জামিল।
উক্ত মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হেফাজত ইসলামের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, রাসুলের (সা.) শাণে যদি বাংলার মাটিতে কোন নাস্তিক মুর্তাদ কটূক্তি করে, রাসুলকে গালি দেয় তবে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে প্রতিহত করব। তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। রাসুলকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরূদ্ধে সর্বোচ্চ বিচারের আইন পাস করতে হবে। রাসুলের দুশমনদের ফাঁসি দিতে হবে। তিনি আরও বলেন আল্লাহ এক, রাসুল সবার এক, আমাদের কাবা কেবলা এক, শরীয়ত এক। অতএব দ্বন্দ্ব ভুলে যান। আমরা সবাই এক। ধর্মের ব্যাপারে আমরা ওলামায়ে কেরামদের নেতা মানব। কোন বিষয়ে কোন ধরণের দাঙ্গা ফ্যাসাদ ও বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। আকাঈদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সংরক্ষণ পরিষদ সরাইল উপজেলা শাখাসহ হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ও তৌহিদি জনতা উক্ত মহাসম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারত থেকে চোরাই পথে আনা ট্রাকভর্তি চিনিসহ দুজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। ৭ অক্টোবর সোমবার গভীর রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সিলেটের জৈয়ন্তাপুর উপজেলার চিকরাগুলের নাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. সোলাইমান আহম্মদ (২১) ও একই জেলার শাহ পরান থানার খাদিমপাড়া এলাকার মৃত আকলিছ মিয়ার ছেলে সাকিবুল ইসলাম (২২)।
জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। এ সময় একটি ট্রাকে তল্লাশি করে সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে ভারত থেকে আনা ১৭০ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় চিনি পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকটি। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়। পাশাপাশি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।