চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সেলিম ভূইয়া বলেছেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছেন। এই ৩১ দফার মধ্যে সংস্কারের সব কিছু বলা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রশাসন সব কিছুই এই রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফার মধ্যে আছে। তাহলে আপনারা কেন এই সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্বিত করে দেশকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাচ্ছেন।
আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সেলিম বলেন, পাশের একটি দেশ প্রতিনিয়ত আমাদের দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা প্রতিটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিব। কারণ বিএনপি এ দেশের জনগণের যখন বিপদ আসে, জনগণের যখন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দেয়, জনগণের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, তখনই বিএনপি জনগণের পাশে এসে দাঁড়ায়। ভারতীয় কোন কিছুকে আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, ভারতের সাথে হাসিনা সরকারের গত ১৫ বছরে যত চুক্তি হয়েছে সমস্ত চুক্তি বাতিল করতে হবে। আমরা বাংলাদেশীরা তাদের প্রভুসুলভ আচরণ কখনোই মেনে নিতে পারি না। তিনি বলেন, তারা ভয় পেতো আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। কারণ জিয়াউর রহমান কখনো ভারতের আধিপত্য মেনে নেয়নি। মেনে নিতে পারেনি বলেই তারা আমাদের নেতাকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। তাই আজকে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্মেলন থেকে আমরা বলতে চাই, এই দেশে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। এ দেশ জিয়াউর রহমানের দেশ। এই দেশ বেগম খালেদা জিয়ার দেশ। এই দেশ তারেক রহমানের দেশ। এই দেশের জনগণ কিভাবে ভালো থাকবে তার কাজ বিএনপি আগেও করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, আগামী দিনের যে নির্বাচন, সেই নির্বাচন হবে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা। এর আগে আমাদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। নিজেদেরকে সংযমী রাখতে হবে। যে কষ্ট আপনারা করেছেন, এই কষ্ট যদি আমরা ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট না আনতে পারি, তাহলে সকল কষ্ট বৃথা যাবে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকেই সম্মেলন স্থলে মিছিল এবং রং বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে সম্মেলন জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। তবে পরের দুই বছরের মধ্যে তাকে পাবলিক মূল্যায়নে অংশ নিয়ে বিষয়গুলোতে উত্তীর্ণ হতে হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৈরি করা ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২-এর মূল্যায়ন কৌশল ও বাস্তবায়ন নির্দেশনা’ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৮ মে মঙ্গলবার কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিভিশন কোর কমিটিতে প্রতিবেদনটি পাস হয়েছে। তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির সভায় এটি চূড়ান্ত হবে। গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম, চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে ২০২৬ সালে হবে এসএসসি পরীক্ষা। এরপর শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একাদশে ভর্তি হয়েও মান উন্নয়নের জন্য এক বা একাধিক অথবা সব বিষয়ে পুনরায় পাবলিক মূল্যায়নে (এসএসসি) অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে। অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান ও প্রারম্ভিক-এই ৭টি সূচকের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হবে শিক্ষার্থীর রিপোর্ট কার্ড। এতে সব বিষয়ে পারদর্শিতা বা সর্বোচ্চ সূচক অনন্য, আর সর্বনিম্ন সূচক হলো প্রারম্ভিক। প্রসঙ্গত, বর্তমানে একজন শিক্ষার্থী এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে ফেল করলে তার শুধু ওই দুই বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উন্নয়ন অংশীদারিত্ব বাড়ানোর আহবান জানান। এজন্য এনজিও সংস্থাগুলোর অন্তর্ভুক্তিকরণ আরো সহজ করার দাবি জানানো হয়।
আজ ২৪ নভেম্বর রোববার সকালে শহরের কাউতলী স্বপ্নতরী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভায় আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য প্রফেসর ডঃ তৌফিকুল ইসলাম মিথিল। মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন, পিকেএসএফ’র উপ- মহাব্যবস্থাপক (কার্যক্রম) দীপেন কুমার সাহা। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পিকেএসএফ’র উপ-মহা ব্যবস্থাপক মোঃ মশিউর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নব-নির্বাচিত সভাপতি আল-আমীন শাহীন, সাংবাদিক আ. ফ. ম কাউছার এমরান, এনজিও কর্মকর্তা এস এম.শাহীন, আবু তাহের, অ্যাডভোকেট মোঃ মনির হোসেন, আবদুল আউয়াল, ইয়াছমিন আক্তার প্রমুখ।
এ সময় জানানো হয়, পিকেএসএফ একটি দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান। আগেও এটি দুর্নীতিমুক্ত ছিলো, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এর সাথে অংশীদারিত্বে জড়াতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হয়। পিকেএসএফ’র লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সম্পদ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি। সেই লক্ষ্যে সারাদেশে ২০০শ’ এর বেশি প্রতিষ্ঠান এর সাথে অংশীদারিত্বমূলক কাজ করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধিক দামে কাপড় বিক্রির দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৯ এপ্রিল রবিবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের কোর্ট রোডের এফ.এ টাওয়ারের বিভিন্ন শো-রুমে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় “লাইক ফ্যাশন হাউজ” নামক কাপড়ের শো-রুমকে ৫ হাজার ও “লা-রোজা” নামক কাপড়ের শো-রুমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে রবিবার দুপুরে শহরের কোর্ট রোডের এফ.এ. টাওয়ারের বিভিন্ন শো-রুমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে কাপড় বিক্রির দায়ে লাইক ফ্যাশন হাউজের শো-রুমকে ৫ হাজার এবং ক্রয় মূল্যের রশিদ প্রদর্শন করতে না পারায় লা-রোজা নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে টানা তৃতীয় বার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যাপক প্রচারণা ও ভোটারদের উদ্বুদ্ধকরণে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক প্রচার ও প্রকাশনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৪৩ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুলকে আর সদস্য সচিব করা হয়েছে পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খানকে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- এই কমিটি নির্বাচনী আচরণ-বিধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উপজেলায় নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়ন থেকে ৫ জন করে এবং ধরখার ইউনিয়ন থেকে ৬ জন আর উপজেলা জেলা থেকে ১৫ জন এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
নির্বাচনের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির সদস্যরা হলো। আবু কাউছার ভূঁইয়া, মোহাম্মদ মনির হোসেন, মোহাম্মদ জুয়েল খান, খাইরুল বাশার রিপু, জুয়েল রানা, মোঃ সিরাজুল ইসলাম ইমরান, এবিএম সাইদ হোসেন লিটন, জাহিদ হাসান, সাইফুল ইসলাম খাদেম (রুবেল), মোঃ হান্নান মিয়া, মোঃ রানা শরীফ, রুবেল আহমেদ, রাজেশ সাহা, মোঃ মোতাহার হোসেন, জয়ন্ত দাস, মোঃ সাদেকুল ইসলাম, মোঃ শওকত চৌধুরী, হাসান মাহমুদ পারভেজ, ইকবাল হোসেন, মোঃ মশিউর রহমান, হানিফ রানা, আতিক ভূঁইয়া, মোঃ তোফাজ্জল আলী উজ্জ্বল, কাজী শাহ আলম, বিএম ফরহাদ, মোঃ আনিছুর রহমান, মোঃ রাসেল মিয়া, শরিফুল ইসলাম জনি,রুকন উদ্দিন, মোঃ মুছা মিয়া, মোঃ মোজাম্মেল খান, মোঃ জাবের ভূঁইয়া, আব্দুল আজিজ, ইকবাল হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম সবুজ, হাফেজ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আল-আমীন ভূঁইয়া, শেখ ইয়াকুব রহমান খোকন, মোঃ লোকমান হোসেন, মোঃ ইয়াছিন খান (টুক্কু) ও ইকবাল হোসেন।
উপজেলা প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির সদস্য সচিব ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির খান বলেন, প্রচারনায় সকলকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দসহ উপজেলার সকল কেন্দ্র কমিটির লোকজন। আমরা মাইকিং পোষ্টারিং হেনবিল বিতরণ ঠিকঠাক মত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি দেখবাল করবো।
প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের এই কমিটি। আমাদের দায়িত্ব এই উপজেলায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনের প্রচার ও প্রচারনাকে বেগবান করা।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে স্থাপন করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার দুপুরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১নং কূপে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মৃতি ফলকটির উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতেই তার স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডসহ পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে শাহাদাত বরণের মাত্র ছয় দিন আগে বঙ্গবন্ধুর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড কেনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তেই সোনার বাংলা গড়ার ভিত তৈরি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার জন্যই অর্থনৈতিকভাবে বিশ্ব-দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার ও পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।
স্মৃতিফলক উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, সকল কূপ থেকেই গ্যাস উত্তোলনের জন্য স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে যেসব কূপ বন্ধ আছে, সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে চালুর কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিতাসের নতুন আরও কিছু কূপ অনুসন্ধান এবং বর্তমানে যে স্তর রয়েছে তারচেয়ে আরও গভীরে গিয়ে গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা করছি আমরা।
অনুষ্ঠানে বিজিএফসিএল, পেট্রোবাংলা, গ্যাস ফিল্ডস এবং বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেল অয়েলের কাছ থেকে তিতাস, বাখরাবাদ, রশিদপুর, হবিগঞ্জ ও কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর কেনা পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে তিনটি পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে। আর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বর্তমানে মজুত আছে ৫ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। যার বাজারমূল্য ৩ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা।